অন্ধ মেয়েটির সাথে মূক ও বধির ছেলেটির প্রেমের কথাটি হয়ত অনেকেরই অজানা ঠিক কীভাবে গড়ে উঠলো তাদের এ সম্পর্কÑ সে তথ্য আমার কাছেও জানা নেই; আমি কেবল নীরব সাক্ষী হয়ে দূর থেকে দেখে যাই ওদের।
ভালোবাসার ঘরে বাস করা প্রতিটি মানুষই বড়ো সুখী, যদি তা হয় বোঝাপড়ার...।
ওদের ভাব বিনিময়টিও বড়ো বিচিত্রÑ একে অপরের হাতের তালুতে লিখে দেয় কথা। একদিন ছেলেটির হাতে মেয়েটি লিখলো 'সমুদ্র', আর ছেলেটি লিখে দিলো মেয়েটির হাতে 'পাহাড়'। পাহাড় ও সমুদ্র আলাদা দুটি সত্তা হলেও তারা হাত রাখলো দু'জনার হাতে।
আমাদের পূর্বপুরুষেরা এখনও তেলমাখা বাঁশের উপরে ওঠার প্রাণান্ত চেষ্টা করে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত। রকমারি কসরত করেও সেই যে এক ইঞ্চি উপরে উঠে আবার দুই ইঞ্চি নেমে যায় নিচে . ওই সমীকরণ আজও অব্যাহত আছে।
ধন্যি তাদের অধ্যবসায়- কেমন করে মাথায় বসাই!
ভাবতে ভালোই লাগে, তবে উপরে ওঠার এ সনাতনি পুরানো পদ্ধতি ট্রাই করতে মন সায় দেয় না। এখন তো ডিজিটাল যুগ, ওসব করা বড়ো বেমানান। কেনরে বাবা, এত কিছু থাকতে তেলমাখা বাঁশে উঠতে যাব খামাখা? আর বাঁশের পাশের ওই যে চৌবাচ্চাটা, ওর ফুটো থেকে তো এখনও . গড়িয়ে পড়ছে জল। কলকল, কলকল, কলকল, কলকল, কলকল, কলকল... অথচ একটু খেয়াল করলেই দেখতে পাবে- জল-পড়া কলগুলো বন্ধ রাখা আছে সব।
এসব পাটিগণিত অনেক কঠিন-কঠিন লাগে; না-হয় বরং বীজগণিতে আসি- ধরা যাক, এক্সের মান সুখ আর ওয়াইয়ের মান দুঃখ, এবার শুরু যাক, জটিলে মোড়া সহজ-সরল অংক।
একটা আকাশ অনেক তারা, খানিক গণা একটা মাটি অনেক ভাগে দ্বিখণ্ডিত। একটা সূর্য সন্ধ্যাবধি আলোক জ্বালে, একটা চাঁদে জ্যোস্না কাঁদে বাঁশ বাগানে। একটা আঁধার বাতাস মাখা অন্ধকারে, একটা ভোরে হারিয়ে গেছে খুব গোপনে।
একটা হৃদয় হাজার রকম কাঙালপনা, এক নদীতে জোয়ার-ভাটা, হাজারটা ঢেউ। একটা জীবন ছোট্ট খুবই; অনেক কথা, এক জীবনে অনেক মানুষ- একান্ত কেউ।