কবি দেবারতি মিত্রর কবিতা
যে কোন গানের উপর ক্লিক করলেই সেই গানটি আপনার সামনে চলে আসবে।
*
দু’ পায়ের ফাঁকে এসে মুখ গুঁজে দেয়-----


গ্রীষ্মের ঠিক আগে মাইল মাইল ব্যাপী সরলবর্গীয় বনে ঝড়
একটানা আতশবাজির তীব্র রঙচঙে চক্কর
স্তনান্তরে ঢেউ লাগে,
মিলনসাগরের কবিতা    
অসম্ভব অনুরক্তা শিশুসুলভতা নিয়ে
অচেনা আশ্চর্য এক লালচে কিসমিস-রাঙা
ফুলের কোরক মুখে টপ করে পোরে
আর চাখে   
মাতৃদুধের মতো স্বাদুরস টানে |
ক্রমে তার মুখে আসে ঈষদচ্ছ অনতিশীতোষ্ণ গলা মোম
টুপটাপ মুখের গহ্বরে ঝরে পড়ে
মিলনসাগর.কমের কবিতা    
পেলিকান পাখিদের সদ্যোজাত ডিম ভেঙে জমাট কুসুম নয়
একটু আঁষটে অতি অপরূপ নোনতা স্নিগ্ধ সাদা জেলি
ডুবে যায় আত্মা অবধি পর্ণপুট,
অপার্থিব মৌচাকের টলটলে মধু, মিষ্টি ঘামে |
এই কবিতা মিলনসাগর থেকে কপি পেস্ট করা      

অস্থির রমণী গাঢ় উষ্ণ আরামে
পালতোলা জাহাজের ডেকে শুয়ে
মাধ্যাকর্ষহীন ফুরফুরে মোলায়েম
হালকা জলন্তপ্রায় একরাশ বেলুনের ঝাঁক নিয়ে
বিদেশী তারার খুব কাছাকাছি ভেসে যেতে থাকে
যেন ডানা মুচড়ে দেবদূত উড়ে যাবে
এক্ষুনি বিছানাসুদ্ধ তাকে নিয়ে |
এই কবিতা মিলনসাগর থেকে কপি পেস্ট করা   

মেয়েটির উচ্ছল তৃপ্ত ওষ্ঠাধর, দাঁত, দুচোখের পাতা
চটচটে ঘন লাক্ষারস মাখামাখি,
সজীব রঙিন শান্ত সুস্থ জানুসন্ধির মধ্যিখানে
আস্তে আস্তে তার মুখমন্ডল অঘোরে ঘুমিয়ে পড়ে
পৃথিবীর সৌন্দর্য একাকী  |
এই কবিতা মিলনসাগর থেকে কপি পেস্ট করা   

.                    ******************     
.                                                                                  
সুচিতে...   


মিলনসাগর
*
চুন্নি বুড়ি ঘুঁটে দেয়, ধোপারা কাপড় শুকোয় |
এই সেদিনও জল টলমল করত----
সন্ধেবেলা মাছেরা তারার পিছনে ছুটে ছুটে ভাবত এটাই আকাশ,
বাঁশপাতার লম্বা হাতের ছায়া কাঁপতে কাঁপতে মিশে যেত
ছোট ছোট জলের ঘূর্ণিতে |
ও পাড়ার পদ্মদিঘি শুকিয়ে
এখন চারিদিকে ইট কাঠ, রুক্ষ শান, বৃষ্টি আর পদ্মদিঘিতে দাঁড়ায় না
জলের সঙ্গ না পেয়ে চুইয়ে চুইয়ে নেমে যেতে থাকে
মিলন সাগরে
নিজের মায়ের কোলে, পাতালপাথারে |
*
কোথায় পৌঁছব গিয়ে ?
কেউ নেই |


কাঁচা কষ্টিপাথরের চার হাত, রাজহাঁসবাসিনী,
দাঁত উঁচু , বাম উরু ঢেঁকি,
ধান ভাঙে মিলনসাগরে
ঈষৎ ট্যারচা চোখে বরাভয় |
গেঁয়ো লোকে বলে : খুঁতো পশুদেরই শুধু বলি হয়
নিচ অবধি সিঁড়ি পড়ে আছে-----
দিঘির থমকে থাকা স্রোতে প্রত্যেক কর্দমষষ্ঠীতেই
অন্তত একটি করে চোখ ওল্টানো ধড়হীন মুন্ডু ভেসে ওঠে,
কালো ধুতুরার বনে শুঁয়োপোকা
মিলনসাগরের কবিতা
শানবাসী শামুককে খবর পাঠালে
তখন বোধন শুরু |

এই কবিতা মিলনসাগর.কম থেকে কপি পেস্ট করা   
আমি অসময়ে এসে ডুবন্ত ঈশান কোণে
ওঁর অসম্বদ্ধ দাঁতে হাসি ঐ উনুনের মতো চাঁদ দেখি,
আর মনে মনে বলে যাই
তোমার পূজোর দিনে আসতে না হয়, ধনি,
এই বর চাই |

.                    ******************     
.                                                                                  
সুচিতে...   


