কবি অসীম গিরির গান
যে কোন কবিতার উপর ক্লিক করলেই সেই কবিতাটি আপনার সামনে চলে আসবে।  www.milansagar.com
*
মাটি হও, প্রেম হও, হও কামনা   
গানটি শুনতে এখানে ক্লিক করুন
অসীম (গিরি) বন্দ্যোপাধ্যায়, এলবাম-রাস্তা থেকে, রচনাকাল- ২০০৯

ধর্মতলার মোরে এক ফালি চাঁদ আটকে গেছে ইলেকট্রিকের তাঁরে | তাই পুরোন কার্নিশের ফাঁকে বট
অশথ্বের উঁকি, না মাটি নেই, ঘাস নেই, জল নেই, জঙ্গল নেই, চড়াই পাখি নেই, শালিখ নেই, হয়তো
কাকও থাকবে না | নেই পূর্ণিমা রাতে অদ্ভুত ধানের রস খেয়ে ফেলে চাষীর মেয়ের নাচ,
প্রেম, কিছুই নেই,  শূন্যতা, শুধুই শূন্যতা ভালবাসো আর বিদ্রোহ করো , প্রকৃতি তোমায় তাই
শিখিয়েছে, ঋণ শোধ করো, শুধু ঋণ শোধ করো।

মাটি হও, প্রেম হও, হও কামনা,
ঘাস হও গান হও, হও বেদনা
মাটি হও প্রেম হও, হও কামনা,
ঘাস হও, প্রেম হও, হও বেদনা,
কিষাণের পেশী হও  হাতের কাস্তে
আদিবাসী বনবালার খোপার জবাতে |

ধামসা মাদল হও টাঙ্গি আর তীর
পাহাড় জঙ্গল আর সাগরের তীর
মাটি হও প্রেম হও, হও কামনা,
ঘাস হও, প্রেম হও, হও বেদনা,

এসো ভালবাসি আর বিদ্রোহ করি
ধানের মতই প্রেম কামনার ভূমি
ভালবাসা বিদ্রোহ এক হলো আজ
দেহে মনে ডাক আনে প্রেমের স্বরাজ
হাতে হাত রেখে চাও আকাশের দিকে
ভালবাসা নেই তাই ভালবাসা দিতে
মাটি হও প্রেম হও, হও কামনা,
ঘাস হও, প্রেম হও, হও বেদনা,

গাছ হও ছায়া দাও ফুল আর ফল
পশু আর পাখি হও, হও নদী জল,
এসো আদি মাতা এসো চুম্বন করি
এ সভ্যতা ধ্বংসের প্রতিজ্ঞা করি |
ভালবাসা বিদ্রোহ প্রেমে পরে আজ
হাতে হাতে বানাবে নতুন সমাজ |

.        ***************  
.                                                                                    
উপরে    


মিলনসাগর
*
গল্প কথার বাংলা দেশে ভূতের নতুন গল্প
গানটি শুনতে এখানে ক্লিক করুন   
অসীম (গিরি) বন্দ্যোপাধ্যায়, এলবাম-রাস্তা থেকে, রচনাকাল- ২০০৮

গল্প কথার বাংলা দেশে ভূতের নতুন গল্প
ভূত এখন তৃণমূল এস.ইউ.সি মাওবাদী বিকল্প |
এ গ্রাম ও গ্রাম দাপিয়ে বেড়ায় সিপাহী ওঝার ঘোড়া
ফাঁক তালেতে লুটের মালে এসো নাও ভাগ বাটোয়ারা
বাটোয়ারা শেষ ব্রিগেডে মিটিং, মন্ত্রী কাসেন এবং
বন্ধুগণ তৃণমূল মাওবাদী এক হয়েছে ভাঙে ওরা উন্নয়ন |
কয়েকটা ব্যঞ্জনবর্ণের ব একটা তালব্য শ  
সূর্য্যোদয়ের দেশে দেয় পৌঁছে শিল্পায়নের মিসু
গল্প কথার বাংলা দেশে ভূতের নতুন গল্প
ভূত এখন তৃণমূল নয়তো মাওবাদী বিকল্প |

