কবি বিমলচন্দ্র ঘোষ-এর কবিতা ও গান
*
শোনো বন্ধু শোনো
( গানটি গেয়েছিলেন হেমন্ত মুখোপাধ্যায় )
কবি বিমলচন্দ্র ঘোষ

শোনো বন্ধু শোনো
প্রাণহীন এই শহরের ইতি কথা
ইঁটের পাঁজরে লোহার খাঁচায়
দারুণ মর্মব্যথা

এখানে আকাশ নেই
এখানে বাতাস নেই
এখানে অন্ধ গলির নরকে
মুক্তির আকুলতা

জীবনের ফুল মুকুলেই ঝরে
সুকঠিন ফুটপাথে
অতি সঞ্চয়ী ক্রুর দানবের
উদ্ধত পদাঘাতে

এখানে শান্তি নেই
এখানে স্বস্তি নেই
প্রাসাদ নগরে জ্ঞানবিলাসের
নিদারুণ রসিকতা



.                     ****************      
.                                                                         
সূচিতে . . .     

এই গানটি আমরা রেকর্ডে শুনে লিখেছি | তাই দাঁড়ি-কমা ইত্যাদি যতিচিহ্ন
দেওয়া সম্ভব হয় নি |

মিলনসাগর
*
দুপূরবেলার চম্পূ
কবি বিমলচন্দ্র ঘোষ

সারা দুপুর ব'সে ছিলুম বকুলগাছের তলায় |
আশেপাশে কত গাছপালা
কত ফল-ফুল, কত লতা-পাতা,
বর্ষা তখন শেষ হয়েছে
আকাশ তখন স্বচ্ছ
মেঘেরা সব হারিয়ে গেছে নিরুদ্দেশের পথে |

কিসের যেন গন্ধ পাচ্ছি
বলতে-না-পারা বনের মিঠে গন্ধ,
সামনে খানিকটা জল জ'মে আছে
অনেক দিনের আকাশ-ঝরা জল |

সে জল তখনো শুকোয় নি
বেরুবারও পায় নি পথ
ভিজে মাটির আলিঙ্গনে নববধূর মতো কাঁপছে |
তার বুকের তলায় থিতিয়ে আছে
অনেক মাটি, অনেক কাঁকড়---
অনেক ছিন্ন মুকুল
অনেক জীর্ণ ঝরা পাতা |

তার সেই বাতাস লেগে শিউরে-ওঠা বুকের ওপর,
লুটিয়ে পড়েছে দুপুরবেলার সূর্য,
পতির অনুপস্থিতিতে গোপচারী উপপতির মতো
ভয়ে-ভয়ে সন্তর্পণে,
দুপুরবেলার বিজন অবকাশে |

হঠাৎ একটু দূরেই দেখি
একটা বাতাবি গাছ আর বাবলা গাছের ফাঁকে
অপূর্ব অদ্ভুত এক ছবি,
হার মানে তার রং ধরাকে মানুষ-শিল্পীর তুলি,
কল্পনাও থমকে দাঁড়ায় কিছুক্ষণের শোভায়
মুগ্ধ হ'য়ে অবাক হ'য়ে দেখি ;

ভোরবেলাকার শিশিরকণার মুক্তো দিয়ে গাঁথা
ঊর্ণনাভের সূক্ষ্ম জালে সোনার কিরণ লেগে
ছোট্ট গীতিকাব্য একটি কাঁপছে থরো থরো
ঊর্ণনাভের আটটি বাহুর কোমল আলিঙ্গন |

দেখতে-দেখতে ভুলে গেলুম আমার জীবন,
আমার মরণ, আমার লক্ষ মায়া |
ঊর্ণনাভের সামাজিক নামটা উচ্চারণ করতে
মনে আঘাত পেলুম |

ভাবলুম ঊর্ণনাভ ভালোবাসে
দুপুরবেলার সোনালী সূর্যকে
আর তার হীরকবর্ণ অদ্ভুত দুটি চোখে দেখলুম
গহন রাতের অপূর্ব আক মায়া |


.                     ****************      
.                                                                         
সূচিতে . . .     



