আদরি নারকেল গাছ আর দেখবো না তোমার কেশরে কেমন চিকন রোদ ঠোঁট ঘষে দেখব না উজ্জ্বল ফুলেরা কেমন আলো দিয়ে ক্রমাগত অন্ধকারে হেঁটে চলে যায় . . . ছ’টার ঘন্টার শব্দ আকাশে টাঙিয়ে দেবে বিষণ্ণ ঘড়িটি . . . অনেক আগের তার বন্ধ করে দিয়ে যাব দৃষ্টির জানালা শাশ্বতী পাখিটি এসে নিয়ে যাবে কাঠ, কুটো, কাঠি রোজকার : শ্মশানবন্ধুর মতো কাতর গাছেরা, লাল সূর্যে হাত রেখে আগুন পোহাবে, ঝিরিঝিরি হাওয়া শেষে বৃষ্টি দিয়ে চলে যাবে সন্ধের বাগানে : তাদের কী এসে যায়, আঁধার বাড়িটি, বন্ধ করে বসে আছে দৃষ্টির জানালা!
জলের অনেক নিচে পড়ে আছে . নিশ্বাসের শব্দ জলজ দামের মত ভ্রাম্যমাণ, অথচ কী বায়বীয় অছিলায় . সমুদ্র খাতে তার মূল ছুটন্ত নৌকোর আলো ডাকে জল যেই ন’ড়ে ওঠে নিশ্বাসের ধবনি নিভে যায় কাছাকাছি অন্ধকারে, ঢেউ ও বাতাসে লগ্ন . তুমি কি কোথাও রয়ে গেছ? মারভের তল খোঁজা গানে তোমার গোটানো পট : খুলে যায় জলের ভিতর বিচিত্র দ্বিধায় লেখা, ছবি ও অক্ষরে তোমার কাহিনি যৌনিহীন মৎস্যকন্যা, অবাঞ্ছিতা, সে জানে সে সমস্ত . পড়েছে।
আমার মতো তুমিও যদি চুমুক দিতে আয়না-ভাঙা পারার মতো বিষের কাপে তুমিও দেখতে কুঁচকে যাচ্ছে রোদের কাঁথা ছিটকে উঠছে রক্তমাখা ছিন্ন হাওয়াই তুমিও দেখতে জীবন ঠোঁটে রুচছে না আর হাড়ে মধ্যে শীতের ছুরি, পায়ের নীচে কনকনে রাত, দিনের বেলা জুড়িয়ে বরফ রোদ ও আকাশ সঙ্গে তাদের অট্টহাসি
সবচে বড় শ্রেণীশত্রু কারা : কাগজকুড়ানিরাই বলেন নাগর : গুলিবারুদ বরাত দেওয়া হয়নি বলে লাঠি এবং রক্ষিদলেই চালাতে হয়। রাত্রে তারা স্তব্ধ শহর শাসন করে : উড়ালপুলের বিষ-কোটরে।
যদিও মানা উড়ালপুলে পদারোহণ কুড়ানিরাই ছড়িয়ে পড়ে সদলবলে : এবং করে সমাজদূষণ ফেলে দেওয়া আবর্জনা বাছতে বসে, চাঁদের আলোয় শুকায় তাদের, খাদ্যবস্তু থাকলে সেঁটে কামড়িয়ে খায় এখন তারা শক্ত। শীতল। মৃতদেহে। শহর আকাশ দিন পনোরে বর্ষেছে শীত, রৌদ্রবিহীন স্বাভাবিকের অনেক নীচে দুমড়ানো শীত, এসব কাগজকুড়ানিদের ধ্বংস হেতু : সমাজদূষণ
বন্ধ করো, শীতের চেয়ে ক্ষিপ্র কে আর ? সমাজবন্ধু! মাথার উপর ছাত না থাকা ভবঘুরে!