লালে লাল লাল লাল লাল হয় লাল বাংলার ভূমি
মিছিলে স্লোগানে রক্ত ঝরায় বাংলার ধানের জমি |
কৃষি আমাদের ভিত্তি, শিল্প আমাদের ভবিষ্যৎ
তৃণমূল মাওবাদী এক হয়েছে ভাঙ্গে উন্নয়নের রথ
গ্রাম উঠে আসে ভূখা পেটে কারখানাতেও তালা
মিছিলে মিছিলে কয়েক কোটি আত্মহত্যাই ফয়সালা |
গল্প কথার বাংলা দেশে ভূতের নতুন গল্প
ভূত এখন তৃণমূল নয়তো মাওবাদী বিকল্প |

কেমিক্যাল হাব হবে মোটর গাড়ি হবে
চাল ডাল তেল নুন উধাও
শপিং মলেতে মেলে মোরোলা মাছ
ধনে পাতা এসো দৌড়াও
দূর দূর দূর দূরাভাষ কোম  কোম  কোম কোম্পানিতে
রেলাই করো মিলবে শাক সবজী, চাষী পাবে দাম আর
লাটে উঠবে ছোটখাট সব ব্যবসায়ী,
এ সব বলেছ কি রাষ্ট্রদ্রোহী, নয়তো মমতা পন্থী
অথবা নকশাল  এস.ইউ. সি. আই নিশ্চয় কামতাপুরী |
এসো দেশ গড়ি, চড়ি মোটর গাড়ি বিদেশী বেনিয়া এসো
সভ্যতা শিখবে ডিস্কোতে নাচবে আমাকে ভালবেসো
গল্প কথার বাংলা দেশে ভূতের নতুন গল্প
ভূত এখন তৃণমূল এস.ইউ.সি মাওবাদী বিকল্প |

চলে গেল বার্ডফ্লু মাহাকাশচারী আর  খুঁজ-ছিলো খালি মুরগী
হল শেষ মুরগী, পঞ্চায়েতি রাজ চলল রক্তের হোলি |
বুদ্ধি ঘটেতে নেই মুরগীটা তুই বটে হচ্ছিস বারবার
প্রতিবাদ করবি কি মুরগী বানিয়ে দেব
হয়ে যাবি মাওবাদী পোস্টার |
গল্প কথার বাংলা দেশে ভূতের নতুন গল্প
ভূত এখন তৃণমূল নয়তো মাওবাদী বিকল্প |

ফাঁকতালে পেট্রোল ডিজেল কেরোসিন দাম বেড়ে হু হু
মানুষকে ব্যস্ত রাখতে খুঁজে চলো শুধুই মাওবাদী জুজু
গল্প কথার বাংলা দেশে ভূতের নতুন গল্প
ভূত এখন তৃণমূল এস.ইউ.সি মাওবাদী বিকল্প |

কবীর সুমনটা হয়ে গেছে তৃণমূলী , উন্মাদ অসীম গিরি
ওঝা দিয়ে ঝারাবো স্পেশাল প্যাকেজ দেবো যদি করে
আর বাড়াবাড়ি |
গল্প কথার বাংলা দেশে ভূতের নতুন গল্প
ভূত এখন তৃণমূল নয়তো মাওবাদী বিকল্প |

.                  ***************  
.                                                                                    
উপরে    


মিলনসাগর
*
মমতা আপনি লড়ুন  
গানটি শুনতে এখানে ক্লিক করুন
অসীম (গিরি) বন্দ্যোপাধ্যায়, এলবাম-রাস্তা থেকে, রচনাকাল- ২০০৭

