উচ্ছ্বাস তরঙ্গিণী গ্রন্থের (১৯১২), শ্রীশ্রীগোপীনাথের সাধনোচ্ছাস পর্বের উপসংহারে, কবি ভুলুয়াবালা
তাঁর কথা কিছুটা ব্যক্ত করেছেন এইভাবে...
. ******************
. সুচিতে...
মিলনসাগর
এমন কপাল করে
দুখে দুখে আমার
অভাগিনীর দুখে কে
কে জানে আরো কি
এমন অনাসৃষ্টি কো
দেখে শুনে আনলে
অকর্মা নির্গুণ,
ঘুমাবে যে এমন ঘ
নির্ম্মম ত্রিশূলীর নাহি
সৃষ্টিস্থিতি নাশে নি
এমন মহাকালে কন্যা
বল এ ব্রহ্মাণ্ডে কবে
স্বর্গ ছাড়ি শ্মশান ক্ষে
সকল ছাড়ি ভুতের
মাথায় সাপের বাসা, অষ্ট প্রহর নেশা,
এমন বরে আমার প্রাণ উমা পড়েছে ||
বহু জন্মের বৈরী ছিল সে নারদ,
তারই কথায় আমার সম্পদে বিপদ,
সোনার মূর্ত্তি ধরে, দিলাম ভুতের ঘরে,
না জানি প্রাণ উমা আছে কি মরছে ||
দেবতার কুচক্র তুষি ত পাষাণ,
তাই উমার কপালে এ সকল বিধান |
আমার, উমা দুখেদুখী, হয় এমন না দেখি,
কেবল এক ভুলুয়া যাকিছু হয়েছে ||
. ******************
. সুচিতে...
মিলনসাগর
তবু যে আমার বলি, পাখী রে!
. সে কেবল অজ্ঞানের বিকার ||
. এই ত সেদিন, ধরতে গেলে, দুই কুড়ি আর চৌদ্দ দিন |
পঞ্চা দাদা করলে বিয়ে, ঢাক বাজিয়ে ঢোল বাজিয়ে,
দিয়ে খেমটা যাত্রা কবি, বিদায় করি দুঃখী দীন |
ঘটা পেটায় তুমুল কাণ্ড, বলব কি পাখী!
. ---তার নিমন্ত্রনের লুচি খেতে নিমাই ঠাকুর দন্তহীন |
হাজার টাকার গয়না দিল, লক্ষ্মীর মত বউটি এল
. পঞ্চা দাদার আহ্লাদে পা পড়্তনা মাটিতে এক দিন |
আর যেখানে যেত, বিয়ের গল্প, করত সারা দিন ||
. তার পরে যা বলব তোমায়,
আজ যে শনি, আর এক শনিবার |
. ---সে দিন আবার বাপের শ্রাদ্ধ চণ্ডী খুড়োর মার |
আমরা সবাই আছি বসে, এমন সময় বিন্দে এসে,
বল্লে ম’ল পঞ্চাদাদার বউ, উঠেছে খুব হাহাকার |
. গেল ভেঙ্গে সুখ স্বপনের আনন্দের বাজার ||
. রোগ ব্যামো নাই বসেছিল, বসতে যেন মূর্চ্ছা প’ল,
যেমন পড়ল অমনি মরল, চীকিত্সা কে করবে কার!
. ভেবে দেখ এখন পাখী!
. এই বাঁচা মরার কাণ্ড চমত্কার ||
. বউ মরেছে তাহার শোকে, পাগল হয়ে ফিরছে লোকে,
ভোজন শয়ন কিছু নাই তোমার |
মরা বউএর মুখের একটী কথা শুনতে সাধ তোমার ||
কিন্তু যদি তুমি মর, একবার স্মরণ কর,
তোমার শোকে, এ তিন লোকে,
. চোখের জল কে ফেলবে আর |
না কেঁদে পরের জন্য, আপন কান্না, কাঁদা এখন,
. উচিত হয় তোমার ||
বউ কথা কও বলি যারে, ডাকছ তুমি বারে বারে,
সে ত ফিরে একটী কথা বলিবে না আর |
পাতায় পাতায় ডালে ডালে, বাহিরে কি অন্তরালে,
অবিরাম বউ কথা কও এই বুলি তোমার |
রসনা কি ক্লান্ত হয় না, তোমার রে পাখী ?
