কবি ঘনরাম এর বৈষ্ণব পদাবলী যে কোন কবিতার উপর ক্লিক করলেই সেই কবিতাটি আপনার সামনে চলে আসবে। |
সাজল রাখালগণ নিতি নব নূতন কবি ঘনরাম দাস আনুমানিক ১৭৫০ সালে বৈষ্ণবদাস ( গোকুলানন্দ সেন ) সংকলিত এবং সতীশচন্দ্র রায় সম্পাদিত শ্রীশ্রীপদকল্পতরু গ্রন্থের, সটীক সংস্করণ ১৩২৫ বঙ্গাব্দ (১৯১৮), ২য় খণ্ড, ৩য় শাখা, ২২শ পল্লব, প্রকারান্তর সখ্য-বাত্সল্য, পদসংখ্যা ১২১৯। ॥ ধানশী॥ সাজল রাখালগণ নিতি নব নূতন নন্দের অঙ্গনে সভে যায়। কানাই কানাই বলি করে অঙ্গ হেলাহেলি আনন্দে ললিত গীত গায়॥ গোপালেরে সাজাইয়া চাঁদ মুখ মোছাইয়া ভালে দিল চন্দনের বিন্দু। নব জলধর যেন চলিয়া যাইতে হেন উদয় হইল যুগ ইন্দু॥ দুই ভাই সাজিয়া তায় হাসিয়া হাসিয়া যায় করে কর করি একবন্ধ। দেখিয়া বালক সব শুনি শিঙ্গা বেণু-রব সুরপুরে লাগে বহু ধন্দ॥ ব্রজ-নারীগণ সব যার যেই বালক সভাকার বিয়াকুল চিত। ঘনরাম দাস ভণে হৈয়া আনন্দিত মনে নিরখই দোহাঁকার রীত॥ এই পদটি ১৯৪৬ সালে প্রকাশিত হরেকৃষ্ণ মুখোপাধ্যায় সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী সংকলন “বৈষ্ণব পদাবলী”, ৯৯৫-পৃষ্ঠায় এই রূপে দেওয়া রয়েছে। ॥ ধানশী॥ সাজল রাখালগণ নিতি নব নূতন নন্দের অঙ্গনে সভে যায়। কানাই কানাই বলি করে অঙ্গ হেলাহেলি আনন্দে ললিত গীত গায়॥ গোপালেরে সাজাইয়া চাঁদ মুখ মোছাইয়া ভালে দিল চন্দনের বিন্দু। নব জলধর যেন চলিয়া যাইতে হেন উদয় হইল যুগ ইন্দু॥ দুই ভাই সাজিয়া তায় হাসিয়া হাসিয়া যায় করে কর করি একবন্ধ। দেখিয়া বালক যত শুনি শিঙ্গা বেণু-রব সুরপুরে লাগে বহু ধন্দ॥ ব্রজ-নারীগণ সব যার যেই বালক সভাকার বিয়াকুল চিত। ঘনরাম দাস ভণে হৈয়া আনন্দিত মনে নিরখই দোহাঁকার রীত॥ . ************************ . সূচীতে . . . মিলনসাগর |
ও আমার সোণারচাঁদ, কি তোর মায়ের নাম কবি ঘনরাম দাস ১৯২২ সালে প্রকাশিত নবদ্বীপ চন্দ্র ব্রজবাসী ও খগেন্দ্রনাথ মিত্রের মহাজন পদাবলী সংকলন “শ্রীপদামৃতমাধুরী”, ১০৩-পৃষ্ঠা। ॥ সুহই - দশকুশী॥ ও আমার সোণারচাঁদ, কি তোর মায়ের নাম, কার ঘরে হৈলা উপপতি। বহুকাল তপ করি, কে পূজিল হর গৌরী, কোন পুণ্য কৈল সেই সতী॥ তোমারে করিয়া কোলে, কত শত চুম্ব দিলে, নয়ানের জলে গেল ভাসি। পাইয়া মনের সুখে, স্তন দিল চাঁদমুখে মুঞি যাই হব তার দাসী॥ এত করি ফলাহারী, ফল দেন কর ভরি, প্রেম ভরে গর গর চিত। কৃষ্ণচন্দ্র ফল হাতে, খাইতে খাইতে পথে আমি নিজ গৃহে উপনীত॥ ফল দেখি যশোমতী, আনন্দ না জানে কতি, খাওয়াইয়া প্রেমসুখে ভাসে। ধন্য সেই ফলাহারী, ফলে পাইল নন্দ হরি, কহে কিছু ঘনরাম দাসে॥ . ************************ . সূচীতে . . . মিলনসাগর |
বসিয়া মায়ের কোলে, গদ গদ বাণী বোলে কবি ঘনরাম দাস ১৯২২ সালে প্রকাশিত নবদ্বীপ চন্দ্র ব্রজবাসী ও খগেন্দ্রনাথ মিত্রের মহাজন পদাবলী সংকলন “শ্রীপদামৃতমাধুরী”, ১১৪-পৃষ্ঠা। এই পদটি “ঘরে ঘরে উকটিতে পদচিহ্ন দেখি পথে”-পদের শেষ চার পংক্তি। যেহেতু এই রূপেও এই পদটি পাওয়া গিয়েছে, আমরাও এই পদটিকে একটি স্বতন্ত্র পদ হিসেবে এখানে সংকলন করছি। ॥ মায়ুর - তেওট॥ বসিয়া মায়ের কোলে, গদ গদ বাণী বোলে, অনেক সাধের যাদুমণি। সব ধন সম্পদ, সকল তোমার আগে, চল যাই করিগা নিছনি॥ ধরিয়া বলাইর হাতে, দাঁড়াইয়া মায়ের আগে নাচিতে লাগিলা দুই ভাই। ঘনরাম দাসে কয়, হইলা আনন্দময়, গোপালের বলিহারি যাই॥ . ************************ . সূচীতে . . . মিলনসাগর |
যাদু আমার নবীন রাখাল কবি ঘনরাম দাস ১৯২২ সালে প্রকাশিত নবদ্বীপ চন্দ্র ব্রজবাসী ও খগেন্দ্রনাথ মিত্রের মহাজন পদাবলী সংকলন “শ্রীপদামৃতমাধুরী”, ১৪৬-পৃষ্ঠা। ॥ সুহই - কাটাদশকুশী॥ যাদু আমার নবীন রাখাল। নাহি জানে হিতাহিত, গোধন পালনে প্রীত, জানে না যে কার কত পাল॥ এলাইয়া কটির ধড়া দুচরণে লাগে বেড়া, আপনা আপনি পড়ে ফান্দে। ছাওয়ালে চাওয়ালে খেলে, ঘরে যাইতে পথ ভুলে দুটি হাত মুখে দিয়ে কান্দে॥ পরিবার ধড়া গাছি যারে হয় ভার। কেমনে ববে শিঙ্গা বেণু এই ভয় আমার॥ ঘনরাম দাসে কহে শুন নন্দ রাণী। আমাদের জীবন কানাই তোর নীলমণি॥ . ************************ . সূচীতে . . . মিলনসাগর |