কবি ঘনরাম এর বৈষ্ণব পদাবলী
যে কোন কবিতার উপর ক্লিক করলেই সেই কবিতাটি আপনার সামনে চলে আসবে।
গোপালে সাজাইতে নন্দরাণী না পারিল
কবি ঘনরাম দাস
আনুমানিক ১৭৫০ সালে বৈষ্ণবদাস ( গোকুলানন্দ সেন ) সংকলিত এবং সতীশচন্দ্র রায়
সম্পাদিত শ্রীশ্রীপদকল্পতরু গ্রন্থের, সটীক সংস্করণ ১৩২৫ বঙ্গাব্দ (১৯১৮), ২য় খণ্ড, ৩য়
শাখা, ২১শ পল্লব, গোষ্ঠাষ্টমী-যাত্রা, পদসংখ্যা ১১৮১। এই পদটি ১৯৪৬ সালে প্রকাশিত
হরেকৃষ্ণ মুখোপাধ্যায় সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী সংকলন “বৈষ্ণব পদাবলী”, ৯৯৫-পৃষ্ঠায়
একই রূপে দেওয়া রয়েছে।

.        ॥ শ্রীরাগ॥

গোপালে সাজাইতে নন্দরাণী না পারিল।
যতনে কানাই-চূড়া বলাই বান্ধিল॥
অঙ্গদ বলয়া হার শোভিয়াছে ভাল।
শ্রবণে কুণ্ডল দোলে গলে গুঞ্জাহার॥
পীত ধরা আঁটিয়া পরায় কটি-তটে।
বেত্র মুরলী হাতে শিঙ্গা দোলে পিঠে॥
ললাটে তিলক দিল শ্রীদাম আসিয়া।
নূপুর পরায় রাঙ্গা চরণ ধরিয়া॥
ঘনরাম দাসে বোলে কান্দিতে কান্দিতে।
অমনি রহিল রাণী বদন হেরিতে॥

ই পদটি ১৯০৫ সালে প্রকাশিত দুর্গাদাস লাহিড়ী সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী সংকলন
“বৈষ্ণব-পদলহরী”, ৪৯৭-পৃষ্ঠায় এই রুপে দেওয়া রয়েছে।

.        ॥ শ্রীরাগ॥

গোপাল সাজাইতে নন্দরাণী না পারিল।
যতনে কানাই-চূড়া বলাই বান্ধিল॥
অঙ্গদ বলয়া হার শোভিয়াছে ভাল।
শ্রবণে কুণ্ডল দোলে গলে গুঞ্জাহার॥
পীত ধরা আঁটিয়া পরায় কটিতটে।
বেত্র মুরলী হাতে শিঙ্গা দোলে পিঠে॥
ললাটে তিলক দিল শ্রীদাম আসিয়া।
নূপুর পরায় রাঙ্গা চরণ হেরিয়া॥
ঘনরাম দাসে বোলে কান্দিতে কান্দিতে।
অমনি রহিল রাণী বদন হেরিতে॥

ই পদটি ১৯১৬ সালে প্রকাশিত হরিলাল চট্টোপাধ্যায় সম্পাদিত বৈষ্ণব
পদাবলী সংকলন “শ্রীশ্রীপদরত্ন-মালা”, ২৫৬-পৃষ্ঠায় এই রূপে দেওয়া রয়েছে। এই পদটি
১৯৫৯ সালে প্রকাশিত, দুর্গাচরণ বিশ্বাস সংগৃহীত বৈষ্ণব পদাবলী সংকলন “কীর্ত্তন-
পদাবলী”, ১৩৫-পৃষ্ঠায় এই রূপেই দেওয়া রয়েছে।

.        ॥ শ্রীরাগ॥

গোপাল সাজাইতে নন্দরাণী না পারিল।
যতনে কানাই চূড়া বলাই বান্ধিল॥
অঙ্গদ বলয় হার শোভিয়াছে ভাল।
শ্রবণে কুণ্ডল দোলে গলে গুঞ্জহার॥
পীত ধরা আঁটিয়া পরায় কটিতটে।
বেত্র মুরলী হাতে শিঙ্গা দোলে পিঠে॥
ললাটে তিলক দিল শ্রীদাম আসিয়া।
নূপুর পরায় রাঙ্গা চরণ হেরিয়া॥
ঘনরাম দাসে বলে কান্দিতে কান্দিতে।
অমনি রহিল রাণী বদন হেরিতে॥

