কবি বাসুদেব ঘোষ এর বৈষ্ণব পদাবলী
শচীর অঙ্গণে নাচে বিশ্বম্ভররায়
শচীর আঙ্গিনায় নাচে বিশ্বম্ভর রায়
ভণিতা বাসুদেব ঘোষ
কবি বাসুদেব ঘোষ
এই পদটি নরহরি চক্রবর্তী (ঘনশ্যাম) দ্বারা আনুমানিক ১৭২৫ সাল নাগাদ বিরচিত এবং  
৪২৬ গৌরাব্দে (১৯১৩ খৃষ্টাব্দ), রামদেব মিশ্র দ্বারা প্রকাশিত “ভক্তিরত্নাকর” গ্রন্থ, ৭৭৪-
পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

॥ গীতে বিভাষঃ॥

শচীর অঙ্গণে নাচে বিশ্বম্ভররায়।
হাসি হাসি ফিরি ফিরি মায়েরে লুকায়॥
বয়ানে বসন দিয়া বলে লুকাইলু।
শচী বলে বিশ্বম্ভর আমি না দেখিলু॥
মায়ের অঞ্চল ধরি চঞ্চল চরণে।
নাচিয়া নাচিয়া যায় খঞ্জনগমনে॥
বাসুদেব ঘোষে কহে অপরূপ শোভা।
শিশুরূপ দেখি হয় জগমন লোভা॥

ই পদটি আনুমানিক ১৭৫০ সালে, বৈষ্ণবদাস (গোকুলানন্দ সেন) সংকলিত এবং
সতীশচন্দ্র রায় সম্পাদিত শ্রীশ্রীপদকল্পতরু গ্রন্থের ১৩২৫ বঙ্গাব্দের (১৯১৮ সাল) ২য় খণ্ড,
৩য় শাখা, ১৯শ পল্লব, কৌমার-পৌগণ্ডোচিত বাত্সল্য, ১১৫১-পদসংখ্যায় এইরূপে দেওয়া
রয়েছে। এটি নিমানন্দদাসের পদরসসার পুথির ১৬৫৭ সংখ্যক পদ।

॥ তথা রাগ॥

শচীর আঙ্গিনায় নাচে বিশ্বম্ভর রায়।
হাসি হাসি ফিরি ফিরি মায়েরে লুকায়॥
বয়নে বসন দিয়া বোলে লুঁকাইলুঁ।
শচী বোলে বিশ্বম্ভর আমি না দেখিলুঁ॥
মায়ের অঞ্চল ধরি চঞ্চল-চরণে।
নাচিয়া নাচিয়া যায় খঞ্জন-গমনে॥
বাসুদেব ঘোষে কহে অপরূপ শোভা।
শিশুরূপ দেখি হয় জগ-মন লোভা॥

ই পদটি ১৯৩৪ সালে প্রকাশিত, জগবন্ধু ভদ্র সংকলিত, মৃণালকান্তি ঘোষ সম্পাদিত,
পদাবলী সংকলন “শ্রীগৌরপদ-তরঙ্গিণী” ২য় সংস্করণ (১ম সংস্করণ ১৯০২), ৮৮-পৃষ্ঠায়
এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

॥ বেলোয়ার, দশকোশি॥

শচীর আঙ্গিনায় নাচে বিশ্বম্ভর রায়।
হাসি হাসি ফিরি ফিরি মায়েরে লুকায়॥
বয়নে বসন দিয়া বলে লুকাইনু।
শচী বলে বিশ্বম্ভর আমি না দেখিনু॥
মায়ের অঞ্চল ধরি চঞ্চল চরণে।
নাচিয়া নাচিয়া যায় খঞ্জনগমনে॥
বাসুদেব ঘোষ কয় অপরূপ শোভা।
শিশুরূপ দেখি হয় জগমন লোভা॥

ই পদটি ১৯০৫ সালে প্রকাশিত দুর্গাদাস লাহিড়ী সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী সংকলন
“বৈষ্ণব-পদলহরী”, ৪৮৩-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

॥ তথা রাগ॥

শচীর আঙ্গিনায় নাচে বিশ্বম্ভর রায়।
হাসি হাসি ফিরি ফিরি মায়েরে লুকায়॥
বয়নে বসন দিয়া বলে নুকাইনু।
শচী বলে বিশ্বম্ভর আমি না দেখিনু॥
মায়ের অঞ্চল ধরি চঞ্চল-চরণে।
নাচিয়া নাচিয়া যায় খঞ্জন-গমনে॥
বাসুদেব ঘোষে কহে অপরূপ শোভা।
শিশু-রূপ দেখি হয় জগ-মন লোভা॥

ই পদটি ১৯৩৮ সালে প্রকাশিত, সুধীরচন্দ্র রায় ও অপর্ণা দেবী সম্পাদিত পদাবলী
সংকলন “কীর্ত্তন পাদাবলী”. ২২৩-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

বাল্যখণ্ড
গোপালের নৃত্য
॥ তিরোথা মিশ্র বিভাস - মধ্যম একতালা॥

শচীর আঙ্গিনায় নাচে বিশ্বম্ভর রায়।
হাসি হাসি ফিরি ফিরি মায়েরে লুকায়॥
বয়ানে বসন দিয়া বলে লুকাইনু।
শচী বলে বিশ্বম্ভর আমি না দেখিনু॥
মায়ের অঞ্চল ধরি চঞ্চল চরণে।
নাচিয়া নাচিয়া যায় খঞ্জন গমনে॥
বাসুদেব ঘোষে কহে অপরূপ শোভা।
শিশুরূপ দেখি হয় জগ-মনলোভা॥

ই পদটি ১৯৪৬ সালে প্রকাশিত, হরেকৃষ্ণ মুখোপাধ্যায় সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী
সংকলন “বৈষ্ণব পদাবলী”, ১৫৩-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

শ্রীগৌরাঙ্গের বাল্যলীলা
॥ বেলোয়ার - দশকোশি॥

শচীর আঙ্গিনায় নাচে বিশ্বম্ভর রায়।
হাসি হাসি ফিরি ফিরি মায়েরে লুকায়॥
বয়ানে বসন দিয়া বলে লুকাইনু।
শচী বলে বিশ্বম্ভর আমি না দেখিনু॥
মায়ের অঞ্চল ধরি চঞ্চল চরণে।
নাচিয়া নাচিয়া যায় খঞ্জনগমনে॥
বাসুদেব ঘোষ কয় অপরূপ শোভা।
শিশুরূপ দেখি হয় জগমন লোভা॥

ই পদটি ১৯৯১ সালে প্রকাশিত সুকুমার সেন সম্পাদিত “বাংলা কবিতা সমুচ্চয়”, প্রথম
খণ্ড, ১৬-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

শচীর আঙ্গিনায় নাচে বিশ্বম্ভর রায়।
হাসি হাসি ফিরি ফিরি মায়েরে লুকায়॥
বয়নে বসন দিয়া বলে লুকাইনু।
শচী বলে বিশ্বম্ভর আমি না দেখিনু॥
মায়ের অঞ্চল ধরি চঞ্চল চরণে।
নাচিয়া নাচিয়া যায় খঞ্জন গমনে॥
বাসুদেব ঘোষ কহে অপরূপ শোভা।
শিশুরূপ দেখি হয় জগ মন লোভা॥

ই পদটি ১৯৯২ সালে প্রকাশিত, ডঃ চিত্রা রায়ের, বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের পি-এইচ.ডি.
কলা (বাংলা) উপাধির জন্য প্রদত্ত গবেষণা নিবন্ধ (সৌজন্যে শোধগঙ্গা ওয়েবসাইট,
https:
//shodhganga.inflibnet.ac.in
) “বৈষ্ণব সংস্কৃতি ও সাহিত্যে গোবিন্দ, মাধব ও বাসুদেব
ঘোষ”, ৭ম অধ্যায়, বাসুঘোষের পদাবলী সংকলন, ৫৩৮-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

॥ বিভাষ॥

শচীর অঙ্গণে নাচে বিশ্বম্ভররায়।
হাসি হাসি ফিরি ফিরি মায়েরে লুকায়॥
বয়ানে বসন দিয়া বোলে লুকাইলুঁ।
শচী বলে বিশ্বম্ভর আমি না দেখিলুঁ॥
মায়ের অঞ্চল ধরি চঞ্চল চরণে।
নাচিয়া নাচিয়া যায় খঞ্জন গমনে॥
বাসুদেব ঘোষে কহে অপরূপ শোভা।
শিশুরূপ দেখি হয় জগমনলোভা॥

.          ************************          
.                                                                               
সূচীতে . . .   



মিলনসাগর
আজুকার স্বপনকথা, শুন গো মালিনী! সই!.
আজিকার স্বপনের কথা শুনলো মালিনী সই
আজিকার স্বপনের কথা শুনো লো মালিনী
আজিকার সপনের কথা শুনলো মাল্যানি সই
ভণিতা বাসুদেব ঘোষ
কবি বাসুদেব ঘোষ
এই পদটি নরহরি চক্রবর্তী (ঘনশ্যাম) দ্বারা আনুমানিক ১৭২৫ সাল নাগাদ বিরচিত এবং  ৪২৬ গৌরাব্দে
(১৯১৩ খৃষ্টাব্দ), রামদেব মিশ্র দ্বারা প্রকাশিত “ভক্তিরত্নাকর” গ্রন্থ, ৯৮২-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

॥ গীতে যখা - কামোদ॥

আজুকার স্বপনকথা, শুন গো মালিনী! সই!. নিমাই
আসিয়াছিল ঘরে। আঙ্গিণাতে দাঁড়াইয়া, গৃহ পানে চা’য়া
চা’য়া, মা বৈলা ডাকিয়া ছিল মোরে॥ গৃহেতে শয়নে ছিনু,
অচেতনে বারি হনু, নিমাইর গলার সাড়া পা’য়া @। মায়ের
চরণ ধূলি, নিল নিমাই শিরে তুলি, মা! বোলে কাঁদিয়া
কাঁদিয়া॥ “তোর প্রেমের বন্দী হৈয়া, বেড়াইনু ভরমিয়া.
রহিতে নারিনু নীলাচলে। তোরে দেখিবার তরে, আইনু
নদীয়াপুরে” কাঁদিতে কাঁদিতে ইহা বোলে॥ আইস মোর
বাছা বুলি, হিয়ার উপরে তুলি, হেন বেলে নিদ দূরে গেল।
পুন না দেখিয়া তারে, পরাণ কেমন করে, কাঁদিয়া রজনী
পোহাইল॥ কাঁদিতে কাঁদিতে শচী, মুরছি পড়ল ক্ষিতি,
মালিনী কাঁদয়ে উভরায়। কি বলিব হায় হায়, এ দুখ না
সহে গায়, বাসু কেনে মরিয়া না যায়॥

@ - পা’য়া। গ্রন্থে সম্ভবত মুদ্রণ প্রমাদের জন্য “পা,য়া” দেওয়া রয়েছে। আমরা “পা’য়া” করে দিয়েছি।  

ই পদটি আনুমানিক ১৭৫০ সালে, বৈষ্ণবদাস (গোকুলানন্দ সেন) সংকলিত এবং সতীশচন্দ্র রায়
সম্পাদিত শ্রীশ্রীপদকল্পতরু গ্রন্থের ১৩৩০ বঙ্গাব্দের (১৯২৩ সাল) ৩য় খণ্ড, ৪র্থ শাখা, ২১শপল্লব,
শ্রীগৌরাঙ্গের সন্ন্যাস ইত্যাদি, পদসংখ্যা ২২৭০। এটি নিমানন্দদাসের পদরসসার পুথির
২৩৭৪ সংখ্যক পদ।

॥ বিভাষ॥

আজিকার স্বপনের কথা                শুন গো মালিনী সই
নিমাঞি আসিয়াছিল ঘরে।
আঙ্গিনাতে দাঁড়াইয়া                 গৃহ পানে চাইয়া চাইয়া
মা বলিয়া ডাকিল সে আমারে॥
ঘরেতে শুতিয়াছিলাম                অচেতনে বারাইলাম
নিমাঞির গলার সাড়া পাইয়া।
আমার চরণ-ধূলি                    নিল নিমাই শিরে তুলি
পুন কান্দে গলায় ধরিয়া॥
তোমার প্রেমের বশে               ফিরি আমি দেশে দেশে
রহিতে নারিলাম নীলাচলে।
তোমারে দেখিবার তরে               আইলাম নদীয়া পুরে
কান্দিতে কান্দিতে ইহা বলে॥
আইস মোর বাছা বলি                 হিয়ার মাঝারে তুলি
হেন কালে নিদ্রা-ভঙ্গ হৈল।
পুন না দেখিয়া তারে                     পরাণ কেমন করে
কান্দিয়া রজনী পোহাইল॥
সেই হৈতে প্রাণ কান্দে                  হিয়া থির নাহি বান্ধে
কি কহিব কহ না উপায়।
বাসুদেব ঘোষে কয়                   গৌরাঙ্গ তোমারি হয়
নহিলে কি সদা দেখ তায়॥

ই পদটি উনিশ শতকে প্রকাশিত, নিমানন্দ দাস সংকলিত “পদরসসার” পুথির ২৩৭৪-পদসংখ্যায় এই
রূপে দেওয়া রয়েছে। আমরা পুথিটি হাতে পাইনি। সতীশচন্দ্র রায়ের পদকল্পতরুর টীকা-পাঠান্তর দেখে
এখানে উপস্থাপন করা হলো।

॥ বিভাষ॥

আজিকার স্বপনের কথা                 শুন গো মালিনী সই
নিমাঞি আসিয়াছিল ঘরে।
আঙ্গিনাতে দাঁড়াইয়া                 গৃহ পানে চাইয়া চাইয়া
মা বলিয়া ডাকিল সে আমারে॥
ঘরেতে শুতিয়াছিলাম             অচেতনে বাহির হইলাম
নিমাঞির গলার সাড়া পাইয়া।
আমার চরণ-ধূলি                    নিল নিমাই শিরে তুলি
পুন কান্দে গলায় ধরিয়া॥
তোমার প্রেমের বশে               ফিরি আমি দেশে দেশে
রহিতে নারিলাম নীলাচলে।
তোমারে সে দেখিবারে               আইলাম নদীয়া পুরে
কান্দিতে কান্দিতে ইহা বলে॥
আইস মোর বাছা বলি                 হিয়ার উপরে তুলি
হেন কালে নিদ্রা-ভঙ্গ হৈল।
পুন না দেখিয়া তারে                     পরাণ কেমন করে
কান্দিয়া রজনী পোহাইল॥
সেই হৈতে প্রাণ কান্দে                  হিয়া থির নাহি বান্ধে
কি কহিব কহ না উপায়।
বাসুদেব ঘোষে কয়                   গৌরাঙ্গ তোমারি হয়
নহিলে কি সদা দেখ তায়॥

ই পদটি ১৯৩৪ সালে প্রকাশিত, জগবন্ধু ভদ্র সংকলিত, মৃণালকান্তি ঘোষ সম্পাদিত, পদাবলী সংকলন
“শ্রীগৌরপদ-তরঙ্গিণী” ২য় সংস্করণ (১ম সংস্করণ ১৯০২), ২৫১-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