মিলনসাগর
*
বিপ্লব
কবি বিমলচন্দ্র ঘোষ

ঐ দিগন্ত জুড়ে দেখা যায় নব রক্ত-বহ্নিশিখা
.                ওকি মহাবিপ্লবে প্রলয়ের মরীচিকা?
ঐ গুরু গুরু গুরু মৃত্তিকা---বুকে বিস্ফোরণের শব্দ
.                সারা আকাশ বাতাস স্তব্ধ!
আসে, দুর্ভিক্ষের ধূমল আঁধারে শান্তির বিভীষিকা
.                ওকি, ধৈর্যের শেষ মুক্তির মরীচিকা?

ঐ অগ্নি-সাগর সন্তরি চলে কোটি কোটি নরনারী
.                ডাকে মুক্তি-মাতাল কারাগারে কাণ্ডারী ;
বাজে, প্রাণে প্রাণে ঐ রুদ্র-ডমরু স্তোত্র রচিছে স্বর্গ,
.                আজ জেগেছে দেবতাবর্গ,
আজ প্রভাতসূর্য আলোয়জ্বলিছে মুক্তির তরবারি,
.                ডাকে হুংকার ছাড়ি কারাগারে কাণ্ডারী |

ঐ ভুখা ভগবান মুক্তির গান গাহে গুরুগর্জনে
.                শুভ লগ্নে জাতির স্বাধীনতা অর্জনে ;
ঐ যে বেজেছে বিষাণ, জেগেছে কিষাণ, জেগেছে শ্রমিক সংঘ
.                জাগে সজ্জিত চতুরংগ ;
ঐ মানবে দানবে মত্ত যুগের সমুদ্র-মন্থনে
.                আজ, বিজয়োল্লাস দুঃসাহসিক মনে |

.                     ****************      
.                                                                         
সূচিতে . . .     



মিলনসাগর
*
ঝিলিমিলি
কবি বিমলচন্দ্র ঘোষ

খুকু বলে, আয় খেলি পদ্যের মিলমিল |
ঝাউবনে রোদ কাঁপে ঝিলমিল ঝিলমিল ||
মুখে আমি বলে যাই, লেখ তুই খোল খাতা |
খোকা বলে ভালো মিল, "খোল খাতা, কোলকাতা ||"
খুকু বলে, "বারে খোকা, কী যে ভালো মিলটা |"
খোকা দেখে আকাশেতে উড়ে যায় চিলটা ||
মিলমিল খেলা ছেড়ে চেয়ে থাকে দু'জনে |
হঠাৎ চমকে ওঠে কোকিলের কূজনে ||

.            ****************      
.                                                                         
সূচিতে . . .     



মিলনসাগর
*
শান্তিপর্ব
কবি বিমলচন্দ্র ঘোষ

যুদ্ধ-নাট্যে যবনিকা ; শান্ত মৃত্যু প্রলয়-তিমিরে |
কবরে কঙ্কাল হাসে, চৌরঙ্গীতে সোডা-লেমনেড
উদ্দাম মদের ফেণা বৈদেশিক শিবিরে শিবিরে |
বুভুক্ষুর মাংস খেয়ে মোটা হলো কুমীরের পেট,
দু'হাতে লুটেছে টাকা নরপশু মহামন্বন্তরে
লোভের অসাড় কুষ্ঠে হৃদয়ের লুপ্ত অনুভূতি
ব্যাঙ্কে ব্যাঙ্কে ছেয়ে গেল ভেকছত্র পল্লীতে নগরে,
অলস ভুঁড়ির ভারে কোমরে আঁটে না মিহি ধুতি |
অথচ বিবস্ত্রা নারী গ্রামে গ্রামে আত্মহত্যা করে
শ্মশানে-শ্মশানে জ্বলে কিষাণের কঙ্কালের চিতা
চৌর্যধর্মী কুম্ভীরেরা উল্লাসে উদ্দাম স্পর্ধাভরে
নারীপণ্যে পূণ্যবান পাঠ করে স্বধর্মের গীতা---
পাপ পঙ্কে কী নিঃশঙ্ক! নবোদিত সূর্যের আভায়
সত্যের উলঙ্গ মূর্তি চোখে আজ কী বীভত্স লাগে!
আসমুদ্র হিমাচলে যুদ্ধান্তের উত্সব কোথায়?
শুনেছি ধ্বংসের বুকে মুকুলিত রক্তজবা জাগে!

