কবি ভবানীপ্রসাদ মজুমদারের কবিতা ও ছড়া
|
ছিল--আছে--রবে
কবি ভবানীপ্রসাদ মজুমদার
“ছড়ার রাজা” সুকুমার রায়ের একশো পঁচিশতম জন্মজয়ন্তীতে শ্রদ্বার্ঘ্য
সুকুমার রায় ছিল, ছিল নয়-আছে
চাঁদ-তারা, মেঘ-রোদে, ফুল-ফলে-গাছে,
কচিকাঁচা-ফুলকুঁড়ি শিশুদের কাছে
সুকুমার সুখে-দুখে বুকে আজও বাঁচে |
সুকুমার রায় ছিল, ছিল- আছে- রবে
হাসি- হই - হুল্লোড়ে, খুশি-উত্সবে,
দুনিয়ার সব শিশু সুখী হলে তবে
তাঁর আশা, ভালোবাসা সার্থক হবে |
. *********************
. সূচিতে . . .
মিলনসাগর
কাকতালীয়
কবি ভবানীপ্রসাদ মজুমদার
“ছড়ার রাজা” সুকুমার রায়ের একশো পঁচিশতম জন্মজয়ন্তীতে শ্রদ্বার্ঘ্য
‘কাকেশ্বর কুচকুচে’ কে
বললে রেগেই “দ্রিঘাংচু”,
হাওড়া ব্রীজের মাথায় ব’সেই
কুড়-মুড়--মুড় কি ভাঙছু ?
একটু কেশে বললে হেসে
কাক্কেশ্বর কুচকুচে,
ভাঙছি শচীন-সানির-বীরুর
‘রেকর্ড’গুলো মুচমুচে |
. ********************
. সূচিতে . . .
মিলনসাগর
অতুলনীয়
কবি ভবানীপ্রসাদ মজুমদার
“ছড়ার রাজা” সুকুমার রায়ের একশো পঁচিশতম জন্মজয়ন্তীতে শ্রদ্বার্ঘ্য
কুমড়ো পটাশ, ট্যাঁশগরু আর
রামগরুড়ের ছানা,
‘হুঁকোমুখো হ্যাংলা’ কোথায়
থাকে, সবার জানা |
হেড-অফিসের বড়-বাবু’র
গোঁফ কেন হয় চুরি,
এসব ছড়ায় সুকুমারের
নেই আজো কেউ জুড়ি |
. ********************
. সূচিতে . . .
মিলনসাগর
যত পাই, তত চাই
কবি ভবানীপ্রসাদ মজুমদার
“ছড়ার রাজা” সুকুমার রায়ের একশো পঁচিশতম জন্মজয়ন্তীতে শ্রদ্বার্ঘ্য
‘আবোল তাবোল’--- ‘পাগলা দাশু’
. ‘খাই--খাই’,
বলছে সবাই ---- ‘হ--য--ব--র--ল’ ও
. চাই -চাই,
কার লেখাতে ------ দারুণ মজা
. পাই ভাই ?
সুকুমার রায় ---- তুলনা তাঁর
. নাই তাই |
. ********************
. সূচিতে . . .
মিলনসাগর
. আজ হোক কিংবা কাল হোক,
সত্য-ধর্ম-পবিত্রতা অবিনশ্বর
. তার আলো ঠিক পাবেই লোক |
তুমি বলেছিলে, তোমরা সবাই পড়েছো
. মাতৃদেবো ভব, পিতৃদেবো ভব,
আমি বলি, দরিদ্রদেবো ভব, মূর্খদেবো ভব,
. এদেরকেই দেবতা মেনে ধন্য হবো |
. ********************
. সূচিতে . . .
মিলনসাগর
তিনি সম্প্রীতি-শিঞ্জিনী,
তিনি ছেঁড়েন বিভেদ-মূল ,
ঋণী তাঁর কাছে তাই ঋণী
তিনি প্রণম্য নজরুল
. ********************
. সূচিতে . . .
মিলনসাগর
গিয়েই যখন ভাঙল ভুল বঙ্গ-নদীর রাঙল কূল জ্বাললো প্রদীপ কত্ত, মধুসূদন দত্ত মধুসূদন দত্ত--- |
. ********************
. সূচিতে . . .
মিলনসাগর
|
দশটি হাতের অস্ত্র তোমার কেন, কিসের তরেতে ?
অসুর-নিধন কবে হবে মা ,ফিরবে খুশি ঘরেতে ?
লক্ষ-লক্ষ দক্ষ-অসুর পুষ্ট বারুদ-বোমাতে
বাড়ছে রোদন, নাচন-কোঁদন, ধুঁকছে জগত্ কোমা - তে |
অসুর -বংশ হলেই ধ্বংস, কাটবে সবার মনের ভয়
তবেই সুখে চেঁচিয়ে সবাই বলবে “ দুর্গা মাঈকী জয়” |
. ********************
. সূচিতে . . .
মিলনসাগর
এক দুর্গা সবজি বেঁচে নিজের পায়ে দাঁড়ায়
এক দুর্গা মুরগি কাটে, নিজেই পালক ছাড়ায় |
এক দুর্গা হোটেল চালায়, বানায় মাংস-ভাত
এক দুর্গা বুট-পালিশে জোরসে চালায় হাত |
এমনি হাজার দুর্গা যারা পায় না কোনও পূজো
এদের দুঃখ-কষ্ট তুমিই দরদ দিয়ে বুঝো |
সব দুর্গার চোখে-মুখে ফুটলে হাসি তবে
মাগো, তোমার পূজো সেদিন সত্যি সফল হবে |
. ********************
. সূচিতে . . .
মিলনসাগর
স্বাধীনতার মানে বুঝেই বইছে বাতাস নিরবধি |
স্বাধীনতার সঠিক মানে ক’জন স্বজন সত্যি জানে
স্বাধীনতার সংজ্ঞা খুঁজো শেকল ছেঁড়া পাখির গানে !
. ********************
. সূচিতে . . .
মিলনসাগর
আলোর দিশারী স্বামী বিবেকানন্দ
কবি ভবানীপ্রসাদ মজুমদার
তুমি বলেছিলে, জীবে প্রেম করে যেইজন
ফোটা-ফুল নজরুল
কবি ভবানীপ্রসাদ মজুমদার
তিনি ‘বিষের বাঁশি’র সুর
তিনি ‘অগ্নিবীণা’র তান,
মিষ্টিমধুর সৃষ্টি মধুর কবি ভবানীপ্রসাদ মজুমদার
নিত্যনতুন ছন্দ-ঘ্রাণে বুলিয়ে আলো অন্ধ -প্রাণে ,
|
দুর্গা মাঈকী জয়
কবি ভবানীপ্রসাদ মজুমদার
কেউ বলে, মা দুর্গা আসেন নৌকো - গজে - দোলাতে
মঙ্গলময়ী আসেন সবার দুঃখ - কষ্ট ভোলাতে |
সব দুর্গাই থাকুক সুখে
কবি ভবানীপ্রসাদ মজুমদার
এক দুর্গা রিক্সা চালায় কুচবিহারের হাটে
এক দুর্গা একশো দিনের কাজে মাটি কাটে |
স্বাধীনতার মানে
কবি ভবানীপ্রসাদ মজুমদার
যে ছেলেটা বস্তা-কাঁধে কাগজ কুড়োয় পাড়ায়-পাড়ায়
যে ছেলেটা রোজ বাজারে মুরগি কাটে, পালক ছাড়ায়,