॥ পাহিড়া॥

আজিকার স্বপনের কথা              শুন গো মালিনী সই
নিমাই আসিয়াছিল ঘরে।
আঙ্গিনাতে দাঁড়াইয়া                  গৃহ পানে নেহারিয়া
মা বলিয়া ডাকিল আমারে॥
ঘরেতে শুইয়া ছিলাম            অচেতনে বাহির হৈলাম
নিমাইর গলার সাড়া পাইয়া।
আমার চরণের ধূলি                নিল নিমাই শিরে তুলি
পুনঃ কাঁদে গলাটী ধরিয়া॥
তোমার প্রেমের বশে             ফিরি আমি দেশে দেশে
রহিতে নারিলাম নীলাচলে।
তোমারে দেখিবার তরে               আইলাম নৈদ্যাপুরে
কাঁদিতে কাঁদিতে ইহা বলে॥
আইস মোর বাছা বলি                হিয়ার মাঝারে তুলি
হেন কালে নিদ্রাভঙ্গ হৈল।
পুনঃ না দেখিয়া তারে                   পরাণ কেমন করে
কাঁদিয়া রজনী পোহাইল॥
সেই হৈতে প্রাণ কাঁদে                 হিয়া থির নাহি বাঁধে
কি করিব কহ গো উপায়।
বাসুদেব ঘোষে কয়                   গৌরাঙ্গ তোমারি হয়
নহিলে কি সদা দেখ তায়॥

ই পদটি ১৯৩৮ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রকাশিত “বৈষ্ণব পদাবলী” নামক বৈষ্ণব পদাবলী
সংকলন, ১-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

গৌরাঙ্গ-বিষয়ক

আজিকার স্বপনের কথা                 শুন গো মালিনী সই
নিমাই আসিয়াছিল ঘরে।
আঙ্গিনাতে দাঁড়াইয়া                     গৃহপানে নেহারিয়া
মা বলিয়া ডাকিল আমারে॥
ঘরেতে শুতিয়াছিলাম              অচেতনে বাহির হৈলাম
নিমাইয়ের গলার সাড়া পাঞা।
আমার চরণের ধূলি                  নিল নিমাই শিরে তুলি
পুন কাঁদে গলায় ধরিয়া॥
তোমার প্রেমের বশে               ফিরি আমি দেশে দেশে
রহিতে নারিলাম নীলাচলে।
তোমারে দেখিবার তরে               আইলাম নৈদীয়াপুরে
কাঁদিতে কাঁদিতে ইহা বলে॥
আইস মোর বাছা বলি                 হিয়ার মাঝারে তুলি
হেন কালে নিদ্রাভঙ্গ হৈল।
পুন না দেখিয়া তারে                     পরাণ কেমন করে
কাঁদিয়া রজনী পোহাইল॥
সেই হৈতে প্রাণ কাঁদে                  হিয়া থির নাহি বাঁধে
কি করিব কহ না উপায়।
বাসুদেব ঘোষে কয়                   গৌরাঙ্গ তোমারি হয়
নহিলে কি সদা দেখ তায়॥

ই পদটি ১৯৪৬ সালে প্রকাশিত, হরেকৃষ্ণ মুখোপাধ্যায় সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী সংকলন “বৈষ্ণব
পদাবলী”, ১৭৪-পৃষ্ঠায় ভণিতায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

জননীর স্বপ্নে গৌরাঙ্গ দর্শন
॥ পাহিড়া॥

আজিকার স্বপনের কথা                 শুনো লো মালিনী
নিমাই আসিয়াছিল ঘরে।
আঙ্গিনাতে দাঁড়াইয়া                 গৃহ পানে নেহারিয়া
মা বলিয়া ডাকিল আমারে॥
ঘরেতে শুইয়া ছিলাম           অচেতনে বাহির হৈলাম
নিমাইর গলার সাড়া পাইয়া।
আমার চরণের ধূলি               নিল নিমাই শিরে তুলি
পুনঃ কাঁদে গলাটি ধরিয়া॥
তোমার প্রেমের বশে             ফিরি আমি দেশে দেশে
রহিতে নারিলাম নীলাচলে।
তোমারে দেখিবার তরে             আইলাম নৈদ্যাপুরে
কাঁদিতে কাঁদিতে ইহা বলে॥
আইস মোর বাছা বলি              হিয়ার মাঝারে তুলি
হেন কালে নিদ্রাভঙ্গ হৈল।
পুনঃ না দেখিয়া তারে                 পরাণ কেমন করে
কাঁদিয়া রজনী পোহাইল॥
সেই হৈতে প্রাণ কাঁদে               হিয়া থির নাহি বাঁধে
কি করিব কহ গো উপায়।
বাসুদেব ঘোষে কয়                  গৌরাঙ্গ তোমারি হয়
নহিলে কি সদা দেখ তায়॥

ই পদটি ১৯৫২ সালে প্রকাশিত খগেন্দ্র নাথ মিত্র, সুকুমার সেন, বিশ্বপতি চৌধুরী, শ্যামাপদ চক্রবর্তী
সম্পাদিত “বৈষ্ণব পদাবলী (চয়ন)”. ১১-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওযা রয়েছে।

আজিকার স্বপনের কথা                শুনলো মালিনী সই
নিমাই আসিয়াছিল ঘরে।
আঙ্গিনাতে দাঁড়াইয়া                      গৃহপানে নেহারিয়া
মা বলিয়া ডাকিল আমারে॥
ঘরেতে শুতিয়াছিলাম              অচেতনে বাহির হৈলাম
নিমাইয়ের গলার সাড়া পাঞা।
আমার চরণের ধূলি                  নিল নিমাই শিরে তুলি
পুন কাঁদে গলায় ধরিয়া॥
তোমার প্রেমের বশে               ফিরি আমি দেশে দেশে
রহিতে নারিলাম নীলাচলে।
তোমারে দেখিবার তরে               আইলাম নদীয়া পুরে
কাঁদিতে কাঁদিতে ইহা বলে॥
আইস মোর বাছা বলি                 হিয়ার মাঝারে তুলি
হেন কালে নিদ্রাভঙ্গ হৈল।
পুন না দেখিয়া তারে                     পরাণ কেমন করে
কাঁদিয়া রজনী পোহাইল॥
সেই হৈতে প্রাণ কাঁদে                  হিয়া থির নাহি বাঁধে
কি কহিব কহ না উপায়।
বাসুদেব ঘোষে কয়                   গৌরাঙ্গ তোমারি হয়
নহিলে কি সদা দেখ তায়॥

ই পদটি ১৯৫৫ সালে প্রকাশিত, নবদ্বীপচন্দ্র ব্রজবাসী ও খগেন্দ্রনাথ মিত্র সম্পাদিত মহাজন পদাবলী
“শ্রীপদামৃতমাধুরী” ৪র্থ খণ্ড, ৪৬৯-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

শ্রীশচীমাতার খেদ।
॥ বিভাস - একতালা॥

আজিকার স্বপনের কথা                শুনলো মালিনী সই
নিমাঞি আসিয়াছিল ঘরে।
আঙ্গিনাতে দাঁড়াইয়া                গৃহপানে চাইয়া চাইয়া
মা বলিয়া ডাকিল সে মোরে॥
ঘরেতে শুতিয়াছিলাম                অচেতনে বারাইলাম
নিমাঞির গলার সাড়া পাইয়া।
আমার চরণ-ধূলি                    নিল নিমাই শিরে তুলি
পুন কান্দে গলায় ধরিয়া॥
তোমার প্রেমের বশে               ফিরি আমি দেশে দেশে
রহিতে নারিলাম নীলাচলে।
তোমারে দেখিবার তরে               আইলাম নদীয়াপুরে
কান্দিতে কান্দিতে ইহা বলে॥
আইস মোর বাছা বলি                হিয়ার মাঝারে তুলি
হেনকালে নিদ্রাভঙ্গ হইল।
পুন না দেখিয়া তারে                    পরাণ কেমন করে
কান্দিয়া রজনী পোহাইল॥
সেই হৈতে প্রাণ কান্দে                হিয়া থির নাহি বান্ধে
কি করিব কহ না উপায়।
বাসুদেব ঘোষ কয়                   গৌরাঙ্গ তোমারি হয়
নহিলে কি সদা দেখ তায়॥

ই পদটি ১৯৯২ সালে প্রকাশিত, ডঃ চিত্রা রায়ের, বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের পি-এইচ.ডি. কলা (বাংলা)
উপাধির জন্য প্রদত্ত গবেষণা নিবন্ধ (সৌজন্যে শোধগঙ্গা ওয়েবসাইট,
https://shodhganga.inflibnet.ac.in )
“বৈষ্ণব সংস্কৃতি ও সাহিত্যে গোবিন্দ, মাধব ও বাসুদেব ঘোষ”, ৭ম অধ্যায়, বাসুঘোষের
পদাবলী সংকলন, ৬৬৭-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

॥ বিভাষ রাগ॥

আজিকার সপনের কথা            শুনলো মাল্যানি সই
নিমাই আসিয়াছিল ঘরে।
আঙ্গিনাতে ডাড়াইয়া              গৃহ পানে চাঞা চাঞা
মা বলি ডাকিয়াছিল মোরে॥
ঘরেতে শুয়্যাছিলাম              অচেতনে বাব়্যাইলাম
নিমায়ের গলার সাড়া পাঞা।
আমার চরণ লয়্যা                 আপন মস্তকে দিয়্যা
কান্দে নিমাই মোর মুখ চাঞা॥
তোর প্রেমে বন্দি হয়্যা             দেশে দেশে ভরমিয়া
রহিতে নারিলাম নীলাচলে।
তোরে দেখিবার তরে               আইল্যাম নদ্যাপুরে
কান্দিতে কান্দিতে ইহা বলে॥
সচেতন হইয়া দেখি                  নিমাই বলিয়া ডাকি
পুন নিমাই না দেখিয়ে আর।
পুন করি হায় হায়                   এ দুখ কি সহা জায়
বাসু ঘোষ পড়িলা পাথার॥

.          ************************          
.                                                                                               
সূচীতে . . .   



মিলনসাগর
কি লাগিয়া দণ্ড ধরে অরুণ বসন পরে
শ্রীবাসের উচ্চ রায় পাষাণ মিলাঞা যায়
কি লাগিয়া দণ্ডধরি অরুণ বসন পরি
ভণিতা বাসু ঘোষ
কবি বাসুদেব ঘোষ
আনুমানিক ১৭৫০ সালে, বৈষ্ণবদাস (গোকুলানন্দ সেন) সংকলিত এবং সতীশচন্দ্র রায় সম্পাদিত
শ্রীশ্রীপদকল্পতরু গ্রন্থের ১৩৩০ বঙ্গাব্দের (১৯২৩ সাল) ৩য় খণ্ড, ৪র্থ শাখা, ২১শপল্লব, শ্রীগৌরাঙ্গের সন্ন্যাস
ইত্যাদি, পদসংখ্যা ২২২৯। এটি নিমানন্দদাসের পদরসসার পুথির ২৩৩৪ সংখ্যক পদ।

॥ ভাটিয়ারি॥

কি লাগিয়া দণ্ড ধরে                  অরুণ বসন পরে
কি লাগিয়া মুড়াইল কেশ।
কি লাগিয়া মুখ-চাঁদে             রাধা রাধা বলি কান্দে
কি লাগিয়া ছাড়িল নিজ দেশ॥
শ্রীবাসের উচ্চরায়                 পাষাণ মিলাঞা যায়
গদাধর না জিয়ে পরাণে।
বহিছে তপত ধারা                  যেন মন্দাকিনী পারা
মুকুন্দের ও দুই নয়ানে॥
সকল মহান্ত ঘরে                  বিধাতা বুঝাই ফিরে
তমু স্থির নাহি হয় কেহ।
জ্বলন্ত অনল হেন                    রমণী ছাড়িল কেন
কি লাগি তেজিল তার লেহ॥
কি কব দুখের কথা               কহিতে মরমে বেথা
না দেখি বিদরে মোর হিয়া।
দিবানিশি নাহি জানি               বিরহে আকুল প্রাণী
বাসু ঘোষ পড়ে মুরছিয়া॥

ই পদটি ১৯৩৪ সালে প্রকাশিত, জগবন্ধু ভদ্র সংকলিত, মৃণালকান্তি ঘোষ সম্পাদিত, পদাবলী সংকলন
“শ্রীগৌরপদ-তরঙ্গিণী” ২য় সংস্করণ (১ম সংস্করণ ১৯০২), ২৪২-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

॥ ভাটিয়ারি॥

কি লাগিয়া দণ্ড ধরে                   অরুণ বসন পরে
কি লাগিয়া মুড়াইল কেশ।
কি লাগিয়া মুখচাঁদে              রাধা রাধা বলি কাঁদে
কি লাগি ছাড়িল নিজ দেশ॥
শ্রীবাসের উচ্চ রায়                 পাষাণ মিলাঞা যায়
গদাধর না জিবে পরাণে।
বহিছে তপত ধারা                  যেন মন্দাকিনী পারা
মুকুন্দের ও দুই নয়ানে॥
সকল মোহান্ত ঘরে               বিধাতা বুঝাঞা ফিরে
তবু স্থির নাহি হয় কেহ।
জ্বলন্ত অনল হেন                     রমণী ছাড়িল কেন
কি লাগি ত্যজিল তার লেহ॥
কি কব দুখের কথা             কহিতে খরমে @ ব্যথা
না দেখি বিদরে মোর হিয়া।
দিবা নিশি নাহি জানি               বিরহে আকুল প্রাণী
বাসু ঘোষ পড়ে মূরছিয়া॥

@ - খরমে - গ্রন্থে খরমে দেওয়া রয়েছে। অন্যান্য গ্রন্থে মরমে রয়েছে। এটা মুদ্রণ-প্রমাদ হতে পারে।

ই পদটি ১৯৩৩ সালে প্রকাশিত, মহানামশুক নবদ্বীপচন্দ্র ঘোষ সম্পাদিত পদাবলী সংকলন
শ্রীশ্রীগৌরপদরত্নমালা, ৭৫-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে। এখানে পদটি “কি লাগিয়া দণ্ড ধরে”
শিরোনামের পদের প্রথম দুটি পংক্তি বাদ দিয়ে তার পরে শুরু হচ্ছে। তাই আমরা এটিকে
ভিন্ন পদ বলে ধরলাম না।

॥ বরাড়ী - একতালী॥

শ্রীবাসের উচ্চ রায়                 পাষাণ মিলাঞা যায়
গদাধর না জীয়ে পরাণে।
বহিছে তপত ধারা                  যেন মন্দাকিনী পারা,
মুকুন্দের ও দুই নয়ানে॥
সকল মোহান্ত ঘরে,                বিধাতা বুঝাই ফিরে,
তবু স্থির নাহি হয় কেহ।
জ্বলন্ত অনল হেন,                    রমণী ছাড়িল কেন,
কি লাগি তেজিল তার লেহ॥
কি কব দুঃখের কথা,                  কহিব মরম ব্যথা
না দেখি বিদরে মোর হিয়া।
দিবানিশি নাহি জানি,                বিরহে আকুল প্রাণী,
বাসু ঘোষে পড়ে মূরছিয়া॥

ই পদটি ১৯৩৮ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রকাশিত “বৈষ্ণব পদাবলী” নামক বৈষ্ণব পদাবলী
সংকলন, ৩-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