দেখেছিলেম সিঙ্গুরের মাঠে,আটপৌড়ে মলিন শারীতে ঢাকা অম্লান মুখের এক ইস্পাত কঠিন দৃঢ়তা |
চিনলাম সিঙ্গুরের মাটির জমি হারাদের দীর্ঘশ্বাস, আর আর্তনাদের মধ্যদিয়ে একটি মানুষের
উত্তরণকে | মনে হচ্ছিল যেন তার নিজেরই হাতে গড়া ফসলকে জমির দস্যুরা ধর্ষণ করতে চাইছে |
অনুভবির যন্ত্রণায় তার সমস্ত গরল নিজে ধারন করে আমরণ অনসনে নিজেকে ছাপিয়ে গেল |
অনসন মঞ্চে যেন এক মাতৃভূমি রক্ষার মরণ পণ বিবেক | ভাবিনি তার পরিচয় সূত্রতা আমাকে
এভাবে নাড়িয়ে দিয়ে যাবে ভালবাসা আর বিদ্রোহে যতদিন তিনি থাকবেন ততদিন তার সঙ্গে
আমার এই কাঁদতে পারা।


মমতা আপনি লড়ুন , আপনার দিকে চেয়ে
আমার বাংলার শহীদ তাপসী আমারি ত নিজের মেয়ে।
মমতা আপনি লড়ুন
মমতা আপনি লড়ুন ভারতের বৌ-এর মনে, আপনি
দিয়েছেন ক্রোধের আগুন বজ্র কন্ঠে গানে |

মমতা আপনি লড়ুন
নানুরের শহীদ কিংবা একুশে যাদের রক্ত ঝরে
লড়াই লড়ে যেখানে বিদ্রোহ শৈলের নাম করে |
মমতা আপনি লড়ুন, আপনার দিকে চেয়ে
আমার বাংলার শহীদ তাপসী আমারি ত নিজের মেয়ে |
  
মমতা আপনি লড়ুন মা মাটি জঙ্গলে,
আমার গান আপনার সাথে মানুষের জাগরণে |
মমতা আপনি লড়ুন
রাষ্ট্র নামে রং নিয়ে লাল রক্তে ধোয়ায় মুখ
কিষাণীর কান্নায় আপনি ফের লড়ায়ের সুখ

মমতা আপনি লড়ুন
মানুষ দেখছে সব দলকেই কিনে নেওয়া যায়
হিম্মত হাতে আমার বাংলায় মমতাই জেগে রয় |
মমতাই আপনি লড়ুন আমার কন্ঠে আনুন
রবীন্দ্র নজরুল আর চারণের ভাষায় ফিরুন |
আপনার চোখে ধান খেত ভাসে,
আপনার চোখে সবুজের স্বপ্ন, ডাক আকাশের পানি
মমতা আপনি আমার কাছে ভালবাসা বিদ্রোহ গানই |

.                  ***************  
.                                                                                    
উপরে    


মিলনসাগর
*
রেজওয়ান তুই মর মুসলমানের ছা  
গানটি শুনতে এখানে ক্লিক করুন   
অসীম (গিরি) বন্দ্যোপাধ্যায়, এলবাম-রাস্তা থেকে, রচনাকাল- ২০০৭

ভাগ্যিস মরেছিস, আমরা এখন ক্রিকেট খেলা দেখছি | সারাদিন ইনসাল্লা, তোর মা আজও ইনসাফ
চেয়ে বেরাচ্ছে আমিও , মরবেনা ভালবাসার শপথ, আল্লার কসম বিচার হবেই |

রেজওয়ান তুই মর মুসলমানের ছা,
ক্রিকেট প্রেমিক রাষ্টীয় জীবি চাটুক পূঁজির পা |
রেজয়ান তুই মর, প্রিয়াকে পাশে পেলে
কানে কানে কত কথা বলতিস একসাথে মরলে |
রেজওয়ান তুই মর মুসলমানের ছা,
ক্রিকেট প্রেমিক রাষ্টীয় জীবি চাটুক পূঁজির পা |

মরার আগে সিঙ্গুর দেখেছিস, দেখেছিস তাপসী মালিক  
ধর্ষণ করে মারে যারা তারা খাকি আর বামাচারী |
শুনেছিস তুই নন্দীগ্রামে আজানের সাথে সাথে
হরির লুটের বাতাসার সাথে কতগুলো লাশ পরে
অনেক দেখেছিস অনেক শুনেছিস এবার না হয় মর ,
আম্মা না হয় বুক চাপরাক পুরে যাক তোর ঘর |
রেজওয়ান তুই মর মুসলমানের ছা,
ক্রিকেট প্রেমিক রাষ্টীয় জীবি চাটুক পূঁজির পা |

