কবি বিভাবতী দেবী চৌধুরাণী – সম্বন্ধে আমাদের কাছে বিশেষ তথ্য নেই। কিন্তু তাঁর কবিতা এত
ভাল লেগেছে যে আমরা তাঁর কাব্যগ্রন্থ “খোঁজে” থেকে সবকটি (২০টি) কবিতাই মিলনসাগরে তুলে দিলাম।
তাঁর একটি কাব্যগ্রন্থ “খোঁজে” প্রকাশিত হয়েছিল পোঃ মুক্তাগাছা, ময়মনসিংহ থেকে, ১৩৩২ বঙ্গাব্দে (১৯২৫
সাল)। প্রকাশক ছিলেন শ্রী প্রমোদরঞ্জন ভট্টাচার্য্য। বইটির প্রাপ্তিস্থান ছিল প্রকাশকের নিকট এবং অশুতোষ
লাইব্রেরী, আলবার্ট লাইব্রেরী, ভট্টাচার্য্য এণ্ড সন্স প্রভৃতি কলিকাতা ও ঢাকার প্রধান প্রধান পুস্তকালয়। বইটি
মুদ্রিত করেন এস.এ.গন্নি, ঢাকার অ্যালেক্সান্ড্রা প্রেস থেকে।
এ ছাড়া আমাদের কাছে কবি সম্বন্ধে আর কোনো তথ্য নেই।
কাব্যগ্রন্থটি যেহেতু ঢাকা থেকে ছেপে বেরিয়েছিল এবং কবির নাম দেখে মনে হয় তিনি কোনো জমিদার বা
রাজন্যবর্গের বধু ছিলেন, আমরা গবেষকদের ঐ সময়ের একই নামের এক মহিলার নাম মনে করিয়ে দিতে
চাই। তিনিও ছিলেন বিভাবতী দেবী চৌধুরাণী এবং তিনিও ঢাকা এবং ঢাকার নিকটেই বসবাস করতেন।
একটি ভিন্ন কারণে তাঁর নাম খবরের কাগজে উঠে এসেছিল সেই সময়ে। এই বিভাবতী দেবী চৌধুরাণী
ছিলেন ভাওয়ালের মেজকুমার রমেন্দ্র নারায়ণের বিবাহিতা স্ত্রী! ভাওয়ালের মেজকুমারের প্রত্যাবর্তন নিয়ে
সেই সময়ে ভাওয়াল সণ্ণ্যাসীর মামলা সাড়া জাগিয়েছিল।
আমাদের এই কবি এবং ভাওয়ালের মেজকুমারের স্ত্রী একই ব্যক্তি কিনা আমরা জানিনা। কিন্তু এ বিষয়ে
ভাবনাচিন্তার অবকাশ রয়েছে।
কবি বিভাবতী দেবী চৌধুরাণী ও তাঁর কবিতা সম্বন্ধে আরও তথ্য ও তাঁর একটি ছবি যদি কেউ আমাদের
পাঠান তাহলে আমরা, আমাদের কৃতজ্ঞতা স্পরূপ প্রেরকের নাম এই পাতায় উল্লেখ করবো।
আমরা মিলনসাগরে কবি বিভাবতী দেবী চৌধুরাণীর কবিতা তুলে আগামী প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দিতে
পারলে এই প্রচেষ্টার সার্থকতা।
উত্স --- কবির কাব্যগ্রন্থ "খোঁজে"।
কবি বিভাবতী দেবী চৌধুরাণীর মূল পাতায় যেতে এখানে ক্লিক করুন।
আমাদের ই-মেল - srimilansengupta@yahoo.co.in
এই পাতার প্রথম প্রকাশ - ১০.১২.২০১৪
...