কি লাগিয়া দণ্ড ধরে                   অরুণ-বসন পরে
কি লাগিয়া মুড়াইল কেশ।
কি লাগিয়া মুখ-চাঁদে              রাধা রাধা বলি কাঁদে
কি লাগি ছাড়িল নিজ দেশ॥
শ্রীবাসের উচ্চ রায়                 পাষাণ মিলাঞা যায়
গদাধর না জিয়ে পরাণে।
বহিছে তপত ধারা                  যেন মন্দাকিনী পারা
মুকুন্দের ও-দুই নয়ানে॥
সকল মোহান্ত-ঘরে                বিধাতা বুঝাইয়া ফিরে
তবু স্থির নাহি হয় কেহ।
জ্বলন্ত অনল হেন                      রমণী ছাড়িল কেন
কি লাগি তেজিল তার লেহ॥
কি কব দুখের কথা                  কহিতে মরম ব্যথা
না দেখি বিদরে মোর হিয়া।
দিবানিশি নাহি জানি                বিরহে আকুল প্রাণী
বাসু ঘোষ পড়ে মুরছিয়া॥

ই পদটি ১৯৪৬ সালে প্রকাশিত, হরেকৃষ্ণ মুখোপাধ্যায় সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী সংকলন “বৈষ্ণব
পদাবলী”, ১৬৮-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

শ্রীগৌরাঙ্গের সন্ন্যাস লীলা
॥ ভাটিয়ারি॥

কি লাগিয়া দণ্ড ধরে                   অরুণ বসন পরে
কি লাগিয়া মুড়াইল কেশ।
কি লাগিয়া মুখচাঁদে              রাধা রাধা বলি কাঁদে
কি লাগি ছাড়িল নিজ দেশ॥
শ্রীবাসের উচ্চ রায়                 পাষাণ মিলাঞা যায়
গদাধর না জীবে পরাণে।
বহিছে তপত ধারা                  যেন মন্দাকিনী পারা
মুকুন্দের ও দুই নয়ানে॥
সকল মোহান্ত ঘরে                বিধাতা বুঝাঞা ফিরে
তবু স্থির নাহি হয় কেহ।
জ্বলন্ত অনল হেন                      রমণী ছাড়িল কেন
কি লাগি ত্যজিল তার লেহ॥
কি কব দুখের কথা                 কহিতে মরমে ব্যথা
না দেখি বিদরে মোর হিয়া।
দিবা নিশি নাহি জানি                বিরহে আকুল প্রাণী
বাসু ঘোষ পড়ে মূরছিয়া॥

ই পদটি ১৯৫২ সালে প্রকাশিত খগেন্দ্র নাথ মিত্র, সুকুমার সেন, বিশ্বপতি চৌধুরী, শ্যামাপদ চক্রবর্তী
সম্পাদিত “বৈষ্ণব পদাবলী (চয়ন)”. ৮-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওযা রয়েছে।

কি লাগিয়া দণ্ড ধরে                  অরুণ বসন পরে
কি লাগিয়া মুড়াইল কেশ।
কি লাগিয়া মুখ-চাঁদে              রাধা রাধা বলি কাঁদে
কি লাগিয়া ছাড়িল নিজ দেশ॥
শ্রীবাসের উচ্চ রায়                 পাষাণ মিলাঞা যায়
গদাধর না জিয়ে পরাণে।
বহিছে তপত ধারা                  যেন মন্দাকিনী পারা
মুকুন্দের ও দুই নয়ানে॥
সকল মোহান্ত-ঘরে                বিধাতা বুঝাইয়া ফিরে
তবু স্থির নাহি হয় কেহ।
জ্বলন্ত অনল হেন                      রমণী ছাড়িল কেন
কি লাগি তেজিল তার লেহ॥
কি কব দুখের কথা                   কহিতে মরম-ব্যথা
না দেখি বিদরে মোর হিয়া।
দিবানিশি নাহি জানি                বিরহে আকুল প্রাণী
বাসু ঘোষ পড়ে মুরছিয়া॥

ই পদটি ১৯৫৪ সালে প্রকাশিত, সতী ঘোষ সম্পাদিত “প্রত্যক্ষদর্শীর কাব্যে মহাপ্রভু শ্রীচৈতন্য”,
১১২-পৃষ্ঠায় ভণিতাহীন রূপে দেওয়া রয়েছে।

কি লাগিয়া দণ্ডধরি                   অরুণ বসন পরি
কি লাগিয়া মুড়াইল কেশ।
কি লাগিয়া মুখ চান্দে             রাধাকৃষ্ণ বলি কান্দে
কি লাগি ছাড়িল গৌর দেশ॥
শ্রীবাসের উভরায়                 পাষাণ মিলাঞা যায়
গদাধর না জিয়ে পরাণে।
বহিছে নয়ানে ধারা                যেন মন্দাকিনী পারা
মুকুন্দের শেল হৈল মনে॥
সকল মোহান্ত ঘরে              বিধাতা বুঝাইয়া ফিরে
তবুত কার না হৈল দেখা।
জ্বলন্ত অনল হেন                    ছাড়িল রমণী কেন
কি লাগি ছাড়িল তার লেহা॥

ই পদটি ১৯৫৫ সালে প্রকাশিত, নবদ্বীপচন্দ্র ব্রজবাসী ও খগেন্দ্রনাথ মিত্র সম্পাদিত মহাজন পদাবলী
“শ্রীপদামৃতমাধুরী” ৪র্থ খণ্ড, ৪৬০-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

॥ ভাটিয়ারী - দশকুশী॥

কি লাগিয়া দণ্ড ধরে                   অরুণ বসন পরে
কি লাগিয়া মুড়াইল কেশ।
কি লাগিয়া মুখ চাঁদে              রাধা রাধা বলি কান্দে
কি লাগি ছাড়িল নিজ দেশ॥
শ্রীবাসের উচ্চরায়                 পাষাণ মিলাঞা যায়
গদাধর না জিয়ে পরাণে।
বহিছে তপত ধারা                  যেন মন্দাকিনী পারা
মুকুন্দের ও দুই নয়ানে॥
সকল মোহান্ত ঘরে                বিধাতা বুঝাই ফিরে
তবু স্থির নাহি হয় কেহ।
জ্বলন্ত অনল হেন                    রমণী ছাড়িল কেন
কি জানি তেজিল তার লেহ॥
কি কব দুখের কথা               কহিতে মরমে বেথা
না দেখি বিদরে মোর হিয়া।
দিবানিশি নাহি জানি               বিরহে আকুল প্রাণী
বাসু ঘোষ পড়ে মুরছিয়া॥

ই পদটি ১৯৭৭ সালে প্রকাশিত, দেবনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পাদিত “বৈষ্ণব পদসঙ্কলন”,
৩১-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

কি লাগিয়া দণ্ড ধরে                   অরুণ বসন পরে
কি লাগিয়া মুড়াইল কেশ।
কি লাগিয়া মুখ-চান্দে              রাধা রাধা বলি কান্দে
কি লাগি ছাড়িল নিজ দেশ॥
শ্রীবাসের উচ্চ রায়                 পাষাণ মিলাঞা যায়
গদাধর না জিয়ে পরাণে।
বহিছে তপতধারা                  যেন মন্দাকিনী পারা
মুকুন্দের ও দুই নয়ানে॥
সকল মোহান্ত ঘরে                বিধাতা বুঝাইয়া ফিরে
তবু স্থির নাহি হয় কেহ।
জ্বলন্ত অনল হেন                      রমণী ছাড়িল কেন
কি লাগি তেজিল তার লেহ॥
কি কব দুখের কথা                কহিতে মরমে বেথা
না দেখি বিদরে মোর হিয়া।
দিবানিশি নাহি জানি                বিরহে আকুল প্রাণী
বাসু ঘোষ পড়ে মুরছিয়া॥

ই পদটি ১৯৯২ সালে প্রকাশিত, ডঃ চিত্রা রায়ের, বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের পি-এইচ.ডি. কলা (বাংলা)
উপাধির জন্য প্রদত্ত গবেষণা নিবন্ধ (সৌজন্যে শোধগঙ্গা ওয়েবসাইট,
https://shodhganga.inflibnet.ac.in )
“বৈষ্ণব সংস্কৃতি ও সাহিত্যে গোবিন্দ, মাধব ও বাসুদেব ঘোষ”, ৭ম অধ্যায়, বাসুঘোষের
পদাবলী সংকলন, ৬৩৩-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

॥ ভাটিয়ারী॥

কি লাগিয়া দণ্ড ধরে                   অরুণ বসন পরে
কি লাগিয়া মুড়াইল কেশ।
কি লাগিয়া মুখ চাঁদে              রাধা রাধা বলি কান্দে
কি লাগি ছাড়িল নিজ দেশ॥
শ্রীবাসের উচ্চরায়                 পাষাণ মিলাঞা যায়
গদাধর না জিয়ে পরাণে।
বহিছে তপত ধারা                  যেন মন্দাকিনী পারা
মুকুন্দের ও দুই নয়ানে॥
সকল মোহান্ত ঘরে                 বিধাতা বুঝাই ফিরে
তবু স্থির নাহি হয় কেহ।
জ্বলন্ত অনল হেন                     রমণী ছাড়িল কেন
কি জানি তেজিল তার লেহ॥
কি কব দুখের কথা                 কহিতে মরম বেথা
না দেখি বিদরে মোর হিয়া।
দিবানিশি নাহি জানি                বিরহে আকুল প্রাণী
বাসু ঘোষ পড়ে মুরছিয়া॥

.          ************************          
.                                                                                               
সূচীতে . . .   



মিলনসাগর
শচীর মন্দিরে আসি দুয়ারের পাশে বসি
সুধা খাটে দিল হাত বজ্র পড়িল মাথাত
শূন্য খাটে দিল হাত বজ্র পড়িল মাথাত
ভণিতা বাসু / বাসু ঘোষ
কবি বাসুদেব ঘোষ
আনুমানিক ১৭৫০ সালে, বৈষ্ণবদাস (গোকুলানন্দ সেন) সংকলিত এবং সতীশচন্দ্র রায় সম্পাদিত
শ্রীশ্রীপদকল্পতরু গ্রন্থের ১৩৩০ বঙ্গাব্দের (১৯২৩ সাল) ৩য় খণ্ড, ৪র্থ শাখা, ২১শপল্লব, শ্রীগৌরাঙ্গের সন্ন্যাস
ইত্যাদি, পদসংখ্যা ২২২১। এটি নিমানন্দদাসের পদরসসার পুথির ২৩২৬ সংখ্যক পদ।

॥ বিভাষ করুণ॥

শচীর মন্দিরে আসি                  দুয়ারের পাশে বসি
ধীরে ধীরে কহে বিষ্ণুপ্রিয়া।
শয়ন-মন্দিরে ছিলা                নিশাভাগে কোথা গেলা
মোর মুণ্ডে বজর পাড়িয়া॥
গৌরাঙ্গ জাগয়ে মনে                   নিদ্রা নাহি দুনয়নে
শুনিয়া উঠিলা শচী মাতা।
আউদড়-কেশে ধায়                     বসন না রহে গায়
শুনিয়া বধূর মুখের কথা॥
তুরিতে জ্বালিয়া বাতি                দেখিলেন ইতি উতি
কোন ঠাঞি উদ্দেশ না পাইয়া।
বিষ্ণুপ্রিয়া বধূ সাথে              কান্দিতে কান্দিতে পথে
ডাকে শচী নিমাঞি বলিয়া॥
শুনিয়া নদীয়ার লোকে            কান্দে উচ্চস্বরে শোকে
যারে তারে পুছেন বারতা।
একজন পথে যায়                      দশজনে পুছে তায়
গৌরাঙ্গ দেখ্যাছ যাইতে কোথা॥
সে বলে দেখ্যাছি পথে            কেহো তা নাহিক সাথে
কাঞ্চননগর-পথে ধায়।
কহে বাসু ঘোষ ভাষা                    শচীর এমন দশা
পাছে জানি মস্তক মুড়ায়॥

ই পদটি ১৯৩৪ সালে প্রকাশিত, জগবন্ধু ভদ্র সংকলিত, মৃণালকান্তি ঘোষ সম্পাদিত, পদাবলী সংকলন
“শ্রীগৌরপদ-তরঙ্গিণী” ২য় সংস্করণ (১ম সংস্করণ ১৯০২), ২৪০-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে। এই পদের
প্রথম ২টি ভিন্ন পংক্তি হলেও পরবর্তী পদ কিছু পাঠান্তর সহ একই রকম।

॥ বিভাস বা করুণ॥

সুধা খাটে দিল হাত                বজ্র পড়িল মাথাত
বুঝি বিধি মোরে বিড়ম্বিল।
করুণা করিয়া কান্দে                কেশবেশ নাহি বান্ধে
শচীর মন্দির কাছে গেল॥
শচীর মন্দিরে আসি                দুয়ারের কাছে বসি
ধীরে ধীরে কহে বিষ্ণুপ্রিয়া।
শয়নমন্দিরে ছিল                নিশা অন্তে কোথা গেল
মোর মুণ্ডে বজর পড়িয়া॥
গৌরাঙ্গ জাগয় মনে                  নিদ্রা নাহি দুনয়নে
শুনিয়া উঠিল শচীমাতা।
আলু থালু কেশে যায়                বসন না বহে গায়
শুনিয়া বধূর মুখের কথা॥
তুরিতে জ্বালিয়া বাতি              দেখিলেন ইতি উতি
কোন ঠাঁই উদ্দেশ না পাইয়া।
বিষ্ণুপ্রিয়া বধু সাথে             কান্দিয়া কান্দিয়া পথে
ডাকে শচী নিমাই বলিয়া॥
তা শুনি নদীয়ার লোকে        কাঁদে উচ্চৈঃস্বরে শোকে
যারে তারে পুছেন বারতা।
একজন পথে ধায়                    দশ জন পুছে তায়
গৌরাঙ্গ দেখেছ যেতে কোথা॥
সে বলে দেখেছি যেতে             আর কেহ নাহি সাথে
কাঞ্চন নগরের পথে ধায়।
বাসু কহে আহা মরি                আমার শ্রীগৌর হরি
পাছে জানি মস্তক মুড়ায়॥

ই পদটি ১৯১৬ সালে প্রকাশিত, হরিলাল চট্টোপাধ্যায় সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী সংকলন
“শ্রীশ্রীপদরত্ন-মালা”, ৪৬০-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

॥ বিভাস॥

শচীর মন্দিরে আসি                  দুয়ারের পাশে বসি
ধীরে ধীরে কহে বিষ্ণুপ্রিয়া।
শয়ন মন্দিরে ছিলা               নিশা কালে কোথা গেলা
মোর মুণ্ডে বজর পাড়িয়া॥
গৌরাঙ্গ জাগয়ে মনে                   নিদ্রা নাহি দুনয়নে
শুনিয়া উঠিলা শচীমাতা।
আয়ুদর কেশে ধায়                     বসন না রহে গায়
শুনিয়া বধূর মুখের কথা॥
তুরিত জ্বালিয়া বাতি                দেখিলেন ইতি উতি
কোন ঠাঞি উদ্দেশ না পাইয়া।
বিষ্ণুপ্রিয়া বধূ সাথে              কান্দিতে কান্দিতে পথে
ডাকে শচী নিমাই বলিয়া॥
শুনিয়া নদিয়ার লোক               কান্দে উচ্চস্বরে শোক
যারে তারে পুছেন বারতা।
একজন পথে যায়                      দশজনে পুছে তায়
গৌরাঙ্গ দেখ্যাছ যাইতে কোথা॥
সে বলে দেখেছি পথে            কেহত তা নাহিক সাথে
কাঞ্চন নগর পথে ধায়।
কহে বাসু ঘোষ ভাষা                     শচীর এমন দশা
পাছে জানি মস্তক মুড়ায়॥

