কবি মাধবী দাসী - এর পদের ভণিতা “মাধবী” অথবা “মাধবী দাস”। কবি, শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর সমসাময়িক বলে মনে করা হয়। ষোড়শ শতকের প্রথমার্ধে তাঁর নাম পাওয়া যায়।
কৃষ্ণদাস কবিরাজ রচিত চৈতন্যচরিতামৃত, অন্ত্যলীলা, দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ, ৫২-পৃষ্ঠায় দেওয়া ছোট হরিদাস দণ্ডরূপ শিক্ষা বৃত্তান্তের নীচে দেওয়া পংক্তিতে শিখি মাহিতীকে বৃদ্ধা বলে উল্লেখ করা হয়েছে। তিনি শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর থেকে নিশ্চয়ই বয়সে বড় ছিলেন। ছোট হরিদাস নাম প্রভুর কীর্ত্তনীয়া। তারে কহেন আচার্য্য ডাকিয়া আনিয়া॥ মোর নামে শিখি মাহিতীর ভগিনী স্থানে গিয়া। উত্তম চালু এর মোন আনহ মাগিয়া॥ মাহিতীর ভগিনীর নাম মাধবী দেবী। বৃদ্ধা তপস্বিনী আর পরম বৈষ্ণবী॥
শোনা যায় এই মাধবী দাসী, নীলাচল বা পুরীর জগন্নাথ দেবের মন্দিরের হিসাব-রক্ষক অথবা লিপিকর শিখী মাহিতীর ভগিনী ছিলেন। কথিত আছে যে মাধবী দেবীর সুন্দর হস্তাক্ষর ও পাণ্ডিত্যের জন্য, রাজা প্রতাপরুদ্র তাঁকে শ্রীমন্দিরের (জগন্নাথদেবের মন্দিরের) লিখনাধিকারীর পদে নিযুক্ত করেন।
আরেকদল বিশেষজ্ঞ মনে করেন যে “মাধবী দাস” ভণিতার পদের রচয়িতা শিখী মাহাতীর ভগিনী নন।
ছোট হরিদাস দণ্ডরূপ শিক্ষাপাতার উপরে . . . মাধবী দেবী এই পদের রচয়িতা হন বা না হন, তা তর্কসাপেক্ষ হলেও একথা অশ্বীকার করা যাবে না যে মাধবী দাসী চৈতন্যদেবের নীলাচলে থাকার কালে সশরীরে উপস্থিত ছিলেন। কৃষ্ণদাস কবিরাজ রচিত “চৈতন্যচরিতামৃতের” অন্ত্যলীলার দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ - “ছোট হরিদাস দণ্ডরূপ শিক্ষা” বৃত্তান্তে রয়েছে যে একদিন ভগবানাচার্য্য, প্রভুকে ( শ্রীচৈতন্যদেবকে ) ঘরে ভাত খাওয়ানোর জন্য ছোট হরিদাস নামের কীর্তনিয়াকে সুগন্ধী চাল আনার জন্য শিখী মাহিতীর ভগ্নী মাধবী দেবীর কাছে পাঠান। খেতে বসে, চৈতন্যদেব এই চাল সম্বন্ধে জিজ্ঞেস করে জানতে পারেন যে হরিদাস একজন মহিলার কাছ থেকে চাল চেয়ে এনেছেন। এই কারণে তিনি তাঁকে বর্জন করেন। অনেক অনুরোধ উপরোধেও যখন তিনি হরিদাসকে ক্ষমা করলেন না, তখন আর থাকতে না পেরে ছোট হরিদাস