কবি অসীমা দাস - জন্মগ্রহণ করেন ২২শে ভাদ্র ১৩২৯ সাল, শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টায় হাওড়ার
রামকৃষ্ণপুরে এক সম্ভ্রান্ত মধ্যবিত্ত পরিবারে | পিতা হাওড়া শহরের প্রখ্যাত ইঞ্জিনিয়ার পুলিনবিহারী দাস
এবং মাতা ঊষারাণী দেবী | পুলিনবাবুর সন্তানদের মধ্যে তিন কন্যা বড়, পুত্রেরা ছোট | কন্যাদের মধ্যে
অসীমা দেবী কনিষ্ঠা | শ্রীদাস উচ্চশিক্ষিত ব্যক্তি, সেজন্য তিনি সন্তানদের শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি
করেছিলেন | গোঁড়া রক্ষণশীল হিন্দু পরিবার বলে মেয়েরা সচারচর কোথাও যেতেন না, শালীনতা বজায়
রেখে অন্দর মহলেই থাকতেন |
পুত্র-কন্যাদের মধ্যে অসীমাদেবী ছিলেন একটু ভিন্ন প্রকৃতির | স্বল্পবাক, ধীর, স্থির এবং বুদ্ধিমতী তাঁর
লেখাপড়ায় ছিল বিশেষ অনুরাগ | সেজন্য বিদ্যালয়ের শিক্ষা তিনি সসম্মানে সমাপ্ত করেন | সেইকালে
মধ্যবিত্ত বাঙ্গালী রক্ষণশীল পরিবারের মধ্যে মহিলাদের উচ্চ শিক্ষা দেবার প্রবণতা ছিল না | বিবাহের পর
সংসারী হয়ে সংসার প্রতি পালনের জন্য যতটুকু শিক্ষার প্রয়োজন তা বিদ্যালয়ে অধিগত জ্ঞান যথেষ্ট বলে
ধরে নেওয়া হত | সেই কারণে তত্কালীন সামাজিক পরিকাঠামোর বাইরে পুলিনবাবুও যেতে চাননি বলেই
নারীদের উচ্চ শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা বোধ করেন নি | বিদ্যালয়ে পাঠের পর অসামাদেবীর সেই কারণে উচ্চ
শিক্ষালাভ করা সম্ভব হয়নি |
উচ্চ শিক্ষালাভের তাঁর যথেষ্ট আগ্রহ ছিল, বিশেষ করে বাংলা সাহিত্যের প্রতি তার ছিল প্রবল আকর্ষণ |
সেজন্য তিনি পিতাকে বলে, পুস্তক আনিয়ে গৃহে বসে বিখ্যাত লেখক লেখিকাদের নাটক, উপন্যাস, গল্প,
কবিতা, গান প্রভৃতি অনেক কিছুই পড়েন, তৃপ্তি লাভ করেন | তাঁর সৃজনশীল প্রতিভা শৈশবে প্রকাশ পায়,
কিন্তু তা ছিল এতই গোপন যে সেসব তাঁর মৃত্যুর পূর্বে কোন মতেই প্রকাশ পায়নি |
তত্কালীন মধ্যবিত্ত পরিবারে মহিলাদের গৃহের নিত্য কর্ম করতে হত | পুলিনবাবুর পরিবারে স্ত্রী ঊষারাণী
ছিলেন একা, সেজন্য কন্যাদের সাংসারিক কাজ কিছু কিছু করতে হত | ভায়েরা ছোট বলে তাদেরো দেখা
শোনার প্রয়োজন ছিল | শ্রীপুলিনবিহারী সংসারে একমাত্র উপার্জ্জনশীল ব্যক্তি বলে তাঁকে সকালেই কর্মক্ষেত্রে
যেতে হত, ফিরতেন সন্ধ্যায় | এই সময় সকল ব্যবস্থা ঠিক থাকলেও অনেকগুলি ভায়েদের দেখাশোনার ভার
