কবি দেবারতি মিত্রর কবিতা যে কোন গানের উপর ক্লিক করলেই সেই গানটি আপনার সামনে চলে আসবে।
|
ছায়ায় ঘোমটায় মাথা ঢেকে আমি পঞ্চাস বছরে
সাঁইত্রিশ বছরের প্রায়-যুবতী মা |
নাড়ি ছিঁড়ে একটুকড়ো পোড়া ফুল ঝরে পড়ে পায়ের তলায়------
ন্যাকড়ার পুঁটুলি খুলে কেন বিচি ছড়াতে গেলাম পৃথিবীতে ?
দাবানলে শিশু বন পুড়ে যায়, কাকিনীর দেহ পোড়ে কেন ?
বৃথামাংসে তৃপ্ত হবে কোন্ পশু, অগম্য চন্ডাল !
এই কবিতা মিলনসাগর থেকে কপি পেস্ট করা
কাকবন্ধ্যা বিধবাকে অনাত্মীয় একজন সুখী বলল-----
সন্তানের দাহ দেখতে নেই |
উলটো দিক ফিরে তাই বসে আছি একা ঘোমটাটানা |
আকাশে এজানা কুন্ডে কালচে গন্ধক মেঘ ফোটে,
জলন্ত রক্তিম ভান্ড দেখে ছুটে পালাচ্ছে শেয়াল,
অগ্নিকে ওদের কোনো অযথা সম্ভ্রম নেই |
বাতাস কী কটুগন্ধ ঘন আলকাতরা বয় বুকে,
বেঁটে আলকুশী গাছ তুক করে অন্ধকার বেঁধে রাখে
আলাঝালা আঁচলের খুঁটে |
এই কবিতা মিলনসাগর থেকে কপি পেস্ট করা
রোদে পাকা বাঁশ দিয়ে বালকের মাথায় এক ঘা মারল ডোম-----
সেই ঘিলু চেটে খেয়ে স্বাস্থ্যবতী হবে কি মেদিনী ?
তবু তুই চেঁচাস শান্তি, শান্তি !
শান্তিজল মেটে কলসি থেকে সমুদ্দুরে মিলনসাগরে
যদি ছ্যাঁক করে গায়ে লাগে এখন আমার
গঙ্গা নেই, গয়া নেই কাশি নেই বৃন্দাবন নেই
গর্ভের ভিতরে বাইরে শুধু উইঢিবি |
. ******************
. সুচিতে...
মিলনসাগর
পাথরের কথা বলা বনভূমি---
কেশর ফাটানো ফুল
তাম্ররেখা
স্ফুলিঙ্গের মতো ওড়ে রেণু |
মিলনসাগর.কম
ধূ ধূ শব্দে চার দিক কেঁপে ওঠে-------
অনেক গ্রীষ্মের শেষে তোমাদের আমলকী বাগানে
জংধরা শিকল জড়ানো পরিত্যক্ত কুয়ো
বহু দূরে মিলনসাগর থেকে চুরি করা কবিতা
লুপ্ত বালিকার চাউনির মতো চুপ জল,
আকন্দপাতায় কাঁপা হালকা কর্পূর কণী কণা
আবছায়া তারাফুটকি সাপ |
মিলনসাগর থেকে নেওয়া কবিতা
আলতো সবুজ ঝিঁঝিঁ থোকা থোকা
সমস্ত গা গুঞ্জরনময় একটি বাজনা গাছ
গোল ফোয়ারার মতো আকাশের নিচে
সে যেন আরম্ভ হল এইমাত্র |
. ******************
. সুচিতে...
মিলনসাগর
এত হাজার তুলনাহীন মিশ্রিত রঙের জট
মৌলিক পাপের উষ্মা ও ঔজ্জ্বল্য প্রদর্শন
যেমন লাফিয়ে ওঠে শিখরে শিখরে সূর্যমন্দির |
দীর্ঘ পেশীবহুল শীগাছ দাউ দাউ করে জ্বলতে জ্বলতে
নিচে ঠিকরে পড়ে ঘোরলাগা পাখি |
কবিতাটি মিলনসাগর থেকে কপি
গড়িয়ে আসে কম্পাসহীন নৌকো
সমুদ্রের গম্বুজ পেরিয়ে যায় বৃত্তাভা
নুয়ে পড়ে পৃথিবীর সব দূরবীন
অদূরদর্শী দিকরেখার পদচুম্বন করে |
এই কবিতা মিলনসাগর থেকে কপি পেস্ট করা
রক্তাভ পাগলাটে কালো জংলীফুলের গর্ভপত্রে
কাঁচপোকা নেমে আসে------ অপ্সরা কুয়াসার অন্ধকার |
একবিনুনীভ্রষ্ট তাড়া খাওয়া তরুণী ঝিল্লী
বয়ে যায় জলে পাশ দিয়ে খুব চুপিচুপি
বিহ্বল ধ্বনির পাশে দুপাশ ধরে চলে
থমথমে টাইগার ঘাসের ভারে বেঁকে আসা
লাইন না ছুঁয়েই ট্রেন শেষ হয় অভিকর্ষের দিকে |
এই কবিতা মিলনসাগর থেকে কপি পেস্ট করা
দৃশ্যদৃশ্যান্তর ইন্দ্রিয়ের সবরকম স্তব এখন বন্ধ
দাঁতে দাঁতে চেপে যায় এত অন্ধতা !
অত্যধিক যেন প্রায় অনৈশ্বরিক
সূর্যের এই চলে যাবার আগের মোহ ও বর্ণনা----
ভিত নড়ে যায় জরায়ু পর্যন্ত |
এই কবিতা মিলনসাগর থেকে কপি পেস্ট করা
সেতু ভেঙে ঝাঁপ দিতে হয় নিজের উল্টোদিকে----
সন্ন্যাসিনীর কাষায়, আঙুরলতা, বেলোয়ারী ঝাড়লন্ঠন
বিন্ধ্যাটবীর নীল রূপো, মোমবাতি, থোকা থোকা রডোডেন্ ড্রন্,
নাম না জানা আরো অনেক বেশী থেঁতলে যায় অন্ধকার
গভীর মদস্রাবী নির্জর ছাতিমগাছ
দুলতে থাকে সূর্যাস্ত চোখের সামনে
আমি এখন কেবল চুম্বন করি |
. ******************
. সুচিতে...
মিলনসাগর
সায়ং না সূর্যমন্দির
দেবারতি মিত্র