শুনেছি সহস্রশিখা বিপ্লবের বহ্নিপুষ্পবনে
অনুকূল ঝঞ্ঝাবেগে ব্যাপ্ত করে স্ফুলিঙ্গ-সৌরভ,
জাগায় বিপুল সাম্য সঙ্ঘবদ্ধ জনতার মনে
অজেয় যৌবন-শক্তি, স্বদেশের মুক্তির গৌরব |
কোথা সে উজ্জ্বল দিন বলিষ্ঠ প্রাণের জন্মভূমি
শৃঙ্খল মুক্তির পণে পদাতিক সন্তানের দল
সংগ্রামের শুভলগ্নে পশুহন্তা খরখড়গ চুমি
উদ্বেলিত গণ-গঙ্গা কতদূরে জীবন্ত চঞ্চল?
এখনো বিষণ্ণ রাত্রি অনশনে বিষণ্ণ স্বদেশ
কত দূরে? কত দূরে? প্রাণোজ্জ্বল সৃষ্টির সূচনা?
এখনো শিতল রক্তে ম্রিয়মান মুমূর্ষুর বেশ
এখনো ভিক্ষুক-বৃত্তি, কূটতর্ক, মিথ্যা আলোচনা |

দ্রুতপক্ষ যন্ত্র-শ্যেন ফিরে গেল বিমানঘাঁটিতে
তৃপ্তিহীন অসমাপ্ত রণোল্লাস পারমাণবিক,
সভ্যতার বর্বরতা অন্তরীক্ষে সমুদ্রে মাটিতে
শান্ত হল যুদ্ধ-নাট্যে ; ক্ষুব্ধ তাই সাম্রাজ্যতান্ত্রিক |
ফ্যাসিস্ট মরেছে তার রুষ্টপ্রেত নানা ছদ্মবেশে
ভিন্ন গোত্রে, ভিন্ন নামে এখনো রয়েছে বিদ্যমান
প্রগতি-বিদ্বেষী ক্রূর সর্পদল স্বদেশে বিদেশে
সাম্রাজ্য-বাণিজ্য-লোভে সুযোগের খুঁজিছে সন্ধান |
দৃপ্ত তাই গণশক্তি শ্রমিকের নব অভ্যুদয়ে
ধনলুব্ধ বণিকেরা পরাজিত চঞ্চল বিহ্বল?
পশ্চিমে জাগ্রত প্রাণ পঞ্চবর্ষ বহু রক্তক্ষয়ে
প্রতিক্রিয়া-প্রতিরোধে সঙ্ঘবদ্ধ অচল অটল |
শুনেছি মাভৈঃ বাণী পাশ্চাত্যের নবীন সমাজে
রণক্লান্ত যোদ্ধাদল পৃথিবীতে স্থায়ী শান্তি চায়?
শান্তিবাদী প্রভুদের প্রচারের ভেরী-তূরী বাজে
যান্ত্রিক সভ্যতা জুড়ে | ভারতের সান্ত্বনা কোথায়?
কূটচালে কিস্তিমাত পরস্পর হিন্দু-মুসলমান
বৈপরীত্য না-ঘোচালে, না-মানিলে উভয়ের দাবি
প্রভুদের সাধ্য নেই সঙ্কটের করে অবসান
ততদিন, হে স্বদেশ, পঙ্কে ডুবে খাও শুধু খাবি!


.                 ****************      
.                                                                         
সূচিতে . . .     