ছিল দিদিদের উপর | বিশেষ করে লেখাপড়াটা দেখতেন অসীমা দেবী | অবসর সময়ে বই পড়েন, হাতের
কাজ করেন ইত্যাদি আরও অনেক কিছু | একটা সূক্ষ্ম সাংস্কৃতিক বোধ তাঁর মধ্যে ধীরে ধীরে গড়ে উঠেছিল
যেগুলির অনুশীলন করতে তিনি ভালবাসতেন | তখন আকাশবাণী চালু হয়েছে | বাড়িতে নূতন রেডিও
এসেছে | গান, নাটক,গল্প, আরও নানাবিধ অনূষ্ঠান শোনেন | সেই সময় আকাশবাণী, কলকাতায় অনেক ভাল
ভাল অনুষ্ঠান হত | সব কিছু থেকে সার গ্রহণ করে অত্যন্ত গোপনে অসীমাদেবী যে সাহিত্য অনুশীলন করে
চলেছেন একথা ঘুনাক্ষরেও কেউ জানতেন না | তার স্মৃতি শক্তি খুব প্রখর ছিল |
পুলিনবাবুর সমস্ত সন্তানদের মধ্যে কনিষ্ঠা কন্যা অসীমা ছিলেন অনন্যা গুণের অধিকারিণী এবং সম্ভবত সেই
কারণে পিতামাতার বিশেষ আশিষ ধন্যাও ছিলেন | দেবীগুণ সমন্বিতা এই কন্যা ছিলেন পরিবারের লক্ষ্মী
স্বরূপা | পুলিন বাবুর উজ্জ্বল ছাত্র জীবনে ও কর্মজীবনে নিদারুণ পরিশ্রমের ফলে মাত্র ৩৭ বছর বয়সে প্রথম
উচ্চ রক্ত চাপে আক্রান্ত হয়ে শয্যাশায়ী হন | তখন কন্যারা খুব ছোট | পূর্ণ বিশ্রাম ও সেবা যত্নে সে যাত্রা
বেঁচে যান | কিন্তু ১৬ বছর পরে ১৯৪৩ সালে যখন দ্বিতীয়বার আক্রান্ত হন তখন কন্যারা বড় হয়েছেন |
এবারেও অভিজ্ঞ চিকিত্সকদের পরামর্শে কিছুটা সুস্থ হলেন বটে, তবে তাঁর হার্ট অকেজো হয়ে যায় | এই
সময় একজন জ্যোতিষীও সেই কথা বলেছিলেন | অর্থাৎ ১৯৪৭ সালে র শেষার্ধে তাঁর জীবনান্ত হবে | এই
সরল কথা পরিবারের সকলের সঙ্গে কনিষ্ঠা কন্যা অসীমাদেবীও জানতেন |
ক্রমে ১৯৪৭ সালের মধ্যভাগ উত্তীর্ণ হয়ে আগষ্ট মাস এলো | পরিবারের বিপদের কথা স্মরণ করে সকলেই
বিশেষ শঙ্কিত | ঠিক এই সময় বৈদ্যনাথ ধাম থেকে একজন সন্ন্যাসী আসেন | তিনি কিছুই চান না, কেবল
পরিবারের কল্যাণের জন্য গৃহিণীকে বলেন, “গৃহ-কর্তার’ শেষ সময় প্রায় উপস্থিত | তোমরা বিপদে শক্ত হও
এবং ঈশ্বরের নাম গুণ কীর্তন কর |”
সন্ন্যাসীর কথায় সকলে বিচলিত হয়ে উঠেন | কাতর ভাবে তাঁকে প্রতিবিধান করতে অনুরোধ জানান |
অনেক অনুনয় বিনয়ের পর সন্ন্যাসী বলেন, “মা, পরমায়ু দেবার ক্ষমতা কারও নাই | তবে, একের পরমায়ুর
পরিবর্তে অন্যের আয়ু বৃদ্ধি হতে পারে | আমার কাছে ‘ঠাকুরের নির্মাল্য পুষ্প’ আছে, এটি এবাড়ির কনিষ্ঠা
কন্যাকে দিয়ে প্রত্যহ একমাস কাল যাবৎ কর্তার শয্যার উপাধানের তলায় রাখতে হবে | এরূপ করলে