মিলনসাগর
*
লেসলি লুই, রবার্ট লুইয়ের কান্না----
পল লুই , জন্ম ১৮৬৭ ---মৃত্যু ১৮৭০
‘বাছা তোর আত্মা ধপধপে সাদা ফুল
মিলনসাগর ফুটে থাক স্বর্গের বাগানে |
উষ্ণবর্ণ শুনি এভাবেই |’


‘সতেরোর আগাথার জন্য
আমার আকাশ অসমাপ্ত রয়ে গেল,
লিখে গেছে বছর তেইশের উইলি স্যান্ডহার্স্ট |
প্লুতবর্ণ জানতে হল আমাকে এ রীতি অনুযায়ী  |
এই কবিতা মিলনসাগর.কম থেকে কপি পেস্ট করা   

‘তিরাশির মরিয়ম আমার মা,
তোমাকে আমার যত পূণ্য, যত সত্য, যত আলো
সব ঢেলে দিই,
সাদা পাথরের এই লেখবার টেবিলে
তোমার মন্দির হোক |’
-----কবি অগাস্টাসের বিনতি |
অন্তস্থবর্ণও আমি ক্রমে ক্রমে বুঝি |
এই কবিতা মিলনসাগর.কম থেকে

কবরের কাছে যাই-----
পাথরফলকে দেখি অক্ষরের মুখ ধরা দেয়,
অক্ষরের আত্মা ফুটে ওঠে,
ছবি নেই বই নেই |
বিমূর্তির মেঘ দেয় ভূমিকার ছায়া,
অশেষ সেতুর বুকে এসে বসে পাখি |
টেনে টেনে ছিঁড়ি যত আকাশের নীল
চকিত প্রজ্ঞার মতো ছোপ ছোপ কাঁচা ঊষা
প্রায় অন্ধ চোখে ধাক্কা মারে |
পড়তে শেখায়নি কেউ কোনোদিন
অক্ষর চেনায়নি কেউ কোনোদিন
আমি ঘুরে ঘুরে একা
মিলনসাগরে  
লেখাপড়া করি এই বিজন কবরে |

.           ******************     
.                                                                                  
সুচিতে...   


মিলনসাগর
*
.           ******************     
.                                                                                  
সুচিতে...   


মিলনসাগর
পৃথিবীর সৌন্দর্য, একাকী তারা দু’জন    
দেবারতি মিত্র
. ক পা একটুখানি উঁচু করে
. ছে দেবদূত
মাংসল ব্রোঞ্জের ঊরু
. হজ গ্রীক ভাস্করতা
. কে তরুণীকে
. রী
.  ভীর সৌকর্ষ ফেলে রেখে
ইন্টারনেটে গ্রিক ভাস্কর্যের ধারাবাহিকতা অনুসরণ করতে করতে
পৌঁছে যাই সুন্দরের স্বর্গে |
একটুকরো পোড়া কাঠের মতো ছিটকে
মনে পড়ে অমরনাথের পথে ভোরবেলা হেঁটে যাচ্ছি------
চুলে লেগে গিয়েছিল গুঁড়ো গুঁড়ো বরফ, হিমালয়ের লুকানো চোখের জল |
এদিকে অফিস উঠে গেছে, প্রতিবেশী ভদ্রলোক তাকিয়ে থাকেন ফ্যালফ্যাল করে,
আমার বোনের মেয়ে কিসা বারুদঠাসা শ্বশুরবাড়ি থেকে
মিলনসাগর
একটুকরো পোড়া কাঠের মতো ছিটকে পড়ল পৃথিবীতে |
কি করব ভেবে পাই না, কি করব বুঝতে পারি না |
শুধু লিখে আমি কি ওদের কিছু করতে পারব ?
অথচ মানুষই ধরে রাখে, আর কেউ তা পারে না |
এই কবিতা মিলনসাগর.কম থেকে কপি পেস্ট করা   

.                    ******************     
.                                                                                  
সুচিতে...   


মিলনসাগর
অবিদ্যা    
দেবারতি মিত্র

পুকুরের ঢালু পাড় দিয়ে নেবে কোথায় পৌঁছব-----
রাত পৌনে একটায়
বায়ু কোণে জড় কাঁ
অমনি ঝুপসি ফুল ফো
উঠন্ত কাঠের জ্বালে দুধ
কোনোক্রমে টিকে আ
অক্ষর    
দেবারতি মিত্র
পিতা ও যে রকম  অবধারিত প্রেমিক    
দেবারতি মিত্র
. তীর আর্ত জানু জড়িয়ে ধরেননি
. ও বিলাপ করেননি কিছু বলে
.   চলে গেল ঈশ্বরের সুদীর্ঘ প্রতীক
.ভীরে যেন আলোছায়াবাসী
.  ক মুদ্রা নিয়ে বললেন না যে ‘ভালোবাসি |’


কাতর পিতা
.  অপরাহ্নে শান্ত বর্ষা চেয়ে
. রে দেখলেন জানালার পর্দাগুলো খোলা,
. ঘলা ঘুম ডাকে তা তো আহ্নিক প্রদেশে |
জোর ছুটি ;
. বেড়াতে চলে গেছে জুনাগড়ে
. ঝিঁঝির গুঞ্জন
. যায় না কেন মন কেমন করে |