কবি বিষ্ণু দের কবিতা যে কোন কবিতার উপর ক্লিক করলেই সেই কবিতাটি আপনার সামনে চলে আসবে।
|
শাড়ির শাদায় কস্তাপাড়ের সিঁদুরে
কষ্টিতে ঋজু কোমল শরীরে তরল স্রোতের ছন্দ |
এই লাবণ্যে এই নিশ্চিত ছন্দে
আমরা সবাই কেনইবা পার হব না
সামনের এই পাহাড়ের খাড়া খন্দ ?
. ***************
. উপরে. . .
মিলনসাগর
কোন ভয়? কেন বীরের ভরসা ভোলো?
নয়নে ঘনায় বারে বারে ওঠাপড়া?
চোরাবালি আমি দূর দিগন্তে ডাকি?
হৃদয় আমার চড়া? মিলনসাগর.কম্
অঙ্গে রাখিনা কারোই অঙ্গিকার?
চাঁদের আলোয় চাঁচর বালির চড়া |
এখানে কখনো বাসর হয় না গড়া?
মৃগতৃষ্ণিকা দূর দিগন্তে ডাকি?
আত্মাহুতি কি চিরকাল থাকে বাকি?
জনসমুদ্রে উন্মথি' কোলাহল
ললাটে তিলক টানো |
সাগরের শিরে উদ্বেল নোনা জল,
হৃদয়ে আধির চড়া | মিলনসাগর!এটা নকল করা।
চোরাবালি ডাকি দূর দিগন্তে,
কোথায় পুরুষকার?
হে প্রিয় আমার, প্রিয়তম মোর!
আযোজন কাঁপে কামনার ঘোর
অঙ্গে আমার দেবে না অঙ্গীকার?
মিলনসাগর থেকে কবিপেস্ট করা
* * * *
হালকা হাওয়ায় বল্লম উঁচু ধরো |
সাত সমুদ্র চৌদ্দ নদীর পার---
হালকা হাওয়ায় হৃদয় দু-হাতে ভরো,
হঠকারিতায় ভেঙে দাও ভীরু দ্বার |
মিলনসাগর থেকে কবিপেস্ট করা
পাহাড় এখানে হালকা হওয়ায় বোনে
হিম শিলাপাত ঝঞ্ঝার আশা মনে |
আমার কামনা ছায়ামূর্তির বেশে
পায়-পায় চলে তোমার শরীর ঘেঁষে
কাঁপে তনু বায়ু কামনায় থরথর |
কামনার টানে সংহত গ্লেসিয়ার |
হালকা হাওয়ায় হৃদয় আমার ধরো,
হে দূর দেশের বিশ্ববিজয়ী দীপ্ত ঘোরসাওয়ার!
মিলনসাগর থেকে কবিপেস্ট করা
সূর্য তোমার ললাটে তিলক হানে
বিশ্বাস কেন বহিতেও ভয় মানে!
তরঙ্গ তব বৈতরণী পার |
পায়-পায় চলে তোমার শরীর ঘেঁষে
আমার কামনা প্রেতচ্ছায়ার বেশে |
চেয়ে দেখ ঐ পিতৃলোকের দ্বার!