মিলনসাগর
*
এক ঝাঁক পায়রা
কবি বিমলচন্দ্র ঘোষ

উজ্জ্বল এক ঝাঁক পায়রা
.                সূর্যের উজ্জ্বল রৌদ্রে,
.                চঞ্চল পাখনায় উড়ছে |
নিঃসীম ঘননীল অম্বর
গ্রহতারা থাকে যদি থাক নীল শূণ্যে |
.                হে কাল, হে গম্ভীর,
.                অশান্ত সৃষ্টির
.                প্রশান্ত মন্থর অবকাশ,
.                হে উদাসীন বারোমাস!


চৈত্রের রৌদ্রের উদ্দাম উল্লাসে
.                তুমি নেই, আমি নেই, কেউ নেই,
শুধু শ্বেত পিঙ্গল কৃষ্ণ
.                এক ঝাঁক উজ্জ্বল পায়রা |


দুপুরের রৌদ্রের নিঃঝুম শান্তি
নীল কপোতাক্ষীর কান্তি
.                এক ফালি নাগরিক আকাশে
.                কালজয়ী পাখনার চঞ্চল প্রকাশে---
চৈতালি সূর্যের থমথমে রৌদ্রে
.                জীবন্ত উল্লাসে উড়ছে
.                পাঁচরঙা এক ঝাঁক পায়রা |


একফালি আকাশের কোল-ঘেঁষা কার্নিশ
.                রংচটা গম্বুজ, দিগন্তে চিমনি,
সোনার প্রহর কাঁপে চঞ্চল পাখনায়
ছোট্ট কালের ঘোরে প্রাণ তবু তন্ময়
.                লীলায়িত বিস্ময় |
.        সৃষ্টির সাক্ষর এক ঝাঁক পায়রা |


রূপালী পাখায় কাঁপে ত্রিকালের ছন্দ
.        দুপুরের ঝলমলে রোদ্দুর,
হে কপোত, পারাবত, পায়রা,
যে-দিকে দু-চোখ যায় দেখা যায় যদ্দুর
.                রূপালী পাখায় আঁকা শূণ্য |


আকাশী-ফুলের শ্বেত পিঙ্গল কৃষ্ণ
    কম্পিত শত শত উড়ন্ত পাপড়ি
তুমি নেই, আমি নেই, কেউ নেই,
.                দুপুরের ঝলমলে জীবন্ত রৌদ্রে
.                ওড়ে শুধু এক ঝাঁক পায়রা |


.                     ****************      
.                                                                         
সূচিতে . . .     


মিলনসাগর
*
উনুনে আগুন
কবি বিমলচন্দ্র ঘোষ

সারদিন কাজ করি সরকারী দপ্তরে
দারুণ খাটুনি খেটে অঙ্গে ঘাম ঝরে
যদিও মাথায় ঘোরে বৈদ্যুতিক পাখা
বিকেলে মলিন দেহ কালিঝুলি মাখা
ক্লান্ত পদে ঘরে ফিরি |
.                        শুধায় গৃহিণী ;
"লক্ষ্মীটি নিয়ে এসো পোয়াটাক চিনি
একছটাক শ্রীঘি আর পাঁচপো লাল আটা
ততক্ষণে শেষ করে রাখি বাটনা বাটা
উনুনে আগুন |"
.                মাথায় উনুন জ্বলে
উনুন জ্বালিয়া ওঠে ভীরু মর্মতলে |
গৃহিণী সচিব সখী মিত্রার আদেশে
দোকানের খাতা হাতে ক্লান্ত দীন বেশে,
তত্ক্ষণাৎ ছুটে চলি পণ্য বীথিকায়
উনুনের ধূম্রজালে সায়াহ্ন ঘনায় |

.             ****************      
.                                                                         
সূচিতে . . .     



