কবি চন্দন ভট্টাচার্য্যর কবিতা ও ছড়া |
কর্তব্য কবি চন্দন ভট্টাচার্য্য শত শহিদের রক্তে রাঙানো পূণ্য এ দেশভুমি ক্ষুদিরাম বোস, প্রফুল্ল চাকী শত বরষেতে নমি। প্রথম শহিদ বিপ্লবীদের প্রথম দৃঢ় আওয়াজ, ‘বিদেশী শাসন মানবনা মোরা’ গর্জিল যেন বাজ। সেই আওয়াজের অনুরণধ্বনি বেজেছিল অন্তরে - আপামর জাতি ঘৃণা বর্ষায় বৃটিশ শাসন পরে। যত লহু তাঁরা ঢেলেছিল তার সকল বিন্দু থেকে দেশ প্রেমিকেরা জন্ম লভিল সীমারেখা দিল এঁকে। সে সীমানা নিয়ে বাস করি মোরা স্বাধীন ভারত মাঝে - ‘তাঁদেরই রক্ত কমবেশী করে প্রতি ধমনিতে রাজে’। আজ যদি এই দেশের মাটিতে অধর্ম করে বাস, তাঁদের স্মরণে বল আনো মনে অন্যায় কর নাশ। শ্রী ক্ষুদিরাম বোস ও প্রফুল্ল চাকীর মুক্তিবেদিতলে প্রাণের অর্ঘদানের শতবর্ষ স্মরণে - শ্রী প্রফুল্ল চাকী (জন্ম – ১০ই ডিসেম্বর, ১৮৮৮ ; ধরা না দিয়ে নিজের গুলিতে স্বেচ্ছায় মৃত্যুবরণ – ১লা মে ১৯০৮) শ্রী ক্ষুদিরাম বোস (জন্ম – ৩রা ডিসেম্বর, ১৮৮৯ ; ফাঁসির মঞ্চে মৃত্যুবরণ – ১১ই অগাষ্ট ১৯০৮) .************ . সূচী . . . মিলনসাগর |
একুশে ফেব্রুয়ারি কবি চন্দন ভট্টাচার্য্য বাংলাভাষা মোদের ভাষা যোগায় সুধা প্রাণে , মনের কোণে স্বস্তি আনে কথায় এবং গানে । পাক প্রধানের রাষ্ট যখন করল হুকুম কড়া – উর্দু ভাষায় করতে হবে সকল লেখাপড়া , আগুন হয়ে উঠল জ্বলে সমস্ত দেশ রাগে , বঙ্গভুমি গর্জে ওঠে “আমার ভাষা আগে ।” অনেক ছেলেই প্রাণ দিল তার আপন দেশের হয়ে, পদ্মা দিয়ে গেল অনেক রক্তপানি বয়ে । ফেব্রুয়ারির একুশ তারিখ বাহান্ন সাল তবে – রক্ত দিয়ে নাম লিখাল বাংলাভাষায় সবে ; সালাম, আবুল, জব্বরভাই, ছাত্র আরো কত, পাকচক্রে শহীদ হল অভিমন্যুর মত । তাঁদের পদচিহ্ন ধরে ভাবিকালের রথে , জালিম হুকুম নাকাম করে গলিতে রাজপথে বাংলাভাষা এগিয়ে চলে বিজয় নিশান ওড়ে – মাতৃভাষা দিবস হয়ে UNESCO পরে । শাসনপাশে যতই ত্রাসে বাঁধুক অত্যাচারী , মুক্তমনায় ততই শানায় একুশের তরবারি। .************ . সূচী . . . (বরোদায় আয়োজিত মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষ্যে ব্যবহৃত ।) মিলনসাগর |