মিলনসাগর থেকে কবিপেস্ট করা
আলেখ্য (জ্যোতিরিন্দ্র মৈত্র -কে)
বিষ্ণু দে
এই কবিতা মিলনসাগর থেকে নকল করা
যে চঞ্চল, যে সুদূর তাকে চির করেছে পিয়াসী,
যে বুভুক্ষ খুঁজে ফেরে তীব্র নবজীবনের গান,
যে স্বপ্নের প্রতিষ্ঠায় চিত্ত তার অশান্ত প্রয়াসী
যার সুর মর্মরিত অহর্নিশি তন্নিষ্ঠ হৃদয়ে তার ;
কারণ শুনেছে সে যে গান আকাশে পাতিয়া তার কাণ
গম্ভীর পৃথিবী যার মৃদঙ্গে নিয়ত বলে ; ধ্যান ভাঙো ধ্যান
একটি আকাশ ভেঙে হাজার আকাশ, হাজারের এক নীলাকাশ ;
সেই স্বপ্নে সে ভরেছে উদ্ গীথ উত্থিত তার ধ্যান |
তার মনে পদ্মার প্রবল ঢেউ, শুভ্র চরের প্রসার,
খরপ্রাণ কলকাতার দুরন্ত বিস্তার, মিলনসাগর থেকে নকল করা
আড্ডা সভা ধর্মঘট মিছিল উত্সব গণনাট্য গান
মন্বন্তর দেশভঙ্গ অনাচার জীবিকার ক্লান্তি আর কাজের উল্লাস
ঢেউ তোলে কবিতায় গানে যৌথ শিল্পের বিন্যাসে |
আজো তার শান্তি নেই দিল্লী মফস্বলে পাহাড়ে জঙ্গলে
হরিণের নৃত্যভঙ্গে, পাখির বিস্তর আর বিচিত্র সম্ভার
আনে না মনে তৃপ্তি, নানা চর্চা, মানবিক নানা কৌতূহলে
আজও তার মনের পরিধিভাঙ্গে জাবনের দ্বিধান্বিত ব্যাসে
নানান বেসুরে, বেতালের কূট ভেদাভেদে, অসম্পূর্ণতায় |
তাই সে কবিতা লেখে খাতায় বা ছেঁড়া খোঁড়া টুকরো পাতায়
তারপরে ভুলে যায় মমতায় লিখেছে যা এবং হারায় |
সম্পূর্ণের ঘোরে তাই খেয়ালী সে কবি সে উদাস
আত্মভোলা মজার মানুষ সে আর্টিস্ট যাকে বলে,
আশেপাশে মানুষের চিত্থ কিংবা বিত্তশূন্যতায়
সে ভাবে মনের আর জীবিকার জীবনের
স্বর্ণযুগ এল বুঝি সকলের ঘরে সচ্ছলতা অবকাশ
ঊষার আলোয় পাহাড়ে শিকরে নদীতে সন্ধ্যায়
রবীন্দ্রসঙ্গীতে পূর্ণ আনন্দ নির্ঝরে | মিলনসাগর.কম্
তাই নিজেই কবিতাকার সুরস্রষ্টা আর
প্রেরণার ইতিহাস খুঁজে পায় নিজ কন্ঠস্বরে
রবীন্দ্রনাথের গানে প্রাণ মূর্তিদানে |
কারণ সারাটা দেশ গান করে তার মনে
কবিত্বের বিভোর-ভুবনে মিলনসাগর থেকে নকল করা
ধ্রুপদ টপ্ পায় কীর্তনে বাউলে ভাটিয়ালী কাওয়ালীতে
জারীগানে সারিগানে যাত্রায় গাজনে তুলসী দোঁহায়
সবেতে সে আগমনী শোনে আর গায় |
তাকে আমি বহুকাল জানি | মিলনসাগর থেকে
দেখেছি কেমন করে তার মন খোঁজে গানে দেশের মানুষে
পাখিতে হরিণে জলে বা পাহাড়ে পদ্মার গঙ্গার পাড়ে
কারণ প্রকৃতি এই নিসর্গ সুন্দরী আর বীণাপাণি
তার মনে একটি পৃথিবী আকাশ মিলনসাগর থেকে নকল
তাই ধ্যানের মানুষ হয় হাজার মানুষ ; ভীড় ;
নবজীবনের গান হ’য়ে ওঠে সঙ্ঘের আরতি,
কারণ না হ’ল তার সুদূর পিয়াসী মন মিলনসাগর থেকে নকল করা
কোটি কোটি মানুষের প্রত্যহের মর্মভেদী কান্নায় কান্নায়
প্রতিবাদে কিংবা প্রতিবাদের অভাবে সারাক্ষণ
কেবলই ব্যাহত হয় নিঃসঙ্গ-নিবিড় ;
সে চায় সবাই একটি চঞ্চল সুদূর পিয়াসে
প্রত্যহ করুক গান মিলনসাগর থেকে নকল করা
জীবনেরা ডানা পাক্ জীবিকার বন্দী পায়ে পায়ে |
তাই সে চঞ্চল তাই বিধূর উদাস কবি সুর স্রষ্টা গীতকার,
তাই তার গায়কিতে আধুনিক চৈতন্যের আতত সম্ভার |
আমাদেরই প্রতীক সে প্রিয়জন, অসহায়, আত্মভোলা,
সকলেই তাকে ভালোবাসে ||
. **********************************
. উপরে. . .