শ্রান্তি ক্লান্তি সকল ভুলে, ভুলে ক্ষুৎপিপাসা মূলে,
বউ কথা কও বলি তুমি বেড়াবে কি এই প্রকার ?
বোঝ না কি মরলে রে পাখী!
রয় না কথা বলতে অধিকার ||
শান্ত হও বাসায় গিয়ে, সুচিন্তায় মন সঁপিয়ে,
যারা আছে তাদের নিয়ে কর গে সংসার |
বউ কথা কও বলে পাখী ডাকিও না আর ||
বউ-কথা-কও-পাখী বল সেটি তোমার কেমন বউ!
তুমি তার কে হও, যাকে কথা বলতে কও,
কি কথা সে বলবে বল, কোন কথাটী শুনতে চাও,
. পুত্র বধূ সে তোমার, তুমি শ্বশ্রূমাতা তার,
অনুমান আমার মনে হচ্ছে এই প্রকার |
শ্বাশুড়ী না হলে কি, এ হেন মায়া দেখি,
পুত্র হতে পুত্র বধূর প্রতি, রে পাখী!
. ভূতলে মমতা সবার ||
সাক্ষী জননী আমার, আমি গর্ভজা হই তাঁর,
তবু আমাপেক্ষা বউকে তিনি, ভালবাসের অনিবার |
. মেয়ে হয়ে আমি হলেম পর তাঁহার ||
ভোজন শয়ন সময় হলে, মা আগে বউকে বলে,
. কে বলে এ সব কথা বুঝে শুনে একটী বার |
. আমি আপন হয়ে আপন নই তাঁহার |
উড়ে এসে, জুড়ে বসে, বউ হয়েছে আপনার |
উল্টো আইন যত দেখ, পোড়া মুখো বিধাতার ||
. শ্বাশুড়ী সত্য তুমি, সেটি হয় পুতের বউ তোমার
তাইতে তোমার এত ব্যথা, পাগল হয়ে যথা তথা
. বউ কথা কও বলে তুমি, ফিরছ অনিবার |
কিন্তু হলে কি আর হবে, আসবে না আর, ফিরে সে তোমার ||
বউ কি এতই প্রিয়জন, বিনে তাহার দরশন,
. হয়না পাখী তোমার মনে, আনন্দের সঞ্চার |
বউ বিনে কি পুত্র ঘরে, না এসে রয় দেশান্তরে,
. হয়েছে কি তোমার গৃহস্থলী অন্ধকার ?
বই বিনে কি শূন্যরে পাখি, তোমার আনন্দের সংসার |
না দেখি বউএর বদন, অন্তরে কি এতই বেদন,
রোদন করি বনে বনে ফিরছ অনিবার |
বউ ফিরে না আসে যদি, তবে কি এই দুঃখের নদী
নিরবধি অন্তরে গো বহিবে তোমার ?
বউ কথা কও বলি তুমি, কাঁদিবে কি এই প্রকার ?
বুঝিলাম সত্য পাখি, প্রাণ অপেক্ষা প্রিয় বউ তোমার ||
. কিন্তু পাখি, প্রকৃতির গতি, হের সুচঞ্চল অতি,
আজ আছে যা কাল রবেনা, আসা যাওয়া নিয়তি |
এ ভব-বাসে কেবল, পাখিরে, প্রবাস বসতি!!