ই পদটি ১৯২২ সালে প্রকাশিত নবদ্বীপ চন্দ্র ব্রজবাসী ও খগেন্দ্রনাথ মিত্রের মহাজন
পদাবলী সংকলন “শ্রীপদামৃতমাধুরী”, ১৩৭-পৃষ্ঠায়।

॥ পঠমঞ্জরী - বিষম পঞ্চম তাল॥

গোপাল সাজাইতে নন্দরাণী না পারিল।
যতনে কাহ্নাই-চূড়া বলাই বান্ধিল॥
অঙ্গদ বলয়া হার শোভিয়াছে ভাল।
শ্রবণে কুণ্ডল দোলে গলে গুঞ্জাহার॥
পীতধরা আঁটিয়া পরায় কটি-তটে।
বেত্র মুরলী হাতে শিঙ্গা দোলে পিঠে॥
ললাটে তিলক দিল শ্রীদাম আসিয়া।
নূপুর পরায় রাঙ্গা চরণ হেরিয়া॥
ঘনরাম দাসে বোলে কান্দিতে কান্দিতে।
অমনি রহিল রাণী বদন হেরিতে॥

.              ************************          
.                                                                         
সূচীতে . . .   



মিলনসাগর
আরে মোর রাম কানাই
কবি ঘনরাম দাস
আনুমানিক ১৭৫০ সালে বৈষ্ণবদাস ( গোকুলানন্দ সেন ) সংকলিত এবং সতীশচন্দ্র রায়
সম্পাদিত শ্রীশ্রীপদকল্পতরু গ্রন্থের, সটীক সংস্করণ ১৩২৫ বঙ্গাব্দ (১৯১৮), ২য় খণ্ড, ৩য়
শাখা, ২১শ পল্লব, সখ্য-রস-গোষ্ঠে গমন, পদসংখ্যা ১১৯৬। এই পদটি ১৯৪৬ সালে
প্রকাশিত হরেকৃষ্ণ মুখোপাধ্যায় সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী সংকলন “বৈষ্ণব পদাবলী”, ৯৯৫-
পৃষ্ঠায় একই রূপে দেওয়া রয়েছে।

.        ॥ ভাটিয়ারি॥        

আরে মোর রাম কানাই।
যমুনা-তীরের ছায় খেলে দোন ভাই॥
সভাই সমান খেলু বাটিয়া লইল।
হারিলে চড়িব কান্ধে এই পণ কৈল॥
যে জন হারিবে ভাই কান্ধে করি লবে।
বংশীবটের তলে রাখিয়া আসিবে॥
দুই দিগে দুই ভাই আসি দাঁড়াইলা।
যার যেই খেলু সব বাঁটিয়া লইলা॥
শ্রীদাম সুদাম আদি কানাইর দিগে হৈল।
সুবল বলাইর দিগে নাচিতে লাগিল॥
শ্রীদাম কহে আমরা কানাইর দিগে হব।
কানাই হারিলে উহার কান্ধে না চড়িব॥
এমতে বাঁটিয়া খেলু খেলা আরম্ভিলা।
সঘনে গম্ভীর নাদে খেলিয়া চলিলা॥
ঘনরাম দাস কহে দেখিয়া বলাই।
আপনি সাতলি ভাঙ্গি হারিলা কানাই॥

ই পদটি ১৯০৫ সালে প্রকাশিত দুর্গাদাস লাহিড়ী সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী সংকলন
“বৈষ্ণব-পদলহরী”, ৪৯৭-পৃষ্ঠায় এই রুপে দেওয়া রয়েছে।