ই পদটি ১৯৩৩ সালে প্রকাশিত, মহানামশুক নবদ্বীপচন্দ্র ঘোষ সম্পাদিত পদাবলী সংকলন
শ্রীশ্রীগৌরপদরত্নমালা, ৫৭-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

॥ কেদার - একতালী॥

শচীর মন্দিরে আসি,                  দুয়ারের পাশে বসি,
ধীরে ধীরে কহে বিষ্ণুপ্রিয়া।
শয়ন মন্দিরে ছিলা,                নিশিভাগে কোথা গেলা,
মোর মুণ্ডে বজর পাড়িয়া॥
গৌরাঙ্গ জাগয়ে মনে,                   নিদ্রা নাহি দুনয়নে,
শুনিয়া উঠিলা শচী মাতা।
আউদড় কেশে ধায়,                     বসন না রহে গায়,
শুনিয়া বধূর মুখের কথা॥
তুরিতে জ্বালিয়া বাতি,                দেখিলেন ইতি উতি,
কোন ঠাঞি উদ্দেশ না পাইয়া।
বিষ্ণুপ্রিয়া বধূ সাথে,              কাঁদিতে কান্দিতে পথে
ডাকে শচী নিমাই বলিয়া॥
শুনিয়া নদিয়ার লোকে,          কাঁদে উচ্চৈঃস্বরে শোকে,
যারে তারে পুছেন বারতা।
একজন পথে যায়,                      দশজনে পুছে তায়,
গৌরাঙ্গ দেখ্যাছ যাইতে কোথা॥
যে বলে দেখেছি পথে,              কেহতো নাহিক সাথে,
কাঞ্চন নগর পথে ধায়।
কহে বাসু ঘোষ ভাষা,                   শচীর এমন দশা,
পাছে জানি মস্তক মুড়ায়॥

ই পদটি ১৯৩৭ সালে প্রকাশিত, সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পাদিত “পদামৃত লহরী”,
১৮৩-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

॥ রাগিণী বিভাষ - তাল দশকুশি॥

শচীর মন্দিরে আসি, দুয়ারের পাশে বসি, ধীরে ধীরে কহে
বিষ্ণুপ্রিয়া। শয়নমন্দিরে ছিলা, নিশাভাগে কোথা গেলা, মোর
মুণ্ডে বজর পাড়িয়া॥ গৌরাঙ্গ জাগয়ে মনে, নিদ্রা নাহি দুনয়নে,
শুনিয়া উঠিলা শচীমাতা। আউদর কেশে ধায়, বসন নাহিক
গায়, শুনিয়া বধূর মুখের কথা॥ তুরিতে জ্বালিয়া বাতি, দেখিলেন
ইতি উতি, কোন ঠাঞি উদ্দেশ না পাইয়া। বিষ্ণুপ্রিয়া বধূর
সাথে, কান্দিতে কান্দিতে পথে, ডাকে শচী নিমাই বলিয়া॥
শুনি নদিয়ার লোকে, কান্দে উচ্চ স্বরে শোকে, যারে তারে পুছয়ে
বারতা। একজন পথে যায়, দশজন পুছে তায়, গৌরাঙ্গ দেখেছ
যেতে কোথা॥ সে বলে দেখেছি পথে, কেহত নাহিক সাথে,
কাঞ্চন নগর পথে ধায়। কহে বাসুঘোষ ভাষা, শচীর এমন দশা,
পাছে জানি মস্তক মুড়ায়॥

ই পদটি ১৯৪০ সালে প্রকাশিত, চারুচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পাদিত “বিদ্যাপতি চণ্ডীদাস ও
অন্যান্য বৈষ্ণব মহাজন গীতিকা”, ১০-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

শিশু গৌরাঙ্গ

সুধা-খাটে দিল হাত,                বজ্র পড়িল মাথাত,
বুঝি বিধি মোরে বিড়ম্বিল।
করুণা করিয়া কান্দে,            কেশ বেশ নাহি বান্ধে,
শচীর মন্দির-কাছে গেল॥
শচীর মন্দিরে আসি’,               দুয়ারের কাছে বসি’
ধীরে ধীরে কহে বিষ্ণুপ্রিয়া।
শয়ন-মন্দিরে ছিল,              নিশা-অন্তে কোথা গেল
মোর মুণ্ডে বজর পাড়িয়া॥
গৌরাঙ্গ জাগয় মনে,                 নিদ্রা নাহি দু’নয়নে,
শুনিয়া উঠিল শচীমাতা।
আলু থালু কেশে যায়,                বসন না বহে গায়
শুনিয়া বধূর মুখের কথা॥
তুরিতে জ্বালিয়া বাতি             দেখিলেন ইতি উতি
কোন ঠাঁই উদ্দেশ না পাইয়া।
বিষ্ণুপ্রিয়া বধু সাথে             কান্দিয়া কান্দিয়া পথে
ডাকে শচী নিমাই বলিয়া॥
তা শুনি’ নদীয়ার লোকে      কান্দে উচ্চৈঃস্বরে শোকে,
যারে তারে পুছেন বারতা।
একজনে পথে ধায়,                  দশজনে পুছে তায়
গৌরাঙ্গ দেখেছ যেতে কোথা॥
সে বলে---দেখেছি যেতে          আর কেহ নাহি সাথে,
কাঞ্চননগরের পথে ধায়।
বাসু কহে---আহা মরি                আমার শ্রীগৌরহরি
পাছে জানি মস্তক মুড়ায়॥

ই পদটি ১৯৪৬ সালে প্রকাশিত, হরেকৃষ্ণ মুখোপাধ্যায় সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী সংকলন “বৈষ্ণব
পদাবলী”, ১৬৬-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

শ্রীগৌরাঙ্গের সন্ন্যাস লীলা
॥ বিভাস বা করুণ॥

শূন্য খাটে দিল হাত                বজ্র পড়িল মাথাত
বুঝি বিধি মোরে বিড়ম্বিল।
করুণা করিয়া কান্দে             কেশবেশ নাহি বান্ধে
শচীর মন্দির কাছে গেল॥
শচীর মন্দিরে আসি               দুয়ারের কাছে বসি
ধীরে ধীরে কহে বিষ্ণুপ্রিয়া।
শয়নমন্দিরে ছিল              নিশা অন্তে কোথা গেল
মোর মুণ্ডে বজর পাড়িয়া॥
গৌরাঙ্গ জাগয় মনে                নিদ্রা নাহি দুনয়নে
শুনিয়া উঠিল শচীমাতা।
আলু থালু কেশে যায়              বসন না বহে গায়
শুনিয়া বধূর মুখের কথা॥
তুরিতে জ্বালিয়া বাতি             দেখিলেন ইতি উতি
কোন ঠাঁই উদ্দেশ না পাইয়া।
বিষ্ণুপ্রিয়া বধু সাথে             কান্দিয়া কান্দিয়া পথে
ডাকে শচী নিমাই বলিয়া॥
তা শুনি নদীয়ার লোকে        কাঁদে উচ্চৈস্বরে শোকে
যারে তারে পুছয়ে বারতা।
একজন পথে ধায়                   দশজনে পুছে তায়
গৌরাঙ্গ দেখেছ যেতে কোথা॥
সে বলে দেখেছি যেতে           আর কেহ নাহি সাথে
কাঞ্চন নগরের পথে ধায়।
বাসু কহে আহা মরি                আমার শ্রীগৌর হরি
পাছে জানি মস্তক মুড়ায়॥

ই পদটি ১৯৫৫ সালে প্রকাশিত, নবদ্বীপচন্দ্র ব্রজবাসী ও খগেন্দ্রনাথ মিত্র সম্পাদিত মহাজন পদাবলী
“শ্রীপদামৃতমাধুরী” ৪র্থ খণ্ড, ৪৫৭-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

॥ করুণ বরাড়ী - একতালা॥

শচীর মন্দিরে আসি                  দুয়ারের পাশে বসি
ধীরে ধীরে কহে বিষ্ণুপ্রিয়া।
শয়ন-মন্দিরে ছিলা                নিশাভাগে কোথা গেলা
মোর মুণ্ডে বজর পাড়িয়া॥
গৌরাঙ্গ জাগয়ে মনে                   নিদ্রা নাহি দুনয়নে
শুনিয়া উঠিলা শচী মাতা।
আউদড়-কেশে ধায়                     বসন না রহে গায়
শুনিয়া বধূর মুখের কথা॥
তুরিতে জ্বালিয়া বাতি                দেখিলেন ইতি উতি
কোন ঠাঞি উদ্দেশ না পাইয়া।
বিষ্ণুপ্রিয়া বধূ সাথে              কান্দিতে কান্দিতে পথে
ডাকে শচী নিমাঞি বলিয়া॥
শুনিয়া নদীয়ার লোকে            কান্দে উচ্চস্বরে শোকে
যারে তারে পুছেন বারতা।
একজন পথে যায়                      দশজনে পুছে তায়
গৌরাঙ্গ দেখ্যাছ যাইতে কোথা॥
সে বলে দেখ্যাছি পথে            কেহো তা নাহিক সাথে
কাঞ্চন নগর পথে ধায়।
কহে বাসু ঘোষ ভাষা                    শচীর এমন দশা
পাছে জানি মস্তক মুড়ায়॥

ই পদটি ১৯৫৪ সালে প্রকাশিত, সতী ঘোষ সম্পাদিত “প্রত্যক্ষদর্শীর কাব্যে মহাপ্রভু শ্রীচৈতন্য”,
১০৮-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

শচীর মন্দিরে আসি                        
দুয়ারের পাশে বসি
ধীরে ধীরে কহে বিষ্ণুপ্রিয়া।                
শয়ন মন্দিরে ছিল                        
নিশা ভাগে কোথা গেল
মোর মুণ্ডে বজর পাড়িয়া॥                
গৌরাঙ্গ জাগয়ে মনে                        
নিদ্রা নাহি দুনয়নে
সুনিঞা বধুর মুখে কথা।                
আলু থালু কেশে ধায়                     
বসন না দেয় গায়
তুরিতে ধাইল শচীমাতা॥                
শীঘ্র করি জ্বালি বাতি                    
খুঁজিলেন ইতিউতি
গৌরাঙ্গের উদ্দেশ না পাঞা।              
বিষ্ণুপ্রিয়ার ধরি হাথে                     
কান্দিতে কান্দিতে পথে
ডাকে শচী নিমাই বলিঞা॥                
তা শুনিয়া নদীয়ার লোকে                
কান্দে উচ্চস্বর মুখে                        
যারে তারে পুছেন বারতা।
একজন পথে ধায়                        
শচীমাতা পুছে তায়
গৌরাঙ্গ দেখ্যাছ যাইতে এথা॥            
সে কহে দেখ্যাছি যাইতে                
জনৈক সন্ন্যাসী সাথে                      
কাঞ্চন নগর মুখে ধায়।                     
সন্ন্যাসীর করে ধরি                        
তোমার নিমাই বলে হরি                    
দ্বিতীয় বসন নাহি গায়॥                    
বাসু কহে আহা মরি                       
তোমার গৈরাঙ্গ হরি                        
পাছে গিয়া মস্তক মুড়ায়॥                

ই পদটি ১৯৯১ সালে প্রকাশিত সুকুমার সেন সম্পাদিত “বৈষ্ণব পদাবলী”, ৬১-পৃষ্ঠায় এইরূপে
দেওয়া রয়েছে।

শচীর মন্দিরে আসি                  দুয়ারের পাশে বসি
ধীরে ধীরে কহে বিষ্ণুপ্রিয়া।
শয়ন-মন্দিরে ছিলা                নিশাভাগে কোথা গেলা
মোর মুণ্ডে বজর পাড়িয়া॥
গৌরাঙ্গ জাগয়ে মনে                   নিদ্রা নাহি দু-নয়নে
শুনিয়া উঠিলা শচীমাতা।
আউদড়-কেশে ধায়                     বসন না রহে গায়
শুনিয়া বধূর মুখে কথা॥
তুরিতে জালিয়া বাতি                দেখিলেন ইতি উতি
কোন ঠাঞি উদ্দেশ না পাইয়া।
বিষ্ণুপ্রিয়া বধূ সাথে              কান্দিতে কান্দিতে পথে
ডাকে শচী নিমাই বলিয়া॥
শুনিয়া নদিয়া-লোকে               কান্দে উচ্চস্বরে শোকে
যারে তারে পুছেন বারতা।
একজন পথে যায়                      দশজনে পুছে তায়
গৌরাঙ্গ দেখ্যাছ যাইতে কোথা॥
সে বলে দেখ্যাছি পথে            কেহো তা নাহিক সাথে
কাঞ্চননগর পথে ধায়।
কহে বাসু-ঘোষ ভাষা                     শচীর এমন দশা
পাছে জানি মস্তক মুড়ায়॥

ই পদটি ১৯৯২ সালে প্রকাশিত, ডঃ চিত্রা রায়ের, বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের পি-এইচ.ডি. কলা (বাংলা)
উপাধির জন্য প্রদত্ত গবেষণা নিবন্ধ (সৌজন্যে শোধগঙ্গা ওয়েবসাইট,
https://shodhganga.inflibnet.ac.in )
“বৈষ্ণব সংস্কৃতি ও সাহিত্যে গোবিন্দ, মাধব ও বাসুদেব ঘোষ”, ৭ম অধ্যায়, বাসুঘোষের
পদাবলী সংকলন, ৬২৮-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

॥ বিভাষ করুণ॥

শচীর মন্দিরে আসি                  দুয়ারের পাশে বসি
ধীরে ধীরে কহে বিষ্ণুপ্রিয়া।
শয়ন মন্দিরে ছিলা                নিশাভাগে কোথা গেলা
মোর মুণ্ডে বজর পাড়িয়া॥
গৌরাঙ্গ জাগয়ে মনে                   নিদ্রা নাহি দুনয়নে
শুনিয়া উঠিলা সচিমাতা।
আউদড়-কেশে ধায়                     বসন না রহে গায়
শুনিয়া বধূর মুখের কথা॥
তুরিতে জ্বালিয়া বাতি                দেখিলেন ইতি উতি
কোন ঠাঞি উদ্দেশ না পাইয়া।
বিষ্ণুপ্রিয়া বধূ সাথে              কান্দিতে কান্দিতে পথে
ডাকে শচী নিমাঞি বলিয়া॥
শুনিয়া নদীয়ার লোকে             কান্দে উচ্চস্বরে শোকে
যারে তারে পুছেন বারতা।
একজন পথে যায়                      দশজনে পুছে তায়
গৌরাঙ্গ দেখ্যাছ যাইতে কোথা॥
সে বলে দেখ্যাছি পথে            কেহো ত’ নাহিক সাথে
কাঞ্চননগর পথে ধায়।
কহে বাসু ঘোষ ভাষা                    শচীর এমন দশা
পাছে জানি মস্তক মুড়ায়॥

.          ************************          
.                                                                                               
সূচীতে . . .   