ত্রিবেণীতে গিয়ে জলে ডুবে আত্মহত্যা করেন। এই ঘটনাটির উপলক্ষে আমরা জানতে পারি যে শিখী মাহাতীর ভগ্নী মাধবী দেবী নাম্নী মহিলা শ্রীচৈতন্যের সমকালে বর্তমান ছিলেন, নীলাচলে। শোনা যায় যে শ্রীচৈতন্যদেব নীলাচলে যাওয়ার পরে, মাধবী দাসীর জ্ঞান ও ভক্তির প্রমাণ পেয়ে, তাঁকে স্বয়ং দীক্ষা দিয়েছিলেন। মাধবী দাসী নাকি নিজের নাম কখনও কখনও মাধব দাস বলেও স্বাক্ষর করতেন।
সুকুমার সেনের উদ্ধৃতিপাতার উপরে . . . ১৯৪০ সালে প্রকাশিত, সুকুমার সেন রচিত বাঙ্গালা সাহিত্যের ইতিহাস, পৃষ্ঠা ২৪৯-এ জানিয়েছেন . . . “মাধবীদাস ভণিতার ভণিতাযুক্ত পদগুলিকে প্রায় সকলেই উড়িয়া মহিলা মাধবী মাহিতীর রচনা বলিয়া মনে করেন। কিন্তু ইহা যুক্তিলেশহীন অনুমান মাত্র। মাধবীদাস ভণিতার একটি পদ হইতে অনুমান হয় যে, পদকর্ত্তা মহাপ্রভুর বিশিষ্ট পারিষদ জগদানন্দ পণ্ডিতের শিষ্য ছিলেন। কয়েকটি পদের ভণিতায় ‘মাধুবীদাস’ এই পাঠান্তর পাওয়া যায়।”
মাধবী দাসীর পদকর্তা হওয়া নিয়ে তর্ক-বিতকপাতার উপরে . . . মাধবী দেবীর পদকর্তা হওয়ার পক্ষে ছিলেন হারাধন দত্ত ভক্তিনিধি, অচ্যুতচরণ তত্ত্বনিধি, দীনেশচন্দ্র সেন প্রমুখরা। অপরপক্ষে পদকল্পতরুর সম্পাদক সতীশচন্দ্র রায়ের দৃঢ় বিশ্বাস ছিল যে মাধবীদাস ভণিতাযুক্ত পদগুলির রচয়িতা শিখি মাহাতির ভগিনী হতেই পারেন না! এই দুপক্ষের যুক্তি-তর্ক আমরা এখানে তুলে দিলাম।
জগবন্ধু ভদ্রর উদ্ধৃতিপাতার উপরে . . . আমরা সতীশচন্দ্র রায়ের শ্রীশ্রীপদকল্পতরুর ৫ম খণ্ডের ভূমিকার ১৮৮ পৃষ্ঠা থেকে এই বিষয়ে চলা তর্ক- বিতর্ক টি এখানে তুলে দিচ্ছি, পাঠকের সুবিধার জন্য।
“ . . . যে যে কারণে মাধবী দেবীকে পদকর্ত্রী স্থির করা হইয়াছে, তাহা জগবন্ধু বাবুর ‘মাধবী দাস’ নামক আলোচনা হইতে নিম্নে উদ্ধৃত করা যাইতেছে।
(১) শিখী মাহিতি নামে জগন্নাথ দেবের একজন লিপিকর ছিলেন। তাঁহার ভ্রাতার নাম মুরারি মাহিতী ও সহোদরার নাম মাধবী এই মাধবী চরিত্র অত্যন্ত উত্তম ছিল বলিয়া, কৃষ্ণদাস কবিরাজ ইহাঁকে দেবী বলিয়া উল্লেখ করিয়াছেন। কেন না, কবিরাজ গোস্বামী তাঁহাকে শ্রীরাধিকার দাসীমধ্যে গণনা করিয়াছেন। (২) চৈতন্যচরিতামৃতে অন্ত্য খণ্ডে লেখা আছে যে, মহাপ্রভু নিজ জনকে যে গূঢ় ব্রজের রস প্রদান করিয়াছেন, সাড়ে তিন জন ব্যক্তিমাত্র আস্বাদন করিতে সক্ষম হইয়াছিলেন। যথা,--- প্রভু লেখা করে যাঁরে রাধিকার গণ। জগতের মধ্যে পাত্র সাড়ে তিন জন॥ স্বরূপ-দামোদর, আর রায় রামানন্দ। শিখি মাহিতি তিন, তাঁর ভগ্নী অর্দ্ধজন॥ [ কৃষ্ণদাস কবিরাজ, চৈতন্যচরিতামৃত, অন্ত্য খণ্ড, ২য় পরিচ্ছেদ॥ ] (৩) মাধবী পুরুষের ন্যায় পণ্ডিত ছিলেন, এবং পুরুষের ন্যায় তপস্যা করিতেন। এই জন্য বৈষ্ণব গ্রন্থে ইহাঁদিগকে ‘তিন ভ্রাতা’ বলা হইয়াছে। এবং তাঁহার ভ্রাতারাও তাঁহার প্রতি ভ্রাতার ন্যায় সম্মান প্রদর্শন করিতেন। মাধবী স্বয়ংও অধিকাংশ পদে আপনাকে ‘মাধবী দাস’ কহিয়াছেন। (৪) প্রধানতঃ নীলাচলবাসিনী মাধবী মহাপ্রভুর নীলাচল লীলা সম্বন্ধেই পদ লিখিয়াছেন ; সুতরাং তাঁহার পদ মূল্যবান। (৫) ভক্তিনিধি মহাশয় মাধবীর পদ সম্বন্ধে অপর এক প্রবন্ধে লিখেন,--- পদ-সমুদ্রে মাধবী-কৃত অনেক উড়িয়া পদ আছে। এবং উড়িয়া ভাষার পদগুলি বড়ই জটিল, বাঙ্গালা পদ অপেক্ষা কর্কশ, উড়িয়াদিগের নিকট তাহা আদরণীয়। (৬) কর্ম্মদোষে নারীজন্ম পরিগ্রহ করাতে প্রাণ ভরিয়া প্রভুর বদন-সুধাকর দর্শন করিতে অসমর্থা বলিয়া একটী পদে মাধবী খেদ করিয়া বলিয়াছেন,--- যে দেখায়ে গোরা-মুখ সেই প্রেমে ভাসে। মাধবী বঞ্চিত হৈল নিজ কর্ম্মদোষে॥”
সতীশচন্দ্র রায়ের জবাবী উদ্ধৃতিপাতার উপরে . . . "দুঃখের সহিত আমাদিগকে বলিতে হইতেছে যে, পূর্ব্বোদ্ধৃত যুক্তিগুলির দ্বারা মাধবী দেবীর কর্ত্তৃক আলোচ্য পদগুলির রচনা প্রমাণিত হয় না। আমরা সংক্ষেপে ঐ যুক্তিগুলির অসারতা প্রদর্শিত করিব।
(১) চরিত্রের মহত্ব দ্বারা পদ-কর্ত্তৃত্ব সিদ্ধ হয় না। (২) ব্রজ-রসের অসাধারণ আস্বাদক সাড়ে তিন জন নীলাচলবাসী ভক্তের মধ্যে রায় রামানন্দ পদ-রচনা করিয়া গিয়াছেন। তাঁহার কয়েতটি সংস্কৃত পদ ও একটি ব্রজবুলী পদ . (“পহিলহি রাগ নয়ন-ভঙ্গ ভেল” ইত্যাদি) পাওয়া গিয়াছে। স্বরূপ দামোদর বা শিখী মাহাতীর কোনো পদ পাওয়া যায় নাই। এ অবস্থায় মাধবী দেবী পদ-রচনা না করিলেও তাঁহার ব্রজরসাস্বাদনের কোন বাধা দেখা যায় না। মাধবী দেবী কোন পদ- রচনা করিয়া থাকিলে, উহা উড়িয়া পদ হওয়াই একান্ত সম্ভব। (৩) মাধবী দেবী পুরুষের সমকক্ষ পণ্ডিত