. সেদিন আমার বাসা ছিলো মাঘফাল্গুনে, . বিভোল সে-গানে কালের ত্রিতাল কে শোনে | অনেক জনের অনেক দিনের বহু বছরের স্রোতে কত না রৌদ্রে সুরবেসুরের ঊর্মিল সংগীতে তোমার আপন আবেগে মেলাই আমার সাগরযাত্রা, সাফোর ঝর্না কলকল্লোলে হোমরের ষট্ মাত্রা
আমি এ-মাটিতে, তোমাকে দেখেছি প্রভাতে পিয়ালছায়ে জীবন যেখানে আকাশে জমাট একটি নিকষ পাহাড় | জীবন মিলনসাগর জমাট সাগর নিকষ পাহাড় |
বহু ব্যর্থতা বহু বেদনার বাহুল্যে বর্বর প্রাণের পাতাল শহরে জীবন অচল অনড় অসহ, তার মাঝে তুমি সংকল্পের প্রান্তর বিস্তার | প্রাণের পাতাল মিলনসাগরের থেকে নেওয়া
দুই দিকে আজ আমারও শারদ জীবনের প্রান্তর, প্রান্তিক ঊষা চোখ মেলে চায়, একটি নিকষ পাহাড়, শ্যমলিমা বেয়ে একটি সোনালি নদী | একটি সোনালি নদী মিলনসাগর
উপোসীর চোখ মেলাও এখানে একটি সোনালি নদী, তৃষ্ণার দিশা মিলুক কাঁঠালছায়ায় গভীর ইঁদারায়, অনাচার হোক দূর স্মৃতি, কাজ মুক্তির খোলা প্রত্যহে | একটি সোনালি মিলনসাগর গভীর ইঁদারায়
নদীর বাঁকের চড়াইপাড়ের ছায়ায় একটি অমর করবী শাখায় শাখায় ধরেছে ফুল, সেই ফুলে দাও ত্রিপদী ছন্দে আমার মনের উপমা | প্রগতিতে অক্ষয় এক মিলনসাগর.কম
পরিবর্তনে ভয় নেই তুমি পৃথিবীর মতো উন্মুখ ক্ষয়ে প্রগতিতে অক্ষয় এক সচ্ছল একতান, তোমার দু-চোখে দেখেছি আমার উত্তর মিলনসাগর থেকে কপি পেস্ট কর নেওয়া
জীবন দেখাও স্বচ্ছ আকাশ. মানুষেরা সব পাহাড়, মুক্ত শহরে কেউ বা মুক্ত গাঁয়ে |
বছরে বছরে দীর্ঘ প্রকৃতির কর্মসূত্রে অথবা নিয়মে ছোটো ঘেরা মাটির সংযমে মাথা ফেটে হাওয়ার মুক্তিতে গাঁথা সরল সজল সংকল্পে গম্ভীর গন্ধের আলাপ তার বাজে বিকট মুখে পাপড়িতে পাপড়িতে তার পরাগের পাখোয়াজে
ও বছরে বর্ষার সজল মিছিলে ডিগবাজী খেয়েছি কিংবা তারও আগে বুঝি পাঁচ বছরের দীর্ঘ দূর অভিযানে প্রাণের প্রয়াসে আজ প্রচুরতা তার তাই আজ মিলনসাগর থেকে কপি করা যখন আকাশে নামে নির্জন বিষাদ অন্ধকার পরোয়ানা শিমুলের লালে গোল্ মোরের সোনাও পান্ডুর পৈটিক গোলযোগে শালিকের ঐকতান থেমে যায় জামরুলবাগানে কলকাতার কাক আর সমুদ্রের বকের বলাকা বহুদূর তখনই কুঁড়িতে লাগে অধরা আবেগ কোন্ বসন্তবাহারে লাগে সহিষ্ণু হৃদয়ে থরোথরো প্রচন্ড যন্ত্রণাস্পন্দে একাগ্র নির্দেশে বজ্রমুষ্ঠি হানো আনন্দে নিমেষহীন রূপান্তরে সৃষ্টিতে আকূল মিলনসাগর থেকে কপি করা