.        ॥ ভাটিয়ারি॥        

আরে মোর রাম কানাই।
যমুনা-তীরের ছায় খেলে দোন ভাই॥
সভাই সমান খেলু বাঁটিয়া লইল।
হারিলে চড়িব কান্ধে এই পণ কৈল॥
যে জন হারিবে ভাই কান্ধে করি নিবে।
বংশীবটের তলে নিয়া রাখিয়া আসিবে॥
দুই দিগে দুই ভাই আসি দাঁড়াইলা।
যার যেই খেলু সব বাঁটিয়া লইলা॥
শ্রীদাম সুদাম আদি কানাইর দিগে হৈল।
সুবল বলাইর দিগে নাচিতে লাগিল॥
শ্রীদাম কহে আমরা কানাইর দিগে হব।
কানাই হারিলে উহার কান্ধে না চড়িব॥
এমতে বাঁটিয়া খেলু খেলা আরম্ভিলা।
সঘনে গম্ভীর নাদে খেলিয়া চলিলা॥
ঘনরাম দাস কহে দেখিয়া বলাই।
আপনি সাওলি ভাঙ্গি হারিলা কানাই॥

ই পদটি ১৯২২ সালে প্রকাশিত নবদ্বীপ চন্দ্র ব্রজবাসী ও খগেন্দ্রনাথ মিত্রের মহাজন
পদাবলী সংকলন “শ্রীপদামৃতমাধুরী”, ২০১-পৃষ্ঠায় এই রূপে দেওয়া রয়েছে। এখানে পদের
আগে নতুন দুটি পংক্তি বা কলি যোগ করা হয়েছে। আমরা এই পদটিকে “খেলে রাম রাম
রাম রাম কানাইরে” শিরোনামে স্বতন্ত্র পদ হিসেবেও তুলেছি।

॥ খাম্বাজ মিশ্র সারঙ্গ - ধামালি তাল॥

খেলে রাম রাম রাম রাম কানাইরে।
যমুনার তীরে খেলে রাম রাম রাম রাম কানাইরে॥
আরে মোর রাম কানাই।
যমুনা তরুর ছায় খেলে দোন ভাই॥ ধ্রু॥
সভাই সমান খেলু বাটিয়া লইল।
হারিলে চড়িব কান্ধে এই পণ কৈল॥
যেজন হারিবে ভাই কান্ধে করি লবে।
বংশীবটের তলে রাখিয়া আসিবে॥
দুই দিগে দুই ভাই আসি দাঁড়াইলা।
যার যেই খেলু সব বাঁটিয়া লইলা॥
শ্রীদাম সুদাম আদি কানাইদিগে হইল।
সুবল বলাইদিগে নাচিতে লাগিল॥
শ্রীদাম কহে আমরা কানাই দিগে হব।
কানাই হারিলে আমরা কান্ধে না চড়িব॥
এমতে বাঁটিয়া খেলু খেলা আরম্ভিলা।
সঘনে গম্ভীর নাদে খেলিয়া চলিলা॥
ঘনরাম দাস কহে দেখিয়া বলাই।
আপনি সাওলি ভাঙ্গি হারিল কানাই॥

.              ************************          
.                                                                         
সূচীতে . . .   



মিলনসাগর
সাজল রাখালগণ নিতি নব নূতন
কবি ঘনরাম দাস
আনুমানিক ১৭৫০ সালে বৈষ্ণবদাস ( গোকুলানন্দ সেন ) সংকলিত এবং সতীশচন্দ্র রায় সম্পাদিত
শ্রীশ্রীপদকল্পতরু গ্রন্থের, সটীক সংস্করণ ১৩২৫ বঙ্গাব্দ (১৯১৮), ২য় খণ্ড, ৩য় শাখা, ২২শ পল্লব, প্রকারান্তর
সখ্য-বাত্সল্য, পদসংখ্যা ১২১৯।

॥ ধানশী॥

সাজল রাখালগণ                                        নিতি নব নূতন
নন্দের অঙ্গনে সভে যায়।
কানাই কানাই বলি                                করে অঙ্গ হেলাহেলি
আনন্দে ললিত গীত গায়॥
গোপালেরে সাজাইয়া                                চাঁদ মুখ মোছাইয়া
ভালে দিল চন্দনের বিন্দু।
নব জলধর যেন                                     চলিয়া যাইতে হেন
উদয় হইল যুগ ইন্দু॥
দুই ভাই সাজিয়া তায়                             হাসিয়া হাসিয়া যায়
করে কর করি একবন্ধ।
দেখিয়া বালক সব                                  শুনি শিঙ্গা বেণু-রব
সুরপুরে লাগে বহু ধন্দ॥
ব্রজ-নারীগণ সব                                        যার যেই বালক
সভাকার বিয়াকুল চিত।
ঘনরাম দাস ভণে                                 হৈয়া আনন্দিত মনে
নিরখই দোহাঁকার রীত॥