হইতে পারেন, কিন্তু তিনি পুরুষের ন্যায় তপস্যা করিতেন এই কথার অর্থ কি ? ইহা তো মাধবীর ন্যায় শালীনতাসম্পন্ন মহিলা ও শ্রীরাধিকার দাসীর পক্ষে কোন রূপেই সম্ভবপর হইতে পারে না। সুতরাং মাধবী দেবী তাঁহার বিদ্যা-বুদ্ধির জন্য ভ্রাতাদিগের নিকট জ্যেষ্ঠ ভ্রাতার সম্মান লাভ করিলেও ‘দাস’ বলিয়া নিজকে ভণিতায় পরিচিত করার কোন কারণ দেখা যায় না। আমাদের বিবেচনায় ভণিতার দাস শব্দ স্পষ্টাক্ষরে বলিয়া দিতেছে যে, এই সকল পদের রচয়িতা আর যিনিই হউন না কেন, তিনি কখনও মাধবী দাসী হইতে পারেন না। (৪) নীলাচলে শ্রীমহাপ্রভুর বহু বাঙ্গালী ভক্তের গমনাগমন ছিল। ইহাঁদিগের মধ্যে ‘মাধবী দাস’ নামক কেহ এই সকল নীলাচল-লীলার পদ রচনা করিতে পারেন। স্ত্রীলোক বলিয়া যিনি ‘প্রাণ ভরিয়া প্রভুর বদন সুধাকর’ দর্শন করিতে অসমর্থা ছিলেন, তাঁহার পক্ষে মহাপ্রভুর ভক্তগণ সঙ্গে ফাগু খেলা প্রভৃতি বিষয়ে পদ- রচনা কিঞ্চিৎ অসম্ভব মনে হয় না কি ? মাধবী দাস ভণিতার ১৮৫৩ সংখ্যাক পদে শ্রীগৌরাঙ্গের সন্ন্যাসের পর প্রথম নীলাচলে গমনের অব্যবহিত পরেই শচী মাতাকে সান্ত্বনা দেওয়ার জন্য নীলাচল হইতে জগদানন্দ ঠাকুরের নবদ্বীপ-গমন বর্ণিত হইয়াছে। মহাপ্রভুর নীলাচলে যাওয়া মাত্রই যে, শিখী মাহাতী ভাতৃগণের সহিত তাঁহার কিংবা জগদানন্দের ঘনিষ্ঠতা জন্মিয়াছিল, এরূপ জানা যায় না ; এ অবস্থায় মাধবী দেবীর পক্ষে নবদ্বীপের তত্কালীন অবস্থা-সূচক এই পদের রচনা এবং জগদানন্দ ঠাকুরকে ‘মাধবী দাসের ঠাকুর পণ্ডিত’ বলিয়া উল্লেখ করা অসম্ভব মনে হয়। শ্রীমহাপ্রভু বা জগন্নাথ ঠাকুর প্রভৃতি অন্তরঙ্গ সহচরগণ অপর স্ত্রীলোকের সহিত আলাপাদি করিতেন না ; এ অবস্থায় অন্য লোকের নিকট বিবরণ শুনিয়া এরূপ পদের রচনা করিতে যাওয়া যথেষ্ট অবিবেচনার কার্য্য ও অনধিকার চর্চ্চা বটে। মাধবী দেবীর পক্ষে আমরা উহা সম্ভব বোধ করি না। মাধবী দেবীর রচিত হইলে, অন্ততঃ ‘নীলাচল হইতে শচীরে দেখিতে আইসে জগদানন্দ’ ইত্যাদি ১৮৫৩ সংখ্যক পদের রচয়িতা জগদানন্দ ঠাকুরের ভক্ত ও অনুগত কোনও ব্যক্তি ছিলেন, এরূপ অনুমানই অনিবার্য্য মনে হয়।
