বাশী বাজানো জান না কবি চাঁদ কাজী এই পদটি কনক বন্দ্যোপাধ্যায় রচিত “বঙ্গশ্রী” পত্রিকার অগ্রহায়ণ ১৩৪৫ (ডিসেম্বর ১৯৩৮) সংখ্যায় প্রকাশিত “বঙ্গের মুসলমান বৈষ্ণব কবি” প্রবন্ধ, ৬৭৪-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।
বাঁশী বাজান জান না। অসময় বাজাও বাঁশী পরাণ মানে না॥ যখন আমি বৈসা থাকি গুরুজনার কাছে। তুমি নাম ধইরা বাজাও বাঁশী, আর আমি মইরি লাজে॥ ওপার হৈতে বাজাও বাঁশী, এপার হইতে শুনি। আর অভাগিয়া নারী হাম হে@ সাঁতার নাহি জানি॥ যে ঝাড়ের বাঁশের বাঁশী, সে ঝাড়ের লাগি পাঁও। জড়ে-মূলে উপাড়িয়া যমুনায় ভাসাওঁ॥ চাঁদ কাজি বলে বাঁশী শুনে ঝুরে মরি। জীমু না জীমু না আমি, না দেখিলে হরি॥
@ - “হে” - “হৈ” ও হতে পারে। স্পষ্ট করে মুদ্রিত নেই।
এই পদটি ১৯৪৬ সালে প্রকাশিত, হরেকৃষ্ণ মুখোপাধ্যায় সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী সংকলন “বৈষ্ণব পদাবলী”, ১০৮২-পৃষ্ঠায় এই রূপে দেওয়া রয়েছে।
আক্ষেপানুরাগ
বাশী বাজানো জান না। অসময়ে বাজাও বাঁশী পরাণ মানে না॥ যখন আমি বৈসা থাকি গুরুজনার মাঝে। নাম ধৈরা বাজাও বাঁশী আমি মৈরি লাজে॥ ওপার হৈতে বাজাও বাঁশী এপার হৈতে শুনি। বিরহিণী নারী আমি হে সাঁতার নাহি জানি॥ যে ঝাড়ের বাঁশী সে ঝাড়ের লাগি পাঁও। ডালে মূলে উপাড়িয়া সাগরে ভাসাঁও॥ চাঁদ কাজী বলে বাঁশী শুনে ঝুরে মরি। জীমু না জীমু না আমি না দেখিলে হরি॥ ১ ॥
এই পদটি ১৯৭৭ সালে প্রকাশিত দেবনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী সংকলন “বৈষ্ণব পদসঙ্কলন”, ১১২-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া হয়েছে।
বাশী বাজানো জান না। অসময়ে বাজাও বাঁশী পরাণ মানে না॥ যখন আমি বৈসা থাকি গুরুজনার মাঝে। নাম ধৈরা বাজাও বাঁশী আমি মরি লাজে॥ ওপার হৈতে বাজাও বাঁশী এপার হৈতে শুনি। বিরহিণী নারী হাম হে সাঁতার নাহি জানি॥ যে ঝাড়ের বাঁশী সে ঝাড়ের লাগি পাঁও। ডালে মূলে উপাড়িয়া সাগরে ভাসাও॥ চাঁদ কাজী বলে বাঁশী শুন্যা ঝুরি মরি। জীমু না জীমু না আমি না দেখিলে হরি॥