কলকাতার ফুটপাথে এসে বাসা বেঁধেছে, ঘর ছাড়া কিছু গাঁয়ের মানুষ। তাদের ছেলেরা বেড়ে উঠেছে পথের ধুলোয়। ধুলোয় ফলের বিচি পুঁতলে গাছ হয়না। কিন্তু ধুলো মাড়িয়ে মাড়িয়ে গায়ে ধুলো মেখে আর ভাতে ধুলো খেয়ে, কত মানুষ দিব্যি বড় হয়ে উঠল। চোখের সামনেই দেখছি। এক দিন ছিল ছয় সাত আট। এখন তোর চোদ্দ পনেরো।
মাঝে মাঝে এই শহরেও নির্জনতা নামে, যখন ভরদুপুরে কাকগুলো কা কা- করে উড়ে যায়, এমনি এক দুপুর বেলায় ওই ধুলোয় গড়া একটি ছেলে দারুণ করুণ সুরে বাঁশি বাজিয়ে গেল। ‘সাধের লাউ বানাইলা মোরে বৈরাগী।’ ড্রইংরুমে যখন এ গানের রেকর্ড বাজে, বাঁশির সুর তার সঙ্গে মেলে না।