কবি বেলা পাল-এর কবিতা
যে কোন গানের উপর ক্লিক করলেই সেই গানটি আপনার সামনে চলে আসবে।
*
খুকী ও বৃষ্টি
ছোটদোর জন্য ছড়া
বেলা পাল

তির তির তির বইছে  হাওয়া
.      শির শির শির কোরছে গা,

ঝির ঝির ঝির ঝরতে পারে
.      ও খুকী তুই ঘরে যা |

টুপ টুপ টুপ পোরছে ঝোরে
.     গাছের তলে বকুল ফুল,

ফুল তুলে তুই পরবি নাকি
.     ও খুকী তুই কানের দুল ?

গুড় গুড় গুড় ডাকছে আকাশ
.     পোড়বে এবার জোরসে জল,

ও খুকী তুই দৌড়ে পালা
.     আসছে ছুটে বাছুর দল  |

.         ******************          
.                                                                                  
সূচিতে . . .    



মিলনসাগর   
*
গুট্ খা
ছোটদোর জন্য ছড়া
বেলা পাল

বারে বারে চিপ্ টি ফেলে
.      বাসে বসা লোকটা  |

মোটকা দাদু তাকে বলে,
    ‘এ কেমন রোগটা ?’

ছিটকে এসে লাগছে গায়ে
.      গন্ধটাও বোঁটকা,

ছি ছি বলে মোটকা দাদু
.       রাঙায় তার চোখটা |

শুঁটকা ছোড়া বলে তাকে,
.      ‘দেব নাকি টোট্ কা ?’

চিপটি ফেলা বন্ধ হবে
.       খেলে একটা কোঁতকা,

‘বড্ড আমার বেড়ে গেছে
.      গুটখা খাবার ঝোঁকটা’,

কাচু মাচু হোয়ে বলে
.      চিপ্ টি ফেলা লোকটা |

.         ******************          
.                                                                                  
সূচিতে . . .    



মিলনসাগর   
*
ব্যথার ভান
ছোটোদের জন্য ছড়া
বেলা পাল

ছোটদের যে দিন রাত্তির পড়তে যাবার ধূম,
ছড়াকারদের তাইনা দেখে নাইকো চোখে ঘুম |
কত ছড়া হোলো যে তার নাইকো লেখা জোকা,
সব ছড়াতেই মা-বাবাদের হোচ্ছে কেবল ঠোকা |
ছড়া লিখে এমন পড়ার কোরতে কিছু পারবে ?
মা---বাবারা একটু কেবল মুচ্ কি হাসি হাসবে |
শিশুর দুঃখ দেখে যারা চোখের জলটা ঝড়ান,
তারাও কিন্তু সন্তানদের এমনি ভাবে পড়ান ||

.               ******************          
.                                                                                  
সূচিতে . . .    



মিলনসাগর   
*
পরম অভয়
পরমারাধ্য শ্রী শ্রী দুর্গাপ্রসন্ন পরমহংস দেবের প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ্য
বেলা পাল

বন্ধুর  জীবন পথে
.         হোয়ে দিশাহারা,
কোথায় সঠিক পথ
.         খুঁজে হই সারা |

কন্টক বিছানো পথে
.         যদি পাই ভয়,
তুমি বলো, ‘চরৈবেতি,
.         ভয় করো জয়’ |

আকাশের মেঘ দেখে
.         যদি ত্রাস আসে
তুমি বলো, আড়ালে যে
.         সূর্য্যদেব হাসে’ |

নির্জন নীরব পথ,
.         ভাবি আমি একা,
তুমি বলো, ‘সঙ্গে আছি,
.         দিই না তো দেখা’ |

তোমাকে   শরণ  করে
.              যদি পথ চলি
অক্লেশে পথের কাঁটা
.              দু’চরণে দলি  |

তুমি আছ চিরসাথী
.              চির জ্যোতির্ময়,
বন্ধুর জীবন পথে
.              পরম অভয়  ||

.           ******************          
.                                                                                  
সূচিতে . . .    



মিলনসাগর   
*
নব - নিবেদন
বেলা পাল

ভজন ঘরের এক পাশটিতে ঘেঁসে,
ঠাকুরের মুখপানে চেয়ে নির্ণিমেষে,
সরলাদি বসে আছে স্থবিরের মত
চোখে চোখে চেয়ে যেন কথা বলে কত |
সরলাদি বলে বুঝি --- “প্রাণের গোঁসাই,---
তোমাকে দেবার মত কিছুই তো নাই |”

কত শত ভক্ত আসে নিয়ে উপচার,
ফুল মালা,  ফল মূল  কত উপহার,
আমি শুধু বসে আছি চেয়ে মুখপানে ,
কৃপাকর দয়াময় শান্তি দাও প্রাণে |

.              এমনি  সময়  এক  ভক্ত  ভাগ্যবান
.              ঠাকুরের শ্রীমূর্তিতে করে মাল্যদান |
.              সরলাদি ফিরে পায় চেতনা তখনি
.              শশব্যস্তে শুরু কোরে দেয় হুলুধ্বনি |

.              কন্ঠভরা আছে তার মাঙ্গলিক ধ্বনি,
.              তাই দিয়ে পূজা করে বিনীতা জননী  |
.              মর্ম  হ’তে উঠে আসা এই শুভ স্বর
.              পূর্ণ করে দিল যেন তৃষিত অন্তর |

.              জানিনা কবে এ  ধ্বনি ধ্বনিল প্রথম,
.              যে ধন একান্ত ভাবে নারীর আপন ||

.                    ******************          
.                                                                                  
সূচিতে . . .    



মিলনসাগর