WORLD CUP - এর জন্য ধোনী কে জানাই ধন্যবাদ গম্ভীরের সেঞ্চুরী না হওয়ায় আমার খুবই মন খারাপ | সেহবাগ তুমি একি করলে, “O” রানে “OUT” যুবরাজ পরের বছর খেলবে কিনা এটাই আমার DOUBT রায়না ছিল দারুন ফর্মে আটকে রাখা কঠিন, শততম সেঞ্চুরী করেও হার মানল না শচীন | মুনাফ পটেল, জাহির খান করল দারুন বল তাদেরকে দেখে ভয় পেয়ে গেল শক্তিশালী শ্রীলঙ্কা দল | স্পিন বলে ভাজ্জি তুমি মাচা দিয়া ধামাল, আশ্বিনের জায়গায় শ্রীসন্তকে নিয়ে করল ধোনী কামাল | আগামী বছরও জিতবে নতুন কোহলির বাহিনী তখনও কেউ ভুলবে না 2011-এর এই অসীম আনন্দের কাহিনী ||
আসল বন্ধু চেনা যায় আসল সময় এলে, প্রকৃত বন্ধু চেনা যায় বিপদ আপদ হলে | সুখ দুঃখে সর্বদাই বন্ধু থাকে পাশে সব সময়ই বন্ধু থাকে হাতে হাত ধরে সুসময়ে বন্ধু সে নয় অসময়ে যে--- অসময়ের বন্ধু সে তো প্রকৃত বন্ধুরে ||
স্পট্ ফিক্সিং (Spot Fixing) কবি বিদিশা করীম (৭ই জুন ২০১৩ তারিখে রাত ১১টা ৪৫ মিনিটে, CTVN টেলিভিশন চ্যানেলের একটি অনুষ্ঠানে, এই প্রতিবাদী কবিতাটি টেলিফোনে সরাসরি পাঠ করে শোনায় আলিপুর বহুমুখী রাশ্ট্রীয় বালিকা বদিযালয়ের নবম শ্রেণীর ছাত্রী বিদিশা করীম।)
IPL এর কলঙ্ক শুধু নয় . তুমি ভারতীয় ক্রিকেটের কলঙ্ক তোমার বিরুদ্ধে পুলিশের তল্লাসিতে . মিলে যাচ্ছে সব অঙ্ক সারা বিশ্বে ঘুরে বেড়াচ্ছে . শ্রীসন্ত, তোমার ওই স্পট্ ফিক্সিং কাণ্ড কী য়ে খারাপ কাজ করেছ, অজিত, অঙ্কিত আর তুমি . এবার বুঝতে কি পারছো ? তোমার নিজের মুখ শুধু নিচু হয় নি . তোমার দলের সতীর্থদের কাছে তুমি ভারতীয়দের মাথা নিচু করেছ . সারা বিশ্ববাসীর মাঝে তুমি নাকি ধোনীর Lucky Champ . তোমার কাজ নাকি দলকে তাতানো তোমার এই টাকার লোভে . উচিত তোমাকে জাতীয় দল থেকে হটানো এই টাকার লোভে IPL আজ দাঁড়িয়ে কঠগড়ায় . লীগ বন্ধ হলে, অজিত অঙ্কিত না শ্রীসন্ত . দোষটা হবে কার ?
ক্রিকেট মহলে প্রশ্ন এখন . কেন এত বেটিং টাকার জন্য ক্রিকেটাররা . করছে কেন ফিক্সিং ?? উদ্বোধনে মেতেছিল এবার . টলিউড বলিউড জুয়ার জালে জড়িয়ে গেল . বলিউড টলিউড খেলা মানে শুধুই আনন্দ . থাকবে হার-জিত বেটিং না করে ব্যাটিং দেখ . তবে ক্রিকেটের হবে জিত জুয়া না খেলে ক্রিকেট খেল . সেটাই আসল মিথ্।
ফাদার্স ডে কবি বিদিশা করীম (১৬.০৬.২০১৩ বিশ্ব পিতৃ দিবসে লেখা)
কাজের ফাঁকে আব্দারের সাথী তুমি পাপা তোমার ভালোবাসার গভীরতা যাবে নাতো মাপা তুমি আমার চাওয়া পাওয়া, তুমিই আমার সব আমায় নিয়ে দেখা স্বপ্ন করবোই বাস্তব তোমার সুখের হাসি আমি রাখব অবিচল স্বপ্ন তোমার সত্যি করে মুখ করবো উজ্জ্বল স্বপ্ন চোখের পাতায় এনে, মাথায় দাও হাত মানুষের মত মানুষ হই এমন কর আশির্বাদ আজকে বিশ্বে পিতৃদিবস, সন্তানদের শুভ কামনায় সব বাবারা তাদের যেন ভরায় ভালোবাসায়।