(৫) মাধবী দেবীর উড়িয়া পদগুলি আমরা দেখি নাই। পদ-সমুদ্র পুথিখানা লুপ্ত হইয়া যাওয়ায় ঐ সকল পদের বিষয় কি ছিল, এবং উহাতে কিরূপ ভণিতা দেওয়া ছিল, তাহাও এখন জানার উপায় নাই। তর্কস্থলে মাধবী দেবীকে ঐ সকল উড়িয়া পদের রচয়িত্রী বলিয়া স্বীকার করিয়া লইলেও তদ্দ্বারা তাঁহার আলোচ্য বাংলা পদগুলির কৃতিত্ব প্রমাণিত হয় না। তাঁহার উড়িয়া-পদ রচনার দ্বারা বরং বাঙ্গালা রচনায় অসামর্থ্যই অনুমিত হইতে পারে।
এই বর্ণনা যদি শুধু কাল্পনিক না হয়, তাহা হইলে বুঝা যায় যে, মাধবী দেবীও গৌর-প্রেমাকৃষ্টা এই নাগরীদিগের ন্যায় দূর হইতে শ্রীগৌরাঙ্গের মুখের পানে অনিমিষ-দৃষ্টিতে চাহিয়া দেখিয়াছেন। এ অবস্থায় তাঁহার পক্ষে ---
যে দেখয়ে গোরা-মুখ সেই প্রেমে ভাসে। মাধবী বঞ্চিত হৈল নিজ কর্ম্মদোষে॥ ”
এই বলিয়া আক্ষেপ করা সম্ভব হয় কি ? আমাদের বিবেচনায় এই পদের রচয়িতা খুব সম্ভবতঃ শ্রীগৌরাঙ্গের কিঞ্চিৎ পরবর্ত্তী সময়ের ব্যক্তি। তিনি হয় ত ঠাকুর জগদানন্দ কিংবা অন্য কোনও সাক্ষাত্দ্রষ্টার মুখে বৃত্তান্ত শুনিয়া এই সকল পদ রচনা করিয়া গিয়াছেন। প্রকৃত পক্ষে মাধবী দেবী রচয়িত্রী হইলে, উহাতে এরূপ আক্ষেপ ও বিশেষতঃ ‘মাধবী দাস’ ভণিতা পাওয়া যাইত না।
বৈষ্ণব-ইতিহাসের অসম্পূর্ণতা হেতু অনেক পদ-কর্ত্তারই কোন পরিচয় পাওয়া যায় না। এ অবস্থায় কোনও প্রসিদ্ধ বৈষ্ণব ভক্তের নাম যদি কোন পদের ভণিতার নামের সহিত ঘূর্ণাক্ষরে মিলিয়া যায়, তাহা হইলে গত্যান্তরের অভাবে আমরা তাঁহাকেই পদকর্ত্তা স্থির করা সঙ্গত মনে করি না। তবে, সত্যের অনুরোধে দুঃখের সহিত না বলিয়া পারিতেছি না যে, উত্কল-দেশীয় গৌর-ভক্ত শিখী মাহাতীর ভগিনী মাধবী দেবীর পক্ষে আলোচ্য পদের রচনা আমাদের নিকট সম্ভবপর বোধ হয় না।”
বিভিন্ন রূপে "মাধব" ভণিতা ও তার অপভ্রংশ -পাতার উপরে . . . আমরা মিনলসাগরে যে বিভিন্ন রূপে “মাধব” ও তার অপভ্রংশ রূপের ভণিতাযুক্ত পদ সংগ্রহ করতে পেয়েছি তা হলো "মাধব", "মাধব দাস", "দ্বিজ মাধব", "মাধব আচার্য্য", "শ্রীমাধব", "মাধাই", "মাধো", "মাধব ঘোষ", "মাধবেন্দ্র পুরী", "মাধবী" এবং "মাধবী দাসী"।
আমাদের কাছে কবির কোনো ছবি নেই | একটি ছবি এবং আরও তথ্য আমাদের কাছে পাঠালে আমরা কৃতজ্ঞতা স্বীকার করে প্রেরকের নাম এই পাতায় উল্লেখ করবো | আমাদের ঠিকানা- srimilansengupta@yahoo.co.in