কবি বিষ্ণু দের কবিতা যে কোন কবিতার উপর ক্লিক করলেই সেই কবিতাটি আপনার সামনে চলে আসবে।
|
পলায়ন
বিষ্ণু দে
সফরী চোখের সরল চাহ
কালিমার মায়া চোখ ভুলি
সিলক্ মসৃণ শাদা আর ছো
ঘ্রাণ টানি মৃদু শীতল আঁ
স্বল্পপরিধি রক্তসূত্র সরস
মুখে রেখেছি ও শুনেছি ব
দেখি মুহূর্তবিম্বে চিরন্তনে
ঊর্বশী আর উমাকে পেয়ে
---- সাতটি দিন ও রাত্রি
প্রেমের কবিতা করেছ আ
.
সে ফুল শেফালি | তীর্থযা
আর নাহি রয় এ কয়দিনে
. *****************
. উপরে. . .
মিলনসাগর
অমৃতের ঝারি মদির ওষ্ঠাধরে
স্মৃতি-বিস্মৃতি শরতের ধারা ঝরে |
আজ কি আমাকে ভুলেছ মহাশ্বেতা ?
শরীরে তোমার অলকনন্দা গান |
আচ্ছোদনীরে করো তুমি যেই স্নান
স্বপ্নবাণীতে শিহরায় ক্রন্দসী |
ভাস্বর তব তনুতে অমৃত জ্যোতি,
প্রাণসূর্যের একান্ত সংহতি,
ক্রান্তিবলয়ে শিহরায় ক্রন্দসী |
উত্তর করে মুদ্রিত বরাভয়,
তামসীকে করো খন্ডন, করো জয় |
স্বপ্নসারথি, তোরণ কি যায় দেখা ?
পশ্চাতে ধায়
দিগন্ত-ফণা, তু
বিস্মরণীর বা
হে বীর অতনু,
দেহ-দুর্গের রক্ষা
তোমার প্রাকৃত
. *****************
. উপরে. . .
মিলনসাগর
পাহাড়ে জমাট,ছোটো নদীপথে গ্রামের বধূর
রোমান্টিক ছবি নেই, থেমে গেছে গানের নিখাদ |
পাহাড়ের দিকে ওড়ে শব্দময় অদৃশ্য বাদুড় |
বাংলোয় ব’সে একা, নামহীন প্রত্যাশাবিধুর |
আঘাতে প্রেমে মিলনসাগর থেকে কপি করেছে
সামনে ছড়ানো রাত্রি, অন্তহীন অন্ধকারে নীল |
অস্পষ্ট আলোকসত্তা, অন্ধকারে মরমী মূর্ছনা
আঘাতে আঘাতে প্রেমে প্রচ্ছন্ন বিলাসে হানে মিল
সংহত পুলকে হানে নক্ষত্রের কতই গুচ্ছ না !
সামনে রাত্রির নীলে যায় বিরাট নিখিল,
এ-বিরাটে নিঃসঙ্গের ডুবে যাওয়া বুঝি-বা তুচ্ছ না |
নিঃসঙ্গের ডুবে মিলনসাগর থেকে কপি করা
নিঃসঙ্গ স্বার্থের রাত্রি মিশে যায় বাহির বিরাটে |
আকাশে-আকাশে দেশে-দেশান্তরে দিন-রাত্রি রটে
দরিদ্র ব্যর্থের গ্লানি | অন্ধকারে স্তিমিত আভায়
পরিপূর্ণ জীবনের রক্তপ্লুত বিচ্ছিন্ন নিশান |
স্বপ্নেরা মরিয়া ভয়ে দীপাবলী কখন নিভায়,
জেগে থাকে স্মিতনেত্র নীলকন্ঠ নির্মম ঈশান ||
রক্তপ্লুত বিচ্ছিন্ন পরিপূর্ণ মিলনসাগর থেকে
. *****************
. উপরে. . .
