কবি ঘনরাম এর ধর্মমঙ্গল কাব্য যে কোন কবিতার উপর ক্লিক করলেই সেই কবিতাটি আপনার সামনে চলে আসবে। |
ঘনরাম চক্রবর্তী ধর্ম্মমঙ্গল কাব্য থেকে ( মাধুকরী কাব্য সংকলন থেকে ) করিয়া প্রণতি স্তুতি বন্দি মাতা সরস্বতী বিশ্বপতি বিষ্ণুর দুর্লভা। ধবর-কমলাসনা ধৌত-ধুতি-পরিধানা কুন্দকান্তি কলেবর শোভা॥ গলে দোলে মণিহার কি দিব তুলনা তার অংশু অন্ধকার করে দূর। যেখানে যে শোভা পায় রত্ন আভরণ গায় চিত্তচোর চরণে নুপূর॥ বৈণিক পুস্তক ন্যস্ত মণ্ডিত মায়ের হস্ত অঞ্জনে রঞ্জিত সুলোচনা। কৃতাঞ্জলি করি কর বন্দে যাঁরে নিরন্তর ব্রহ্মা হরি হর হর্ষমনা॥ তোমার চরণ দেবী আদরে একান্ত সেবি মহাকবি ব্যাস আদি যত। মোক্ষদ পাতক-অন্ত প্রকাশিলা নানা গ্রন্থ বেদাঙ্গ পুরাণ ভক্তিমত॥ দেবতা গন্ধর্ব নাগ আদি যত মহাভাগ ছয় রাগ ছত্রিশ রাগিণী। গৃহী যতি বাণপ্রস্থ তোমার চরণ-ন্যস্ত শ্রুতি মন্ত্রে পূজে পুটপাণি॥ অখিলে অতুল্য ভাগ্য জন্মিয়া জীবন শ্লাঘ্য সেই ধন্য সংসার ভিতরে। করতলে তার স্বর্গ অনায়াসে চতুর্বর্গ তুমি কৃপা কর যেই নরে॥ তোমার অকৃপা যায় মূর্থমতি বলি তায় সভায় সে শোভা নাহি পায়। নিবাসে নাহিক সুখ কুকর্মে পাষাণ বুক মান অপমান সম তায়॥ হেন মূর্খ মিথ্যাজ্ঞানী আমি কি তোমারে জানি পতিত-পাবনী নাম শুনি। আসরে আসিয়া ঊর দাসের আশায় পূর মোর কণ্ঠে বৈস গো জননী॥ তাল মান গান যন্ত্র না জানি লিখন মন্ত্র আপনি সু-যন্ত্র করি গাও। ঘনরাম নিবেদ ধরি তব শ্রীচরণ করুণ নয়নকোণে চাও॥ . ************************ . সূচীতে . . . মিলনসাগর |
সত্যের মহিমা ঘনরাম চক্রবর্তী ধর্ম্মমঙ্গল কাব্য থেকে ( মাধুকরী কাব্য সংকলন থেকে ) কতেক কাতর উক্তি কহেন কর্পুর। কালি সত্য করে কেন আজি কর দূর॥ পশ্চিমে উদিতে যদি হয় দিবাকর। ফুটে যদি পদ্মফুল পর্বত উপর॥ অগ্নিও শীতল হয় প্রচলে পর্বত। তথাপি সজ্জন বাক্য নহে অন্য মত॥ হরিশচন্দ্র মহারাজ পুরাণে প্রমাণ। সত্য পালি সংসারে দাঁড়াতে নাহি স্থান॥ সপ্তদ্বীপা দান দিল দক্ষিণার তরে। বনিতা বালক বন্দী ব্রাহ্মণের ঘরে॥ আপনি হইলা রাজা ব্রাহ্মণের দাস। অঙ্গীকার-বচন-লঙ্ঘন ভাবি ত্রাস॥ মহারাজ দশরথ সত্যের কারণে। ত্রিলোকের নাথ রামে পাঠাইল বনে॥ বিভীষণ সুগ্রীবের রাজত্ব সত্য পালি। কোথা গেল দুর্জয় বানররাজ বালী॥ বলি যে পাতালে গেল প্রমাণ পুরাণ। হেন সত্য করি দাদা কেন কর আন॥ . ************************ . সূচীতে . . . মিলনসাগর |