ট্রেনের আওয়াজ শুনতে শুনতে একটু ঘুমিয়ে নে

মহেশ গল্পে যখন গফুর মিঞা আমিনাকে নিয়ে গ্রাম ছেড়ে চলে যাচ্ছিল তখন সে   আল্লার কাছে
বলেছিলো আল্লা তোমার দেওয়া ঘাস, তোমার দেওয়া জল, যে তাকে খেতে দিলো না তার কসুর
যেন তুমি কখনো মাপ করো না |

ট্রেনের আওয়াজ শুনতে শুনতে একটু ঘুমিয়ে নে
ওপারে গিয়ে আল্লার কসম ওদের বদলা নে |
রেজয়ান তুই মর, প্রেমের দিব্যি মর
আমরা সবাই মরব যারা প্রেম ছেড়ে করি ঘর |
তোকে লোটে যারা আমাকেও লোটে চুমুর দিব্যি ভাই
বাম বুদ্ধিজীবির বোতলে দেখবি তোর প্রেমিকার ঠাঁই |
রেজওয়ান তুই মর মুসলমানের ছা,
ক্রিকেট প্রেমিক রাষ্টীয় জীবি চাটুক পূঁজির পা |


তোর সাথে মরি বাঁচি গাই আমি তোরই লাশের গান
আসলে তুলছি প্রেমিকের সাথে প্রেমের এক শ্লোগান |
রেজওয়ান তুই মর মুসলমানের ছা,
ক্রিকেট প্রেমিক রাষ্টীয় জীবি চাটুক পূঁজির পা |

.                  ***************  
.                                                                                    
উপরে    


মিলনসাগর
*
রাত্রিটা চুপিচুপি গুমরায়, অনেক বছর ধরে কাঁদে  
গানটি শুনতে এখানে ক্লিক করুন
অসীম (গিরি) বন্দ্যোপাধ্যায়, এলবাম-রাস্তা থেকে, রচনাকাল- ২০০৭

আবার উঠে এসেছে ১৯৫৯ সাল, আনন্দ, নুরুল শহীদেরা ওদের হাতে ভাত |  খাদ্য মজুত আড়তে,
ভাঙছে ভাঙছে আনন্দ নুরুলেরা সব ভেঙে গুড়িয়ে দিচ্ছে |  রেশন ডিলারদের বিরুদ্ধে
তাইতো সরব গ্রাম বাংলা |


রাত্রিটা চুপিচুপি গুমরায়, অনেক বছর ধরে কাঁদে |
গ্রাম বাংলায় এলোকেশি রাত্রি, বন্দী রেশন ডীলারদের ফাঁদে |

অনেক বছর ধরে বন্দী  হয়তো বা অনেক দিন ধরে ভুখা
পেটে অন্ধকারে কারা যেন পায়ে পায়ে হাটে |
রাত্রিটা চুপিচুপি গুমরায়, অনেক বছর ধরে কাঁদে |
গ্রাম বাংলায় এলোকেশি রাত্রি, বন্দী রেশন ডীলারদের ফাঁদে |

হঠাৎ জ্বলেছে পেটে আগুন রাত্রিটা আলোকিত হয়
তীব্র চিত্কার হেনে পোড়াও হে আগুনের জয়
পোড়াও হে ক্ষুধিতের রাজ্য, পোড়াও হে রাত্রির অন্ধকারে,
লাঠি দাঁ কোদাল ও সড়কি উঠে আসে জনতার হাতে।
রাজনীতিরই চালে মজুত, মজুত হলো কত চাল
কেরোসিন মিলবে না কেন, মানুষের ক্রোধে ওঠে গান
আমি দেখি ফের ঊনষাট, দেখি আমি আনন্দ, নুরুল
গ্রাম বাংলায় লাঠি হাতে হাতে ভাত দেয় মানুষের পাতে |
গ্রাম বাংলায় লাঠি হাতে হাতে, ভাত দেয় মানুষের পাতে |