মিলনসাগর
*
বৌ কথা কও
কবি বিমলচন্দ্র ঘোষ

আকাশে চাঁদ মাটিতে চাঁদ, চাঁদ যে বুকের মধ্যে,
ছড়ায় বেঁধে ব্যথায় কেঁদে চাঁদকে মেলাই পদ্যে |
রাত্রি তখন দুপুর
থেমেছে ট্রামের ঘরঘরানি ঝিঁঝিরা বাজায় নূপুর |

ইঁটবাঁধানো গলির মোড়ে তেতলা বাড়ির ছায়া |
মধ্যিখানে জড়িয়ে আছে চাঁদনি রাতের মায়
ঘুমের নেইকো দেখা
গুমোট ঘরে রাত কাটে না মনটা বড়োই একা |

নিঝুম রাতের জ্যোত্স্না এসে স্মৃতির ভাঁড়ার লোটে
ফাগুন হাওয়ার সিঁদকাঠিটা বুকের মধ্যে ফোটে
হৃদয় ফেটে কাব্য ঝরে ব্যাথার শোণিতপারা
রূপকথা নয়, রূপকথা নয়, এই জীবনের ধারা!
তাকাই পথের পানে
ঘুমভাঙা রাত গুমরে ওঠে ফাগুন হাওয়া গানে |

অন্ধ গলির আবর্জনায় লুটোয় চাঁদের কণা
দুঃখবাদের কালনাগিনী নাচায় ক্ষোভের ফণা
বিষের জ্বালায় অঙ্গ জ্বলে তেতলা বাড়ির তলায়
চ্যাপটা মনের পরশ লাগে চাঁদের ষোলোকলায়
শিউরে ওঠে চাঁদ
মাটির উপর লুটিয়ে কাঁদে রূপের ছেঁড়া ফাঁদ |

হঠাৎ কোকিল ডাক দিয়ে যায়করুণ আর্তনাদে
গলির ভেতর পূর্ণিমা চাঁদ হুমড়ি খেয়ে কাঁদে
রূপতরাসী ভাড়াটে ঘর সূরকিখসা দ্যালে
ডাইনি-চোষা ঘুলঘুলিটা চাঁদের ছায়া ফ্যালে!
হায় রে! তবু লজ্জা কোথায় ঢাকি,
শূণ্য বুকে হঠাৎ ডাকে "বৌ কথা কও" পাখি?

.                 ****************      
.                                                                         
সূচিতে . . .     



মিলনসাগর
*
রেখা
কবি বিমলচন্দ্র ঘোষ

কাকেরা উড়ে যায়--- আকাশে আলোছায়া, সূর্য উদাসীন |
বিলীন বনমায়া, ঝিল্লি ঝঙ্কারে বিবাগী বালুচর ||
ওপারে পলাতক পাখিরা উড়ে যায়, সচল মসীরেখা |
বিজন মেঠোপথ ধূসর লোকালয়ে মিশেছে আঁকাবাকা ||

.                   ****************      
.                                                                         
সূচিতে . . .     



মিলনসাগর
*
ঝড় উঠেছে বাউল বাতাস আজকে হল সাথী
কথা - বিমলচন্দ্র ঘোষ,
সুর ও কণ্ঠ - হেমন্ত মুখোপাধ্যায়, ছায়াছবি - শাপমোচন

ঝড় উঠেছে বাউল বাতাস আজকে হল সাথী
সাত মহলা স্বপ্ন পুরীর নিভলো হাজার বাতি ||
রুদ্র-বীণার ঝঙ্কারেতে ক্ষুব্ধ জীবন উঠলো মেতে
সকল আশার রঙীন নেশা ঘুচলো রাতারাতি ||
আকাশ জুড়ে দীর্ঘশ্বাসের মাতন হলো শুরু
সুরের স্বপন ভাঙলো শুনে মেঘের গুরু গুরু ||
উঠছে ভুলে ঘূর্ণি হাওয়া সকল চাওয়া সকল পাওয়া
শুকনো পাতার মর্মরে আজ করছে মাতামাতি ||

.                 ****************      
.                                                                         
সূচিতে . . .     



মিলনসাগর