আমার সঙ্গে পথ চলা যায় না, পালিয়ে গেলে তাই। আমার খামখেয়ালীপনা আর শহর কিছুটা দায়ী। আমি ছিলাম লোকের ভিড়ে, তুমি ভাবলে লুকোচুরি। ব্রেক করে রাস্তা বদলে আমরা এখন পালিয়ে ঘুরি।
ব্রেকআপ তাই তোমার আমার,অনেক ভাল হারিয়ে যাক সব। আমিও কাল খুঁজে নেব ভোরের বাতাস আর পাখির কলরব।
জানি তোমার ভুল হয়েছে ,আমার চোখে স্বপ্ন খোঁজা। অনেক তো পথ চললেই নিয়ে সম্পর্কের বোঝা। অভিমানকে জিতিয়ে প্রেম পেল পরিণতি। ব্রেকআপ তাই তোমার আমার,স্তব্ধ হোক প্রেমের গতি
তাই ব্রেকআপ তুমি ভাল থেকো, জীবন জিও নতুন করে। আমি তো পথের ছেলে স্বপ্ন আমার ধুলোয় ওড়ে।
সত্যি কি ব্রেকআপ মানে পালিয়ে চলে জাওয়া , তবে কেন উদাস করে খামখেয়ালী হাওয়া। তবে কেন পাতার ওপর শিরির কণা ভাসে, চোখের কোঠায় বাতাস পেলে বৃষ্টি নেমে আসে।
আর কবিতা নয়, কল্পনায় দিগন্ত ছুঁতে চাইনা আর। অনেক জমানো হাই প্রোটিনের নেশায় জীবন আজ ছারখার। তাই ফুরিয়ে গেলাম, নিয়মের সঙ্গে । লড়বো আবার অনেক পরে সময়ের প্রশ্রয়ে। যেদিন খুব প্রয়োজন, ধুলো মুছলে পাবে খুঁজলে। তবে কবিতা থাকবে লুকোনো খাতায় আমার বুকের ওপরে, আমার প্রেয়সী হয়ে সুখ দুঃখে, আর মুজরো নাচবে না অন্ধের জলসাঘরে।
আর একটু যদি সমায় পেতাম,বন্ধু ফিরিয়ে দিতাম হারানো সে নাম। আমিও তো বন্ধু চলছি আবিরাম,ক্লান্তি কবিতাতে মাথাতে কালঘাম। কবিতারা শব্দ খোঁজে চোখ বোঝে কপালেতে ভাঁজ। বন্ধু ধুঁকছি তবুও পরে আছে অনেক কাজ।
প্রতিদিন সূর্য হারায় তোমার আমার আকাশ থেকে। অভ্যাসে যন্ত্রণারাও ঘুমিয়ে পরে কারো বুকে মাথা রেখে। আর একটু রাত যদি জাগতে পেতাম আমি দেখিয়ে শরীরের কি দাম। আর একটু যদি সমায় পেতাম,বন্ধু ফিরিয়ে দিতাম হারানো সে নাম।
বন্ধু মেখেছি আমি অনেক শরীর আমার শরীরে। বন্ধু তলিয়ে গেছি অনেক চোখের ভীরে। পাপ পুণ্য আজ কিছুই বুঝি না। একটু আরাম চাই তাই স্বপ্ন খুঁজি না। আর একটু যদি কাঁদতে পেতাম, ঘর বেঁধে নিতাম বড় শান্তি পেতাম।
কটা ঘর একটা শহর ছাল চামরাহীন কিছু পাখি, রাস্তার ধারে কিছু জঙ্গল তাতে ধুলোর মাখামাখি। চলছে গাড়ি চলছে ঘোড়া, পা আছে তবুও খোঁড়া। এই জগতটাই এভাবে মোরা, তবে বাঁচবে কিভাবে ওরা। চলছে না, চলবে না বলে চলে যায় সব। চিড়িয়াখানায় পাবে পাখির কলরব। হৃদয় পাবেনা খুঁজে, তবু হার্ড অ্যাটাক। গোমরা মুখে উত্তর বেঁছে আছি ঠিক ঠাক। আমরা সবাই একই রকম, সবাই খুব একা। রাত বাড়ে সাথে বাড়ে চোখের বলিরেখা ।
আমি তখনো তোমাকে চাই। যখন ক্লান্তিরা আমার কোমর ভেঙ্গে দেয়, বিছানায় শামুকের মতন গুটিয়ে যাই। নিদ্রা আরও গভীর নিদ্রা আমাকে পৃথিবীর মোহ মায়া থেকে সমাধিতে নিয়ে যায়। ধ্যান,ধারনা সুপ্ত থাকে আমার অবচেতন মণে, আমার অজান্তেই আমি বিলীন হয়ে যাই পরমাত্মায়। আমি তখনো তোমাকে চাই তাই পারিনা পরমাত্মায় বিলীন হতে। মণের টানে পথ হারাই। কারণ আমি তখনো তোমাকে চাই।
যখন নুন চাই জীবনে জীবন যেন নুন ছাড়া বাদাম ভাঁজা। ঢাল নেই তরোয়াল নেই নিধিরাম সরদার,ভিখারি হয়ে রাজা সাজা । একটু নুন চাই জীবনে,প্রেম এ একটু যৌনতা। ছানা থেকে ক্ষীর ডাক্তারের কাছে ভিড়,জন্মের আগে মৃত্যুর বাস্ততা। একটু নুন চাই জীবনে,ডাল ভাতে নুন অনেক কম। চোখের জল ও বিক্রিহয়,চলচ্চিত্রের পর্দাতে কাভি খুশি কাভি গম। নুন ঝরে শ্রমিকের শ্রমে,নুন ঝরে কৃষকের ঘামে। আমরা তো আছি অনেক আরামে। তবে গুন গাই কেন? না আমরা নুন খাই চরি গাড়ি ন্যানো । মিথ্যে রাজার গানে তবলা বাজাই,। ঐ সত্যি কে মিথ্যে বানিয়ে ভিখারি কে রাজা সাজাই।