.                  ***************  
.                                                                                    
উপরে    


মিলনসাগর
*
হাতে শিল্প পায়ে শিল্প উন্নয়নের বান   
গানটি শুনতে এখানে ক্লিক করুন   
অসীম (গিরি) বন্দ্যোপাধ্যায়, এলবাম-রাস্তা থেকে, রচনাকাল- ২০০৭

চা বাগানে  হঠাৎ দুটি তরুনীর সাথে আলাপ কয়েক বছর আগে, ওদের কারখানা বন্ধ |
অনেক মেয়ে কারখানা বন্ধ বহার পর ঠিকানাহীন |  উন্নয়নের বিজ্ঞপ্তিতে আমর সরকার, শিল্পীত
রূপে শিল্প গড়ার কারিগর রূপে বিশেষ অর্থনীতি অঞ্চল গড়ে উঠছে ওরা কোথায় যাবে |  রাঙা  
সন্ধ্যার বারান্দা ধরে দাঁড়াবে |

হাতে শিল্প পায়ে শিল্প উন্নয়নের বান,
উত্তরে তাই বন্ধ হলো ১৬টা চা বাগান |

বীণা ওঁরাও নামে একটি মেয়ে, যার সাথে আমার পরিচয় হয়েছিল, ওর বাবা আর দাদা দুজনেই
মারা গেছে। ও এখন ছোট ভাইটাকে পড়ায়, মটরদানা বেচে। আর ফ্যান্সিস্কো, সে এখনও সি.আই.টি.
ইউ. করে। অনেকদিন তার সাথে আমার দেখা নেই। কিন্তু ফ্রান্সিস্কোর বিশ্বাস, সি.আই.টি.ইউ. আর
সি.পি.আই.এম. দল এক নয়। একদিন নিশ্চয়ই মুক্তি আসবে। এখনও লাল স্বপ্ন দেখে যায় সে।

বীণা ওঁড়াও বাগান ছেড়ে বেচে মটর দানা
বাবা দাদা মরে হেই গল বন্ধ কারখানা |
হাতে শিল্প, পায়ে শিল্প উন্নয়নের বান
উত্তরে তাই বন্ধ হলো ১৬টা চা বাগান |
ফ্রানসিস্ কোর পেটের আগুন চোখের তারায় নাচে ,
হয়তো বা সে হারিয়ে যাবে অন্ধকারের রাতে |
হাতে শিল্প পায়ে শিল্প উন্নয়নের বান
উত্তরে তাই বন্ধ হলো ১৬টা চা বাগান |
কাঁঠালগুড়ি চা বাগানে চা শ্রমিকের লাশ
চাঁদমনিতে বিগ কমপ্লেস ,উঠছে মদের গ্লাস |
হাতে শিল্প, পায়ে শিল্প উন্নয়নের বান
উত্তরে তাই বন্ধ হলো ১৬টা চা বাগান |
আদিবাসী যে মেয়েটার শরীর চা বাগানে
ভয় নেই, তোর ভয় নেই ওরে বুলাদি-বিজ্ঞাপনে |  
সবচেয়ে ভাল দেহ শিল্প বেচো শরীর খানা |

কবি যতীন সেনগুপ্ত একটা কবিতায় লিখেছিলেন --- রাঙা সন্ধ্যার বারান্দা ধরে রঙিন বারাঙ্গনা |

সবচেয়ে ভাল দেহ শিল্প বেচো শরীর খানা |
রাঙা সন্ধ্যার বারান্দা ধরে রঙিন বারাঙ্গনা  |

হাতে শিল্প পায়ে শিল্প উন্নয়নের বান
উত্তরে তাই বন্ধ হলো ১৬টা চা বাগান |
ধান জমি পানি মাটি কামরায় ক্যাডার
চা গাছগুলো কামরে ধরে যত রেড স্পাইডার |
শিল্প হাঁকে শিল্প ডাকে দক্ষিণ ও উত্তরে
বিশেষ অর্থনীতি অঞ্চল যায় যে কড়া নেড়ে |
আমি চারণ তোমার সাথে যে যেখানে লড়
দোহাই তোমার তর্ক ভুলে জোটটা ঠিক করো |