প্রাণের প্রিয় বউ তোমার, তোমার গৃহস্থলী-সার,
স্বভাবের নিয়ম পথে করেছে গতি |
ফিরে আর আসবে না সে, করবে না সে ধরায় বসতি |
শ্বাশুড়ী শ্বশুর জনার, মমতা থাকুক হাজার,
আসবেনা দেখিতে সে আর জীবন জনম সঙ্গতি,
ফুরায়ে গেছে পাখি তার ; ইহসুখে নাই তার মতি ||
অধিক বলব কি তোমায়, সে না ফিরেও একবার চায়,
পায় যদি নিকটে তাহার প্রাণের প্রিয় প্রাণ-পতি |
ভুলিয়ে মায়ামোহ, অহরহ, এখন তার, সাধনায় মতি |
. বেদনে রোদনে কি ফল সম্প্রতি,
বউ বলে না কাঁদিও আর, তোমায় আমার মিনতি ||
. আবার বউ কথা কও বলে ডাক কি কারণ ?
এ ডাকার কি লাভ তোমার, মিছে মিছি ডেকনা আর,
ডেক না রাখ কথা, শুন মোর বারণ |
ডাকলে দেখা পাবে না যার, তারে ডাকা অকারণ ||
যদি মরে প্রিয়জন, শোকে অবশ হয় জীবন,
বিশেষ যাহার জীবন থাকতে করিয়াছি নির্য্যাতন,
সে জনের মরণ হলে, যে শোকে আগুন জ্বলে,
ধরাতলে নাইরে পাখি নাই তাহার তুলন
সে তুলনায় শীতল গণি, ভুষানল দহন ||
বুঝি বউ ছিল যখন, তখন করতে নির্য্যাতন,
. অকালে বউ তাই মরেছে দুঃখে জ্বলি অনুক্ষণ |
তাই কৃত পাপের অনুতাপে, বনের পাখিরে ?
. হয়েছে উন্মত্ত এমন ?
কিন্তু অতীত ব্যবহার, চিন্তি লাভ কি বল আর ?
প্রতীকার তাহার বল করবে কি এখন ?
এখন বিলাপ কর, প্রাণে মর, কর নিত্য অনশন,
সে সব দেখিবে না আর, প্রাণের প্রিয় বউ তোমার,
তার দুখ সে পেয়ে গেছে, ত্যাগ করেছে এ জীবন |
এ কলঙ্ক থাকবে তোমার, দিবাকর দিবে যাবৎ জগতে কিরণ ||
তাহার প্রাণ ছিল যখন, ভাল বাসলে তায় তখন,
হত না এখন এত অনুতাপ আর অন্তরে |
বেড়াতে না পাগল হয়ে নিবিড় বনে প্রান্তরে |
একটু বলিলে কথা, কত বলতে কু কথা,
তাহার পিতা মাতার মাথা খেয়ে, কিল মারতে চুল ধরে |
বলিয়ে হুড়ক বধু, রাগ করিতে সুধু সুধু,
পূতের কাছে বধুর নিন্দা করতে কত চিন্তরে,
মনের দুঃখে মরত কেঁদে, বলত না প্রকাশ করে ||
. ওরে বনের পাখি, কেন মরছ আর ডাকি ?
মনের দুঃখে অভিমানে প্রাণ ত্যাজেছে সে তোমার,
. তুমি, যতই কাঁদ নিশিদিন,
. ফিরিয়ে সে আসবে নাত আর ||
দিয়েছ যে দুখ তারে, তার সাজা পাও বারে বারে,
বউ কথা কও বলি ঘুরি, বনে বনে অনিবার |
এ সব ভাবা উচিত ছিল, যখন বউ ছিল তোমার |
. মরলে পরে ভালবাসা, সে কেবল লোক দেখান সার ||
তাইতে বলি গত যাহা, ভেবে চিন্তে কি লাভ তাহা,
. আহা, আহা, বউ কথা কও বলিও না আর |
থাকলে এসে বলত কথা, নাই এদেশে বউ তোমার ||
. ******************
. সুচিতে...
মিলনসাগর
পাহাড় পর্ব্বত বন কি জঙ্গল অন্বেষিছ অনিবার |
কত কষ্ট পাচ্ছ তুমি শুনরে পাখী!
