কবি বিজয় গুপ্ত-র মনসামঙ্গল কাব্য যে কোন কবিতার উপর ক্লিক করলেই সেই কবিতাটি আপনার সামনে চলে আসবে।
|
চম্পক নগর মধ্যে দেও ত ঘোষণা | নৃত্য গীত বাদ্য আর বিয়া কর মানা || সোনেকার বচনে চান্দর বড় হইল হাস | এই মুখে কর তুমি আমার গৃহবাস || লক্ষ্মীন্দরের বিয়া শুনি সর্বলোকে সুখী | কেন বা কাঁদিছ প্রিয়ে হয়ে অধোমুখী || স্বামীর বোলে সোনেকার দুঃখ লাগে গায় | ভূমিষ্ঠ হইয়া পড়ে স্বামীর দুই পায় || কোন অপরাধ করি নাই বিধাতার ঠাঁই | তবে কেন এত তাপ দিতেছ গোসাঞি || চান্দ বলে শুন প্রিয়ে আমার উত্তর | মহাদেব আমাকে দিয়াছেন পুত্র বর || প্রকারে প্রবন্ধে আজি করিব উপায় | বিহাহের রাত্রি গেলে নাহি আর ভয় ||
. **************** সূচি...
মিলনসাগর
|
কোণে কোণে মিলাইয়া দিল লোহার পাঁতি ||
ঘর নির্মাইয়া তারা ঘরে গেল ঝাট |
এক ভিতে দ্বার থুইয়া লাগাইল কবাট ||
বাহির দিয়া তবে সর্বলোকে চাই |
থাকুক অন্যের কাজ বায়ুগতি নাই ||
নির্মাইল লোহার ঘর অতি আনন্দিত |
পাত্র মিত্র লইয়া চান্দ আসিল ত্বরিত ||
লোহার ঘর দেখিয়া হাসেন কৌতুকে |
তারাপতি লইয়া চান্দ ঘরের ভিতর ঢোকে ||
আঁখি মেলিয়া চাহে ঘরের চারি পাশে |
সুতার সঞ্চার নাই বায়ু বায়ু না প্রকাশে ||
সাত পাঁচ ভাবিয়া চান্দ চিত্ত করে সার |
জনে জনে ইনাম দিয়া পাঠায় কামার ||
লোহার ঘর গড়িয়া যায় কামার সকল |
নেতার সঙ্গে পদ্মাবতী চিন্তিয়া বিকল ||
. **************** সূচি...
মিলনসাগর
চান্দর বাক্য আমি কভু খন্ডাইতে না পারি ||
এখানে আমারে সাধ বিষহরি আই |
পূর্বে কেন এ কথা না কহিলা মোর ঠাঁই ||
হের দেখ রাজপ্রসাদ পাইয়া মাত্র আসি |
এখানে যাইতে আমি চান্দর ভয় বাসি ||
আপনে দেখেছে ঘর চান্দ অধিকারী |
কোন প্রাণে সেই ঘরে ছিদ্র থুইতে পারি ||
কোপ কর তাপ কর যে হয় উচিত |
লোহার ঘরে ছিদ্র থুইতে বড় বাসি ভীত ||
আমার ঘর হইতে মা তোমার কোন কার্য নাই |
আর উপায়ে দংশ গিয়া সুন্দর লখাই ||
( এতেক শুনিয়া ক্রুদ্ধ হইল পদ্মাবতী |
বিজয় গুপ্ত রচে পুথি করিয়া প্রণতি|| )
কামারের কথায় দুঃখ লাগে বড়ি |
সংবাদ পড়িল গাইন বলরে লাচারি ||
. **************** সূচি...
মিলনসাগর
অতি উচ্চ লোহার ঘর যেন দেউল |
চারিদিকে থুইল পোষানিয়া নেউল ||
ঝাঁকে ঝাঁকে বেড়ায় নেউল ঘরের বাহিরে ফেরে |
সর্পের লাগ পাইলে বিকট দন্তে ছেঁড়ে ||
হেন মতে লোহার ঘর করিয়া সন্ধান |
আপন আবাসে চান্দ করিল পয়ান ||
. **************** সূচি...
মিলনসাগর
কবি বিজয় গুপ্তর মনসা মঙ্গল
লোহার বাসর ঘর নির্মাণ পালা
১ কেহ হাসে কেহ নাচে কেহ গীত গায় | শুনিয়া চঞ্চল হইল দেবী মনসায় || নেতার সঙ্গে পদ্মাবতী যুক্তি করিয়া | কপটে সোনেকার মাসী হইল আসিয়া || এতেক নেতার সঙ্গে করিয়া যুকতি | মাসীরূপে চলিয়া গেল দেবী পদ্মাবতী || ঘাটের নিকটে রহিলা মন কুতূহল | দাসীগণ আসিল তথা ভরিবারে জল || পদ্মারে দেখিয়া তারা জিজ্ঞাসে উত্তর | কি নাম তোমার হেথা কেন একেশ্বর ||
|
কবি বিজয় গুপ্তর
মনসা মঙ্গল
লোহার বাসর ঘর নির্মাণ পালা
২
লোহার মন্দির ঘর করিব গঠন |
তাহার মধ্যে রজনীতে থুইব দুই জন ||
( গাড়ুরিয়া ওঝা থোব চৌদিকে রক্ষক |
কবি বিজয় গুপ্তর
মনসা মঙ্গল
লোহার বাসর ঘর নির্মাণ পালা
৩
দেবী বলেন নেতা কি হবে উপায় |
কবি বিজয় গুপ্তর মনসা মঙ্গল
লোহার বাসর ঘর নির্মাণ পালা
৪
লইব লখাইর জীবন রাখিবেক কোন জন মোর সনে কে করে বিবাদ | নাশিব তাহার বংশ সমূলে করিব ধ্বংস ঘুচাইব বিবাদের সাধ ||
|
কবি বিজয় গুপ্তর
মনসা মঙ্গল
লোহার বাসর ঘর নির্মাণ পালা
৫
কামারের বোলে পদ্মা জ্বলিলেক কোপে |
অতি ক্রোধে পদ্মাবতী থর থর কাঁপে ||
দেবী মূর্তি এড়িয়া নাগিনীমূর্তি ধরে |
এই পাতায় কোনো ভুল-ত্রুটি চোখে পড়লে অথবা যদি কোথাও ভুল বলে মনে হয়, তাহলে আমাদের এই ইমেলে জানাবেন। আমরা শুধরে নেবার চেষ্টা করবো। srimilansengupta@yahoo.co.in
|
|
|