কর্তার বিপদ কেটে যেতে পারে | কিন্তু মা ঐ কন্যার বিশেষ অনিষ্ট হবে |”
আর কোন কথা না বলে সন্ন্যাসী অতি দ্রুত গতিতে স্থান ত্যাগ করলেন | সকলে অবাক বিস্ময়ে ধাবমান
সন্ন্যাসীর দিকে তাকিয়ে ছিলেন | হঠাৎ কনিষ্ঠা কন্যা অসীমাদেবীর কথায় সকলে সম্বিৎ ফিরে পায় | তিনি
মাকে বলেন, ‘আমি এ কাজ করবোই | আমার ন্যায় এমন সৌভাগ্যবতী আর কে আছেন ?’ এরপর অতি
গোপনে অসীমাদেবী পিতার নিত্য ব্যবহৃত একটি বালিশের সেলাই কেটে সন্ন্যাসী প্রদত্ত ‘ঠাকুরের নির্মাল্য
পুষ্প’ ভিতর পুরে পুনরায় সেলাই করে দেন | বাহির হতে কোন পরিবর্তনই চোখে পড়ে না | মা, ঊষারাণী এ
কাজ হতে কন্যাকে বিরত করবার চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু বিফল হন |
এই ঘটনার তিন দিনের মধ্যে আকস্মিকভাবে অসীমাদেবী রোগাক্রান্তা হয়ে পড়েন | চিকিত্সক এসে রোগ
নির্ণয়ের পর জানান তাঁর আয়ুষ্কাল সীমিত | কিন্তু অসীমাদেবী সকলকে অভয় দিয়ে বলেছিলেন যে তিনি
আরও তিন বছর জীবিত থাকবেন | বাস্তবিক, তাই ঘটেছিল | তিনি পিতা-মাতাকে মানসিকভাবে শোক
সংবরণের জন্য তিন বছর প্রস্তুত হবার সময় দিয়ে ছিলেন |
ক্রমে ক্রমে দুটি বছর অতিক্রান্ত হয় | রিউম্যাটিক হার্টের রোগী, প্রচন্ড হাঁফ লাগে | বুকের ব্যথায় কাতর
হন | একটানা দুচার ঘন্টা যন্ত্রণা ভোগ করতে হয় | যন্ত্রণা এতই প্রবল এবং তীক্ষ্ণ যে মনে হয় আত্মহত্যা
করলে শান্তি |
আরও একটি বছর অতিক্রান্ত হয়ে এলো শেষ বর্ষ ১৯৫০ সাল | এখন যন্ত্রণা ও ভোগ তীব্র থেকে তীব্রতর
হতে লাগলো | মাঝে মাঝে অসীমাদেবী বড় অধীরা হয়ে উঠেন | শ্রদ্ধেয় হোলিদার (শ্রী ইন্দুভূষণ চট্টোপাধ্যায়)
দীর্ঘদিন এবাড়ীতে যাতায়াত থাকায় এবং পুলিনবাবুর পূত্রেরা তাঁর ছাত্র হওয়ায় গৃহের সকলেরই তাঁর
উপর অগাধ শ্রদ্ধা-ভক্তি ছিল | ইন্দুবাবুও পুলিনবাবুর ব্যক্তিত্বে তাঁকে শ্রদ্ধা করতেন, তাঁদের মঙ্গল কামনা
করতেন এবং শ্রী শ্রীঠাকুরকে পরিবারের শান্তির জন্য প্রার্থনা জানাতেন |
একদিন যখন শ্রদ্ধেয় হোলিদা এসেছেন এবং অসীমার যন্ত্রণা উপশমের জন্য শ্রীশ্রী ঠাকুরের কাছে প্রার্থনা
জানাচ্ছেন তখন হঠাৎ অসীমাদেবী তাঁকে ( হোলিদাকে ) বললেন, ‘আপনি আমাকে ঠাকুর এনে দিন তাঁকে
নিয়ে যন্ত্রণা ভুলে থাকি | শ্রী রামকৃষ্ণ ব্যতীত আর কেউ আমাকে সান্ত্বনা দিতে পারবেন না | আপনি যত
শীঘ্র সম্ভব ব্যবস্থা করুণ |’ শ্রদ্ধেয় হোলিদা তাকে কন্যাবৎ স্নেহ করতেন | সেজন্য তিনি কালবিলম্ব না করে
