আমি ঠিক সময় রেখা টানতে পারি না। কেবল ত্রিভুজে ভয়। . . . জীবনের নিয়ত যন্ত্রণা ওই ত্রিভুজের দ্বিখণ্ড চাপে কৌণিক ধূসর এঁকেছে ; বেগুনি প্রদাহী রংক্ষতের প্রলেপে রবীন মণ্ডলের ছবির মতো ‘গ্রটেস্ক’। আমি তাকাতে চাই। কেবল ‘ব’-য়ে ভয়, কেননা ওটাও আদতে এক ত্রিভুজ। . . .
এত রং কেন মুখে আঁকা। ইংরেজী ‘ও’ ‘ইউ’! বিস্ময় নিয়ে সকাল থেকে দুপুরে এলো। শ্বাস আটকে যাচ্ছে। কেউ যেন ফিসফিস করে কিছু বলে চলেছে, অন্য পৃথিবীর কথা। যেখানে ব-দ্বীপ, বন্দর, বদন---সব ‘ব’ এর বাস। এই যে ‘ইউ’ / তুমি রোদ আবার মেঘ হয়ে আমার ঘরে ঢুকলে। ব্যাস ওইটুকুই। সবাই যখন নানা উপচারে নিজের নৈবেদ্য সাজায়, তখন হিসেবের খাতায় কেউ কেউ ‘ব’ বা ত্রিভুজ এঁকে চলে। সিঁড়ি বানায় ঘুরোনো ঘুরোনো। দ্যাখে, কতদূর ওঠা যাবে . . . আমি তখন পাকা অভিনয়ে নামি। নাটকীয় ডায়লগ ঝাড়ি, স্তোক দিই। এইটুকু তো জীবনের পঞ্চভূত . . .। বিশ্বাস করতেই হবে, আজ সকালে যা যা অভিনীত হয়েছে আমার কণ্ঠমঞ্চে, তা সবই স্তুতির ইমন কল্যাণ . . .