সারারাত গান হলো, সঙ্গ হলো শাত্রের শুচিতা মেনে পরদিন প্রাতঃস্নান--- ভেসে গেল শোলার মুকুট।
তোমাকে তো দেবতা মানি না, পথ জানে, নেশাবস্তু জানে---ভালোবেসে দুঃখ পাও, কাচের সামনে এসে ভেঙে পড়। আর পাতালে বসতি যার, সেই আত্মজন কবন্ধের মালা পড়ে সুখে হাসে। ডান হাতে অর্ধ-পতাকা মুদ্রা তুলে বলে, শান্ত থাকো, আবার জন্মাই যদি দেবদাসী হব। যে আঙুলে স্পর্শ করো, বসন্ত ঋতুতে তারার আগুনে ডুবে ছিল, ফুলহীন পত্রবিন্যাসে শুধু সাড়া পাই।
কিছুতেই ভুলতে পারিনা দু’চোখের তারা সারাক্ষণ রূপ চায় বেল শূন্য থেকে উড়ে আসা চাঁদগুঁড়ো অকাল বর্ষণে মিশে বিমূর্ত মোটিফ, কান্নার মতো ছুঁয়ে যায়, আর ছড়িয়ে ফেলি দুর্দিনের অন্নসুখ।
একটিবার চোখ তুলে দেখ প্রদীপ জ্বালার আগে কী ভাবে জ্বলে উঠছে আঙুল, তারপর যতবার খুশি ফুঁ দিয়ে নিবিও আলো।
পাশাপাশি হেঁটেছি অনেকদিন, আঁচলেই বাঁধা ছিল নদী। তবু তেষ্টা মাখামাখি হাত বাড়াতে দেখেই পলক নামিয়ে নিয়ে সরে গেছি।
এ আমার ধার করা নদী তুমি জানতে না ? কখনো কি দেখতে পেয়েছ এর বুকে একটিও কাগজের নৌকো ভাসিয়েছি ? একটিও ছেঁড়া চিঠি কোনদিন অক্ষর ধুয়েছে এর জলে ? স্রোত আটকে কোনদিন বলতে শুনেছ অকালবোধন শেষ, আমিও ভাসানে যাবো ?
ওখানে কেউ আছে, বন্ধ চোখের ওপারে। কেননা এখানে এই ভেঙে যাওয়া সম্পর্কের ছেঁড়া পৃষ্ঠা কারো দীর্ঘশ্বাস লেগে কেঁপে উঠছে বারবার, বারবার জ্বলে উঠছে কাগজের বুকে মাথা গুঁজে থাকা কলমের মুখ।
মুখের উপরে ঝরাপাতার মতো কিছু বিষণ্ণতা পড়ে ছিলো ঠিকই, তাকে তুলে ফেলতে গিয়ে আঙুলে জড়িয়ে গেল কিছু ভুলও।