মিলনসাগর
হৃদয় আমার খেয়ার যাত্রী বৈতরণীর পার |
কান্ডারীহীন বালুকাবেলায় চোখ পুড়ে মরে দূরে |
হৃদয় আমার ছাপিয়ে উঠেছে বাতাসের হাহাকার |
দিনগুলি তুমি তুলে নিলে অঞ্চলে | মিলনসাগর
বালুচরচারী দৃষ্টিতে ঝরে সান্নিধ্যের ধারা |
রাত্রিও চাও ? শ্রাবণের ধারাজলে মিলনসাগর
মুখর হৃদয় তালীবনদীঘি কল্লোলে অবিরাম |
এই কবিতা মিলনসাগর.কম্ থেকে কপি পেস্ট করা
ক্রেসিডা ! তোমার থমকানো চোখে চমকায় বরাভয় |
তোমার বাহুতে অনন্ত-স্মৃতি ক্রতুকৃতমের শেষ |
তোমাতেই করি মত্ত মরণের জয় |
এই কবিতা মিলনসাগর.কম্ থেকে কপি পেস্ট করা
মহাকাল আজ দক্ষিণ কর প্রসারে আমারই দিকে |
ভীরু দুর্বল মন !
দৈবের হাতে হাত বেঁধে যাওয়া মহাসিন্ধুর ডাকে !
সর্ব-সমপর্ণ !
এই কবিতা মিলনসাগর.কম্ থেকে কপি পেস্ট করা
হেলেনের প্রেমে আকাশে বাতাসে ঝঞ্ঝার করতাল |
দ্যুলোক ভূলোকে দিশাহারা দেবদেবী |
কাল রজনীতে ঝড় হয়ে গেছে রজনীগন্ধা-বনে |
এই কবিতা মিলনসাগর.কম্ থেকে কপি পেস্ট করা
বৈশাখী মেঘ মেদুর হয়েছে সুদূর গগনকোণে |
কুরুক্ষেত্রে উড়ছে হাজার রথচক্রের ধূলি |
স্বপ্নগোধূলি ডুবে গেল খর-রক্তের কোলাহলে |
এই কবিতা মিলনসাগর.কম্ থেকে কপি পেস্ট করা
লাল মেঘে ঠেলে নীল মেঘ, নীলে ধোঁয়া মেঘেদের ভিড়
মেঘে-মেঘে আজ কালো কল্কির দিন হল একাকার |
বিদ্যুৎ নেভে ঈশানবিষাণে, বজ্রও দিশাহারা |
এলোমেলো পাখা ঝাপটি তবুও ওড়ে কথা ক্রেসিডার |
ভ্রান্তি আমার নিয়ে যায় যদি বৈতরণীর পার,
ভবিষ্যহীন আঁধার ক্লান্তি কাকে দেব উপহার ?
তপ্ত মরুর জনহীনতায় কোথায় সে প্যান্ডার ?
এই কবিতা মিলনসাগর.কম্ থেকে কপি পেস্ট করা
স্বসমুখ সে কোন দেবতার দ্বিরাচারী সম্ভাষে
অমরাবতীর সমাহারী নারী হেলেনের বালালোল !
আমারই শেফালী জেবলী কেবল জরে জবাসঙ্কাশে !
সূর্যালোকের ধারায় জেগেছে জীবনের অঙ্কুর |
আত্মদানের বন্দী, কুমারী, তোমাতেই খুঁজি ভাষা |
এই কবিতা মিলনসাগর.কম্ থেকে কপি পেস্ট করা
সময়ের তলি শতছিদ্র, বিস্মৃতিকীট কাটে |
প্রাণোপাসনার পূজারী তাই তো তোমার শরণ মাগি |
প্রাণহন্তারা রলরোলে চলে ট্রয়ের মাঠে ও বাটে |
এই কবিতা মিলনসাগর.কম্ থেকে কপি পেস্ট করা
উষসীআকাশ ধূসর করেছে মরণের আনাগোনা |
হেলেনের বুকে শবসাধনার বিশ্রাম আর নেই |
আমার হৃদয়-ঘটাকাশে শুধু জীবনের আরাধনা |
এই কবিতা মিলনসাগর.কম্ থেকে কপি পেস্ট করা
ট্রয়ের প্রাচীর ভঙ্গুর কেন ? কোন হেলেনের
অমর রূপের প্রখর আবেগে বিপুল বিশ্ব হারাল দিশা ?
লোকোত্তর এ-রূপসী বা কেন ? লোকায়িত এ-মরণতৃষা ?
