কবি অশোকবিজয় রাহা - জন্ম গ্রহণ করেন অধুনা বাংলাদেশের শ্রীহট্টের ঢাকা দক্ষিণ গ্রামে |  
দর্শনের ছাত্রাবস্থা থেকেই তাঁর কবিতা লেখা শুরু | সাহিত্যের প্রতি টানের ফলে কলেজে দর্শনের অধ্যাপনার
সঙ্গে সঙ্গে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৪৭ সালে বাংলা সাহিত্যে স্নাতক হন | ১৯৫১ সাল থেকে ১৯৭৪
সাল পর্যন্ত কবি বিশ্বভারতীতে অধ্যাপনা করেন |

তাঁর প্রথম কাব্যগ্রন্থ “ডিহাং নদীর বাঁকে” প্রকাশিত হয় ১৯৪১ সালে | তাঁর অন্যান্য কাব্যগ্রন্থের মধ্যে রয়েছে
“রুদ্রবসন্ত” (১৯৪১), “ভানুমতীর মাঠ” (১৯৪২), “জলডম্বরু পাহাড়” (১৯৪৫), “রক্তসন্ধ্যা” (১৯৪৫) | বিশ্বভারতীর
সঙ্গে যুক্ত হবার  পর প্রকাশিত হয়  “উড়োচিঠির ঝাঁক” (১৯৫১), “যেথা এই চৈত্রের শালবন”,  “ঘন্টা বাজে!
পর্দা সরে যায়” এবং “পৌষ ফসল” |

তাঁর কবিতা চিত্রবহুল | নদী, পাহাড়, অরণ্যের প্রকৃতি শুধু তাঁর কবিতার পরিবেশমাত্র নয়, তাঁর কেন্দ্রভূমি |
স্বল্পবাক, বর্ণাঢ্য চিত্র তাঁর কবিতার অন্যতম বৈশিষ্ঠ |

সজনিকান্ত দাসের শনিবারের চিঠিতে তাঁর ভানুমতীর মাঠ কাব্যগ্রন্থের ভূয়সী প্রসংশা করা হয় | রবীন্দ্রনাথ
তাঁকে তরুণ চাঁদ বলে অভিহিত করে লিখেছিলেন...

"আকাশের চেয়ে আলোক বড়,
মাগিল যবে তরুণ চাঁদ
রবির কর শীতল হয়ে
করিল তারে আশির্বাদ |"

কোনো অজ্ঞাত কারণে কবি অশোকবিজয় রাহা আধুনিক কাব্য সমালোচকদের কাছে সমাদৃত হন নি |


উত্স:
ডঃ শিশিরকুমার দাশ, সংসদ বাংলা সাহিত্যসঙ্গী,
বর্তমান দৈনিক পত্রিকা, জানুয়ারি ২০১১-র একটি সংখ্যা



আমাদের যোগাযোগের ঠিকানা :-   
মিলনসাগর       
srimilansengupta@yahoo.co.in      

.