মহাপাপ করিলে পীড়ন |
পরম ধার্ম্মিক যিনি,                এই দুই কর্ম্ম তিনি,
বিচারিয়ে করেন সাধন ||
তার সাক্ষী চরাচরে,                দময়ন্তী স্বয়ম্বরে,
পূণ্যশ্লোক নল নৃপমণি |
গেলেন হইয়ে দূত,                হয়ে অতি হর্ষযুত,
দেব আজ্ঞা শুনিয়ে তখনি ||
উপকারে মন দিয়ে,                দময়ন্তী পাশে গিয়ে,
জানালেন অমরের মন |
বুঝালেন তারে যত,                সে কথা কহিব কত,
পরিহারি নিজ আকিঞ্চন ||
আর দেখ পিকবর,                পর কার্য্যে রত্নাকর,
নিজ হৃদে ধরিলেন সেতু |
মহাবীর হনুমান,                নানা গুণে গুণবান,
মহামান্য পরকার্য্য হেতু ||
পুরাণে সর্ব্বদা শুনি,                গুণময়ী সুরধুনী,
পরকার্য্যে আসিয়ে ধরায় |
হয়ে অতি অনুকুল,                সগর রাজার কুল,
ত্রাণ করিলেন রাখি পায় ||
আর শুন পিকবর,                বলি আমি অতপর,
পর উপকারীর আখ্যান |
শুন অতি সাবধানে,                সন্তোষ প্রফুল্ল প্রাণে,
অনায়াসে লভ্য হবে জ্ঞান ||

.    ******************     
.                                                                                            
সুচিতে...   




মিলনসাগর
কবি বনোয়ারিলাল রায়ের কবিতা
*
শ্রীমতীর শ্রীকৃষ্ণ সহিত মানস মিলন
বনোয়ারিলাল রায়,
(কোকিলদূত কাব্যগ্রন্থ থেকে নেওয়া)

পয়ার

শুন শুন ভক্তগণ করি
শ্রীরাধা কৃষ্ণের শুভ মা
ভাব উল্লাসের ভাব অ
যে কথা শুনিলে শুদ্ধ হ
রাধাকৃষ্ণে ভিন্ন ভাব না
অভেদ কেবল ভেদ লী
এখানে শ্রীমতী সব সঙ্গি
এলেন শ্রীকৃষ্ণ ভাব ভা
অপার শ্রীকৃষ্ণ ভাবে হ
মানসে কৃষ্ণেরে তবে ক
হৃদয় নিকুঞ্জবনে রাখি
পূজা আরম্ভিল প্যারী
সকল ইন্দ্রিয় তাঁর হলো
নাচিতে লাগিল তারা নি
নিশ্বাস পবন অতি পুল
আনন্দে দোহারে করে
মাধবভাবিনী মগ্না হোয়ে
শ্রদ্ধা মালতীর মালা দি
ভক্তিরূপ চন্দনেতে সা
বসিলেন বিনোদিনী বি
ধরিল অপূর্ব্ব শোভা হৃ
বিরহ তিমির তাহে হ
নয়ন খঞ্জন নাচে আনন্দে মাতিয়ে |
চিত্ত শিখি নাচে কিবা ভাব বিতারিয়ে ||
মন অলি গুণে করে গুণ গুণ গান |
শ্রীপাদপদ্মেতে করি মকরন্দ পান ||
কৃষ্ণচন্দ্রে চকোরিণী হইলেন প্যারী |
ভাব উল্লাসের ভাবে যাই বলিহারী ||
এ ভাব ভাবিতে সেই বাবক শঙ্কর |
সদানন্দ সদানন্দে রন নিরন্তর ||
ভক্ত ভিন্ন অপরের নহে অধিকার |
এ লীলা ভক্তের হয় ভাবের ভাণ্ডার ||
লিখেছেন কবিগণ মানস মিলন |
রচিলাম আমি তাহা ভক্তের কারণ ||
প্রভাস বিহনে নহে প্রকাশ্য মিলন |
শ্রীদামের শাপ তথা হইবে মোচন ||
মধুর শ্রীকৃষ্ণ লীলা যে করে কীর্ত্তন |
কিম্বা অতি শুদ্ধ মনে শুনে যেই জন ||
তাহার অবশ্য হয় বৈকুণ্ঠেতে বাস |
ইহকালে পূর্ণ হয় মনো অভিলাষ ||
ধন ধান্য পরিপূর্ণ হয় সেই জন |
চঞ্চলা কমলা তার গৃহে স্থিতা রন ||
রোগ শোক তাপ পাপ সব দূরে যায় |
কৃষ্ণের কৃপায় পায় স্থান কৃষ্ণ পায় ||
এইরূপে এই গ্রন্থ করিলাম শেষ |
শাস্ত্র অভিমত ভাবে ভাবি হৃষীকেশ ||
শ্রীরাধা গোবিন্দ পদ করিয়ে ভাবনা |
বনোয়ারিলাল রায় করিল রচনা ||

.          ******************     
.                                                                                   
সুচিতে...   




মিলনসাগর
*
শ্রীমতীর কোকিলের প্রতি অনুরোধ
বনোয়ারিলাল রায়,
(কোকিলদূত কাব্যগ্রন্থ থেকে নেওয়া)

ত্রিপদী