কবি ঘনরাম এর বৈষ্ণব পদাবলী
যে কোন কবিতার উপর ক্লিক করলেই সেই কবিতাটি আপনার সামনে চলে আসবে।
হিয়ার কণ্টক দাগ, বয়ানে বন্দন-রাগ
কবি ঘনরাম দাস
১৯২২ সালে প্রকাশিত নবদ্বীপ চন্দ্র ব্রজবাসী ও খগেন্দ্রনাথ মিত্রের মহাজন পদাবলী সংকলন
“শ্রীপদামৃতমাধুরী”, ১৮৯-পৃষ্ঠা।

সখার উক্তি।
॥ জয়জয়ন্তী - দুঠুকী॥

হিয়ার কণ্টক দাগ,                                       বয়ানে বন্দন-রাগ,
মলিন হইয়াছে মুখশশী।
আমা সভা তেয়াগিয়া,                                কোন বনে ছিলা গিয়া
তুমি বিনে সব শূন্য বাসি॥
নব ঘন শ্যাম তনু,                                      ঝামর হইয়াছে জনু,
পাষাণ বাজিয়াছে রাঙ্গা পায়।
বনে আসিবার কালে,                               হাতে হাতে সোঁপি দিলে,
ঘরে গেলে কি বলিবে মায়॥
খেলাব বলিয়া বনে,                                    আইলাম তুমার সনে,
বসিয়া থাকিব তরুছায়।
বনে বনে উটকিয়া,                                    তোর লাগি না পাইয়া,
আমাসভার প্রাণ ফাটি যায়॥
শুনিয়া গোবিন্দ বলে,                                আমি ছিলাম পথ ভুলে,
অমনি রহিলাম দাঁড়াইয়া।
সেইখানে এক নারী,                                   পথ চিনায় দেয় ঠারি,
ঘনরাম দাস রইল চাইয়া॥

.              ************************
               
.                                                                         
সূচীতে . . .   



মিলনসাগর
খেলে রাম রাম রাম রাম কানাইরে
কবি ঘনরাম দাস
১৯২২ সালে প্রকাশিত নবদ্বীপ চন্দ্র ব্রজবাসী ও খগেন্দ্রনাথ মিত্রের মহাজন পদাবলী
সংকলন “শ্রীপদামৃতমাধুরী”, ২০১-পৃষ্ঠায় এই রূপে দেওয়া রয়েছে। এই পদটিতে, “আরে
মোর রাম কানাই” পদের আগে নতুন দুটি পংক্তি বা কলি যোগ করা হয়েছে। আমরা
“আরে মোর রাম কানাই” শিরোনামের পদটিকে স্বতন্ত্র পদ হিসেবেও তুলেছি।

॥ খাম্বাজ মিশ্র সারঙ্গ - ধামালি তাল॥

খেলে রাম রাম রাম রাম কানাইরে।
যমুনার তীরে খেলে রাম রাম রাম রাম কানাইরে॥
আরে মোর রাম কানাই।
যমুনা তরুর ছায় খেলে দোন ভাই॥ ধ্রু॥
সভাই সমান খেলু বাটিয়া লইল।
হারিলে চড়িব কান্ধে এই পণ কৈল॥
যেজন হারিবে ভাই কান্ধে করি লবে।
বংশীবটের তলে রাখিয়া আসিবে॥
দুই দিগে দুই ভাই আসি দাঁড়াইলা।
যার যেই খেলু সব বাঁটিয়া লইলা॥
শ্রীদাম সুদাম আদি কানাইদিগে হইল।
সুবল বলাইদিগে নাচিতে লাগিল॥
শ্রীদাম কহে আমরা কানাই দিগে হব।
কানাই হারিলে আমরা কান্ধে না চড়িব॥
এমতে বাঁটিয়া খেলু খেলা আরম্ভিলা।
সঘনে গম্ভীর নাদে খেলিয়া চলিলা॥
ঘনরাম দাস কহে দেখিয়া বলাই।
আপনি সাওলি ভাঙ্গি হারিল কানাই॥

.              ************************               
.                                                                         
সূচীতে . . .   



মিলনসাগর
দেখায়ে ক্ষীরের নাড়ু এস এস বলে
কবি ঘনরাম দাস
১৮৭০ সাল নাগাদ চন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় দ্বারা সংগৃহীত এবং ১৯২২ সালে রাজেন্দ্রনাথ
বন্দ্যোপাধ্যায় দ্বারা প্রকাশিত “শ্রীশ্রীপদামৃতসিন্ধু”, ২০-পৃষ্ঠা।

.        ॥ সুহিনী॥

দেখায়ে ক্ষীরের নাড়ু এস এস বলে।
পীতধড়া কাড়ি লয় পাইলে বিরলে॥
বলিয়া বলিয়া ছান্দে বান্ধে দুটি করে।
মা বলে কান্দিতে চাই মুখ চেপে ধরে॥
ঘনরাম দাসে কহে থির কর মন।
প্রেমের অধীন গোপাল পাবে দরশন॥

.              ************************               
.                                                                         
সূচীতে . . .   



মিলনসাগর