দাও. তোমার এই হাত দুটো দাও। আর কিছু দেখার নেই এখন তোমারও . আমারও। তবু ক্ষণকাল দাঁড়াই এই বৃক্ষের নীচে, শীতল ঐ ছায়াটির নীচে, গভীর গভীর জল এখন উষ্ণ হতে গিয়ে প্রস্রবণে আবগাহন একা ঘরে যখন তখন। শুধু একবার শুধু একবার দাও ঐ হাত দুটো।
রাধামাধব তোমার বাঁশিটি আমায় দেবে ? ওটা আমার শ্বশুর বাজাতেন, যখন লণ্ঠন নিবে গেছে কালিঝুলি মাখা চাঁদ শাশুড়ির মুখ থেকে নেমে আমার শাড়িতে এসে কী জ্যোত্স্না কা জ্যোত্স্না তখনও মানুষটার চোখ থেকে নেশা মুছতে বাহাত্তর বছর লেগে গেল। তারপর ঘোলা চোখে কী যেন খুঁজতেন আর বলতেন ‘বৌমা চাঁদ কি ডুবে গেছে ?’ তুমি ঘরে এলে আতপের গন্ধ পাই হবিষ্যির গন্ধ। যেবার টিনের তোরঙ্গ থেকে শেষবার বাঁশিটি বের করেছিলে মনে মনে পাপ করেছিলাম। এই সব সাংঘাতিক কথা একমাত্র তোমাকেই বলা যায় ঠাকুর। বিশ্বাস কর তারপর থেকে শুধু হবিষ্যির গন্ধ পাই সাদা খই উড়িয়ে হাওয়ায় রাধামাধব যখন এক একবার বাঁশি বাজাও।
পা ছুঁতে গিয়েও দেখি সোজা। এত লোক কেন চারপাশে ? ঐ পা আমার ছিল ও হাতও আমার আর কিছু দাও বা না দাও। ভূমা মহেশ্বর জ্ঞানবৃক্ষের ঐ বিম্ববতী ফল কাঁচপোকা খোলস ছাড়ানো। তোমার চারপাশে কেন জল ?
তোমার বইয়ের গন্ধ অন্যরকম যেন বা সোঁদা গন্ধ যেন বা ভিজে গন্ধ লিখিয়ে নেয় ভুলে যাওয়া কথা, অকবির কবিতা চর্চা। বলি না কাউকে বলি না তুমি নেই বলে আমি কবিতা লিখি না।