ই পদটি ১৯৪৬ সালে প্রকাশিত হরেকৃষ্ণ মুখোপাধ্যায় সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী সংকলন “বৈষ্ণব
পদাবলী”, ৯৯৫-পৃষ্ঠায় এই রূপে দেওয়া রয়েছে।

॥ ধানশী॥

সাজল রাখালগণ                                         নিতি নব নূতন
নন্দের অঙ্গনে সভে যায়।
কানাই কানাই বলি                                 করে অঙ্গ হেলাহেলি
আনন্দে ললিত গীত গায়॥
গোপালেরে সাজাইয়া                                চাঁদ মুখ মোছাইয়া
ভালে দিল চন্দনের বিন্দু।
নব জলধর যেন                                      চলিয়া যাইতে হেন
উদয় হইল যুগ ইন্দু॥
দুই ভাই সাজিয়া তায়                              হাসিয়া হাসিয়া যায়
করে কর করি একবন্ধ।
দেখিয়া বালক যত                                   শুনি শিঙ্গা বেণু-রব
সুরপুরে লাগে বহু ধন্দ॥
ব্রজ-নারীগণ সব                                         যার যেই বালক
সভাকার বিয়াকুল চিত।
ঘনরাম দাস ভণে                                    হৈয়া আনন্দিত মনে
নিরখই দোহাঁকার রীত॥

.              ************************             
.                                                                         
সূচীতে . . .   



মিলনসাগর
শিঙ্গা বেণু বেত্র বাধা কটিতে আঁটিয়া
কবি ঘনরাম দাস
আনুমানিক ১৭৫০ সালে বৈষ্ণবদাস ( গোকুলানন্দ সেন ) সংকলিত এবং সতীশচন্দ্র রায়
সম্পাদিত শ্রীশ্রীপদকল্পতরু গ্রন্থের, সটীক সংস্করণ ১৩২৫ বঙ্গাব্দ (১৯১৮), ২য় খণ্ড, ৩য়
শাখা, ২২শ পল্লব, প্রকারান্তর সখ্য-বাত্সল্য, পদসংখ্যা ১২২৪। এই পদটি ১৯৪৬ সালে
প্রকাশিত হরেকৃষ্ণ মুখোপাধ্যায় সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী সংকলন “বৈষ্ণব পদাবলী”,
৯৯৬-পৃষ্ঠায় একই রূপে দেওয়া রয়েছে।

.        ॥ ভাটিয়ারি॥

শিঙ্গা বেণু বেত্র বাধা কটিতে আঁটিয়া।
সাজল রাখালরাজ সঙ্গে শিশু লৈয়া॥
শ্রীদাম ডাকিয়া বলে ভাইরে কানাই।
এ সব রাখাল মাঝে বলাই দাদা নাই॥
তুমি যদি বেণি পূরি ডাক এক বার।
বড় মনে সাধ আছে ভাঙ্গি খাব তাল॥
শ্রীদামের কথা শুনি হরষিত হৈয়া।
হাসি পূরে বেণু দাদা বলাই বলিয়া॥
ঘনরাম দাসের মন করে উচাটন।
দাদা রে বলাই বলি ডাকে ঘনে ঘন॥

.              ************************             
.                                                                         
সূচীতে . . .   