মিলনসাগর
গোরাগুণে প্রাণ কান্দে কি বুদ্ধি করিব
গোরা বিনু প্রাণ কান্দে কি বুদ্ধি করিব
ভণিতা বাসুদেব ঘোষ / ভণিতাহীন
কবি বাসুদেব ঘোষ
আনুমানিক ১৭৫০ সালে, বৈষ্ণবদাস (গোকুলানন্দ সেন) সংকলিত এবং সতীশচন্দ্র রায়
সম্পাদিত শ্রীশ্রীপদকল্পতরু গ্রন্থের ১৩৩০ বঙ্গাব্দের (১৯২৩ সাল) ৩য় খণ্ড, ৪র্থ শাখা,
২১শপল্লব, শ্রীগৌরাঙ্গের সন্ন্যাস ইত্যাদি, পদসংখ্যা ২২৮০।

॥ তথা রাগ॥

গোরা-গুণে প্রাণ কান্দে কি বুদ্ধি করিব।
গৌরাঙ্গ গুণের নিধি কোথা গেলে পাব॥
কে আর করিবে দয়া পতিত দেখিয়া।
দুর্ল্লভ হরির নাম কে দিবে যাচিয়া॥
অকিঞ্চন দেখি কেবা উঠিবে কান্দিয়া।
গোরা বিনু শূন্য হৈল সকল নদীয়া॥
বাসুদেব ঘোষ কান্দে গুণ সোঙরিয়া।
কেমনে রহিবে প্রাণ গোরা না দেখিয়া॥

ই পদটি উনিশ শতকে প্রকাশিত, নিমানন্দ দাস সংকলিত “পদরসসার” পুথির ১০৪১।
২৩৮৪ -পদসংখ্যায় এই রূপে দেওয়া রয়েছে। আমরা পুথিটি হাতে পাইনি। সতীশচন্দ্র
রায়ের পদকল্পতরুর টীকা-পাঠান্তর দেখে এখানে উপস্থাপন করা হলো।

॥ তথা রাগ॥

গোরা-গুণে প্রাণ কান্দে কি বুদ্ধি করিব।
গৌরাঙ্গ গুণের নিধি কোথা গেলে পাব॥
কে আর করিবে দয়া পতিত দেখিয়া।
দুর্ল্লভ হরির নাম কে দিবে যাচিয়া॥
অকিঞ্চন জনে দেখি উঠিবে কান্দিয়া।
গোরা বিনু শূন্য হৈল সকল নদীয়া॥
বাসুদেব ঘোষ কান্দে গোরার গুণ সোঙরিয়া।
কেমনে বাচিবে প্রাণ গোরা না দেখিয়া॥

ই পদটি দীনবন্ধু দাস দ্বারা ১৭৭১ সালে লিখিত, দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশের
সংগ্রহের পুথি (সংকলনের সাল নিয়ে আমরা নিশ্চিত নই), ১৯২৯ সালে বঙ্গীয় সাহিত্য
পরিষদ থেকে অমূল্যচরণ বিদ্যাভূষণ দ্বারা সম্পাদিত ও মুদ্রিত পদাবলী সংকলন
“শ্রীশ্রীসংকীর্ত্তনামৃত”, ১২৬-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

অথ বিপ্রলব্ধা।
তত্র গৌরচন্দ্রঃ।
॥ শ্রীরাগ॥

গোরাগুণে প্রাণ কান্দে কি বুদ্ধি করিব।
এমন গুণের নিধি কোথা গেলে পাব॥
কে আর করিবে দয়া অধম দেখিঞা।
ব্রহ্মার দুর্ল্লভ নাম কে দিবে যাচিঞা॥
অকিঞ্চন দেখি কে উঠিবে কান্দিঞা।
গোরা বিনু শূন্য ভেল নগর নদীয়া॥
বাসুদেব ঘোষ কান্দে গুণ সোয়ঁরিঞা।
কেমনে রয়্যাছে প্রাণ গোরা না দেখিঞা॥

ই পদটি দ্বিজ মাধব সংকলিত, উনিশ শতকের প্রথমার্ধে অনুলিখিত, বিশ্বভারতীর
গ্রন্থশালার ১৩৮১টি পদবিশিষ্ট “শ্রীপদমেরুগ্রন্থ”, ৩৪৭-পৃষ্ঠায় এই ভণিতাহীন রূপে দেওয়া
রয়েছে।

॥ রাগ তালো যথা॥

গোরাগুণে প্রাণ কান্দে কি বুদ্ধি করিব। সে হেন গুণের নিধি কোথা গেলে পাব॥
কে মোর করিবে দয়া পতিত দেখিয়া। দুর্লভ হরির নাম কে দিবে জাচিয়া॥
অকিঞ্চন দেখি কেবা উঠিবে কান্দিয়া। গোরা বিনে শূন্য হৈল নগর নদীয়া॥
মলাম মলাম গোরার গুণ সঙরিয়া। কেন বা আছয়ে প্রাণ গোরা না দেখিআ॥

ই পদটি ১৯৩৪ সালে প্রকাশিত, জগবন্ধু ভদ্র সংকলিত, মৃণালকান্তি ঘোষ সম্পাদিত,
পদাবলী সংকলন “শ্রীগৌরপদ-তরঙ্গিণী” ২য় সংস্করণ (১ম সংস্করণ ১৯০২), ২৫২-পৃষ্ঠায়
এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

॥ সুহই॥

গোরা-গুণে প্রাণ কান্দে কি বুদ্ধি করিব।
গৌরাঙ্গ গুণের নিধি কোথা গেলে পাব॥
কে আর করিবে দয়া পতিত দেখিয়া।
দুর্ল্লভ হরির নাম কে দিবে যাচিয়া॥
অকিঞ্চন দেখি কেবা উঠিবে কাঁদিয়া।
গোরা বিনু শূন্য হৈল সকল নদীয়া॥
বাসুদেব ঘোষ কান্দে গুণ সোঙরিয়া।
কেমনে রহিবে প্রাণ গোরা না দেখিয়া॥

ই পদটি ১৯৩৩ সালে প্রকাশিত, মহানামশুক নবদ্বীপচন্দ্র ঘোষ সম্পাদিত পদাবলী
সংকলন শ্রীশ্রীগৌরপদরত্নমালা, ৭৩-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

॥ বিহাগড়া - গড়্ খেম্ টা॥

গোরা গুণে প্রাণ কাঁদে কি বুদ্ধি করিব।
গৌরাঙ্গ গুণের নিধি কোথা গেলে পাব॥
কে আর করিবে দয়া পতিত দেখিয়া।
দুর্ল্লভ হরির নাম কে দিবে যাচিয়া॥
অকিঞ্চন দেখি কেবা উঠিবে কাঁদিয়া।
গোরা বিনু শূন্য হৈল সকল নদীয়া॥
বাসুদেব ঘোষ কাঁদে গুণ সোঙরিয়া।
কেমনে রহিবে প্রাণ গোরা না দেখিয়া॥

ই পদটি ১৯৩৭ সালে প্রকাশিত, সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পাদিত “পদামৃত লহরী”,
১৮৪-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

॥ রাগিণী গান্ধার - তাল একতালী॥

গোরা গুণে প্রাণ কান্দে কি বুদ্ধি করিব। গৌরাঙ্গ গুণের
নিধি কোথা গেলে পাব॥ কে আর করিবে দয়া পতিত দেখিয়া।
দুর্ল্লভ হরির নাম কে দিবে যাচিয়া॥ অকিঞ্চন দেখি কেবা
উঠিবে কান্দিয়া। গোরা বিনু শূন্য হৈল সকল নদীয়া॥ বাসুদেব
ঘোষ কান্দে গুণ সোঙরিয়া। ঝুরয়ে নদীয়া-লোক গোরা না
দেখিয়া॥

ই পদটি ১৯৪৬ সালে প্রকাশিত, হরেকৃষ্ণ মুখোপাধ্যায় সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী
সংকলন “বৈষ্ণব পদাবলী”, ১৬৯-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।
      
॥ সুহই॥

গোরাগুণে প্রাণ কাঁদে কি বুদ্ধি করিব।
গৌরাঙ্গ গুণের নিধি কোথা গেলে পাব॥
কে আর করিবে দয়া পতিত দেখিয়া।
দুর্ল্লভ হরির নাম কে দিবে যাচিয়া॥
অকিঞ্চন দেখি কেবা উঠিবে কাঁদিয়া।
গোরা বিনু শূন্য হৈল সকল নদীয়া॥
বাসুদেব ঘোষ কান্দে গুণ সোঙরিয়া।
কেমনে রহিবে প্রাণ গোরা না দেখিয়া॥

ই পদটি ১৯৫৪ সালে প্রকাশিত, সতী ঘোষ সম্পাদিত “প্রত্যক্ষদর্শীর কাব্যে মহাপ্রভু
শ্রীচৈতন্য”, ১১৫-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

গোরা বিনু প্রাণ কান্দে কি বুদ্ধি করিব।
এমন গুণের নিধি কোথা গেলে পাব॥
কে মোরে করিবে দয়া পতিত দেখিয়া।
ব্রহ্মার দুর্ল্লভ প্রেম কে দিবে যাচিয়া॥
অকিঞ্চন দেখি কেবা উঠিব কান্দিয়া।
গোরা বিনু শূন্য ভেল নগর নদীয়া॥
বাসুদেব ঘোষ কান্দে গোরাগুণ সোঙরিয়া।
কেমনে রহিয়াছে প্রাণ গোরা না দেখিয়া॥

ই পদটি ১৯৯১ সালে প্রকাশিত সুকুমার সেন সম্পাদিত “বৈষ্ণব পদাবলী”, ৬২-পৃষ্ঠায়
এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

গোরা-গুণে প্রাণ কান্দে কি বুদ্ধি করিব।
গৌরাঙ্গ গুণের নিধি কোথা গেলে পাব॥
কে আর করিবে দয়া পতিত দেখিয়া।
দুর্লভ হরির নাম কে দিবে যাচিয়া॥
অকিঞ্চন দেখি কেবা উঠিবে কান্দিয়া।
গোরা-বিনু শূন্য হৈল সকল নদীয়া॥
বাসুদেব ঘোষ কান্দে গুণ সোঙরিয়া।
ঝুরয়ে নদীয়া-লোক গোরা না হেরিয়া॥

ই পদটি ১৯৯২ সালে প্রকাশিত, ডঃ চিত্রা রায়ের, বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের পি-এইচ.ডি.
কলা (বাংলা) উপাধির জন্য প্রদত্ত গবেষণা নিবন্ধ (সৌজন্যে শোধগঙ্গা ওয়েবসাইট,
https:
//shodhganga.inflibnet.ac.in
) “বৈষ্ণব সংস্কৃতি ও সাহিত্যে গোবিন্দ, মাধব ও বাসুদেব
ঘোষ”, ৭ম অধ্যায়, বাসুঘোষের পদাবলী সংকলন, ৬৭৬-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

॥ শ্রীরাগ॥

গোরাগুণে প্রাণ কান্দে কি বুদ্ধি করিব।
এমন গুণের নিধি কোথা গেলে পাব॥
কে আর করিবে দয়া অধম দেখিঞা।
ব্রহ্মার দুর্ল্লভ নাম কে দিবে যাচিঞা॥
অকিঞ্চন জন দেখি কে উঠিবে কান্দিঞা।
গোরা বিনু শূন্য ভেল নগর নদীয়া॥
বাসুদেব ঘোষ কান্দে গুণ সোয়ঁরিঞা।
কেমনে রয়্যাছে প্রাণ গোরা না দেখিঞা॥

.          ************************          
.                                                                                  
সূচীতে . . .   



মিলনসাগর
নিরুপম গোরা তনু কষিল কাঞ্চন জনু
নিরমল গোরা তনু কষিল কাঞ্চন জনু
নিরমল গৌর তনু কষিত কাঞ্চন জনু
ভণিতা বাসুদেব ঘোষ
কবি বাসুদেব ঘোষ
এই পদটি নরহরি চক্রবর্তী (ঘনশ্যাম) দ্বারা আনুমানিক ১৭২৫ সালে সংকলিত ও বিরোচিত এবং ৪৬২  
গৌরাব্দে (১৯৪৯), হরিদাস দাস দ্বারা সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী সংকলন “শ্রীশ্রীগীতচন্দ্রোদয় (পূর্বরাগ)”, ৭২-
পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

॥ পুনঃ সিন্ধুড়া॥

নিরুপম গোরা তনু     কষিল কাঞ্চন জনু          হেরইতে ভৈগেল ভোর।
ভাঙ-ভুজঙ্গমে               দংশল মঝু মন           অন্তর কাঁপয়ে মোর॥
সজনি! যব হাম পেখলু গোরা।
আকুল দীগ্           বিদিগ নাহি পাইয়ে         মদন-মদালসে ভোরা॥ ধ্রু॥
অরুণিত নয়নে         তেরছ অবলোকনে         বরিষে কুসুমশর সাধে।
জিবইতে জীবনে             থেহ নাহি পায়লু            ডুবলু গঙ্গ অগাধে॥
মন্ত্র মহৌষধি             তুহুঁ জানসি যদি            সো সব করবি উপায়।
বাসুদেব ঘোষ কহে     কি কহব এ সখি      গোরা বিনু প্রাণ মোর যায়॥

ই পদটি আনুমানিক ১৭৫০ সালে, বৈষ্ণবদাস (গোকুলানন্দ সেন) সংকলিত এবং সতীশচন্দ্র রায়
সম্পাদিত শ্রীশ্রীপদকল্পতরু গ্রন্থের ১৩২২ বঙ্গাব্দের (১৯১৫ সাল) ১ম খণ্ড, ১ম শাখা, ২য় পল্লব,
শ্রীরাধার পূর্ব্বরাগ, ২৮-পদসংখ্যায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

অথ শ্রীরাধায়াঃ পূর্ব্বরাগঃ।
তদুচিত শ্রীগৌরচন্দ্র।
নাগরী উক্তি।
॥ কামোদ॥

নিরমল গোরা তনু                        কষিল কাঞ্চন জনু
হেরইতে ভৈ গেলুঁ ভোর।
ভাঙ-ভুজঙ্গমে                                দংশল মঝু মন
অন্তর কাঁপয়ে মোর॥
সজনি যব হাম পেখলুঁ গোরা।
আকুল দীগ                                বিদিগ নাহি পাইয়ে
মদনলালসে মন ভোরা॥ ধ্রু॥
অরুণিত-নয়নে                           তেরছ অবলোকনে
বরিখে কুসুম-শর সাধে।
জিবইতে জীবনে                             থেহ নাহি পায়লুঁ
ডুবলুঁ গঙ্গ অগাধে॥
মন্ত্র মহৌষধি                                তুহুঁ জানসি যদি
মঝু লাগি করবি উপায়।
বাসুদেব ঘোষ কহে                          শুন শুন এ সখি
গোরা লাগি প্রাণ মোর যায়॥