তারপরে আলো জ্বালি মিলনসাগর বন্ধু কিংবা বইয়ের আশ্রয়ে কিংবা খবর শুনি দাঙ্গার কোথাও ক্লান্ত সন্ধ্যার প্রান্তরে এসে নিঃস্বার্থ আকাশে দেখি ফুটে আছে শান্ত শুচিতার গোলাপ বাগিচায় সময়ের জড়ো করা ভুল একটি মুহূর্তে ধুয়ে বিনীত পদ্মের মতো নিশ্চিন্ত অথচ দান্ত কর্মের সংবিতে স্তব্ধ মিলনসাগর থেকে কপি করা অভ্রান্ত সম্পূর্ণ সত্তা কোথায় পালিয়ে যায় রাত্রির নক্ষত্রে যেন প্রকৃতিস্থ অস্থিত্বের আকাশে স্বাধীন একরাশ শাদা বেল ফুল | মিলনসাগর থেকে কপি করা
গরমে বিবর্ণ হল গোলমোরের সাবেক জৌলুস---- কৃষ্ণচূড়া চোখে আনে জ্বালা রৌদ্রের কুয়াশা জ্বলে ঝরা মরা পোড়া লেবার্ণমে এখানে ওখানে দেখ দেশছাড়া লোক ছায়ায় হাঁপায় পার্কের ধারে শানে পথে পথে গাড়িবারান্দায় ভাবে ওরা কী যে ভাবে ! ছেড়ে খোঁজে দেশ এইখানে কেউ বরিশাল কেউ কেউ বা ঢাকায় মিলনসাগর থেকে কপি করা
গরম হাওয়ায় ঝরে নীল আর বেগ্ নি ফুরুষ কৃষ্ণচূড়া নির্নিমেষ টেনে চলে টেনে মালাবদলের পালা খুঁজে খুঁজে য়মুনার স্নিগ্ধ ছায়া হিংস্র গরমে এখানে ওখানে দেখ কত ঘরছাড়া লোক ছায়ায় হাঁপায় পার্কে ছাউনিতে পথে ম্যানসনের বারান্দায় শানের শয্যায় কী যে ভাবে ঘর ছেড়ে খোঁজে বুঝি দেশ বিদেশে কোথায় যে যাবে ভাবে হাওড়ায় নাকি সে ঢাকায়
আমাদের ঘরে ঘরে আমরাও নানান মানুষ গেয়ে চলি চুপি চুপি আমাদের পালা কিংবা গাই না আর মাথা নাড়ি পোড়া মাথা গরমে নরমে থেকে থেকে হয়তো বা আমাদের কেউ কেউ মরীয়া হাঁপায় জীবনে মৃত্যুতে কিংবা মৃত্যুতে জীবনে ভগ্ন ব্যর্থ অসহায় কী যে ভাবে কর্মহীন অর্থহীন অচেনা স্বদেশ বিদেশ হয়ে যায় কোথাও যে যাবে ভাবে কোন দেশ শীতল বর্ষায়
কারণ দেখেছে সব গোবি মরুভূতে এক যাত্রা কত সহাস পুরুষ যাত্রী অভিযাত্রী চলে দেখেছে তো তুষারের দেশে জয়মালা গলায় দুলিয়ে চলে বিজ্ঞানের মৈত্রীর মরমে মানুষের প্রেমে বীর দগ্ধমেরু কিংবা দীর্ণ মধ্য এশিয়ায় গমের ধানের ক্ষেতে প্রাণের আশ্বিন আনে স্টেপে ও তুন্দ্রায় বিজয়ী বসতি আনে সচ্ছল বসতি আনে উন্মুখর দেশ কত চেলিউস্ কিন ! হাওড়ায় চাটগাঁয় বাঁকুড়ায় চলেছে ঢাকায় |
হয়তো বা নিরুপায় হয়তো বা বিচ্ছিন্নের যন্ত্রণাই বর্তমানে ইতিহাস বালিচড়া মরা নদী জলহীন পায়ে পারাপার অথচ বৈশাখী হাওয়া বাংলার সমুদ্রের আমের মুকুলে ফল রাশি রাশি বেলমল্লিকায় বাগানে বিহ্বল আজ কালেরই বাগান তবু লুব্ধ রুদ্রের মাঘের পাতাঝরা পাতাঝরানোর ক্ষোভের রাগের তবু সেই বাঁচার-মরার চরম যন্ত্রণা চলে আমাদের দিনের শিকড়ে রাত্রির পল্লবে মিলনসাগর থেকে কপি করা