মিলনসাগর
ধাইয়া আইল নন্দরাণী কেশ নাহি ঢাকে
কবি ঘনরাম দাস
আনুমানিক ১৭৫০ সালে বৈষ্ণবদাস ( গোকুলানন্দ সেন ) সংকলিত এবং সতীশচন্দ্র রায়
সম্পাদিত শ্রীশ্রীপদকল্পতরু গ্রন্থের, সটীক সংস্করণ ১৩২৫ বঙ্গাব্দ (১৯১৮), ২য় খণ্ড, ৩য়
শাখা, ২২শ পল্লব, প্রকারান্তর সখ্য-বাত্সল্য, পদসংখ্যা ১২২৬। এই পদটি ১৯৪৬ সালে
প্রকাশিত হরেকৃষ্ণ মুখোপাধ্যায় সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী সংকলন “বৈষ্ণব পদাবলী”,
৯৯৬-পৃষ্ঠায় একই রূপে দেওয়া রয়েছে।

.        ॥ তথারাগ॥ ( সারঙ্গ )

ধাইয়া আইল নন্দরাণী কেশ নাহি ঢাকে।
বাছার মুখের বেণু তোরে কেন ডাকে॥
কানাইর মুখের বেণু শুনিয়া বলাই।
মাতল রোহিণী-সুত ডাকে ভাই ভাই॥
শিঙ্গা-রবে বোলে কেনে ডাক রে কানাই।
নিকটে যাইছি আমি আর ভয় নাই॥
ঘনরাম দাস বোলে শুন যশোমতি।
জান না এমতি হয় রাখালের পিরিতি॥

.              ************************             
.                                                                         
সূচীতে . . .   



মিলনসাগর
আসিয়া বলাই বলে কানাই ওরে ভাইয়া
কবি ঘনরাম দাস
আনুমানিক ১৭৫০ সালে বৈষ্ণবদাস ( গোকুলানন্দ সেন ) সংকলিত এবং সতীশচন্দ্র রায়
সম্পাদিত শ্রীশ্রীপদকল্পতরু গ্রন্থের, সটীক সংস্করণ ১৩২৫ বঙ্গাব্দ (১৯১৮), ২য় খণ্ড, ৩য়
শাখা, ২২শ পল্লব, প্রকারান্তর সখ্য-বাত্সল্য, পদসংখ্যা ১২২৯। এই পদটি ১৯৪৬ সালে
প্রকাশিত হরেকৃষ্ণ মুখোপাধ্যায় সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী সংকলন “বৈষ্ণব পদাবলী”,
৯৯৬-পৃষ্ঠায় একই রূপে দেওয়া রয়েছে।

.        ॥ শ্রীরাগ॥

আসিয়া বলাই বলে কানাই ওরে ভাইয়া।
আমারে ডাকিয়াছিলা কিসের লাগিয়া॥
হাসিয়া কানাই বলে বলাই ওরে ভাই।
ধেনুক মারিয়া সভে তাল ফল খাই॥
শুনিয়া বলাই মনে হরষিত হৈয়া।
সামাইলা তাল-বনে কৌতুক লাগিয়া॥
রুষিয়া আইল ধেনুক বলাই দেখিয়া।
লীলায় মারিল তার পুচ্ছ ঘুরাইয়া॥
তাল ফল লৈয়া সভে করিলা ভোজন।
ঘনরাম দাস হেরি আনন্দিত মন॥

.              ************************             
.                                                                         
সূচীতে . . .   



মিলনসাগর
কোলেতে করিয়া রাণী নিরখয়ে মুখ
কবি ঘনরাম দাস
১৯২২ সালে প্রকাশিত নবদ্বীপ চন্দ্র ব্রজবাসী ও খগেন্দ্রনাথ মিত্রের মহাজন পদাবলী
সংকলন “শ্রীপদামৃতমাধুরী”, ৯১-পৃষ্ঠা।

.        ॥ বিভাস - একতালা॥

কোলেতে করিয়া রাণী নিরখয়ে মুখ।
সুখের সাগরে ডুবে পাসরে সব দুখ॥
মায়ের কোলেতে গোপাল মুখ পসারিল।
এ ভব সংসার রাণী তাহাতে দেখিল॥
একি একি বলি রাণী হিয়ায় লইল।
স্বপন দেখিল কিবা বুঝিতে নারিল॥
থুতু নুতু দেয় রাণী বসনের দশি।
দেখিয়া মায়ের রীত ওনা মুখে হাসি॥
ঘনরাম দাস আশা করে এই মনে।
কবে বা সেবিব আমি যশোদা-চরণে॥

.              ************************             
.                                                                         
সূচীতে . . .   



