‘আমার সকল নিয়ে বসে আছি সর্বনাশের আশায়’ খুব দূরে দাঁড়িয়েছো একা যদি পথ এসে তুলে নেয়---- অন্তিম চিকুর হেনে তুমি কী তাকাবে ফিরে এই যে শ্রাবণমায়া, মালতীলতার ঝংকার বেজে ওঠে গান বরাবর আলো অভিসারে তিমিরের স্তুপ হয়ে আছে যে আড়ালের অন্ধকার তুমি কী ফেরাবে তাকে সুহানা সফরে মেঘ বর্ষাতি গায়ে বৃষ্টির পথমিছিলে বুঁদ বুঁদ জল অবিরল---- তৃষ্ণার বুক জুড়ে চোখের তারায় |
এমন এক ছবি-দৃশ্য-আলেখ্য-র মাঝে দাঁড়িয়ে স্বপ্ন ঘুমের আলোছায়ায় লিখে যায় এক না বলা কথার যাপন অথবা মৃত্যুর সাথে চেনাশোনা, স্বপ্নের খাতা ভরে হ্যালুসিনেশন, কানায় কানায় সঙ্গীত মূর্ছনা আনন্দ বেদনাবিস্ময়, স্নায়ু-শিহরনে এক শবানুগমন ছবি ধরে রাখে স্মৃতি, এক অপার শূন্যতায় গণিত নির্ভুল পিরামিড, মৃতের ভুবন, মমির মতো মৃত মুখ ছুঁয়ে উড়ে যায় শোকের দীর্ঘ খোলা চুল, উড়তেই থাকে হাওয়ার ভেতরে উড়ো পাতা দীর্ঘশ্বাস, কবর ছায়ায় বসে লিখে যায় নেশারাত শ্মশান মুগ্ধতা
তীব্র নেশালোকে উড়ে চলে অক্ষর কাগজ ধ্বনি শিস্ মনোলগ, সাইকিক কুয়াশায় উড়ন্ত গোলক, উড়ে যায় প্রেম ঈর্ষা ঘুম, প্রেমিকার মুখ পুতুল মানুষ ছাউনি ঘর, শূন্যের ভেতর উল্কা নক্ষত্র ছায়াপথ, আর এক একটি ভুল ঠিকানায় নেমে এলে হাজার হাজার বছর হয় বরফের দেশে নির্বাসন----