জানি, জানি এই অলাতচক্রে চক্রমণ |
সোত্প্রাসপাশে বলি নাকো তাই কথা |
ক্রেসিডা ! আমার প্রচন্ড আকুলতা----
জীজীবিষু প্রজাপতির বিভ্রমণ |
সোনালি হাসির ঝরনা তোমার ওষ্ঠাধরে |
প্রাণকুরঙ্গ অঙ্গে ছড়ায় চপল মায়া |
মুখর সে-গান ভেঙে গেল | আজ স্তব্ধ তমাল |
হাল্ কা হাসির জীবনে কি এল ফসলের কাল ?
এই তবে ভোরবেলা |
হে ভূমিশায়িনী শিউলি ! আর কি
কোনো সান্ত্বনা নেই ?
রজনীগন্ধা দিয়েছিলে সেই রাতে,
আজও তো সে ফোটে দেখি-----
মদির অধীর রাতের তন্বী ফুল----
রজনীগন্ধা, বিরাগ জানে না সে কি ?
দুঃস্বপ্নেও প্রেম করে নি এ আশা |
শত্রুশিবিরে কুমারীর নত চোখে, মুখে, সারা শরীরে নগ্ন ভাষা |
হে গ্রীক নাগর ! ট্রয়কে হারালে আজই !
কালের বিরাট অট্টহাসির ছায়া
ঢেকে দিল তোমারও মরণমায়া----
হে মাতরিশ্বা, মহাশূন্যের সুখে
তুড়ি দিয়ে যাই তোমারও প্রবল মুখে |
এই কবিতা মিলনসাগর.কম্ থেকে কপি পেস্ট করা
তুমি ভেবেছিলে উন্মাদ ক’রে দেবে ?
উদ্বায়ু আজও হয় নি আমার মন |
লোকায়ত মোর স্বেচ্ছাবর্মে লেগে
বর্শা তোমার হ’য়ে গেল খান্-খান্ |
এই কবিতা মিলনসাগর.কম্ থেকে কপি পেস্ট করা
বুদ্ধি আমার অপাপবিদ্ধমস্নাবির |
জড় কবন্ধ অন্ধ কর্মে ফুৎকারে করি নর্মাচার |
প্রাক্তন-পাশ্চাত্ত্য মাগি না, মন তুষার |
পাহাড়ের নীল একাকার হল ধূসর মেঘের মুষ্টি স্রোতে
পাঁচ পাহাড়ের নীল | মিলনসাগর থেকে নকল করা
বাতাসেরা সব বাসায় পালাল মেঘের মুষ্টি হতে |
স্তব্ধ নিথর সাত-সায়রের বিল |
শিবা ও শকুনি পলাতক, জানি, ভাগ্য তো কৃকলাস |
কুরুক্ষেত্রে ইন্দ্রপ্রস্থ, পরীক্ষিতেরই জয় |
শরৎমাধুরী লুট ক’রে ফিরি, জয় জয় ট্রয়লাস্ !
উল্লাসে গায় পালে-পালে ক্রীতদাস |
বিজয়ী রাজার দানসত্রের শ্রাবণপ্লাবনে ভাসে
পুরজন যত গৃহহীন যত বুভুক্ষ ভিক্ষুক |
হায়েনার হাসি আসে স্মৃতিপটে ---- বেহিসাবী ক্রেসিডা সে !
এই কবিতা মিলনসাগর.কম্ থেকে কপি পেস্ট করা
তুমি চ’লে গেলে মরণমারীচ মায়াবীর ডাকে মূক
বধির ওষ্ঠাধরে | মিলনসাগরের কবিতা
এই কবিতা মিলনসাগর.কম্ থেকে কপি পেস্ট করা
এই কবিতা মিলনসাগর.কম্ থেকে কপি পেস্ট করা
তারপরে এল রণমন্থনে দূর বিদেশের নারী |
কালো সন্ধ্যায় দিলে শ্বেতবাহু দুটি-----
এই কবিতা মিলনসাগর.কম্ থেকে কপি পেস্ট করা
স্বরণ তোমার হানে আজও তরবারি !
এই কবিতা মিলনসাগর.কম্ থেকে কপি পেস্ট করা
. *******************
. উপরে. . .
মিলনসাগর
আলেখ্য
সে কবে
সে কবে গেয়েছি আমি তোমার কীর্তনে
কৃতার্থ দোহার |