ছোটদের যে দিন রাত্তির পড়তে যাবার ধূম, ছড়াকারদের তাইনা দেখে নাইকো চোখে ঘুম | কত ছড়া হোলো যে তার নাইকো লেখা জোকা, সব ছড়াতেই মা-বাবাদের হোচ্ছে কেবল ঠোকা | ছড়া লিখে এমন পড়ার কোরতে কিছু পারবে ? মা---বাবারা একটু কেবল মুচ্ কি হাসি হাসবে | শিশুর দুঃখ দেখে যারা চোখের জলটা ঝড়ান, তারাও কিন্তু সন্তানদের এমনি ভাবে পড়ান ||
ভজন ঘরের এক পাশটিতে ঘেঁসে, ঠাকুরের মুখপানে চেয়ে নির্ণিমেষে, সরলাদি বসে আছে স্থবিরের মত চোখে চোখে চেয়ে যেন কথা বলে কত | সরলাদি বলে বুঝি --- “প্রাণের গোঁসাই,--- তোমাকে দেবার মত কিছুই তো নাই |”
কত শত ভক্ত আসে নিয়ে উপচার, ফুল মালা, ফল মূল কত উপহার, আমি শুধু বসে আছি চেয়ে মুখপানে , কৃপাকর দয়াময় শান্তি দাও প্রাণে |
. এমনি সময় এক ভক্ত ভাগ্যবান . ঠাকুরের শ্রীমূর্তিতে করে মাল্যদান | . সরলাদি ফিরে পায় চেতনা তখনি . শশব্যস্তে শুরু কোরে দেয় হুলুধ্বনি |
. কন্ঠভরা আছে তার মাঙ্গলিক ধ্বনি, . তাই দিয়ে পূজা করে বিনীতা জননী | . মর্ম হ’তে উঠে আসা এই শুভ স্বর . পূর্ণ করে দিল যেন তৃষিত অন্তর |
. জানিনা কবে এ ধ্বনি ধ্বনিল প্রথম, . যে ধন একান্ত ভাবে নারীর আপন ||