কবি আনন্দ বাগচী - অবিভক্ত বাংলার পাবনা জেলার স্বাগতা গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন। এম.এ. পাশ
করেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। ১৯৫২ সালে কর্ম জীবন শুরু করেন বাঁকুড়া খৃস্টান কলেজে। ১৬ বছর
অধ্যাপনা করার পর সাগরময় ঘোষের আহ্বানে সারা দিয়ে যোগ দেন “দেশ” পত্রিকার সম্পাদকীয় বিভাগে।
তিনি পঞ্চাশের দশকের বিখ্যাত কবি। ঔপন্যাসিক হিসেবেও তিনি খ্যাতি লাভ করেছিলেন। তিনি “হর্ষবর্ধন”
এবং “ত্রিলোচন কলমচি” ছদ্মনামেও লিখেছেন। বিখ্যাত “কৃত্তিবাস” পত্রিকার তিনি প্রথম সম্পাদক ছিলেন।
এছাড়া তিনি “সেতু”, “পারাবত”, “বৃশ্চিক” প্রভৃতি পত্রিকার সম্পাদনাও করেছিলেন। সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়,
শক্তি চট্টোপাধ্যায় প্রমুখদের সঙ্গে তিনিও আধুনিক কবিতা আন্দোলনে যুক্ত ছিলেন নিবিড়ভাবে।
তাঁর কাব্যগ্রন্থের মধ্যে রয়েছে “স্বগত সন্ধ্যা” (১৯৫৩), “তেপান্তর” (১৯৫৯), “উজ্জ্বল ছুরির নিচে” প্রভৃতি। তাঁর
প্রথম উপন্যাস “চকখড়ি” (১৯৬৪)। “স্বকালপুরুষ” নামে তিনি একটি কাব্যোপন্যাস রচনা করেন। সম্ভবত
বাংলায় এই ধরণের প্রচেষ্টা এই প্রথম। এছাড়াও তাঁর রচনার মধ্যে রয়েছে কিশোরদের উপন্যাস, ছোটগল্প,
রঙ্গ-ব্যাঙ্গ বা রম্যরচনা প্রভৃতি। তাঁর অন্যান্য প্রকাশিত রচনার ও গ্রন্থের মধ্যে রয়েছে “ফেরা না ফেরা”,
“চাঁদ ডুবে গেল”, “পরমায়ু”, “রাজযোটক”, “বিস্মরণ”, “এই জন্ম অন্য জীবন”, “ছায়ার পাখি”,
“সাহিত্য প্রসঙ্গে”, “আনন্দ বাগচীর শ্রেষ্ঠ কবিতা” ইত্যাদি।
কবি, জীবনের শেষ দিকে স্মৃতি শক্তি হারিয়ে চলশক্তিহীন অবস্থায় হালিশহরের বাড়ীতে আর্থিক কষ্টের
মধ্যে দিন কাটাতেন। তিনি হৃদরোগেও আক্রান্ত হয়েছিলেন। পশ্চিমবঙ্গ সরকার শেষ দিকে তাঁকে মাসিক
আড়াই হাজার টাকা সরকারি ভাতা দেবার কথা ঘোষণা করেন।
আমরা মিলনসাগরে কবি আনন্দ বাগচীর কবিতা প্রকাশিত করে জানাই তাঁর প্রতি আমাদের শ্রদ্ধাঞ্জলি।
তাঁর কবিতা আগামী প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দিতে পারলে আমাদের এই প্রচেষ্টা সার্থক বলে মনে করবো।
কবি আনন্দ বাগচীর মূল পাতায় যেতে এখানে ক্লিক করুন।
.
উত্স: শিশিরকুমার দাশ, সংসদ সাহিত্য সঙ্গী, ২০০৩
. অরুনাংশু ভট্টাচার্য, www.thesundayindian.com,
. অবনী নাগ ও নিতাই নাগ, রানিগঞ্জ মোড়, বাঁকুড়া, “জনমত” কলাম, বর্তমান পত্রিকা, ১৭.৬.২০১২
আমাদের ই-মেল - srimilansengupta@yahoo.co.in
এই পাতা প্রকাশ - ৫.৭.২০১২
...