অসীমাদেবীর মনোবাঞ্ছা পূর্ণ করেন | ১৯৫০ সালের এপ্রিল মাসে বেলুড় মঠ থেকে ঠাকুর, মা ও স্বামীজীর
একত্রে ধাতব ফ্রেমে বাঁধান একটি ছোট পট নিয়ে আসেন | সেই পটটি ঐ ঘরে রেখে নিত্য পুষ্প ধূপ,
দীপদিয়ে অর্চনা করা হত | শ্রীরামকৃষ্ণের আগমনের পর অসীমাদেবী কিঞ্চিৎ শান্তি লাভ করেন, এবং ঐ
মহাপুরুষের চিন্তায় নিমগ্না থাকতেন | শ্রী শ্রী ঠাকুর যখন শ্রীশ্রী মা ও স্বামীজীর সঙ্গে এ বাড়িতে এলেন, তখন
পুলিনবাবু বিশেষ ব্যস্ত ও চিন্তান্বিত হয়েছিলেন এই ভেবে যে, কোথায় তাদের রাখবেন ? অসীমাদেবী পরে
এই কথা শুনে রোগ শয্যায় ঈষৎ হেসে বলেছিলেন, ‘অন্তর্যামী ঠাকুর তাঁর নিজের ব্যবস্থা নিজেই করে
নেবেন, তাঁর জন্য অহেতুক চিন্তার প্রয়োজন নেই |’
এরপর এলো অন্তিম সময় | ১৩৫৭ সালের ২২ শে ভাদ্র শুক্রবার (ইং ৮ই সেপ্টেম্বর ১৯৫০সাল ) প্রাতেই
অসীমাদেবী বললেন, ‘ঐ দিন তাকে যেতে হবে | তার আচরণে কেউ যেন কোন বাধা না দেয় |’ তার এইরূপ
কথা শুনে সকলেই বিমর্ষ হন | চিকিৎসক এসে পরীক্ষা করে জানালেন - ‘আর করার কিছুই নেই | তার
অন্তিম ইচ্ছা পূর্ণ করতে দিন |’
অসীমাদেবী দ্বিতলের একটি ঘরে পশ্চিম দেওয়ালে বালিশে হেলান দিয়ে বসে থাকতেন | শুতে পারতেন না,
হার্টে চাপ পড়ে হাঁফ লাগতো ও যন্ত্রণা হত বলে | ঐ ঘরের উত্তর দেওয়ালে ‘শ্রী শ্রী সারদাদেবীর’ একটি পট
টাঙ্গানো ছিল | অসীমাদেবী শয্যা থেকে ঐ পটের দূরত্ব ছিল প্রায় আট ফুট | প্রাতঃকালে আন্দাজ নটার সময়
হঠাৎ বলে উঠেন, ‘আমাকে ছেড়ে দাও, আমি “মা” কাছে যাব’ | সেবারতা মেজদির হাত ছাড়িয়ে বিছানা
হতে মেঝেতে নেমে ঐ পটের ( শ্রীশ্রীমার ) দিকে যাবার চেষ্টা করতে থাকেন | একে দুর্বল শরীর তার উপর
রিউম্যাটিক হার্ট, ইচ্ছা থাকলেও তা বাস্তবায়িত করা কঠিন ছিল | তবুও দেখা গেল, প্রায় এক ইঞ্চি এক ইঞ্চি
করে দেহকে মেঝের উপর দিয়ে ঘষড়ে ঘষড়ে নিয়ে যাচ্ছেন, হাঁফাচ্ছেন বিশ্রাম নিচ্ছেন পুনরায় অগ্রসর
হচ্ছেন | এইভাবে প্রায় আট ফুট দূরত্ব অতিক্রম করতে সময় লাগলো প্রায় দশ ঘন্টা | শ্রীশ্রীমায়ের উদ্দেশ্যে
প্রণাম নিবেদন করে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন | শ্রীশ্রীমা সারদা অসীমাদেবীর সকল যন্ত্রণার অবসান করে
কন্যাকে নিজ কোলে তুলে নিলেন | মৃত্যুর পর তার দেহ হতে এক অদ্ভুত জ্যোতি নির্গত হয়েছিল |