.                  ***************  
.                                                                                    
উপরে    


মিলনসাগর
*
বছর কেটেছে প্রাচীর উঠেছে লড়াই লড়াই চাই   
গানটি শুনতে এখানে ক্লিক করুন      
অসীম (গিরি) বন্দ্যোপাধ্যায়, এলবাম-রাস্তা থেকে, রচনাকাল- ২০১০

বছর কেটেছে প্রাচীর উঠেছে লড়াই লড়াই চাই,
আত্মহত্যার সংখ্যা বেড়েছে বলো আর কটা লাস চাই |
সিঙ্গুরের বড় রাস্তা ধরে যতই চরেছি গাড়ি,
হেডলাইটের আলোতে দেখেছি তাপসীর অশরীরী |
নন্দীগ্রামে ঘুরতে গিয়েছি, ওটা পবিত্র স্থান,
ধর্ষিতা নারী খুবলে নিয়েছে আমার বিপ্লবের গান |
ভাষণে নাটকে গানেতে মেতেছে কঙ্গো ভিয়েতনাম
রাশিয়া চীন আফগান আর নিগ্রো সন্তান |
কটা দিবস হলো ক্যালেন্ডারে মারো দাগ মেরে যাও তুমি
বিপ্লব আনো বিপ্লব বেচো হে আমার জন্মভূমি |
হাততালি মারো প্রগতির পথে এগিয়ে চলো হে ভাই
সাউথ সিটিতে বিপ্লব নাচে শপিং মলে যে যাই |
কেমিক্যাল হাব হবেই হবে, তোরা ঠেকাবি তোরা ?
লজ্জা দিবস, কলঙ্ক দিবস, শুধু কালো পতাকাই নাড়া |
শ্লোগানে শ্লোগানে মাতোয়ারা কবি ধর্মতলার কবি
হেরে গেছি ভাই বলব থোড়াই গলায় পরেছি দড়ি |
কে ঠেকাবে কি ঠেকাবে তোদের পরোয়া থোড়াই ,
সিঙ্গুর নন্দীগ্রাম হয়েছে বলেই শিল্প বেঁচে আমি খাই |

.                  ***************  
.                                                                                    
উপরে    


মিলনসাগর
*
চনমনে আঁচ চনমনে রোদ   
গানটি শুনতে এখানে ক্লিক করুন   
অসীম (গিরি) বন্দ্যোপাধ্যায়, এলবাম-রাস্তা পেরিয়ে, রচনাকাল- ২০০৬

চনমনে আঁচ চনমনে রোদ,
চনমনে মন চনমনে বোধ,
চনমনে আমি তোমাকে পাশে নিয়ে চনমনে বিদ্রোহ।
তাই নতুন একটা গান আজ থেকে কবীর সুমন |
তাই নতুন একটা রাগ আজ থেকে কবীর সুমন |
তোমার সাথে মিলি হাসি কান্নায়,
অশ্রু শোকে ক্রোধে ফুঁসছি ঘৃণায়
তোমার সাথে সাথী হাঁটি রাজপথে, চনমনে স্বপ্নে ফুটন্ত |
চনমনে আঁচ চনমনে রোদ,
চনমনে মন চনমনে বোধ
চনমনে আমি তোমাকে পাশে নিয়ে চনমনে বিদ্রোহ।
নতুন একটা গান আজ থেকে কবীর সুমন |
নতুন একটা রাগ আজ থেকে কবীর সুমন |
মগজের জট খোলে তোমার ভাবনায়
থমকেছি গুমরেছি যন্ত্রণায়
এগোবকি এগোবনা ভাবতে ভাবতে দেখি
বিদ্রোহীর ঘোড়া ছুটন্ত |
চনমনে আঁচ চনমনে রোদ,
চনমনে মন চনমনে বোধ
চনমনে আমি তোমাকে পাশে নিয়ে চনমনে বিদ্রোহ |
নতুন একটা গান আজ থেকে কবীর সুমন |
তাই নতুন একটা গান আজ থেকে কবীর সুমন |
বন্ধ্যা মাটির দেখি ঘুম ভাঙে
আকাশের এত আলো চনমনে
হাঁকে মাটি জল বন জঙ্গল চনমনে আজ দিগন্ত |
চনমনে আঁচ চনমনে রোদ,
চনমনে মন চনমনে বোধ
চনমনে আমি তোমাকে পাশে নিয়ে চনমনে বিদ্রোহ |
নতুন একটা গান আজ থেকে কবীর সুমন.
তাই নতুন একটা গান আজ থেকে কবীর সুমন |
চনমনে হিম্মত নদীর বাঁকে
চনমনে বিজলী মেঘের ফাঁকে
রাত্রির গভীর বৃন্ত থেকে তুলি চনমনে সকাল ফুটন্ত |
নতুন একটা গান আজ থেকে কবীর সুমন
তাই নতুন একটা গান আজ থেকে কবীর সুমন |
তাই নতুন একটা রাগ আজ থেকে কবীর সুমন |
একটা আস্ত গান আজ থেকে কবীর সুমন |