ই পদটি উনিশ শতকে প্রকাশিত, নিমানন্দ দাস সংকলিত “পদরসসার” পুথির ২৫৮-পদসংখ্যায় এই
রূপে দেওয়া রয়েছে। আমরা পুথিটি হাতে পাইনি। সতীশচন্দ্র রায়ের পদকল্পতরুর টীকা-পাঠান্তর দেখে
এখানে উপস্থাপন করা হলো।

॥ কামোদ॥

নিরমল গোরা তনু                        কষিল কাঞ্চন জনু
হেরইতে ভৈ গেলুঁ ভোর।
ভাঙ-ভুজঙ্গমে                                দংশল মঝু মন
অন্তর কাঁপয়ে মোর॥
যব হাম পেখলুঁ গোরা।
আকুল দীগ                                বিদিগ নাহি পায়লুঁ
মদনমদারসে মন ভোরা॥ ধ্রু॥
অরুণ-নয়ানে                            তেরছ অবলোকনে
বড়ই বিষম শর সান্ধি।
জিবইতে জীবনে                            ধৈরজ না বান্ধব
ডুবলুঁ গঙ্গা অগাধি॥
মন্ত্র মহৌষধি                                তুহুঁ জানসি যদি
সো তুহুঁ করহ উপায়।
বাসুদেব ঘোষ কহে                          শুন শুন সুন্দরি
গোরা বিনু মোর তনু যায়॥

ই পদটি ১৯৩৪ সালে প্রকাশিত, জগবন্ধু ভদ্র সংকলিত, মৃণালকান্তি ঘোষ সম্পাদিত, পদাবলী সংকলন
“শ্রীগৌরপদ-তরঙ্গিণী” ২য় সংস্করণ (১ম সংস্করণ ১৯০২), ১০৯-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

॥ কামোদ॥

নিরমল গৌর তনু                       কষিল কাঞ্চন জনু
হেরইতে পড়ি গেলু ভোর।
ভাঙ ভুজঙ্গমে,                              দংশল মঝু মন
অন্তর কাঁপয়ে মোর॥
সজনি যব হাম পেখলুঁ গোরা।
অকুল দিগ                              বিদিগ নাহি পাইয়ে
মদন লালসে মন ভোরা॥ ধ্রু॥
অরুণিত লোচনে                        তেরছ অবলোকনে
বরিখে কুসুম শর সাধে।
জিবইতে জীবনে                           থের নাহি পাওব
জনু পড়ু গঙ্গা অগাধে॥
মন্ত্র মহৌষধি                                তুহুঁ যদি জানসি
মঝু লাগি করহ উপায়।
বাসুদেব ঘোষে কহে                        শুন শুন হে সখি
গোরা লাগি প্রাণ মোর যায়॥

ই পদটি ১৯০৫ সালে প্রকাশিত দুর্গাদাস লাহিড়ী সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী সংকলন “বৈষ্ণব-পদলহরী”,
৪৮২-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

॥ নাগরী উক্তি॥

নিরমল গোরা তনু,                 কষিত কাঞ্চন জনু,
হেরইতে ভৈ গেনু ভোর।
ভাঙ ভুজঙ্গমে,                         দংশল মঝু মন,
অন্তর কাঁপয়ে মোর॥
সজনি, যবে হাম পেখলু গোরা।
আকুল দীগ,                        বিদিগ নাহি পাইয়ে,
মদনলালসে মন ভোরা॥
অরুণিতনয়নে,                     তেরছ অবলোকনে,
বরিখে কুসুমশর সাধে।
জীবইতে জীবনে,                      থেহ নাহি পায়লু,
ডুবলু গঙ্গা অগাধে॥
মন্ত্র মহৌষধি,                           তুহুঁ জানসি যদি,
মঝু লাগি করবি উপায়।
বাসুদেব ঘোষ কহে,                    শুন শুন এ সখি,
গোরা লাগি প্রাণ মোর যায়॥

ই পদটি ১৯১০ সালে প্রকাশিত, নবদ্বীপচন্দ্র ব্রজবাসী ও খগেন্দ্রনাথ মিত্র সম্পাদিত মহাজন পদাবলী
“শ্রীপদামৃতমাধুরী” ১ম খণ্ড, ১৩৪-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

শ্রীরাধিকার পূর্ব্বরাগ
॥ কামোদ - যোত সমতাল॥

নিরমল গোরা তনু                     কষিল কাঞ্চন জনু
হেরইতে ভৈ গেলুঁ ভোর।
ভাঙ-ভুজঙ্গমে,                             দংশল মঝু মন
অন্তর কাঁপয়ে মোর॥
সজনি যব ধরি পেখলুঁ গোরা।
অকুল দীগ                              বিদিগ নাহি পায়লুঁ
মদন-লালসে মনভোরা॥ ধ্রু॥
অরুণিত লোচনে                     তেরছ অবলোকনে
বরিখে কুসুম শর সাধে।
জিবইতে জীবনে                        থেহ নাহি পাইয়ে
ডুবলুঁ গঙ্গা অগাধে॥
মণিমন্ত্র মহৌষধি                        তুহুঁ জানসি যদি
মঝু লাগি করহ উপায়।
বাসুদেব ঘোষে কহে                      শুন শুন এ সখি
গোরা লাগি প্রাণ মোর যায়॥

ই পদটি ১৯১৬ সালে প্রকাশিত, হরিলাল চট্টোপাধ্যায় সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী সংকলন
“শ্রীশ্রীপদরত্ন-মালা”, ৭৭-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

॥ কামোদ॥

নিরমল গৌর তনু,        কষিত কাঞ্চন @@
হেরইতে পড়ি গেনু ভোর।
ভাঙ ভুজঙ্গম,                দংশল মঝু মন,
অন্তর কাঁপয়ে মোর॥
সজনি যব হাম পেখলু গোরা।
আকুল দিগ-               বিদিগ নাহি পাইয়ে
মদন লালসে মন ভোরা॥ ধ্রু॥
অরুণিত লোচনে,         তেরছ অবলোকনে
বরিখে কুসুম-শর সাধে।
জীবইতে জীবনে,            থেহ নাহি পায়লু
ডুবলু গঙ্গা অগাধে॥
মন্ত্র মহৌষধি                তুহুঁ জানসি যদি
মঝু লাগি করবি উপায়।
বাসুদেব ঘোষে কহে,        শুন শুন হে সখি
গোরা লাগি প্রাণ মোর যায়॥

@@ - অপাঠ্য অক্ষর।

ই পদটি ১৯৪৬ সালে প্রকাশিত, হরেকৃষ্ণ মুখোপাধ্যায় সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী সংকলন “বৈষ্ণব
পদাবলী”, ১৫৫-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

শ্রীরাধার পূর্ব্বরাগ
তদুচিত গৌরচন্দ্র
॥ কামোদ॥

নিরমল গোরাতনু                     কষিল কাঞ্চন জনু
হেরইতে ভৈ গেলুঁ ভোর।
ভাঙ ভুজঙ্গমে                            দংশল মঝু মন
অন্তর কাঁপয়ে মোর॥
সজনি যব হাম পেখলুঁ গোরা।
আকুল দিগ্                            বিদিগ্ নাহি পাইয়ে
মদন লালসে মন ভোরা॥ ধ্রু॥
অরুণিত লোচনে                      তেরছ অবলোকনে
বরিষে কুসুম শর সাধে।
জিবইতে জীবনে                        থেহ নাহি পাওলুঁ
ডুবলুঁ গঙ্গ অগাধে॥
মন্ত্র মহৌষধি                            তুহুঁ যদি জানসি
মঝু লাগি করবি উপায়।
বাসুদেব ঘোষ কহে                   শুন শুন ওহে সখি
গোরা লাগি প্রাণ মোর যায়॥

ই পদটি ১৯৯২ সালে প্রকাশিত, ডঃ চিত্রা রায়ের, বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের পি-এইচ.ডি. কলা (বাংলা)
উপাধির জন্য প্রদত্ত গবেষণা নিবন্ধ (সৌজন্যে শোধগঙ্গা ওয়েবসাইট,
https://shodhganga.inflibnet.ac.in )
“বৈষ্ণব সংস্কৃতি ও সাহিত্যে গোবিন্দ, মাধব ও বাসুদেব ঘোষ”, ৭ম অধ্যায়, বাসুঘোষের
পদাবলী সংকলন, ৭১৫-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

॥ সিন্ধুড়া॥

নিরুপম গোরাতনু            কষিল কাঞ্চন জনু
হেরইতে ভৈগেল ভোর।
ভাঙ ভুজঙ্গমে                    দংশল মঝু মন
অন্তর কাঁপয়ে মোর॥
সজনি! যব হাম পেখলু গোরা।
আকুল দীগ্                  বিদিগ নাহি পাইয়ে
মদন মদালসে ভোরা॥ ধ্রু॥
অরুণিত নয়নে               তেরছ অবলোকনে
বরিষে কুসুমশর সাধে।
জীবইতে জীবনে                থেহ নাহি পায়লু
ডুবলু গঙ্গ অবাধে॥
মন্ত্র মহৌষধি                    তুহুঁ জানসি যদি
সো সব করবি উপায়।
বাসুদেব ঘোষ কহে            কি কহব এ সখি
গোরা বিনু প্রাণ মোর জায়॥

পাঠান্তর -
চাঁদ বদনেতে                  হাসিতে উগরি মণি
হেরি কি করব উপায়।
বাসুদেব ঘোষ কহে              সুন সুন সুন্দরি
গোরা বিনে তনু মোর জায়॥

---চিত্তরঞ্জন সংগ্রহ ৩৫৬-তে শেষ দুই ত্রিপদি।
---চিত্রা রায়॥

.          ************************          
.                                                                                  
সূচীতে . . .   



মিলনসাগর
আরে মোর গোরা দ্বিজমণি
আরে মোর আরে মোর গোরা দ্বিজমণি
ভণিতা বাসু / বাসুদেব
কবি বাসুদেব ঘোষ
নরহরি চক্রবর্তী (ঘনশ্যাম) দ্বারা আনুমানিক ১৭২৫ সালে সংকলিত ও বিরোচিত এবং
৪৬২  গৌরাব্দে (১৯৪৯), হরিদাস দাস দ্বারা সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী সংকলন
“শ্রীশ্রীগীতচন্দ্রোদয়  (পূর্বরাগ)”, ২৯৪-পৃষ্ঠা।

অথাপ্তদূতীগত্যুক্ত্যাদৌ
॥ সুহই। জয়জয়ন্তী॥

আরে মোর গোরা দ্বিজমণি। রাধা রাধা বলি কান্দে লোটায় ধরণী॥
রাধা নাম জপে গোরা পরম যতনে। সুরধুনী-ধারা বহে অরুণ নয়ানে॥
খণে খণে গোরা অঙ্গ ভূমে গড়ি যায়। রাধা নাম বলি খেণে খেণে মুরুছায়॥
পুলকে পূরল তনু গদ গদ বোল। বাসু কহে গোরা কেন এত উতরোল॥

ই পদটি আনুমানিক ১৭৫০ সালে, বৈষ্ণবদাস (গোকুলানন্দ সেন) সংকলিত এবং
সতীশচন্দ্র রায় সম্পাদিত শ্রীশ্রীপদকল্পতরু গ্রন্থের ১৩২২ বঙ্গাব্দের (১৯১৫ সাল) ১ম
খণ্ড, ১ম শাখা, ৩য় পল্লব, শ্রীকৃষ্ণের পূর্ব্বরাগ, ৫৪-পদসংখ্যায় এই রূপে দেওয়া রয়েছে।

অথ শ্রীকৃষ্ণস্য পূর্ব্বরাগঃ।
তদুচিত-শ্রীমহাপ্রভুঃ।
॥ সুহই। জয়জয়ন্তী॥

আরে মোর গোরা দ্বিজমণি।
রাধা রাধা বলি কান্দে লোটায় ধরণী॥
রাধা নাম জপে গোরা পরম যতনে।
সুরধুনী-ধারা বহে অরুণ নয়ানে॥
খেনে খেনে গোরা-অঙ্গ ভূমে গড়ি যায়।
রাধা নাম বলি খেনে খনে মুরুছায়॥
পুলকে পূরল তনু গদগদ বোল।
বাসু কহে গোরা কেন এত উতরোল॥

ই পদটি দ্বিজ মাধব সংকলিত, উনিশ শতকের প্রথমার্ধে অনুলিখিত, বিশ্বভারতীর
গ্রন্থশালার ১৩৮১টি পদবিশিষ্ট “শ্রীপদমেরুগ্রন্থ”, ২০-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

শ্রীকৃষ্ণস্য পূর্ব্বরাগ॥
তদুচিত শ্রীমহাপ্রভু॥

আরে মোর আরে মোর গোরা দ্বিজমণি। রাধা রাধা বলি কান্দে লোটাএ ধরণী॥
রাধানাম জপে গোরা পরম জতনে। সুরধুনী ধারা বহে অরুণ নয়ানে॥
ক্ষণে ক্ষণে গোরাঅঙ্গ ভূমে গড়ি যায়। রাধানাম লেই ক্ষণে ক্ষণে মুরুছায়॥
পুলকে পূরল তনু গদগদ বোল। বাসুদেব কহে কেনে এত উতরোল॥

ই পদটি ১৮৪৯ সালে প্রকাশিত গৌরমোহন দাস সংকলিত পদাবলী সংকলন
“পদকল্পলতিকা”, ৫-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া দেওয়া রয়েছে।

॥ শোহিনী॥

আরে মোর গোরা দ্বিজমণি।
রাধা রাধা বলি কান্দে লোটায় ধরণী॥
রাধা নাম জপে গোরা পরম যতনে।
সুরধুনী ধারা বহে অরুণ নয়ানে॥
ক্ষণে ক্ষণে গোরা অঙ্গ ভূমে গড়ি যায়।
রাধানাম বলি ক্ষণে ক্ষণে মূরছায়॥
পুলকে পূরল তনু গদগদ বোল।
বাসু কহে গোরা কেনে এত উতরোল॥

ই পদটি ১৯৩৪ সালে প্রকাশিত, জগবন্ধু ভদ্র সংকলিত, মৃণালকান্তি ঘোষ সম্পাদিত,
পদাবলী সংকলন “শ্রীগৌরপদ-তরঙ্গিণী” ২য় সংস্করণ (১ম সংস্করণ ১৯০২), ১৯১-পৃষ্ঠায়
এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

॥ জয়জয়ন্তী॥

আরে মোর গোরা দ্বিজমণি।
রাধা রাধা বলি কাঁদে লোটায় ধরণী॥
রাধানাম জপে গোরা পরম যতনে।
কত সুরধুনী বহে অরুণ নয়নে॥
ক্ষণে ক্ষণে গোরা-অঙ্গ ভূমে গড়ি যায়।
রাধা নাম বলি ক্ষণে ক্ষণে মূরুছায়॥
পুলকে পূরল তনু গদ গদ বোল।
বাসু কহে গোরা কেনে এত উতরোল॥

ই পদটি ১৯১০ সালে প্রকাশিত, নবদ্বীপচন্দ্র ব্রজবাসী ও খগেন্দ্রনাথ মিত্র সম্পাদিত
মহাজন পদাবলী “শ্রীপদামৃতমাধুরী” ১ম খণ্ড, ৫-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