ভাবে কি কষ্টের কথা তোমার সে বউ একটী বার ||
তোমার কান্না তুমি কাঁদ, তার মত সে, হয়ে গেছে পার |
এ সব কপালেরই দোষ ; কিম্বা কলিকালের দোষ ;
কাহার দোষ, তা কেমন করি, বলব রে পাখি,
আমি ভেবে পাই না কূল কিনারা |
যত সৃষ্টিছাড়া কাণ্ড হ’ল, অলঙ্কার ধরার!!
. পরিয়ে নিত্য নূতন সাড়ী পাঠাও যদি বাপের বাড়ী,
আর, রাখ যদি টাকার তোড়া বউএর হাতে অনিবার,
আর, মাসে মাসে গড়াও যদি, দু’ একখানি অলঙ্কার ;
কাজের মধ্যে খাওয়া শোয়া, বেশী বল্লে পাড়ায় যাওয়া,
নার টিপিয়ে গল্প করবে, নাকে কাঁদবে হাজার বার,
এ সব দেখে বলতে যদি, পার রে পাখি ;
“আহা সোনার লক্ষ্মী বউ আমার!”
বউএর শ্রদ্ধা পেতে পার তবে দু একবার
এখন ভক্তি স্নেহ লেখা, অধিকাংশ কেবল টাকা,
টাকায় বিদ্যা বুদ্ধি আঁকা, সীমা নাই টাকার মহিমার |
. বলতে ঘৃণায় মরে যাই পাখি,
এখন, পিতামাতার স্নেহ কিনতেও, ঘুষ লাগে টাকার ||
চোর কি জুয়োচোর যা ইচ্ছে হও তাতে কেউ দোষ না দিচ্ছে
দেখছে কেবল হচ্ছে কি না দুপয়সা রোজগার |
পশুত্ব কি মনুষ্যত্ব টাকার কাছে সব বিচার ||
সাধুত্বের মাধুর্য্য যাহা, টাকার মধ্যেও তাহাও আহা
শীলতা শিষ্টতা মিষ্ট স্বভাব সবই টঙ্কাকার |
টাকার ঝঙ্কারে হয়, সৃজন প্রলয়
. কাল মাহাত্ব এই প্রকার!!
. টাকা থাকে যার ঘরে, ধন্য সেই ভবোপরে,
এই, টাকার জোরে, মহর্ষি হয়, নিমাই নাপিত নাগপাড়ার
কত, কুম্ভকর্ণ টাকার জোরে, বেদব্যাসের অবতার!!
. কলির এই প্রকার লীলা, ইথে নাই সীতার খেলা,
এখন, সেই পতি মনোরম তত, যে দেয় যত অলঙ্কার |
গরীব পতির ঘর করা কি এখন আছে আর!!
. বনের পাখি কি সম্পত্তি আছে বা তোমার!
বউএর মন যোগাতে তুমি, কি দিয়ে গড়বে অলঙ্কার!
বলতে করতে রান্না, বান্না বউএর আসত নাকে কান্না,
ধন্না দিয়ে রইত পড়ে, বাড়ত কেবল অহংকার,
মক্ মকাচ, বগ্ বগাত, এই ত সমাচার ?
কথায় কথায় অভিমানে, পুড়ে মরত মনে প্রাণে,
নির্জ্জনে বিরলে বসি নিন্দে করত বিধাতার,
---এমন ঘরে কেন বিয়ে হয়েছিল তার ||
অবশেষে কোনার বউ সে, কোন দেশে হয়েছে পার
আহার নিদ্রা ত্যাগ করিয়ে ঘুরছ তুমি অনিবার ||
যে জন যাওয়া সময় যায় না বলে,
খেদ কি সে তার মরণ হলে,
কিসের জন্য বল তুমি অন্বেষণ করিবে তার ?
কিম্বা মন্ বোঝেনা তাইতে খোঁজ,
. পলায় যদি বউ একবার |
বনে বনে খুঁজছ তুমি, আকাশ পাতাল খুঁজে পাওয়া ভার!!