.                  ***************  
.                                                                                    
উপরে    


মিলনসাগর
*
তোমার হাসি ভালবাসি তোমার হাসিতেই    
গানটি শুনতে এখানে ক্লিক করুন   
অসীম (গিরি) বন্দ্যোপাধ্যায়, এলবাম-রাস্তা থেকে, রচনাকাল- ২০০৬

তোমার হাসি ভালবাসি তোমার হাসিতেই
কান্না এবং দুঃখ ভোলা তোমার খুশিতেই |
তোমার মাটি কাঁপায় আমায় বয়স হলে পরে
আমার পাকা চুলের পরে সন্ধ্যা তারা নামে |
সেই কবে যে প্রথম চুমু সেই কবেকার লেক
সেই কবেকার মাইনে পাওয়া আমার প্রথম চেক |
সেই কবেকার কাশীপুর আর বরানগরের লাশ
কফি হাউসে তুফান তুলি, উঠেই গেল ডবল ডেকার বাস |
তোমায় মনে রেখেই আমি এখনো নির্জনে
হাসছি রাগছি ফুঁসছি জাগছি এখনো ঘৃণাতে |
গণ গানেতে উঠছি মেতে চিৎকারে শ্লোগানে
তোমার ভালোবাসা আমার মাটি আর আসমানে |
তুমি এখন তিলোত্তমা থাকো অনেক দূরে
আমি কিন্তু ফুটপাথেই আছি, আছি আমার গানে |
সন্ধ্যা নামে তারারা আসে আমার কাছেতে,
তিলোত্তমা এখন তুমি অনেক দূরে, ফ্লুরেসেন্ট  হ্যালোজেনে
তুমি ভোলো রবীন্দ্রনাথ আমি এখন পড়ি
তোমায় ভালবাসি বলেই এখনও মূর্তি গড়ি |
কাপির ধোঁয়ায় কারগিল আর শোরগোলে তুমি থাক
রাস্তার লোক হাততালি দিলে গর্ব বুকে ধর
শেষ পর্যন্ত তুমি থাকো সিগ্রেটে  বিড়ির ধোঁয়ায়
ফুরিয়ে যাবো তোমায় নিয়ে একসাথে জ্বলব চিতায় |

.                  ***************  
.                                                                                    
উপরে    


মিলনসাগর
*
শিশুরা নেয় বারুদের দুধ চেটে   
গানটি শুনতে এখানে ক্লিক করুন   
অসীম (গিরি) বন্দ্যোপাধ্যায়, এলবাম- নন্দীগ্রাম টু মেগাসিটি, রচনাকাল- ২০০৭

শিশুরা নেয় বারুদের দুধ চেটে
মেয়েদের  ঠোঁটে বুলেটের চুম্বন |
এখনও আমরা দাঁতে নিয়ে কলকাতা
সভ্যতা শিখি মিছিলেই পথ হেঁটে,
কি হবে আর শুনিয়ে তোকে গান
চিতায় জ্বলছে আমার নন্দীগ্রাম
বল আমাকে বুকের ভেতর থেকে
বিদ্রোহ যদি না করিস এখনও তবে
গান ছেড়ে আমি বুকে বুকে দেব শান |