যদি বা হতুম ফুল, বইতুম দক্ষিণের হাওয়া রইতুম নিষ্পলক রূপান্তরে দ্রুত নিত্য চাঁদ কিন্তু আমরা যে পৃথিবীর আমারা মানুষ আমাদেরই অতীতের স্রোতে গড়ি ভবিষ্যৎ একূলে ওকূলে আমাদেরই বর্তমানে কিছুটা উদ্বৃত্ত সত্বেও--- বৃষ্টি কিংবা আর্তেসীয় জলে ! কমিষ্ঠ যন্ত্রণা ---- না হ’লে বলব তীক্ষ্ণ প্রতীক্ষায় আততীর আবর্তসেতুতে ঘেঁষাঘেঁষি আমাদের উত্তরাধিকার আমাদেরই ক্রতুকৃতমের প্রাত্যহিক পদক্ষেপে আমরা কোপাই গাঁথি বুনি আর আমরাই ভানি নিজে নিজে এবং সবাই যদি ধানে মই দিই নিজে নিজে কিংবা সবাই বেশি বা কেউ কম সদসৎ তার নিজের সবার কম কারো বেশি মিলনসাগর থেকে কপি করা আমাদের ইতিহাস মুহূর্তে মুহূর্তে গোনে তরঙ্গিত আয়ু তার জীবনে মৃত্যুতে আমাদের জীবিকায় জীবনযাত্রায় দেহমনের বিন্যাসে কর্মে অপকর্মে কর্মহীনতায়---- কিছুটা উদ্বৃত্ত সত্বেও এক পাত্র জল জ’মে যেমন বরফ পাত্রটি ফাটায় | মিলনসাগর থেকে কপি করা
এবার উঠেছে হাওয়া ধোঁয়া নেই দোলা দেবে চাঁদ চৈত্রের সন্ধ্যায় হাওয়ায় হাওয়ায় মিলনসাগর.কম নাকি কোনো দোলাই দেয় না সে ? পূর্ণিমার চাঁদ বটে বাঁধ ভেঙে তবু কি সে হাসে প্রকৃতি কি অপ্রাকৃত মূঢ়তায় ? হাসবে কি একাই নিষাদ ? মিলনসাগর থেকে কপি করা
নির্বাক নিমেষহীন সন্ধ্যা পূর্ণচাঁদের মায়ায় হেমন্ত বিষাদ এ কি বসন্ত এনেছে ? তবু সন্ধ্যা চৈত্র সন্ধ্যা সমুদ্রের বার্তাবহ দগ্ধ দিনে মৃত্যুর শহরে মিলনসাগর তবুও পূর্ণিমা আসে পথে ছাতে প্রত্যক্ষ কায়ায় ডুবিয়ে দিনের ছায়া কূট দুর্বিষহ ভেঙে দিয়ে অন্ধ বিসম্বাদ উন্মাদের ব্যবসাও চূর্ণ করে গৃধ্নু দানবিক সিংহকন্ঠ হয়তো বা শুনি নিকো হাসি তোমার পূর্ণিমা | তবু আমি শুধু খুঁজি নি বিষাদ সোনালি চাঁদের এই নীল নির্বিকার আলোর বন্যায় বরঞ্চ গুনেছি দেশে দেশে লক্ষ্মীমন্ত সচ্ছল সুঠাম গ্রামে গ্রামে শহরে শহরে, বিস্তৃত শান্তির বর্ষা দেখেছি সবাই যেন ভাসি মিলনসাগর ঢেউ দুলি যেন জ্যোত্স্নার সমুদ্রের ঢেউয়ে ঢেউয়ে, নদী কিংবা আলোর ঝর্ণায় মিলনসাগর.কম আকাশের সমতলে মৃত্যুও যেখানে পুত্র ও কন্যায় সম্পূর্ণ বার্ধক্যে স্থির মানবিক যেখানে বাঁচাই আর বাঁচানোই স্বাভাবিক | মিলনসাগর থেকে কপি করা
