জীবনের এই বালুকাবেলায় কত আশা নিয়ে ঘর বাঁধি ক্ষণিক প্রবাহে মোছে সবই ভেসে লয়ে যায় কি বালুচরে | সাত সাগরের ওপারেতে তুমিও কি জাগো আশা নিয়ে---- আমি আমার এ ভাঙা বুকে তোমার আসা পথে দীপ জ্বালি || কবে গো বলোনা কত দিনে এ সাধনা মোর হবে সারা, আমার দুখের আকাশেতে আবার হাসিবে শুকতারা | সোনার স্বপনে দুচোখ আমার মুঠি মুঠি করে দেবে ভরে তাই তো আমার এ ভাঙা বুকে তোমার আসা পথে দীপ জ্বালি ||
ও নীল সাগরের নেয়ে রামধনু নাও বেয়ে এসো মোর মনোকূলে ; আমি তোমার আশায় চেয়ে দিন গুনি গান গেয়ে পথ চাহি দ্বার খুলে || হয় স্বপ্নের নিশি পারাপার সংশয় জাগে সব হারাবার--- এই ঝিলমিল রং-মাখা নীল আকাশ কোথা সেই বনে বনে মধুমাস---- আমি নিরাশায় শুধু কাঁদি তবু ফিরে বুক বাঁধি অভিসার মোর ফুলে ; তুমি এসো মোর ভাঙা নীড়ে বাঁধো মনোবীণাটিরে ছেঁড়া তারে সুর তুলে || দুঃখের এই রাত কত আর মুক্তির গান ওই তো আবার, জীবন যে শুধুই বয়ে যায় আমার ব্যথা আমারই মনে রয় ; সুর হারা মোর প্রাণে আনো সুর গানে গানে থেকো না আর মোরে ভুলে ; এই আলেয়া মরুর শেষে নিয়ে চলো দূর দেশে আশা টেউয়ে দুলে দুলে ||
কথা- অনল চট্টোপাধ্যায় সুর ও শিল্পী - দ্বিজেন মুখোপাধ্যায়
বোঝ না গো কেন এত ভালবাসি এ হৃদয়ে তুমি কত যে আমার ফুল যে গো জানে সে কথাটি তাই রঙে রঙে এতো খুশী তার | নীলাকাশে বোঝে তাই এতো নীলে সে খুশীর স্বরলিপি ঐ একে দিলে, বনে বনে ফুলে ফুলে তাই এতো অভিসার | নদীও সে জানে এ বারতা তাই কুলে কুলে ঢেউ এতো তার | এত আবেশ কে ভরেছে বলনা ও চোখে এ মন উধাও যে গো ও স্বপন লোকে চাঁদও সে বোঝে তাই সুধা ঢেলে মায়াবী করেছে রাত দেখে আঁখি মেলে তুমি আমি কতটুকু বলো ওগো কেবা কার তুমি কি বোঝনা এ কথাটি মোর বলনা গো শুধু একবার |
কথা- অনল চট্টোপাধ্যায় সুর ও শিল্পী - দ্বিজেন মুখোপাধ্যায়
একদিন ফিরে যাব চলে এ ঘর শূন্য করে বাঁধন ছিন্ন করে | যদি চাও যেও ভুলে, একদিন----- মনে মনে হয়তো কিছু দিন ডাকবে, কিছু কিছু গান মোর মনেতে রাখবে, মনে মনে হয়তো ডাকবে || আমি তখন চাওয়ায় পাওয়ায় হৃদয় মাঝে রব মেলে, একদিন ---- আমি তব ঝরণা ঝর ঝর ঝরণার ছন্দে মিলে যাবো বকুলের চামেলীর গন্ধে সৌরভে ছন্দে আনন্দে তোমার কাঞ্চন ফুলের মেলা আমায় পাবে তমাল তলে, এক----
কথা- অনল চট্টোপাধ্যায় সুর ও শিল্পী - দ্বিজেন মুখোপাধ্যায়
পল্লবিনী গো-সঞ্চারিণী মন না দিয়ে আর পারিনি যত দূর চাহি আকাশের আভাসে তোমারই দুটি নয়নের চাহনি পল্লবিনী গো সঞ্চারিণী আশির আশির তার ঝরণা ঝরে কুসুম দুটি মন গন্ধে ভরে যখন সে চলে চরণে প্রাণে দোলে ছম ছম ছম ঝিনিক ঝিনিক পল্লবিনী গো সঞ্চারিণী---- তাহার হাতে মন যা খুশী করা এমন যেমন খুশী ভাঙ্গা বা গড়া এই শুধু জানি আমার এ মালাখানি দাম কিছু না দিয়ে নিয়েছি কিনে --- পল্লবিনী
রথের মেলা রথের মেলা বসেছে রথতলায় আর ওর দুপুরে রথ তলাতে ছেলেরা ভিড় জমায় . রথের মেলা বসেছে , ঐ রথের মেলা----- পাতার বাঁশির পাঁপর ভাজার হাজার হুড়ো হুড়ি ঐ মেঘ গুড়গুড় আকাশ করে আলোর লুকোচুরি হরেক রকম খেলনা মজার হরেক রকম মানুষ কেউ বা ছোটে কেউ বা খেলে . কেউ বা ওড়ায় ফানুস্ বেচা কেনার আশায় কেউ বা হাঁকে জোড় গলায় রথের মেলা বসেছে , রথের মেলা বসেছে এক্ এক্ পয়সার বাঁশি আর ফুল ঝুরি হয় হাঁসি আর টাক ডুমাডুম ঢাকের কাঁসি মাতায় এ মেলায় এই রোদ বৃষ্টি রঙের বুটি আকাশ করে খেলা রেসে . আকাশ করে খেলা আর টাক ডুমাডুম ঢাকের কাঁসি মাতায় মেলা ( ওই ঘড় মড়িয়ে জগন্নাথ যে চলল মাসীর বাড়ী আর দুই পাশে তার ভিড় করেছে মানুষ সারি সারি ) খুশির জোয়ার বইছে যে আজ হাজার প্রাণে প্রাণে দুঃখ সুখের বাঁধ ভেঙেছে মেলার গানে গানে প্রাণের সাড়া বাজে বুঝি সবার পথ নয় রথের মেলা বসেছে, রথের মেলা বসেছে |