কবি বীথি চট্টোপাধ্যায়ের কবিতা
|
লেখা
কবি বীথি চট্টোপাধ্যায়
(শারদীয়া নবকল্লোল ২০১১ থেকে)
আমি কে ? ঠিক জানি না
জেগে ভোর বেশ কিছু রাত,
লেখা কি মুখের কথা ?
হাসছেন রবীন্দ্রনাথ।
লেখা তার অনেক ব্যাপার
হঠাৎ-ই মাথায় আসে,
আমি খুব অবাক হয়েই
বসি রোজ লেখার পাশে।
আঙুলে ব্যথার থেকে
বুকে সে গভীর পুকুর,
রক্ত শুকিয়ে গেলে
লেখা যায় নিঃস্ব দুপুর।
কে লেখে ? আমার ভিতর
দশটা মানুষ থাকে,
লেখা খুব আদর দিলো
যে কিছু পায় নি তাকে।
. *****************
. সূচিতে . . .
মিলনসাগর
ঝড় ওঠে জানলা নড়ে
কবি বীথি চট্টোপাধ্যায়
কে যেন ডাকছে, ডাকুক
বাগানে ফুল ফুটেছে,
পারলো সঙ্গে থাকো
ঝড় ওঠে আকাশ থেকে।
আকাশে ঝড় হয় নাকি ?
হাসি পায়, আকাশ কোথায়!
কে মারে, কেই বা রাখে
যে নাচে সেই চুমু খায়।
সে নাচে দমকা হাওয়ায়
বাগানে পায়ড়া ওড়ে,
সকলে মিচকে হাসে
অপরূপ স্নিগ্ধ ভোরে।
অপরূপ লেখার খেলা
যে পাগল তারাই পড়ে,
কে যেন ডাকছিল না ?
ঝড় ওঠে, জানলা নড়ে।
. *****************
. সূচিতে . . .
মিলনসাগর
কাঁটাতার
কবি বীথি চট্টোপাধ্যায়
বন্ধু বলে কিছু হয়তো নেই
সকালে রোদ হাসে ঝকঝকে,
পৃথিবী কাঁটাতারে মোড়া থাকে
সারাটা দিন শুধু অলস খোঁজ
রাত্রে বিছানায় খুঁজি কাকে ?
এ খোঁজা কোনোদিন শেষ হবে ?
দু’চোখ ভারী হবে হয়তো খুব,
এমনি সুতো ছেড়ে সীমানা পার
এভাবে মনে মনে তোমাতে ডুব . . .
ডুবেও জেগে উঠি মরণ নেই
বিছানা কাঁদে মন ডুব দিলে,
কাঁটাতারের বেড়া মাঝখানে
এভাবে বাসাবাড়ি তুলে নিলে!
. *****************
. সূচিতে . . .
মিলনসাগর
নিজ সন্তান দরদস্তুর করি---
ক্ষমতা-যন্ত্র আমাকে দেখতে পাচ্ছো ?
প্রত্যেকদিন কত হাহাকার করি ?
হাহাকার করি তবু চুপ ক’রে থাকি
ভয় করে পাছে তোমরা শুনতে পাও,
সত্যি তোমরা বশে রাখতেও জানো!
শাসকগোষ্ঠি আমাকে দেখতে চাও ?
. *****************
. সূচিতে . . .
মিলনসাগর
লুকোনো প্রেম
কবি বীথি চট্টোপাধ্যায়
একদিন সব ভুলে যাবো বলে
বাইরে বেরিয়ে আসি,
এত যন্ত্রণা বুকের পাঁজরে
তোমাকেই ভালোবাসি।
বনবাংলোয় ঝড়মাখা রাত
বারান্দা দিশাহারা,
ঠাণ্ডা হাওয়ায় দুলছে মেজাজ
মেঘে ঢেকে গেল তারা।
এলোমেলো পায়ে পালিয়ে বেড়ানো
তোমার নাগাল থেকে,
যেখানেই যাই আগুন জ্বলছে
হেসো না আমাকে দেখে।
সমস্ত পথ ভেঙেচুরে গেছে
তবু মনে হয় চেনা,
আমি যদি তাকে ভুলে যাই তবু
সে আমাকে ভুলবে না।
. *****************
. সূচিতে . . .
মিলনসাগর
রিকশাওয়ালার চিঠি
কবি বীথি চট্টোপাধ্যায়
শাশকগোষ্ঠী আমাকে চিনতে পারো ?