জীবন্ত কিংবদন্তী কবি বিদিশা করীম (৭.১১.২০১৩. সচিন তেন্দুলকারের কলকাতার ইডেন গার্ডেন্স এর শেষ টেস্ট উপলক্ষে লেখা।)
শচীন, তোমার ক্রিকেট ম্যাজিক দেখার সময় হলো শেষ বিদায় লগ্নে বিশ্ব যেন হারিয়েছে ক্রিকেট খেলার রেশ। চব্বিশ বছরে সুখ-দুঃখের দেশের ছিলে তুমি সঙ্গী--- ভুলবো না তোমার ক্রিকেটের সেই রাজকীয় ভঙ্গী তোমার জীবনের স্মরণীয় সাক্ষী শুধুই মাঠ তোমার কাছে নেবে হবু ক্রিকেটাররা অ-আ-ক-খ এর পাঠ। T-20, Oneday, Test থেকে একে একে বিদায় বললে তুমি তোমার হৃদয়তলে ঝুঁকে প’ড়ে তোমার চরণ চুমি, ইডেন এখন সেজেছে ছবিতে, শচীন বিদায়ে সারা জীবন থাকবে তুমি, বিশ্ববাসীর হৃদয়ে। ১৯৯তম test এর জন্য রইল হার্দিক শুভেচ্ছা নতুন শচানের আশায় আবার ইডেন করবে অপেক্ষা--- শচীন তোমায় ভুলিনি আর কখনও ভুলবো না দেখবো আবার আমরা তোমার অন্য ভূমিকা॥
নবম শ্রেণী, মাল্টিপারপাস গভঃ গার্লস স্কুল (আলিপুর)
দুর্গতি নাশিনীর মর্তে আগমন কবি বিদিশা করীম একাদশ শ্রেণী, আলীপুর মাল্টিপারপাস গভঃ গার্লস স্কুল [১৪২২ বঙ্গাব্দের শারদোত্সবে (২০১৫) লেখা ]
শরৎ কালের আকাশ মানেই পুজো পুজো ভাব পুজোর গন্ধে ভোলে সব না পাওয়ার অভাব। মর্তের মেয়ে ফিরে আসেন বাপের বাড়ীর টানে মর্তের লোক চেয়ে থাকেন, এই দিনটার পানে। স্নেহ ভালবাসার টানে, মা আসেন বাপের ঘরে সঙ্গে বাহন সিংহ এবং চার সন্তান নিয়ে। মামাবাড়ী আসেন কার্তিক ময়ূরের পেখম ধরে ছোট্ট, সরস্বতী আসেন হাঁসের পিঠে চড়ে। লক্ষ্মী হয়ে লক্ষ্মী ঠাকুর লক্ষ্মী পেঁচা আনেন, শুঁড় তুলে গণেশ আবার ইঁদুর সঙ্গ ধরেন। মা তুমি যখন আসো, মানুষ সব কষ্ট ভুলে যায় সব যন্ত্রণা ভুলে, নতুন করে শুরু করতে চায়॥
ঢাকের কলতানে, তোমার হয়গো আহ্বান কিন্তু মানুষের যন্ত্রণায়, তুমি হও মুহ্যমান। তোমার কানে যায় কি মাগো, শত কান্নার জল? তোমার মর্তের মানুষ মাগো দুঃখে টলমল। তোমার এই মর্তে মাগো, আজও জাত নিয়ে মারামারি আর কতদিন সইবে মাগো, এসব হানাহানি? তোমার মর্তে বয় গো মাগো, রক্ত-লাশের শ্রোত এইবার তুমি জ্বলে উঠে, দেখাও তোমার ক্রোধ। শুধু তোমার আগমনে, মানুষ জাত পাত ভুলে যায় দ্বিধা দ্বন্দ্ব ভুলে তারা এক হয়ে যায়। যতই থাক দ্বেষ-বিদ্বেষ, যতই থাক খেদ তোমার আগমনে, মোছে মাগো সব ভেদাভেদ। মা তুমি মর্তে আসো শুধু হিন্দু মেয়ে হয়ে নয় তোমায় নিয়ে মেতে ওঠে, সব সম্প্রদায়॥
এসো মা জাগো মা, তোমারে করি প্রণাম, তোমার এই ত্রিশূলে গেছে, হিংস্র অসুরের প্রাণ। সেই ভাবে তুমি ভঙ্গ করো, এই মর্তের নিয়ম, জাতের নামে যারা বজ্জাতি করে, করোনা তাদের রহম। সেই ত্রিশূলে বিদ্ধ করো মর্তের ক্রন্দন দশ হাতে মা বদ্ধ করো স্নেহের বন্ধন। থামিয়ে দাও এ যন্ত্রণা, থামিয়ে দাও রাগ পুজোর চারটে দিনের মতো, যেন থাকে এমন ভাব॥