কবি ভুলুয়া বালা - উনবিংশ শতকের মহিলা কবি। কিন্তু ১৯৩০ সালের, যোগেন্দ্রনাথ গুপ্ত রচিত
"বঙ্গের মহিলা কবি" গ্রন্থে এই কবির উল্লেখ পাই না। এই কবি শুধু "ভুলুয়া" নামেই কাব্যগ্রন্থ প্রকাশিত
করেছিলেন এবং "ভুলুয়া" ভণিতায় কবিতা লিখতেন। তাঁর জন্ম ও মৃত্যুর তারিখ আমাদের জানা নেই।
তিনি সম্ভবত অবিভক্ত বাংলার, ঘোষপুর - ফরিদপুরের অধিবাসী ছিলেন। কারণ তাঁর "উচ্ছ্বাস তরঙ্গিণী"
কাব্যগ্রন্থটি সেখান থেকেই প্রকাশিত করা হয়।

তাঁর প্রণিত "উচ্ছ্বাস তরঙ্গিণী" গ্রন্থটি, যা ১৯১২ সালে প্রকাশিত হয় (তৃতীয় মুদ্রণ), আমাদের হাতে এসেছে।
বইটি শ্রী জ্ঞানেন্দ্রমোহন রায় প্রকাশিত করেন। এই বইটি নিশ্চয়ই যথেষ্ট জনপ্রিয় হয়েছিল যার জন্য  বার
বার ছাপতে হয়।

এই বইটির সম্বন্ধে উচ্চ অভিমত প্রকাশ করেছিলেন সাধক-কূলতিলক প্রভুপাদ বিজয় কৃষ্ণ গোস্বামী,
নৈমিষারণ্যের রামানুজ সম্প্রদায়ের সর্বপ্রধান গুরুমহারাজ লক্ষ্মীদাস বাবাজী, হনুমান প্রসাদ বাবাজী,
যোগেন্দ্রনাথ বিদ্যাভূষণ, প্রমুখ।

ভুলুয়া বালা সম্ভবত শাক্ত পদাবলীর কবি। তিনি বৈষ্ণব পদাবলীও লিখেছেন। শিবচন্দ্র বিদ্যার্ণব, নিগমানন্দ
সরস্বতীর সাথে ভুলুয়া বালার নাম এসেছে।

The Encyclopaedia Of Indian Literature, Volume 5, By Mohan Lal  এ ভুলুয়া বালার উল্লেখ রয়েছে।

কবি ভুলুয়া বালার সম্বন্ধে আমরা এর বেশী তথ্য পাইনি। খানিকটা অপ্রাসঙ্গিক হলেও উল্লেখ করছি যে
নোয়াখালী জেলার প্রাচীন নাম ছিল ভুলুয়া। ত্রিপুরা থেকে নেমে আসা ডাকাতিয়া নদীর বন্যা থেকে বাঁচার
জন্য ১৬৬০ সালে একটি দীর্ঘ খাল খনন করা হয়, যার পর থেকে নোয়াখালী নাম হয়। নোয়া - নতুন, খালী -
খাল। কবি কি এই ভূখণ্ডেরই মেয়ে ছিলেন! তিনি ভণিতায় ব্যবহার করতেন ছদ্মনাম "ভুলুয়া" এবং "ভুলুয়া
বালা" নামে পরিচিত ছিলেন, যার মানে হয় "ভুলুয়ার কন্যা"! কেউ যদি সঠিক তথ্য দিয়ে আমাদের এই সব
সংশয় দূর করতে সাহায্য করেন তা হলে আমরা তাঁর নাম এখানে উল্লেখ করবো।


আমরা
মিলনসাগরে  কবি ভুলুয়া বালা-র কবিতা তুলে আগামী প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দিতে  পারলে,  
আমাদের এই প্রচেষ্টা কে সার্থক বলে মনে করবো।

কবি ভুলুয়া বালার মূল পাতায় যেতে এখানে ক্লিক করুন



আমাদের ই-মেল -
srimilansengupta@yahoo.co.in     


এই পাতা প্রকাশ - .০৫.২০১২
...