হয়তো বা যন্ত্রণাই সার দেখে যেতে হবে আজ ঠেকে শিখে সত্তার অক্ষরে লিখে লিখে অত্যাচারে অনাচারে উদ্ ভ্রান্ত উন্মাদ এই বর্তমান নিজে নিজে এবং সবার কৃতকর্মে শুনে যেতে হবে কুরুক্ষেত্রে ভীষ্ম যেন কিংবা সেই বিরাট প্রাসাদে, অজ্ঞাতবাসের বীর বৃহন্নলা অর্জুনের গান কিংবা যেন ফাল্গুনের প্রস্তুতির মিলনসাগর পাতাঝরা নতুন পাতার আঁকশিতে অঙ্কুরে শিরায় শিরায় শিকড়ের প্রচ্ছন্ন উত্সবে অধরা অথচ তীব্র প্রাণের স্তুতির অনিবার্য যতির স্তব্ধতা শ্রুতির আক্ষেপস্পন্দে কবিতার ছন্দের মতন কিংবা যেন উত্তোলিত পদক্ষেপে যখন সামনে দেখি সেতুর ফাটলে অতলের প্রত্যাখান এবং আহ্বান কিংবা বুঝি মোহনার গান হুগলির অনেক স্মৃতি বহু স্রোত রূপনারানের মিলনসাগর থেকে দামোদর কাঁসাই হলদি রসুলপুরে হারিয়ে যায় দূরের মাৎলা মাথাভাঙা আরো আরো পদ্মার বানের মিলনসাগর থেকে কপি করা
অথচ নিস্রোত মনে হয় একা কর্মহীন প্রতিবেশী নেই কপি পেস্ট করেছে থাকলেও নিঃসঙ্গ সে, কারণ সর্বদা পরধর্ম ভয়াবহ ভাঁটায় জোয়ার সমুদ্রের আন্দোলনে বানডাকা সন্ত্রাসে নিঃশেষ তাই প্রতীক্ষায় স্তব্ধ কিন্তু সমুদ্যত মিলনসাগর.কম অন্ধকার প্রেক্ষাগৃহে খরদীপ্ত নৃত্যমঞ্চে বোল্ ছড়াবার আগের মুহূর্তে আভঙ্গ আতত মিলনসাগর.কম বালাসরস্বতী কিংবা রুক্মিণী দেবীর মতো---- আসন্নসম্ভবা অন্তর্মুখী জননীর মতো বৈশাখীর বৃষ্টির আগের স্তব্ধতায় সতর্ক গম্ভীর----- কিংবা যেন বল্গা ধরে তাতার সওয়ার একাগ্র সংহত পামীরে আরালে কিংবা বুঝি কৃষ্ণ কাশ্যপ সাগরে তারপর লাগে দোলা লাগে দোলা লাগেনা তো খরশর স্রোত মিলনসাগর.কম কল্লোল মুখর মিলনসাগর.কম সমুদ্রে সমুদ্রে ওঠে তালে তালে সমুদ্রে নদীতে নীল মহাসমুদ্রের কান্নায় হাসিতে সাগরউথ্বিতা সেই অধিষ্ঠাত্রী সুন্দরীর আবিশ্ব আভাসে ঊর্মিল জোয়ার মিলনসাগর থেকে কপি করা
একাকার মুহূর্তে তখন চূড়ায়িত ক্ষণে সাম্প্রতিক অতীত ও আগামীর গান প্রাত্যহিকে প্রাত্যহিকে পলিতে উর্বর দিকে দিকে মানসে শরীরে জীবনে জীবন | মিলনসাগর.কম মিলনসাগর থেকে কপি করা
তোমার স্রোতের বুঝি শেষ নেই, জোয়ার ভাঁটায় এদেশে ওদেশে নিত্য ঊর্মিল কল্লোলে পাড় গ’ড়ে পাড় ভেঙে মিছিলে জাঠায় বন্যার অজেয় যুদ্ধে কখনও বা ফল্গু বা পল্বলে কখনও নিভৃত মৌন বাগানের আত্মস্থ প্রসাদে বিলাও বেগের আভা মিলনসাগর থেকে কপি করা মিলনসাগর থেকে কপি করা
আমি দূরে কখনও বা কাছে পালে পালে কখনও বা হালে তোমার স্রোতের সহযাত্রী চলি ভোলো তুমি পাছে তাই চলি সর্বদাই মিলনসাগর থেকে কপি করা যদি তুমি ম্লান অবসাদে মিলনসাগর থেকে কপি করা ক্লান্ত হও স্রোতস্বিনী অকর্মণ্য দূরের নির্ঝরে জীয়াই তোমাকে পল্লবিত ছায়া বিছাই হৃদয়ে মিলনসাগর থেকে কপি করা