. ঢাক বাজানী নিশ্চয়ই সে সন্দেহ নাই তায়,
নইলে কি সে এমনি করি ঘর ছাড়ি পলায় ?
ছি ছি কি লজ্জার কথা, ভাবতে ঘুরে যায় মাথা,
সৃষ্টি ছাড়া কাণ্ড যত হচ্ছে এবে এ ধরায় |
এই আফিং খাওয়া, পালিয়ে যাওয়া,
. সব কেবল নভেল পড়ায় ||
যাহার সতীর ধর্ম্ম নাই, যাহার বউএর কর্ম্ম নাই
কাজ কি মিছে বনে বনে অন্বেষণে তার ?
যা হওয়ার তা হয়ে গেছে, শুন রে পাখি!
বউ কথা কও বলি তুমি ডাকিও না আর ||
. ******************
. সুচিতে...
মিলনসাগর
উচ্ছ্বাস তরঙ্গিণী গ্রন্থের (১৯১২), শ্রীশ্রী হর গৌরী সংবাদ থেকে. . .
ভুলুয়াবালা,
. টোরী - একতালা
বউ কথা কও পাখী
সান্ত্বনা
ভুলুয়াবালা, উচ্ছ্বাস তরঙ্গিণী গ্রন্থ, ১৯১২
বউ কথা কও বলি পাখী,
থাকলে এসে বসত কথা,
তার ফুরিয়েছিল কাল,
আয়ুষ্কাল পূর্ণ হলে, এরূপ গতি হয় সব
কাল ফুরালে করেনা কাল, কালাকাল
. অকালে কাল কবলে,
পাগল হয়ে কত মা বাপ্ ফিরছে অনি
কোথাও কোলের ছেলে
মা বাপে যাচ্ছে চলে তেয়াগিয়ে এ সং
দিন ফুরালে দেখরে পাখী, ভবে থাকতে
. পতিহারা হয়ে কত,
নীরবে নয়ননীরে, ভাসায় বুক ধরার |
আবার, কত যুবক, পত্নী শোকে, করছে
মরেনা জরাগ্রস্থ, অস্তি চর্ম্ম, মায় সার
যাহার, নাই সহায় কেহ
মনে বলে মরণ হলে মুক্তি হ’ত তার |
সে মরে না, মরে যত, যুবক, বালক,
. ফল কথা কাল অন্ত হলে,
অনুপল রয়না কেহ,
কারো প্রতি নাই করুণা,
বউ কথা কও পাখী
পলায়িতা বধূর অন্বেষণ ভাবিয়া
ভুলুয়াবালা, উচ্ছ্বাস তরঙ্গিণী গ্রন্থ, ১৯১২
. বউ কথা কও বলে তুমি ডেকে বে
বুঝিলাম এতক্ষণে অর্থ আমি এই কথা
মরে নাই সে পালিয়েছে,
বউ কথা কও বলি কর অন্বেষণ তাহা
কথা বল্লে ধরতে পার,
. ওমা কি লজ্জার কথা,
ভরা ঘরে দুয়োর দিয়ে,
মান ইজ্জতের ভয় করে না,
মুখ থাকে না কোনও কুলের,
এমন বউএর অন্বেষণে,
সে যখন বুঝলে না ব্যাথা,
আমার কাছে উচিত কথা,
তাহার সঙ্গে তেমনি করব,
. তার মত সে গেছে চলে দুঃখ কি
সর্ব্বনাশীর মরণ হলে,
তখন গোবরের এক পিণ্ডমেখে গলায়
বউ কথা কও বলি তুমি ডাকিওনা আ
. শুন, শুনরে পাখী!
তাতে বউ পেয়ে যে সুখে থাকা,
সারাদিন না হয় খাট,
খাটের উপর রাখ তারে
কিন্তু তবু কলি কালের বউএর মর্ম্ম পা
হায় তুমি যে বউএর লাগি,