শ্রীকৃষ্ণের পূর্ব্বরাগ
শ্রীগৌরচন্দ্র।
॥ তুড়ী বড় দশকুশী॥

আরে মোর আরে মোর গোরা দ্বিজমণি।
রাধা রাধা বলি কান্দে লোটাএ ধরণী॥
রাধা নাম জপে গোরা পরম যতনে।
সুরধুনী-ধারা বহে অরুণ নয়নে॥
ক্ষণে ক্ষণে গোরা অঙ্গ ভূমে গড়ি যায়।
রাধা নাম বলি ক্ষণে ক্ষণে মুরছায়॥
পুলকে পূরল তনু গদ গদ বোল।
বাসু কহে গোরা কেনে এত উতরোল॥

ই পদটি ১৯১৬ সালে প্রকাশিত, হরিলাল চট্টোপাধ্যায় সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী
সংকলন “শ্রীশ্রীপদরত্ন-মালা”, ১২৫-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

শ্রীকৃষ্ণের পূর্ব্বরাগ।
তস্য শ্রীগৌরচন্দ্র।
॥ জয় জয়ন্তী॥

আরে মোর গোরা দ্বিজমণি।
রাধা রাধা বলি কান্দে লোটায় ধরণী॥
রাধা নাম জপে গোরা পরম যতনে।
সুরধুনী ধারা বহে অরুণ নয়ানে॥
ক্ষণে ক্ষণে গোরা অঙ্গ ভূমে গড়ি যায়।
রাধা নাম দপে ক্ষণে ক্ষণে মুরুছায়॥
পুলকে পূরল তনু গদ গদ বোল।
বাসু কহে গোরা কেনে এত উতরোল॥

ই পদটি ১৯৩৭ সালে প্রকাশিত, সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পাদিত “পদামৃত লহরী”,
৩২-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

অথ কৃষ্ণের পূর্ব্বরাগ
॥ সুহই - সমতাল॥

আরে মোর আরে মোর গোরা দ্বিজমণি। রাধা রাধা বলি
কান্দে লোটায়ে ধরণী॥ রাধা নাম জপে গোরা পরম যতনে।
সুরধুনী ধারা বহে অরুণ নয়ানে॥ ক্ষণে ক্ষণে গোরা অঙ্গ ভূমে
গড়ি যায়। রাধা রাধা বলি ক্ষণে ক্ষণে মূরছায়॥ পুলকে পূরল
তনু গদ গদ বোল। বাসু কহে গোরা কেন এত উতরোল॥

ই পদটি ১৯৩৮ সালে প্রকাশিত, সুধীরচন্দ্র রায় ও অপর্ণা দেবী সম্পাদিত পদাবলী
সংকলন “কীর্ত্তন পাদাবলী”. ১২৪-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

তদুচিত গৌরচন্দ্রিকা
॥ সুহই - বড় দশকুসী॥

আরে মোর আরে মোর গোরা দ্বিজমণি।
রাধা রাধা বলি কান্দে লোটায়ে ধরণী॥
রাধা নাম জপে গোরা পরম যতনে।
সুরধুনীধারা বহে অরুণ নয়নে॥
খেনে খেনে গোরা অঙ্গ ভূমে গড়ি যায়।
রাধা নাম বলি খেনে খেনে মূরছায়॥
পুলকে পূরল তনু গদগদ বোল।
বাসু কহে গোরা কেনে এত উতরোল॥ 

ই পদটি ১৯৪৬ সালে প্রকাশিত, হরেকৃষ্ণ মুখোপাধ্যায় সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী
সংকলন “বৈষ্ণব পদাবলী”, ১৫৫-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

শ্রীকৃষ্ণের পূর্ব্বরাগ।
তদুচিত শ্রীগৌরচন্দ্র।
॥ জয়জয়ন্তী॥

আরে মোর, আরে মোর গোরা দ্বিজমণি।
রাধা রাধা বলি কাঁদে লোটায় ধরণী॥
রাধানাম জপে গোরা পরম যতনে।
কত সুরধুনী বহে অরুণ নয়ানে॥
ক্ষণে ক্ষণে গোরা অঙ্গ ভুমে গড়ি যায়।
রাধা নাম বলি ক্ষণে ক্ষণে মূরছায়॥
পুলকে পূরল তনু গদগদ বোল।
বাসু কহে গোরা কেনে এত উতরোল॥

ই পদটি ১৯৫৪ সালে প্রকাশিত, সতী ঘোষ সম্পাদিত “প্রত্যদর্শীর কাব্যে মহাপ্রভু
শ্রীচৈতন্য”, ১০২-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

আরে মোর গোরা দ্বিজমণি।
.        রাধা রাধা বলি কাঁদে
.                লোটায় ধরণী॥
রাধানাম জপে গোরা পরম যতনে।
সুবলিত ধারা বহে অরুণ নয়ানে॥
গোরা মোর ক্ষেণে ভুমে গড়ি যায়।
রাধিকার বদন হেরি ক্ষেণে মূরছায়॥
পুলকে পূরল তনু গদগদ বোল।
কহে বাসু গোরা বড় উতরোল॥

ই পদটি ১৯৭৭ সালে প্রকাশিত, দেবনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পাদিত “বৈষ্ণব পদসঙ্কলন”,
৩১-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

আরে মোর গোরা দ্বিজমণি।
রাধা রাধা বলি কান্দে লোটায় ধরণী॥
রাধানাম জপে গোরা পরম যতনে।
কত সুরধুনী-ধারা বহে অরুণ নয়নে॥
খেনে খেনে গোরা-অঙ্গ ভূমে গড়ি যায়।
রাধা নাম বলি খেনে খেনে মুরুছায়॥
পুলকে পূরল তনু গদগদ বোল।
বাসু কহে গোরা কেনে এত উতরোল॥

ই পদটি ১৯৯২ সালে প্রকাশিত, ডঃ চিত্রা রায়ের, বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের পি-এইচ.ডি.
কলা (বাংলা) উপাধির জন্য প্রদত্ত গবেষণা নিবন্ধ (সৌজন্যে শোধগঙ্গা ওয়েবসাইট,
https:
//shodhganga.inflibnet.ac.in
) “বৈষ্ণব সংস্কৃতি ও সাহিত্যে গোবিন্দ, মাধব ও বাসুদেব
ঘোষ”, ৭ম অধ্যায়, বাসুঘোষের পদাবলী সংকলন, ৫৫৫-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

॥ সুহই রাগ॥

আরে মোর গোরা দ্বিজমণি।
রাধা রাধা বলি কান্দে লোটায় ধরণী॥
রাধা নাম জপে গোরা পরম জতনে।
সুরধনী ধারা বহে অরুন নয়ানে॥
খনে খনে গোরা অঙ্গ ভূমে গড়ি যায়।
রাধা নাম বলি খেনে খেনে মুরুছায়॥
পুলকে পুরল তনু গদ গদ বোল।
বাসু কহে গোরা কেনে এত উতরোল॥

.          ************************          
.                                                                                  
সূচীতে . . .   



মিলনসাগর
কি কহব রে সখি! স্বপনক ভাব
কি কহিব রে সখি আজুক ভাব
কি কহব রে সখী আজুক ভাব
কি কহবরে সখি আজুকার ভাব
ভণিতা বাসুদেব ঘোষ
কবি বাসুদেব ঘোষ
নরহরি চক্রবর্তী (ঘনশ্যাম) দ্বারা আনুমানিক ১৭২৫ সালে সংকলিত ও বিরোচিত এবং
৪৬২  গৌরাব্দে (১৯৪৯), হরিদাস দাস দ্বারা সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী সংকলন
“শ্রীশ্রীগীতচন্দ্রোদয়  (পূর্বরাগ)”, ৯৪-পৃষ্ঠা।

নায়িকা প্রাহ---
॥ বিভাষ॥

কি কহব রে সখি! স্বপনক ভাব। অযতনে মোহে হোয়ল বহু লাভ॥
একাকী আছলি হাম বনাইতে বেশ। মুকুরে নিরখি মুখ বাঁধলু কেশ॥
তৈখণে মিলল গোরা নটরাজ। ধৈরয ভাঙ্গল কুলবতীলাজ॥
দরশনে পুলকে পূরল তনু মোর। বাসুদেব ঘোষ কহে কয়লহি কোর॥

ই পদটি আনুমানিক ১৭৫০ সালে, বৈষ্ণবদাস (গোকুলানন্দ সেন) সংকলিত এবং
সতীশচন্দ্র রায় সম্পাদিত শ্রীশ্রীপদকল্পতরু গ্রন্থের ১৩২২ বঙ্গাব্দের (১৯১৫ সাল) ১ম
খণ্ড, ১ম শাখা, ১১শ পল্লব, সংক্ষিপ্ত রসোদ্গার, ২৪৯-পদসংখ্যায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।
এটি কমলাকান্ত দাসের পদরত্নাকর পুথির ১৩|৬৪ সংখ্যক পদ।

তদ্রসোচিত-নবদ্বীপ-নাগরীণাং উক্তিঃ।
॥ বিভাষ॥

কি কহিব রে সখি আজুক ভাব।
অযতনে মোহে হয়ল বহু লাভ॥
একলি আছিলুঁ হাম বনাইতে বেশ।
মুকুরে নিরখি মুখ বান্ধলু কেশ॥
তৈখনে মীলল গোরা নটরাজ।
ধৈরজ ভাঙ্গল কুলবতি লাজ॥
দরশনে পুলকে পুরল তনু মোর।
বাসুদেব ঘোষ কহে করলহি কোর॥

ই পদটি ১৮০৭ সালে প্রকাশিত, কমলাকান্ত দাস সংকলিত “পদরত্নাকর” পুথির ১৩|৬৪-
পদ-সংখ্যায় এই রূপে দেওয়া রয়েছে। আমরা পুথিটি হাতে পাইনি। সতীশচন্দ্র রায়ের
পদকল্পতরুর টীকা-পাঠান্তর দেখে এখানে উপস্থাপন করা হলো।

॥ বিভাষ॥

কি কহিব রে সখি আজুক ভাব।
আজু জতনে দেওল মুঝে লাভ॥
একলি আছিলুঁ আমি বনাইতে বেশ।
মুকুরে নিরখি তহি বান্ধল কেশ॥
তৈখনে মীলল গোরা নটরাজ।
ধৈরজ ভাগল কুলবতি লাজ॥
দরশনে পূরল তনু পুলকিত মোর।
বাসুদেব কহে গোরা নওল কিশোর॥

ই পদটি দ্বিজ মাধব সংকলিত, উনিশ শতকের প্রথমার্ধে অনুলিখিত, বিশ্বভারতীর
গ্রন্থশালার ১৩৮১টি পদবিশিষ্ট “শ্রীপদমেরুগ্রন্থ”, ১৫৪-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

॥ তদন্তে রসোদ্গার তদুচিত শ্রীমহাপ্রভু॥

কি কহব রে সখী আজুক ভাব। অজতনে মোহে হোয়ল বহু লাভ॥
একলি আছিল হাম বনাইতে বেশ। মুকুরে নিরখি মুখ বান্ধলি কেশ॥
তৈখনে মিলিল গোরা নটরাজ। দরপণে দেখিএ সাধল কাজ॥
দরশনে পুলকে পূরল তনু মোর। বাসুদেব ঘোষ কহে করলহি কোর॥

ই পদটি ১৯৩৪ সালে প্রকাশিত, জগবন্ধু ভদ্র সংকলিত, মৃণালকান্তি ঘোষ সম্পাদিত,
পদাবলী সংকলন “শ্রীগৌরপদ-তরঙ্গিণী” ২য় সংস্করণ (১ম সংস্করণ ১৯০২), ১৩১-পৃষ্ঠায়
এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

॥ বিভাস॥

কি কহিব রে সখি আজুক ভাব।
অযতনে মোহে হয়ল বহু লাভ॥
একলি আছিনু আমি বনাইতে বেশ।
মুকুরে নিরখি মুখ বাঁধল কেশ॥
তৈখনে মিলিল গোরানটরাজ।
ধৈরজ ভাঙ্গল কুলবতীলাজ॥
দরশনে পুলকে পূরল তনু মোর।
বাসুদেব ঘোষ কহে করলহি কোর॥

ই পদটি ১৯০৫ সালে প্রকাশিত দুর্গাদাস লাহিড়ী সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী সংকলন
“বৈষ্ণব-পদলহরী”, ৪৮২-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

॥ বিভাষ॥

কি কহিব রে সখি আজুক ভাষ।
অযতনে মোহে হয়ল বহু লাষ॥
একলি আছিনু হাম বনাইতে বেশ।
মুকুরে নিরখি মুখ বান্ধলু কেশ॥
তৈখনে মিলল গোরা নটরাজ।
ধৈরজ ভাঙ্গল কুলবতী লাজ॥
দরশনে পুলকে পুরল তনু মোর।
বাসুদেব ঘোষ কহে করলহি কোর॥

ই পদটি ১৯৪৬ সালে প্রকাশিত, হরেকৃষ্ণ মুখোপাধ্যায় সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী
সংকলন “বৈষ্ণব পদাবলী”, ১৬২-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

রসোদ্গার
॥ বিভাস॥

কি কহিব রে সখি আজুক ভাব।
অযতনে মোহে হোয়ল বহু লাভ॥
একলি আছিনু আমি বনাইতে বেশ।
মুকুরে নিরখি মুখ বাঁধল কেশ॥
তৈখনে মিলল গোরা নটরাজ।
ধৈরজ ভাঙ্গল কুলবতীলাজ॥
দরশনে পুলকে পূরল তনু মোর।
বাসুদেব ঘোষ কহে করলহি কোর॥

ই পদটি ১৯৫৪ সালে প্রকাশিত, সতী ঘোষ সম্পাদিত “প্রত্যক্ষদর্শীর কাব্যে মহাপ্রভু
শ্রীচৈতন্য”, ১০৫-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

কি কহবরে সখি আজুকার ভাব।
আজি সযতনে বিহি দেওল মোরে লাভ॥
একলি আছিনু হাম বনাইতে বেশ।
অন্তরে নিরখি মুখ বান্ধিল কেশ॥
তৈখন মিলল গৌরা নটরাজ।
ধৈরজ ভাঙ্গল কুলবতী লাজ॥
দরশন পুলক পূরল তনু মোর।
বাসুদেব ঘোষ কহে করলহি কোর॥

ই পদটি ১৯৯২ সালে প্রকাশিত, ডঃ চিত্রা রায়ের, বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের পি-এইচ.ডি.
কলা (বাংলা) উপাধির জন্য প্রদত্ত গবেষণা নিবন্ধ (সৌজন্যে শোধগঙ্গা ওয়েবসাইট,
https:
//shodhganga.inflibnet.ac.in
) “বৈষ্ণব সংস্কৃতি ও সাহিত্যে গোবিন্দ, মাধব ও বাসুদেব
ঘোষ”, ৭ম অধ্যায়, বাসুঘোষের পদাবলী সংকলন, ৭৪৫-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

॥ বিভাস॥

কি কহবরে সখি! স্বপনক ভাব।
অযতনে মোহে হয়ল বহু লাভ॥
একাকী আছলি হাম বনাইতে বেশ।
মুকুরে নিরখি মুখ বাঁধলু কেশ॥
তৈখনে মিলল গোরা নটরাজ।
ধৈরজ ভাঙ্গল কুলবতী লাজ॥
দরশনে পুলকে পুরল তনু মোর।
বাসুদেব ঘোষ কহে করলহি কোর॥

.          ************************          
.                                                                                
সূচীতে . . .   



