স্বপ্নময় দৃষ্টিতে ক্রমশ আবছা হ’য়ে আসে পৃথিবী তবু স্বপ্ন আসে নানা ফুলের বাহার নিয়ে একে অন্যের সাথে মিলে যায় নিজের অজান্তে সর্বদা দেয়া নেয়া চলে সৌহাদ্রের বার্তা |
মন্দটা খুব সহজে ধরা পড়লেও কৌশলে ভালো দিকটা এড়িয়ে যাই ঠিক তখনই ইতিহাস মনে করায় সময় স্বপ্ন ভেঙে হ’য়ে যায় খান খান হয় না গাওয়া ভাতৃত্বের মধুর গান |
এক বৈশাখের অলস দুপুর চারিদিকে খাঁখা করছে রোদ্দুর রাস্তায় নেই কেউ কোথাও চিন্তায় আনমনে চলেছি একা হঠাৎ অনুভব করলাম আমি পিঠে যেন কার হাত, ঘুরে দেখি আরে ; নরেন্দ্রনাথ !
বললাম এখন যাচ্ছেন কোথায় ? বললেন ভগিনী নিবেদিতার খোঁজে আমায় বড় ভালবাসে সে আমার অপেক্ষায় থাকে বসে | বললেন দেখো কে দাঁড়িয়ে ঘুরে দেখি কবিগুরুর আবির্ভাব | তিনজনে গল্প করতে করতে আর একটু এগিয়েই দেখলাম এক চায়ের দোকানের পাশে বিদ্যাসাগর আর রামমোহন বসে কার জন্য অপেক্ষায় রত আমি টুক করে প্রণামটা সেরে বললাম কেউ আসবেন নাকি ? হ্যাঁ ঠাকুর খবর পাঠিয়েছেন গিরীশ আর রাসমণিকে নিয়ে এখুনি এসে পড়বেন এখানে |
নরেনকে দেখে বিদ্যাসাগর বললেন ---- তোমারতো এবার সার্ধশত হ’লো ? আমরাতো কবেই পার করেছি আমাদের দিকে কেউ আর ভুলেও ফিরে তাকায় না জিজ্ঞাসা করো আমাদের কবিগুরুকে না হয় তোমার ঠাকুর রামকৃষ্ণদেবকে স্মরণ করো তিনিও জানেন বর্তমানের হাল |
গম্ভীর গলায় রামমোহন বললেন চা খেয়ে গায়ের কাছেই ভাঁড় ফেলে চলে যায় | তাই বলি---- সাবধানে থেকো কিছুদিন বাদে আমাদেরই মতো তোমাকেও একটা মালা দিয়েই দায় সারবে নরমপ্রিয় ভারতবাসী |
হঠাৎ আমার হাত থেকেই চায়ের ভাঁড়টা গেল পড়ে আর সেই শব্দেই দেখি কেউ কোথাও নেই, খালি লোডশেডিংয়ে শুয়ে ঘামছি একা |