মুখমন্ডলে স্মিত হাসি, সেখানে যন্ত্রণার চিহ্নমাত্র ছিল না | যেন চির শান্তিতে মাতৃক্রোড়ে ঘুমিয়ে আছেন |
উল্লেখযোগ্য এই যে অসীমাদেবীর জন্ম ও মৃত্যুর মাস দিন এবং ক্ষণ ছিল একই অর্থাৎ ২২শে ভাদ্র শুক্রবার
সন্ধ্যা ৬টায় জন্ম এবং মৃত্যু | এরূপ জন্ম ও মৃত্যু মাস দিন ও ক্ষণের মিল সচরাচর জানা যায় না |
অসীমাদেবীর প্রয়াণে পরিবারের এক গভীর শোকের ছাযা নেমে আসে এবং পিতামাতা যে অধিক শোক
পেয়ে ছিলেনতা আর উল্লেখ না করলেও চলে |
অসীমাদেবীর মৃত্যুর পর তাঁর বহু রচনা ( প্রবন্ধ, গল্প, ও কবিতা ) পাওয়া যায় যেগুলি তার জীবদ্দশায়
অজ্ঞাত ছিল | কিছু কিছু কবিতা তৎকালীন ‘মাসিক বসুমতী ও ভারতবর্ষে ‘ প্রকাশিত হয়েছিল | তাঁর আয়ু
বিনিময়ের ফলে পিতা আরও সতেরো বছর বেঁচেছিলেন |
আমরা কবির ছবি, কবিতা এবং এই পরিচিতিটি পেয়েছি কবির মৃত্যুর অনেক বছর পর, ১৯৯০ সালে,
কবির ছোট ভাই পরিমলকান্তি দাস দ্বারা প্রকাশিত কবির একমাত্র কাব্যগ্রন্থ "মনোবীণা" থেকে।
পরিমলকান্তি দাস দ্বারা লিখিত পরিচিতিটি, প্রায় হুবহু তুলে দিয়েছি, "মনোবীণা"-র "সংক্ষীপ্ত জীবনী" থেকে।
আরও উল্লেখযোগ্য হলো এই যে এই কাব্যগ্রন্থের ভূমিকাটি লিখে দিয়েছিলেন স্বয়ং ডঃ অসিতকুমার
বন্দ্যোপাধ্যায়, যা আমরা স্ক্যান করে তুলে দিয়েছি। সেই ভূমিকাটি পড়তে এখানে ক্লিক্ করুন।
এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে যে উনিশ শতকের শেষ ভাগে কবি পঙ্কজিনী বসুরও (১৮৮৪ - ১৯০০)
বেশিরভাগ কবিতাই তাঁর অকালমৃত্যুর পর আত্মীয়বর্গ খুঁজে পান এবং তা প্রকাশিত করেন।
আমরা মিলনসাগরে , কবি অসীমা দাসের কবিতা প্রকাশিত করে আগামী প্রজন্মের কাছে নিয়ে যেতে পারলে
আমাদের এই প্রচেষ্টাকে সার্থক বলে মনে করবো। আমরা আরও চাই যে এই কবির, সঠিক মূল্যায়ন হয়ে
আগামী দিনে, বাংলা সাহিত্যে তাঁর যথাযত মর্যাদার আসন লাভ করুন। মহাভারতের দেবব্রত পিতৃসত্য
পালনের জন্য আজীবন ব্রহ্মচর্যের প্রতিজ্ঞা করে "ভীষ্ম" নামে খ্যাত হন। এই কবি তাঁর নিজের জীবনের
বিনিময়ে পিতার জীবন দান করেছিলেন। এই আত্মত্যাগ, আগামী প্রজন্ম কিভাবে গ্রহণ করে তাও দেখার
বিষয় রইলো।
কবি অসীমা দাসের মূল পাতায় যেতে এখানে ক্লিক করুন।
উত্সঃ পরিমলকান্তি দাস কর্তৃক প্রকাশিত কবি অসীমা দাসের কাব্যগ্রন্থ "মনোবীণা", ০৮.০৯.১৯৯০
আমাদের ই-মেল - srimilansengupta@yahoo.co.in
এই পাতা প্রকাশ - ২১.৩.২০১২
...