কবি গোবিন্দ ঘোষ এর বৈষ্ণব পদাবলী
যে কোন কবিতার উপর ক্লিক করলেই সেই কবিতাটি আপনার সামনে চলে আসবে।
গোবিন্দ ঘোষ
বৈষ্ণব পদাবলী
( সুকুমার সেন সম্পাদিত “বাংলা কবিতা সমুচ্চয়” (প্রথম খণ্ড) সংকলন থেকে )

প্রাণের মুকুন্দ হে আজি কি শুনিনু আচম্বিত।
কহিতে পরাণ যায়                      মুখে নাহি বাহিরায়
গৌরাঙ্গ ছাড়িবে নবদ্বীপ॥
ইহা ত না জানি মোরা                সকালে মিলিনু গোরা
অবনত মাথে আছে বসি।
নিঝরে নয়ন ঝরে                       বুক বাহি ধারা পড়ে
মলিন হৈয়াছে মুখশশী॥
দেখিয়া তখন প্রাণ                        সদা করে আনচান
শুধাইতে নাহি অবসর।
ক্ষণেকে সম্বিত হৈল                     তবে মুঞি নিবেদিল
শুনিয়া দিলেন এ উত্তর॥
আমি ত বিবশ হৈয়া                  তারে কিছু না কহিয়া
ধাইয়া আইনু তব পাশ।
এই ত কহিনু আমি                     যে কহিতে পার তুমি
মোর নাহি জীবনের আশ॥
শুনিয়া মুকুন্দ কান্দে                    হিয়া থির নাহি বান্দে
গদাধরের বদন হেরিয়া।
এ গোবিন্দ ঘোষে কয়                     ইহা যেন নাহি হয়
তবে মুই যাইব মরিয়া॥

.          ************************          
.                                                                                              
সূচিতে . . .   



মিলনসাগর
গোবিন্দ ঘোষ
বৈষ্ণব পদাবলী
( সুকুমার সেন সম্পাদিত, সাহিত্য অকাদেমি প্রকাশিত, “বৈষ্ণব পদাবলী” সংকলন থেকে )

হেদে রে নদীয়াবাসী কার মুখ চাও।
বাহু পসারিয়া গোরাচাঁদেরে ফিরাও॥
তো-সভারে কে আর করিবে নিজ কোরে।
কে যাচিয়া দিবে প্রেম দেখিয়া কাতরে॥
কি শেল হিয়ায় হায় কি শেল হিয়ায়।
নয়ান-পুতলী নবদ্বীপ ছাড়ি যায়॥
আর না যাইব মোরা গৌরাঙ্গের পাশ।
আর না করিব মোরা কীর্ত্তন-বিলাস॥
কান্দয়ে ভকতগণ বুক বিদরিয়া।
পাষাণ গোবিন্দ ঘোষ না যায় মিলিয়া॥

.          ************************          
.                                                                                
সূচিতে . . .   



মিলনসাগর