শিশুরা নেয় বারুদের দুধ চেটে
মেয়েদের ঠোঁটে বুলেটের চুম্বন
এখনও আমরা দাঁতে নিয়ে কলকাতা
সভ্যতা শিখি মিছিলেই পথ হেঁটে |

অফিস কাছারি বাচ্চা পয়দা করি
পূজোর ছুটিতে ট্রেনের টিকিট কাট
বৌ মেয়ে নিয়ে চল নৈনিতাল
রক্তে ভাসুক নন্দীগ্রামের আল।
মিছিলের পরে চায়ের দোকানে বসে
কোনটা সঠিক তুই মেপে মেপে দেখ
মেকি ঝুটা তর্ক শেষ হলে
দেখবি সামনে জ্বলছে নন্দীগ্রাম।
ভোট আসবে ভোট ভাসবে যখন
সাদা জামাটায়  ইস্ত্রী করে রেখো
ত্রিস বছরে তুমিই তো মহাবাম
ভোট দিয়ো তাই রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসে।

চ্যানেলে চ্যানেলে প্রবুদ্ধরা হাসে
এ ফ্রন্ট ও ফ্রন্ট বাজায় শুধু ফুলু
মৃতের ভাগাড়ে শিল্প পাঁচীল তোলে
পুলিশ ক্যাডার শিল্পায়নের গুন।
আমি বিদ্রোহী পতাকার রং নেই
নৈশব্দ ভেঙ্গে করি খান খান
চাঁদমনি থেকে সোনাচূড়ার লাশে
চিত্কার আর কান্নার শ্লোগান।

আমি শুধু খুঁজি দুধের শিশুর মুখ
খুজি প্রেমিকায় আমার বোলার মা
ভাবতে চাই না বাম অথবা ডান
রক্তে সাজাই আমার নন্দীগ্রাম।
ক্রোধেও সাজাই আমার নন্দীগ্রাম
ঘৃণায় সাজাই আমার নন্দীগ্রাম
শোকেও সাজাই আমার নন্দীগ্রাম
বিদ্রোহে আমার নন্দীগ্রাম।

শিশুরা নেয় বারুদের দুখ চেটে
মেয়েদের ঠোঁটে বুলেটের চুম্বন
এখন আমরা দাঁতে নিয়ে কলকাতা
সভ্যতা শিখি মিছিলেই পথ হেঁটে।
কি হবে আর শুনিয়ে তোকে গান
চিতায় জ্বলছে আমার নন্দীগ্রাম
বল আমাকে বুকের ভেতর থেকে
বিদ্রোহ যদি না করিস এখনও তবে
গান ছেড়ে আমি বুকে বুকে দেব শান |

.           ***************  
.                                                                                    
উপরে    


মিলনসাগর
*
মাওবাদী আদিবাসী
অসীম (গিরি) বন্দ্যোপাধ্যায়

জঙ্গল খাব, আদিবাসী খাব
বাঁধা দেয় কে ছত্রধর ?
দাও জেলে পুরে, মাওবাদী সে যে
লাশ হয়ো যায় বীর শশধর।

জঙ্গলে ঘোরে অজগর ফণা,
রাত্রির চোখে চোখ রেখে,
আদিবাসীরা সব মাওবাদী
ধর বাঁধ রাখো জেলে পুরে।

তবু কারা যেন স্বপ্নই দেখে
জলপাই রঙে জঙ্গলে ঘোরে
চোখে বিদ্যুৎ. প্রতিজ্ঞা হাতে
ওরা বীর আমার ছেলে মেয়ে।

কালো দেহগুলো উঠছে ফুঁসে,
সবুজের সাথে মিশে মিশে ---
মরবে কত শশধরেরা
জন্মায় ওরা রক্তবীজে।

.        ***************  
.                                                                                    
উপরে    


মিলনসাগর