অলৌকিক স্মৃতিযান ছুঁড়ে দেয় ম্লান মেঘচ্ছায়া তোমার সংক্ষিপ্ত হাতে রুমালের মত পড়ে থাকে এক কোণে ভুলে যাওয়া নাম . রাতে বৃষ্টি নামে গোপন শরীরে নয় আমি যাই অধিক গোপনে তোমার উত্সব রাতে জেগে থাকি বিষণ্ণ জানালা কখন নিজের কাছে দাঁড়াবে একেলা সব অলঙ্কার খুলে ছুঁয়ে দেবে আলগোছে অন্ধকারে নিমগ্ন সেতার কে যে কার এ জগতে কেউ তা জানে না থাকো তুমি স্বপ্নে ও বাস্তবে মিশে থাকো আগুনে ও নুনে বিছানার ভাগ তুমি এই জন্মে নিলে না যদিও অবচেতনায় তীব্র জাগো হাসনুহেনা
তোমার ওষ্ঠের দূরে বেপরোয়া প্রমত্তবৈশাখী অকাল চুম্বন তোলে ঝড় . তছনছ করে আজো আমার সংসার আমি ক্ষয়ে যাই রোজ সাবানের মতো হাহাকার . তোমার দুর্লভ স্পর্ষ ছাড়া রাঙা সখী ভালো থাকো রানি তোমার দৃষ্টির দূরে পরিণামহারা এক কিশোর পিওন . চলে যায় চির অভিমানী
কালোঘোড়ার খুরের তলায় আমার কুঞ্জবিতান বসিয়ে তুমি কোথায় গেলে ঘূর্ণিঝড়ের কেন্দ্রে এই পাতাবাহার একবার মাথা কোটে ধুলোয় একবার পাখা সাপটায় আকাশে ভয় পেয়ে আমার পোষা পাখিগুলো একে-একে উড়ে যাচ্ছে
অক্ষিপটের দূরতম সীমান্তে কাঁটাতার পেরিয়ে রঙিলার উদ্দাম ঘাগরা ভাঙাগড়ার যাদুর রাজ্যে আমার অস্তিত্বের লতায় ফুল-ফল . . . আমার অঞ্জলি-দেওয়া সাদা ফুল অবহেলায় ভেসে যাচ্ছে
কালোঘোড়ার খুরের তলায় জগত্প্লাবী মূর্ছার নাভিমূলে নীলকমলের অকারণ আলস্য জাগরণ অন্ধকারের সজীব খামারে নরীনৃত্যমান কোন্ আলোর হাত কি খুঁজে ফেরে আমার প্রবহমান মুক্ত পয়ারের মত
অন্ধকারে দেশলাই খুঁজতে গিয়ে সেদিন আমি তোমার বুক ছুঁয়েছিলাম আজ তোমার আমার চল্লিশ বয়ে যায় আমার তৃষ্ণা নিঃশব্দ রানওয়ে থেকে একটা নৈশ প্লেনের মত উড়ে চলেছে সেই শৈলাবাসের দিকে যেখানে একটা সাজানো বাংলোর মত তুমি সেখানে যে যায়সে নাকি আর ফেরে না অন্ধকারের মধ্যে আজো ফুল ফোটে আমি কেবল ঠাণ্ডার ভয়ে বাগানে যেতে ভয় পাই
আমার ব্যর্থতা নিয়ে তোমার করুণাময় হাত আত্ম অবক্ষয়ে ক্লান্ত নির্জন বিষাদ মৃত্যুর ক্ষমার মত অন্ধকারে জেগে থাকে একা ইতিহাস এরকম লুকিয়ে রেখেছে কত মলাটবিহীন বই পরিচিতিহারা এলবাম
তুমি সব জানো দেখো ঐ তো গরবী সাদা হাঁস কেমন চলেছে ভেসে . জলে রেখে ভেজাও নি তাকে ও রকম রাখো না আমাকে