কবি সালবেগ - এর জন্ম-মৃত্যু সম্বন্ধে কিছু জানা নেই।  

যতীন্দ্রমোহন ভট্টাচার্য্য সম্পাদিত “বাঙ্গালার বৈষ্ণব-ভাবাপন্ন মুসলমান কবি” ১৯৪৫ সংকলনের কবি-পরিচয়
তে তাঁর সম্বন্ধে কিছু তথ্য পাওয়া গিয়েছে।

কবি সালবেগ উড়িষ্যার অধিবাসী ছিলেন। উড়িয়া ভাষায় রচিত দার্ঢ্যভক্তি গ্রন্থ থেকে জানা যায় যে  
পাঠানরাজের এক মুসলমান সেনাধ্যক্ষ বলপূর্ব্বক জনৈকা হিন্দু বিধবাকে গ্রহণ করেন। তাঁদের পুত্র সালবেগ।
পরবর্তী জীবনে সালবেগ একজন ভক্ত হিসেবে প্রসিদ্ধি লাভ করেন।

তাঁর তিনটি পদ বৈষ্ণবদাস ভণিতার পদকর্তা গোকুলানন্দ সেন, দ্বারা সংকলিত বৈষ্ণব পদাবলীর সংগ্রহ
"শ্রীশ্রীপদকল্পতরু" গ্রন্থের অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল। ১৮৯৭ নাগাদ এই গ্রন্থেরই পরিবর্ধিত মুদ্রিত সংস্করণ সম্পাদনা
করেন সতীশচন্দ্র রায়। সতীশচন্দ্র রায়ের সম্পাদিত "অপ্রকাশিত পদ রত্নাবলী", ১৯২৬ সংকলনেও একটি
পদ, "পদরসসার" সংকলন থেকে উদ্ধৃত হয়েছে। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রকাশিত
Typical Selections
from the Oriya Literature, Vol.II
গ্রন্থেও কবি সালবেগের একটি পদ প্রকাশিত হয়েছিল।

তাঁর “জয় জয় রাধে গোপাল গোপাঙ্গনা রে” পদটি তে ব্রজভাষার প্রভাব ফুটে উঠেছে। তা থেকে অনুমান
করা হয় যে তিনি শেষ জীবনে বৃন্দাবনে ছিলেন।

সালবেগের পদ উড়িষ্যার মন্দিরে এখনও নাকি গাওয়া হয়। এই উড়িয়া কবির পদ বাঙালী বৈষ্ণবদের কাছে
বিশেষ আদরের বলেই পদকল্পতরু গ্রন্থে স্থান করে নিয়েছে।

আমরা
মিলনসাগরে  কবি সালবেগ-এর কবিতা তুলে আগামী প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দিতে পারলে  এই
প্রচেষ্টাকে সফল মনে করবো।


কবি সালবেগ-র মূল পাতায় যেতে এখানে ক্লিক করুন


আমাদের ই-মেল -
srimilansengupta@yahoo.co.in     


এই পাতার প্রথম প্রকাশ - ২১.৬.২০১৪
এই পাতার পরিবর্ধিত সংস্করণ - ১২.২.২০১৭
...
বৈষ্ণব পদাবলী নিয়ে মিলনসাগরের ভূমিকা     
বৈষ্ণব পদাবলীর "রাগ"      
কৃতজ্ঞতা স্বীকার ও উত্স গ্রন্থাবলী     
মিলনসাগরে কেন বৈষ্ণব পদাবলী ?     
*

এই পাতার উপরে . . .
*

এই পাতার উপরে . . .
*

এই পাতার উপরে . . .
*

এই পাতার উপরে . . .