কবি অন্নদাশঙ্কর রায় - এর ছদ্মনাম লীলাময় রায়। তাঁর জন্ম ওড়িশার ঢেঙ্কানেল-এ। পিতা নিমাইচরণ
রায় ও মাতা হেমনলিনী দেবী।

প্রথম জীবনে তিনি ওড়িয়া ভাষায় সাহিত্য চর্চা করে খ্যাতি লাভ করেন। ওড়িয়া ভাষার প্রসিদ্ধ “সবুজ”
গোষ্ঠীর অন্যতম কবি ছিলেন অন্নদাশঙ্কর রায়।  

তাঁর প্রথম গ্রন্থ “তারুণ্য” (১৯২৮) কয়েকটি প্রবন্ধের সমষ্টি। “বিচিত্রা” পত্রিকায় প্রকাশিত  ইউরোপ ভ্রমণ
কাহিনী “পথে প্রবাসে” তাঁকে পাঠক-পাঠিকা সমাজে প্রতিষ্ঠিত করে। তাঁর “সত্যাসত্য” (১৯৩২ ~ ১৯৪২)
নামক উপন্যাসধারা বাংলা সাহিত্যে স্মরণীয় গ্রন্থ। এই উপন্যাসধারার “যার যেথা দেশ” (১৯৩২),
“অজ্ঞাতবাস” (১৯৩৩), “দুঃখমোচন” (১৯৩৩), “কলঙ্কবতী” (১৯৩৪), “মর্তের স্বর্গ” (১৯৪০) এবং “অপসারণ”
(১৯৪২) ভারত ও ইউরোপে ব্যাপ্ত এবং রাজনীতি, সমাজ, দর্শন নানা সমস্যা গ্রন্থিত। পরে “রত্ন ও শ্রীমতী”
(১৯৫৬ ~ ১৯৭২) নামে আরেকটি মহা-উপন্যাস রচনা করেন।

তাঁর গল্পগ্রন্থের মধ্যে রয়েছে “আগুন নিয়ে খেলা” (১৯৩৩), “পুতুল নিয়ে খেলা” (১৯৩৩), “না” (১৯৫১), “কন্যা”
(১৯৫৩), প্রভৃতি। তাঁর কাব্যগ্রন্থের মধ্যে রয়েছে “রাখী” (১৯২৯), “বসন্ত” (১৯৩২), “কামনাপঞ্চবিংশতি”
(১৯৩৪) প্রভৃতি।

বৈদগ্ধ্যের সঙ্গে পরিহাসপ্রিয়তা তাঁর রচনার একটি বৈশিষ্ট। তিনি অন্যতম কথাশিল্পী হিসেবে প্রতিষ্ঠা পেলেও
বাংলা সাহিত্যে তিনি প্রায় অদ্বিতীয়, ছড়াকার হিসেবে। তাঁর উল্লেখযোগ্য ছড়ার বইয়ের মধ্যে রয়েছে
“উড়কি ধানের মুড়কি” (১৯৪২), “রাঙাধানের খৈ” (১৯৫০), “ছড়া সমগ্র” (১৯৪৮), “হট্টমালার দেশে” (১৯৮০)
প্রভৃতি। তাঁর বহু ছড়া পরবর্তীতে গান হয়ে বাঙালীর হৃদয়ে স্থায়ী আসন করে নিয়েছে।

আমরা
মিলনসাগরে  তাঁর গান ছড়া ও কবিতা প্রকাশিত করে আগামী প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দিতে পারলে
আমাদের এই প্রচেষ্টা সার্থক বলে মনে করবো। এই পাতা, তাঁর প্রতি আমাদের শ্রদ্ধার্ঘ্য।

কবি অন্নদাশঙ্কর রায়ের মূল পাতায় যেতে এখানে ক্লিক করুন

.                     
উত্স:
 ডঃ শিশিরকুমার দাশ, সংসদ বাংলা সাহিত্য সঙ্গী, ২০০৩       


আমাদের ই-মেল
- srimilansengupta@yahoo.co.in      


এই পাতার প্রথম প্রকাশ - ২০০৫   
পরিবর্ধিত সংস্করণ - ২০.০২.২০১৫


...