. গায়ে এসে লাগে
ছলকানো নিঃশ্বাস, কিছু ফিসফাস কথার ছলনা | জানি, আছে
সে তবু নিকটে, আছে তেমনি করে, শুধু দেখা হয় না এখন |
উত্তরে-দক্ষিণে-পূবে তার ছক বেড়েছে যদিও
ক্রমশ নিশ্ছিদ্র হয় কলকাতার রুদ্ধশ্বাস মুঠো
. মাথায় মাথায় কালো রাস্তাগুলো পাঁচিল তুলেছে
বিপজ্জনক বাস টাল খেয়ে আবর্জনা ছড়াতে ছড়াতে
. অন্য দুর্ঘটনার দিকে চলে যায় চোখের পলকে |
এখন আর তার সঙ্গে দেখা হয় না নষ্ট টেলিফোনে কান চেপে,
. শ্লেটের লেখার মতো মুছে গেছে প্রিয়জন, বন্ধুজন, নারী-----
. যে ছিল চোখের জল, আমার ঘড়ির সঙ্গে যার ঘড়ি
. মিলতো বাস স্টপে
না--লেখা গল্পের কিছু পৃষ্ঠা কোনো চিলেকোঠা, সিঁড়ির তলায়
. খোয়া গেছে, শঙ্খচিল আকাশের নিচে
. মাশুল বিহীন চিঠি, লজ্জাহর প্রথম চুম্বন
. আমি বড়ো মূর্খ, আমি নিরন্তর বিদায় বুঝিনি |
. *************************
. সূচিতে...
মিলনসাগর
এরকম অন্ধ দিনে অকস্মাৎ যেন মনে হয়
অনেক ডাকঘর ঘুরে, আঘাটার সীলমোহর নিয়ে
বিস্মৃত খামের চিঠি ফিরে এল বহুদিন পরে
ঠিকানায় চেনা ঠেকছে বাঁকাচোরা হাতের অক্ষর
কলি ফুঁড়ে ফুটে ওঠা বিকলাঙ্গ পেন্সিলের ছবি
চোখে পড়লে এ বয়সে বুকের ভেতর যেরকম
হা-হা করে, মনে হয় রূপকথার পোড়ো ভিটে |
এ যেন কানের কাছে ভুলে যাওয়া আমার ডাকনাম
ঘুমের চটকা ভেঙে ধড়মড়িয়ে উঠে দরজা খোলা |
শৈশব এখন ঠিক এরকমই কাছে | খুব কাছে |
হঠাৎ তাকের বই সরালে নড়ালে চোখে পড়ে
কবেকার খেলনাপাতি, ধোবীখানাগামী পাঞ্জাবির
পকেটে চিরকুটখানা কারেন্সির নোটের মত লাগে
মাসকাবারের দুঃসময়ে | মনে হয়------
জুতোর ভেতরে ঢুকে বসে আছে হারানো মার্বেল,
এখন শৈশব ঠিক এরকমই কাছে | খুব কাছে |
. *************************
. সূচিতে...
মিলনসাগর
কতদূরে, জনাকীর্ণ রাজপথে আশ্বিন এসেছে |
. চাঁপাফুল ফুটেছে রোদ্দুরে,
. ঝলমলে কলেজ স্ট্রীট রঙের মিছিলে
. ভেসে গেছে |
এখন কুমারটুলি রূপদক্ষ পটুয়ার মত,
. তুলির ডগায় ফুটছে দেবোপম চালচিত্র আর
. আশ্চর্য মায়ের মুখ : তীক্ষ্ণ নীলাকাশে
যেন শুভ্র মেঘ নয় নিঃশব্দ ঢাকের গুরুগুরু |
দর্পণে হয়ত দুলছে প্রসাধনরত একটি মুখ,
. নিয়ন আলোয় ভাসবে ক্ষণ পরে
. হয়ত কোথাও |
তোমাকে এভাবে ভাবতে কষ্ট হয়
. কিন্তু বলো এছাড়া কি করি |
নীল যবনিকা কম্পমান
একটি দাঁড়ির সামনে আমি আজ এসে থেমে গেছি ;
মাটির গর্তের মধ্যে স্তব্ধ প্রতীক্ষায় প্রতীক্ষায়
প্রহর কাটছে একে একে |
. মৃত্যু ওৎ পেতে আছে সামনে কোনখানে কে তা জনে |
. ইস্পাতের বজ্র হাতে নিয়ে বসে আছি
. তবু ভবিষ্যৎ অন্ধকার |
এক মুহূর্ত পরে কি যে হবে,
. কেউ তা জানে না |
মুহূর্তের স্বপ্নভঙ্গ যদি নাই হয়, আপাতত
. তোমাকে বিষণ্ণ মনে ভাবি,
আশ্বিনের কলকাতা তোমার বিস্তৃত পটভূমি |
. *************************
. সূচিতে...
মিলনসাগর
বিসর্জন
আনন্দ বাগচী
ভালবাসা ফিরে যাও সন্ধ্যবেলা,
এইবার রাত্রি হবে, অন্ধকার জুয়া
ঘর দালান, উঠোনের জামগাছ, প
নীলাম নোটিশ কেউ সেঁটে দেবে
ভালবাসা ফিরে যাও এইবেলা, চ
. গলির
তোমাকে এগিয়ে দিয়ে ফিরে আ
আমি আর আমি এই দুইজন মুখো
মুখ দেখবার আর্শি ভেঙে ফেলে
দৃশ্যের প্রতিমা যাবে বিসর্জনে
. ঠোঁটে
বিদায়
আনন্দ বাগচী
প্রেমিক - প্রেমিকা
আনন্দ বাগচী
পৃথিবীর সবচেয়ে লোকারণ্য
হাত ধরাধরি করে দুটি অন্ধ
তাদের পায়ের নীচে অভিজাত
আত্মমগ্ন উদাসীন মাথার উপ
নিওন বাতির মতো উজ্জ্বল র
মৃদুল বৃষ্টির মতো ঝরা বকুলে
পৃথিবীর অন্ধতম পুরুষ ধরেছে
সমুদ্রের হাওয়া আসে উথাল
কেউ অতি নাটকীয় হাত তুলে
থামিয়ে রেখেছে, গল্প ভারাতুর
রচনা করেছে যোগ্য মুখবন্ধ হেঁ
যুগল বধির অন্ধ নরনারী, কথা
যেন স্তব্ধ রঙ্গমঞ্চে পালাবদলে
পরস্পর হাত ধরে প্রেম ও অ
.
ছোঁয়া যায়
আনন্দ বাগচী
সীমান্তের চিঠি
আনন্দ বাগচী