কবি বিষ্ণু দের কবিতা
যে কোন কবিতার উপর ক্লিক করলেই সেই কবিতাটি আপনার সামনে চলে আসবে।
বাল্য থেকে কৈশোরের যৌবনের পারে
প্রৌঢ়ের প্রশান্তি পাবে সম্পূর্ণ সংসারে,
আঁচলে আড়াল দীপে ভাস্বর সত্তাটি
মিলনসাগর
খাঁটি রেখে বর্তমান জীবনের অন্ধকারে কুলষিত দাবি
মেটাবে সে কী ক’রে যে, ভাবি
মিলনসাগর.কম্
কী ক’রে সে অন্ধকার দীপান্বিত ক’রে দেবে
আরেক বৈভবে ||

.                *****************    
.                                                                                    
উপরে. . .    




মিলনসাগর
বামী
বিষ্ণু দে
যে সেই তারায় ভরা চৈত্ররাতে ছাতে
কেঁদে বলেছিল, আমি
অন্ধকারে হারিয়ে গিয়েছি, সেই ভীতু মেয়ে বামী
অসহায় আকুল বিস্ময়ে
অন্ধকার ছাতে,
মিলনসাগর
জীবনের অন্ধকারে কাটাবে জীবন
উপরে সিঁড়িতে নিচে কন্টকিত ভয়ে,
যেখানে আরশোলা চাটে বই ছবি,
মাকড়সা ছড়ায় জাল,
মিলনসাগর
আর টিকটিকি আরশোলা খায় ;
যেখানে নির্মাতা, স্রষ্টা, শিল্পী, কবি,
জন্মে তাদের কৃষাণ শুনি কাস্তে বানায় ইস্পাতে
কথা  : বিষ্ণু দে
সুর   : প্রতুল মুখোপাধ্যায়
সুব্রত রুদ্র সম্পাদিত “গণসংগীত সংগ্রহ” থেকে নেওয়া


জন্মে তাদের কৃষাণ শুনি কাস্তে বানায় ইস্পাতে
কৃষাণের বউ পঁইছে বাজু বানায়
যাত্রা তাদের কঠিন পথে রাখী বাঁধা কিশোর হাতে ---
রাক্ষসেরা বৃথাই রে নখ শানায় |
নীলকমলের আগে দেখি লালকমল যে জাগে
তৈরি হাতে নিদ্রাহারা একক তরোয়াল,
লাল তিলকে ললাট রাঙা, ঊষার রক্তরাগে
---- কার এসেছে কাল ?

চোরডাকাতে মুখোস পরে, রাক্ষসেরা ছাড়ে
চোরাই মাল ঢাকে কালো কানায় |
মরিয়া যতো রাণীর জ্ঞাতি কঙ্কালী পাহাড়ে
মড়ক পূজা নরবলিতে জানায় |
এদিকে ওড়ে লালকমলের নীলকমলের হাতে
ভায়ের মিলে প্রাণের লাল নিশান |
তাদের কথা হাওয়ায়, কৃষাণ কাস্তে বানায় ইস্পাতে
কামারশালে মজুর ধরে গান |

.                *****************    
.                                                                                    
উপরে. . .    




মিলনসাগর