মিলনসাগর
চীত চোর গৌর মোর
চিতচোর গৌর মোর
ভণিতা বাসু ঘোষ
কবি বাসুদেব ঘোষ
আনুমানিক ১৭৫০ সালে, বৈষ্ণবদাস (গোকুলানন্দ সেন) সংকলিত এবং সতীশচন্দ্র রায়
সম্পাদিত শ্রীশ্রীপদকল্পতরু গ্রন্থের ১৩২২ বঙ্গাব্দের (১৯১৫ সাল) ১ম খণ্ড, ২য় শাখা, ৬ষ্ঠ
পল্লব, বর্যাকালোচিত অভিসারিকা, পদসংখ্যা ৩৪১।

বর্যাকালোচিতাভিসারিকা-বাসক-সজ্জাদি-পর্য্যায়ো গীয়তে।
তত্রাদৌ শ্রীগৌরচন্দ্রঃ।
॥ তুড়ী॥

চীত-চোর গৌর মোর
প্রেমে মত্ত গগন ভোর
অকিঞ্চন জনে করই কোর
.        পতিত-অধম-বন্ধুয়া।
ভুবন-তারণ-কারণ নাম
জীব লাগিয়া তেজল ধাম
প্রকট হইলা নদিয়া নগরে
.        যৈছে শরদ-ইন্দুয়া॥
অসীম মহিমা কে করু ওর
যুবতি-জীবন করই চোর
বিধি নিরমিল কি দিয়া গৌর
.        বড়ই রসের সিন্ধুয়া।
দেখিতে দেখিতে লাগয়ে সূখ
হরল সকল মনের দূখ
বাসুঘোষ কহে কিবা সে রূপ
.        নিরখি চিত সানন্দুয়া॥

ই পদটি ১৯৩৪ সালে প্রকাশিত, জগবন্ধু ভদ্র সংকলিত, মৃণালকান্তি ঘোষ সম্পাদিত,
পদাবলী সংকলন “শ্রীগৌরপদ-তরঙ্গিণী”, ৯১-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

॥ বিভাস॥

চিতচোর গৌর মোর, প্রেমে মত্ত মগন ভোর
অকিঞ্চন জন করই কোর, পতিত-অধম-বন্ধুয়া।
ভুবন-তারণ-কারণ নাম, জীব লাগিয়া তেজল ধাম১
প্রকট হইলা নদীয়ানগর যৈছে শরদ ইন্দুয়া॥
অসীম মহিমা কো করু ওর, যুবতি-জীবন করয় চোর,
বিধি নিরমিল কি দিয়া গৌর, বড়ই রসের সিন্ধুয়া।
দেখিতে দেখিতে লাগয়ে সূখ, হরল সকল মনের দুখ
বাসু ঘোষ কহে কিবা সে রূপ, নিরখি চিত সানন্দুয়া॥

১ - কলির জীবের উদ্ধার জন্য গোলোকধাম যিনি ত্যাগ করিলেন।

ই পদটি ১৯৪৬ সালে প্রকাশিত, হরেকৃষ্ণ মুখোপাধ্যায় সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী
সংকলন “বৈষ্ণব পদাবলী”, ১৫৬-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

রূপানুরাগ
॥ টোরী॥

চীতচোর গৌর মোর
প্রেমে মত্ত গগন ভোর
অকিঞ্চন জন করই কোর
.        পতিত অধম বন্ধুয়া।
ভুবনতারণকারণ নাম
জীব লাগিয়া তেজল ধাম
প্রকট হইলা নদিয়ানগরে
.        যৈছে শরদ ইন্দুয়া॥
অসীম মহিমা কে করু ওর
যুবতি-যৌবন জীবন চোর
বিধি নিরমিল কি দিয়া গৌর
.        বড়ই রসের সিন্ধুয়া।
দেখিতে দেখিতে লাগয়ে সুখ
হরল সকল মনের দুখ
বাসু ঘোষ কহে কিবা সে রূপ
.        নিরখি চিত সানন্দুয়া॥

ই পদটি ১৯৫৪ সালে প্রকাশিত, সতী ঘোষ সম্পাদিত “প্রত্যক্ষদর্শীর কাব্যে মহাপ্রভু
শ্রীচৈতন্য”, ১১৬-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

চিতচোর গৌর মোর।
.        প্রেম মগনে মত্ত ভোর॥
অকিঞ্চন জনে করয়ে কোর
.        পতিত অধম বন্ধুয়া।
গুণব তারণ কারণ নাম।
জীব লাগিয়া গৌর ছাড়ল ধাম।
প্রকাশ করিল নদীয়া নগরে
ঐছন শারদ সিন্ধুয়া॥
দেখিতে দেখিতে লাগল সুখ
.        হরল সব মনের দুখ।
.        বাসুদেব কহে রূপ অনুপাম
.        নিরখি চিত শান্তনুয়া॥

ই পদটি ১৯৯২ সালে প্রকাশিত, ডঃ চিত্রা রায়ের, বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের পি-এইচ.ডি.
কলা (বাংলা) উপাধির জন্য প্রদত্ত গবেষণা নিবন্ধ (সৌজন্যে শোধগঙ্গা ওয়েবসাইট,
https:
//shodhganga.inflibnet.ac.in
) “বৈষ্ণব সংস্কৃতি ও সাহিত্যে গোবিন্দ, মাধব ও বাসুদেব
ঘোষ”, ৭ম অধ্যায়, বাসুঘোষের পদাবলী সংকলন, ৬৯৯-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

॥ তুড়ী॥

চীত চোর গৌর মোর
প্রেমে মত্ত মগন ভোর
অকিঞ্চন জনে করই কোর
.        পতিত-অধম বন্ধুয়া।
ভুবন তারণ কারণ নাম
জীব লাগিয়া তেজল ধাম
প্রকট হইলা নদিয়া নগরে
.        যৈছে শরদ-ইন্দুয়া॥
অসীম-মহিমা কে করু ওর
যুবতী-জীবন করই কোর
বিধি নিরমিল কি দিয়া গৌর
.        বড়ই রসের সিন্ধুয়া।
দেখিতে দেখিতে লাগয়ে সুখ
হরল সকল মনের দুখ
বাসু ঘোষ কহে কিবা সে রূপ
.        নিরখি চিত সানন্দুয়া॥

.          ************************          
.                                                                                
সূচীতে . . .   



মিলনসাগর
অরুণ নয়নে ধারা বহে
ভণিতা বাসু ঘোষ
কবি বাসুদেব ঘোষ
আনুমানিক ১৭৫০ সালে, বৈষ্ণবদাস (গোকুলানন্দ সেন) সংকলিত এবং সতীশচন্দ্র রায়
সম্পাদিত শ্রীশ্রীপদকল্পতরু গ্রন্থের ১৩২২ বঙ্গাব্দের (১৯১৫ সাল) ১ম খণ্ড, ২য় শাখা, ৭ম
পল্লব, সর্ব্বকালোচিত অভিসারিকা, পদসংখ্যা ৩৫৬। এটি নিমানন্দদাসের পদরসসার
পুথির ৪৬৮ সংখ্যক পদ।

অথ বাসকসজ্জা।।
তদুচিত শ্রীমহাপ্রভুঃ।
॥ সুহই॥

অরুণ নয়নে ধারা বহে।
অবনত মাথে গোরা রহে॥
ছায়া দেখি সচকিত মনে।
ভূমে গড়ি যায় খেনে খেনে॥
কমল-পল্লব বিছাইয়া।
রহে পহু ধেয়ান করিয়া॥
বিরলে বসিয়া একেশ্বরে।
বাসকসজ্জার ভাব করে॥
বাসুদেব ঘোষ তা দেখিয়া।
বোলে কিছু চরণে ধরিয়া॥

ই পদটি দীনবন্ধু দাস দ্বারা ১৭৭১ সালে লিখিত, দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশের
সংগ্রহের পুথি (সংকলনের সাল নিয়ে আমরা নিশ্চিত নই), ১৯২৯ সালে বঙ্গীয় সাহিত্য
পরিষদ থেকে অমূল্যচরণ বিদ্যাভূষণ দ্বারা সম্পাদিত ও মুদ্রিত পদাবলী সংকলন
“শ্রীশ্রীসংকীর্ত্তনামৃত”, ১২৩-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

অথ বাসকসজ্জা।
তত্র গৌরচন্দ্রঃ।
॥ ভাটিয়ালী রাগ॥

অরুণ নয়নে ধারা বহে।
অবনত মাথে গোরা রহে॥
কি ভাব পড়িঞাছে মনে।
ভূমে গড়ি যায় ক্ষণে ক্ষণে॥
কোমল পল্লব বিছাইঞা।
রহে গোরা ধেয়ান ধরিঞা॥
বাসকসজ্জার ভাব করে।
বিরলে বসিঞা একেশ্বরে॥
বাসুদেব ঘোষ তা দেখিঞা।
বলে কিছু চরণে ধরিঞা॥

ই পদটি দ্বিজ মাধব সংকলিত, উনিশ শতকের প্রথমার্ধে অনুলিখিত, বিশ্বভারতীর
গ্রন্থশালার ১৩৮১টি পদবিশিষ্ট “শ্রীপদমেরুগ্রন্থ”, ১১৭-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

॥ সুহই॥

অরুণ নয়নে ধারা বহে। অবনত মাথে গোরা রহে॥
ছায়া দেখি চমকিত মনে। ভূমে গড়ি জায় খেনে খেনে॥
কমল পঙ্কজ বিছাইএ। রহে গোরা ধেয়ান ধরিএ॥
বিরলে বসিএ একেশ্বরে। বাসকসজ্জার ভাব করে @॥
বাসুদেব ঘোষ তা দেখিয়ে। বলে কিছু চরণে ধরিএ॥

@ - এখানে “করে” শব্দটির বানান “কব়্যে” দেওয়া রয়েছে।  

ই পদটি ১৯৩৪ সালে প্রকাশিত, জগবন্ধু ভদ্র সংকলিত, মৃণালকান্তি ঘোষ সম্পাদিত,
পদাবলী সংকলন “শ্রীগৌরপদ-তরঙ্গিণী” ২য় সংস্করণ, ১৯৬-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

॥ সুহই॥

অরুণ নয়নে ধারা বহে।          অবনত-মাথে গোরা রহে॥
ছায়া দেখি চমকিত মনে।        ভূমে গড়ি যায় ক্ষণে ক্ষণে॥
কমলপল্লব বিছাইয়া।             রহে পহুঁ ধেয়ান করিয়া॥
বিরলে বসিয়া একেশ্বরে।         বাসকসজ্জার ভাব করে॥
বাসুদেব ঘোষ তা দেখিয়া।       বোলে কিছু চরণে ধরিয়া॥

ই পদটি ১৯৪৬ সালে প্রকাশিত, হরেকৃষ্ণ মুখোপাধ্যায় সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী
সংকলন “বৈষ্ণব পদাবলী”, ১৬০-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

অভিসারানুরাগ
॥ সুহই॥

অরুণ নয়নে ধারা বহে।
অবনত মাথে গোরা রহে॥
ছায়া দেখি চমকিত মনে।
ভূমে গড়ি জায় ক্ষণে ক্ষণে॥
কমলপল্লব বিছাইয়া।
রহে পহুঁ ধেয়ান করিয়া॥
বিরলে বসিয়া একেশ্বরে।
বাসকসজ্জার ভাব করে॥
বাসুদেব ঘোষ তা দেখিয়া।
বোলে কিছু চরণে ধরিয়া॥

ই পদটি ১৯৫৩ সালে প্রকাশিত, নবদ্বীপচন্দ্র ব্রজবাসী ও খগেন্দ্রনাথ মিত্র সম্পাদিত
মহাজন পদাবলী “শ্রীপদামৃতমাধুরী” ২য় খণ্ড, ১৪২-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

বাসক-সজ্জা
তদুচিত শ্রীগৌরচন্দ্র।
॥ সুহই - সমতাল॥

অরুণ নয়নে ধারা বহে।
অবনত মাথে গোরা রহে॥
ছায়া দেখি চমকিত মনে।
ভূমে গড়ি যায় খণে খণে॥
কমল পল্লব বিছাইয়া।
রহে পহুঁ ধেয়ান ধরিয়া॥
বিরলে বসিঞা একেশ্বরে।
বাসক সজ্জার ভাব করে॥
বাসুদেব ঘোষ তা দেখিয়া।
বোলে কিছু চরণ ধরিয়া॥

ই পদটি ১৯৫৪ সালে প্রকাশিত, সতী ঘোষ সম্পাদিত “প্রত্যদর্শীর কাব্যে মহাপ্রভু
শ্রীচৈতন্য”, ১০১-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

অরুণ নয়নে ধারা বহে।
.        অবনত মাথে গোরা রহে॥
কি ভাব পড়িয়াছে মনে।
.        ভূমে গড়ি যায় ঘনে॥
.        কোমল পল্লব বিছাইয়া।
.        রহে গোরা ধেয়ান করিয়া॥
বাসকসজ্জার ভাব করে।
বিরলে বসিয়া একেশ্বরে॥
বাসুদেব ঘোষ তা দেখিয়া।
বলে কিছু পরাণ ধরিয়া॥

ই পদটি ১৯৭৭ সালে প্রকাশিত, দেবনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পাদিত “বৈষ্ণব পদসঙ্কলন”,
১৩৪-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

অরুণ নয়নে ধারা বহে।
অবনত মাথে গোরা রহে॥
ছায়া দেখি সচকিত মনে।
ভূমে গড়ি যায় খেনে খেনে॥
কমল পল্লব বিছাইয়া।
রহে পহু ধেয়ান করিয়া॥
বিরলে বসিয়া একেশ্বরে।
বাসকসজ্জার ভাব করে॥
বাসুদেব ঘোষ তা দেখিয়া।
বোলে কিছু চরণে ধরিয়া॥

ই পদটি ১৯৯২ সালে প্রকাশিত, ডঃ চিত্রা রায়ের, বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের পি-এইচ.ডি.
কলা (বাংলা) উপাধির জন্য প্রদত্ত গবেষণা নিবন্ধ (সৌজন্যে শোধগঙ্গা ওয়েবসাইট,
https:
//shodhganga.inflibnet.ac.in
) “বৈষ্ণব সংস্কৃতি ও সাহিত্যে গোবিন্দ, মাধব ও বাসুদেব
ঘোষ”, ৭ম অধ্যায়, বাসুঘোষের পদাবলী সংকলন, ৫৯৬-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

॥ সুহই রাগ॥

অরুণ নয়নে ধারা বহে।
অবনত মাথে গোরা রহে॥
ছায়া দেখি সচকিত মনে।
ভূমে গড়ি যায় খেনে খেনে॥
কমল পল্লব বিছাইয়া।
রহে পহু ধেয়ান করিয়া॥
বিরলে বসিয়া একেশ্বরে।
বাসক সজ্জার ভাব করে॥
বাসুদেব ঘোষ তা দেখিয়া।
বোলে কিছু চরণে ধরিয়া॥

.          ************************          
.                                                                                
সূচীতে . . .   



মিলনসাগর