কবি
বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রর
কবিতা
কর্তাবাবুর হাতী
কবি বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্র
নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী ও সরল দে সম্পাদিত “পাঁচশো বছরের কিশোর কবিতা” সংকলন থেকে।
কর্তাবাবুর যাচ্চে হাতী
. থপাস্ থপাস্ থপাস্
কলার খোসায় পা পড়তেই
. মাঝ রাস্তায় ধপাস!
“এই রামসিং উঠাও হাতী”
. চেঁচিয়ে বলেন কর্তা।
ভুঁড়ি নিয়ে সিংজী বলে,
. “হাঁথী কো ম্যায় ডর্ তা!”
“আ মোল যা, তাই বলে কি
. হাতী আমার শুয়ে
থাকবে পড়ে ?” কর্তা বলেন,
. “ঐখানেতে ভূঁয়ে ?”
“সকাল সন্ধে দিস্তে দিস্তে
. খাচ্ছ রুটি সেঁটে,
সে-সবগুলো যাচ্ছে কোথায়,
. থাকছে নাকো পেটে ?
ভুঁড়ির বহর তিন মণ-টাক,
. কুস্তি অত কর,
বাচ্চা হাতী তুলতে এখন
. কাঁপছ থরথর!
শুঁড় ধরছি নিজে আমি,
. লেজের দিকটা ধরে,
উসকো উঠাও, দৌড়ে গিয়ে
. হেঁইও মারি করে!”
এই কায়দায় উঠল হাতী
. অর্ধেকটা শেষে
পিছলে আবার শুয়ে পড়ল
. রামসিংকে ঠেসে।
হাতী কোলে মাটির ওপর
. রামসিং দুম্ পটাস
সঙ্গে সঙ্গে ধুম্বো ভঁড়ি
. ভটাং করে ফটাস!
.
****************
.
সূচিতে . . .
মিলনসাগর
*
কবি
বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রর
পরিচিতির পাতায় . . .