ছোট আজ এক গল্প বলি, শোন ; এক দেশে এক মেয়ে ছিল কোন। ভাসিয়েছে তরীখানি হাল্কা স্রোতে, জুটেছে হাততালিও চটুল নানা কসরতে। চলেছিল গান গেয়ে তরী বেয়ে, তবু মন দূরপানে যায় ধেয়ে--- এমন সময় এলো এক নেয়ে এলো সে যে দূরের খবর নিয়ে কাছে এল স্বপ্ন-তরী বেয়ে, গান শোনাল দূরের দেশের নেয়ে। বলল ডেকে ব্যস্ত নেয়ে, “ওগো নবীনা। ডাক এসেছে দূর-পারে, বাজছে ঐ বীণা ছেড়ে এসো তোমার তরী, রাখ ফসল ভরে নিয়ে যাব সাত সমুদ্র আমার তরী পরে।” ভেবেছিল, “বাইব তরী দুইজনাতে ঝড় আসে তো আসুক নাকো মাঝরাতে দিক তো জানে আমার সাথী নেয়ে চলব আমি তারই সাথে বেয়ে”।
তখন ছিল গোধূলি সোনা মোড়া, এবার এল রাত্রি আঁধার গড়া। ধরবে ভেবে বাড়িয়েছিল হাত--- আকাশ কালো ঝড়ো-মেঘে, তখন মধ্যরাত--- ঝড়ো হাওয়া নিভিয়ে গেল বাতি দূরে গেল তাহার দূরের সাথী--- ভেঙ্গে ডাকে, “ওগো আমার প্রিয়!” ফিরল সে ডাক ; প্রতিধ্বনি যে ও! হারিয়ে দিক এদিক ওদিক চায় কোথাও কোন কূল খুঁজে না পায়।
তবু সেই কাটল আঁধার নিশা পূব আকাশে লালের আভা মেশা, দেখতে পেয়ে একটি দুটি পাখি বুঝতে তার রইল নাকো বাকি কাছে কোথাও তীরের নিশানা এ যেমনই করে যেতে হবে পারে। আবার জলে ভাসল সেই মেয়ে দূরে দেখে দূরের সেই নেয়ে, তারই দিকে আসছে তরী বেয়ে চোখের কোণে জল রয়েছে ছেয়ে। বহু দুখেও ভরল তার মন তবু তো এক আছে আপনজন, দূরের ডাকে দুজন আত্মহারা নাই বা গেল একই সাথে তারা। বলল, শুধু, “ওগো আমার প্রিয় আমার প্রাণে তোমার ছোঁয়া দিও”।
নিও না নিও না বঁধূ এ চোখ আমার দৃষ্টির অগোচরে মুক্তির পারাবার . দেখাও আবার। নিও না নিও না বঁধূ এ মন আমার সুখ যেন করি জয়, দুখে না করি ভয় . শান্ত থাকি অনিবার।
নিয়ে নাও পাও যত, মোহ লাভ শতশত--- শুধু আকাশটা রেখে দাও একান্ত আমার।