মিলনসাগর
ও আমার সোণারচাঁদ, কি তোর মায়ের নাম
কবি ঘনরাম দাস
১৯২২ সালে প্রকাশিত নবদ্বীপ চন্দ্র ব্রজবাসী ও খগেন্দ্রনাথ মিত্রের মহাজন পদাবলী সংকলন
“শ্রীপদামৃতমাধুরী”, ১০৩-পৃষ্ঠা।

॥ সুহই - দশকুশী॥

ও আমার সোণারচাঁদ,                                কি তোর মায়ের নাম,
কার ঘরে হৈলা উপপতি।
বহুকাল তপ করি,                                     কে পূজিল হর গৌরী,
কোন পুণ্য কৈল সেই সতী॥
তোমারে করিয়া কোলে,                                কত শত চুম্ব দিলে,
নয়ানের জলে গেল ভাসি।
পাইয়া মনের সুখে,                                       স্তন দিল চাঁদমুখে
মুঞি যাই হব তার দাসী॥
এত করি ফলাহারী,                                      ফল দেন কর ভরি,
প্রেম ভরে গর গর চিত।
কৃষ্ণচন্দ্র ফল হাতে,                                     খাইতে খাইতে পথে
আমি নিজ গৃহে উপনীত॥
ফল দেখি যশোমতী,                                আনন্দ না জানে কতি,
খাওয়াইয়া প্রেমসুখে ভাসে।
ধন্য সেই ফলাহারী,                                   ফলে পাইল নন্দ হরি,
কহে কিছু ঘনরাম দাসে॥

.              ************************             
.                                                                         
সূচীতে . . .   



মিলনসাগর
বসিয়া মায়ের কোলে, গদ গদ বাণী বোলে
কবি ঘনরাম দাস
১৯২২ সালে প্রকাশিত নবদ্বীপ চন্দ্র ব্রজবাসী ও খগেন্দ্রনাথ মিত্রের মহাজন পদাবলী সংকলন
“শ্রীপদামৃতমাধুরী”, ১১৪-পৃষ্ঠা। এই পদটি “
ঘরে ঘরে উকটিতে পদচিহ্ন দেখি পথে”-পদের শেষ চার
পংক্তি। যেহেতু এই রূপেও এই পদটি পাওয়া গিয়েছে, আমরাও এই পদটিকে একটি স্বতন্ত্র পদ হিসেবে
এখানে সংকলন করছি।

॥ মায়ুর - তেওট॥

বসিয়া মায়ের কোলে,                                  গদ গদ বাণী বোলে,
অনেক সাধের যাদুমণি।
সব ধন সম্পদ,                                        সকল তোমার আগে,
চল যাই করিগা নিছনি॥
ধরিয়া বলাইর হাতে,                                দাঁড়াইয়া মায়ের আগে
নাচিতে লাগিলা দুই ভাই।
ঘনরাম দাসে কয়,                                        হইলা আনন্দময়,
গোপালের বলিহারি যাই॥

.              ************************             
.                                                                         
সূচীতে . . .   



মিলনসাগর
যাদু আমার নবীন রাখাল
কবি ঘনরাম দাস
১৯২২ সালে প্রকাশিত নবদ্বীপ চন্দ্র ব্রজবাসী ও খগেন্দ্রনাথ মিত্রের মহাজন পদাবলী সংকলন
“শ্রীপদামৃতমাধুরী”, ১৪৬-পৃষ্ঠা।

॥ সুহই - কাটাদশকুশী॥

যাদু আমার নবীন রাখাল।
নাহি জানে হিতাহিত,                                 গোধন পালনে প্রীত,
জানে না যে কার কত পাল॥
এলাইয়া কটির ধড়া                                  দুচরণে লাগে বেড়া,
আপনা আপনি পড়ে ফান্দে।
ছাওয়ালে চাওয়ালে খেলে,                        ঘরে যাইতে পথ ভুলে
দুটি হাত মুখে দিয়ে কান্দে॥
পরিবার ধড়া গাছি যারে হয় ভার।
কেমনে ববে শিঙ্গা বেণু এই ভয় আমার॥
ঘনরাম দাসে কহে শুন নন্দ রাণী।
আমাদের জীবন কানাই তোর নীলমণি॥

.              ************************             
.                                                                         
সূচীতে . . .   



মিলনসাগর