মিলনসাগর
সনেট
বিষ্ণু দে
১
ঘুরেছি অনেক ভিড়ে, অনেক নির্জনে
চেনা সেই অন্বিষ্টের তবু বুঝি আজো
সিংহের নৈঃসঙ্গ্যে তথা শকুনের সং
বারবার হয়েছে হৃদয় | জানি অন্বেষা
নেই কোনো আকস্মিকে, দৈবে কিংবা
হাত-বদলের কোনো ক্ষ্বেড়নাট্যে, রাজ
দেখেছি ক্ষমতা আর অক্ষমেও, যশ-
জানি নেই মূল্যভেদ | ভেদ শুধু দুর্ভি
উলঙ্গে ও সুসজ্জিতে, ভেদ শুধু শক্তি
জিজ্ঞাসার স্বচ্ছ স্রোতে, ভেদ শুধু গৃধ্নু
জলে-জলে যেবা ভেদ পল্বল ও সচ্ছল
কিংবা যেন বেহুলার বাসরে ও সর্পি
ঘুরেছি অনেক, জানি নিরুদ্দেশ অন্বে
সতীকে মেলে না, মেলে পার্ব্বতীকে কু
২
কপিপেস্ট করা হয়েছে মিলনসাগর.কম থেকে
পাহাড়ের ঢল ভেঙে নামে স্বচ্ছ শত স্রোতস্বিনী |
মাটির অমোঘ বাঁকে জমে তারা ; বিপ্লবীর ভীড়
দুরন্ত ঘূর্ণিতে ক্ষিপ্র, বেগবদ্ধ, হানে শত চিড়
তরল প্রগতির তার ; ভাবে, আজ প্রাণ দিয়ে জিনি
স্রোতের পরম ক্রান্তি ; কোন্ দূর সমুদ্রের ডাক
মর্মে-মর্মে তোলে সুর | খড়্গপুরে এই ভীমবাঁধে
হাভেলী প্রান্তরে মাতে লাল জল স্বচ্ছন্দে অবাধে |
সূর্যাস্তের রক্তাকাশে ওড়ে টিয়া, ওড়ে ঝাঁকে ঝাঁক
হরিয়াল, এঁকে যায় হিরণ্ময় হৃদয়ের ঘটা
শূন্যের প্রসাদ এক ঊষসীর মুহূর্তে প্রতীক |
ভাবি পাখি ? নাকি জল ? জলস্রোত, ঘুর্ণি, লাল জল,
তরল গতির ছন্দ মাটির পয়ারে পায়দল,
২৫শে বৈশাখ
বিষ্ণু দে
আমরা যে গান শুনি, গান করি
ফুলে-ফুলে বনে পথে ঘরে-ঘরে
আমরা যে ছবি দেখি আঁকি স্তব্ধ
রঙের রেখায় মুক্তি কল্পনায় নব-
আমরা যে জীবনের গল্প রচি হা
হাজার সন্ধ্যায় সূর্য প্রত্যুষের হা-
রবীন্দ্র-ব্যবসা নয়, উত্তরাধিকার
চিরস্থায়ী জটাজালে জাহ্নবীকে
আমরা প্রাণের গঙ্গা খোলা রাখি,
সমুদ্রের দিকে চলি, খুলে দিই রে
সদাই নূতন চিত্রে গল্পে কাব্যে, হা
রুদ্ধ উত্স খুঁজে পাই খরস্রোত
জঙ্গম সূর্যকে জানি আমাদের জঙ্গী প্রতিদিনে
অবিচ্ছিন্ন মাসে-মাসে বর্ষে-বর্ষে যুগ-যুগ ব্যেপে
প্রতিটি ঊষার রাত্রে মধ্যাহ্নের বটে দগ্ধতৃণে
গলাপিচে বৈশাখীর ভবিষ্যতে ঝড়ে মেতে ক্ষেপে
প্রতিটি সূর্যাস্তে আর সূর্যোদয়ে চৈতালী নিদাঘে
আষাঢ়ে শ্রাবণে আর আশ্বিনে অঘ্রানে হিম মাঘে
প্রাত্যহিক ফল্গুস্রোতে মিলনসাগর লেখা আগে
আমরা তো জানি তুমি আকস্মিকে গরম বাজারে
রুদ্ধগতি, তাই গড়ি জীবনের ঝরনা, রচি, কবি,
প্রাত্যহিক ফল্গুস্রোতে লাখে-লাখে হাজারে-হাজারে
সাগরে যে গঙ্গা আনি সে তোমারই আনন্দভৈরবী ||
মিলনসাগর থেকে কপি পেস্ট করা এই কবিতা
. *****************
. উপরে. . .
মিলনসাগর
মহাশ্বেতা
বিষ্ণু দে
মদিরেক্ষণ মায়া |
ক্ষীণ কটিতটে ছায়া |
তোরণ কি যায় দেখা ?
ইশারা তোমার চোখে,
লায় সুমেরুলোকে |
কে ভুলেছ মহাশ্বেতা ?
মফস্বলে