নিজেকে সুখী রাখবার প্ররোচনায় কবি দেবরাজ নাইয়া পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় কাব্যগ্রন্থ থেকে
নিজেকে সুখী রাখবার প্ররোচনায় যে সমস্ত রোগ সাদরে গ্রহণ করেছি আমি তারই পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় সমগ্র ঘর পুড়ে যাচ্ছে জ্বরে আজ ডাক্তার ডাকার কেউ নেই সবাই ভুল বকছে
টিভির বিজ্ঞাপন আর শহর জোড়া হোর্ডিং কবি দেবরাজ নাইয়া পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় কাব্যগ্রন্থ থেকে
টিভির বিজ্ঞাপন আর শহর জোড়া হোর্ডিং, জানিয়ে দিচ্ছে আগামী কয়েক দিনের মধ্যে শীত নেমে পড়বে রাস্তায় প্রোটেকশন নেওয়ার হাজার কিসিম মাল্টিপ্লেক্সে ঝালিয়ে নিচ্ছে ছোট ছোট ব্যালাড আর এই রাজকীয় ফ্যাশন শো-র উষ্ণ অভ্যর্থনায় একটু-আধটু নিজেকে ভাপিয়ে নিচ্ছে সবাই কিন্তু তুই ছাড়া আমি এসব ভাবতে পারছিনা তাই দুশ্চিন্তার হাতে ক্রমাগত মার খেতে খেতে কখনো ঘামছি, কখনোবা জমে যাচ্ছি প্রচণ্ড ঠাণ্ডায়
কোনো নোটিশ ছাড়া যখন তোর জ্বর ছেড়ে যাচ্ছে কবি দেবরাজ নাইয়া পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় কাব্যগ্রন্থ থেকে
কোনো নোটিশ ছাড়া যখন তোর জ্বর ছেড়ে যাচ্ছে আমি বোর হচ্ছি দেখে, একে একে ভিড় জমাচ্ছে দুশ্চিন্তারা পাতা ওল্টালেই আমি নিরুদ্দেশের মালিক আর আমাকেও তোর মনে পড়বেনা অথচ কথা ছিল, তুই একশো চারেই সাঁতরে বেড়াবি প্রতিদিনই হাজির হবি নতুন কোন সিমটমের সাথে আর আমি,অনুসন্ধান অফিসে... আমাদের নতুন বাড়ির ঠিকানা খুঁজতে বেরুবো
আমার দুশ্চিন্তার পারদ কবি দেবরাজ নাইয়া পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় কাব্যগ্রন্থ থেকে
আমার দুশ্চিন্তার পারদ থার্মোমিটার ছাপিয়ে যাচ্ছে দিনকে দিন যেহেতু পুরোনো রোগ আর পরিচিত সিমটমে ধরা দিচ্ছেনা যেহেতু তোর হার্ট বিট পরিষেবা সীমার সেবার বাইরে চূড়ান্ত ভাবে অসফল তাই স্টেথোস্কোপও কোন কাজে লাগছেনা
তবে এখনো ভাবামাত্র তুই আমার চোখ ছুঁয়ে যাস আর আমি শুনি বুকের কম্পন
বেমালুম উধাও হবার পথগুলো কবি দেবরাজ নাইয়া পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় কাব্যগ্রন্থ থেকে
বেমালুম উধাও হবার পথগুলো আভিজাত্যের অহংকারে ক্রমশ অবসন্ন হবার সাথে সাথে চারিদিক থেকে মুখিয়ে থাকা তীক্ষ্ণ চোখেরা আমার দৃষ্টিশক্তি নিয়ে লোফালুফি খেলতে শুরু করলে আমিও প্রতিক্রিয়াহীন নিজের ভিতর অস্থির হতে হতে খোয়া যাওয়া সানগ্লাসটার খোঁজ করছি যদি কোনভাবে তোর স্পর্শটুকু বাঁচিয়ে নিতে পারি
ইউটিউবে থেকে যাওয়া কয়েকটা ফুটেজ ছাড়া কবি দেবরাজ নাইয়া পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় কাব্যগ্রন্থ থেকে
ইউটিউবে থেকে যাওয়া কয়েকটা ফুটেজ ছাড়া আমার সম্বল বলতে আর কিছুই নেই অনেকদিন হয়ে গেল, তোর মডেমটা খারাপ হবার পর ফেসবুকের অ্যাকাউন্টটা ক্লোজ হয়ে আছে তাই ফেস টু ফেস কথা হয়না অনেক দিন আজ এই এত রাতে তোর নামে মেল পাঠাতে পাঠাতে কেন জানি মনে হচ্ছে এই মাত্র তুই রিপ্লাই পাঠাবি ‘বাবু চিন্তা করিস না, আমি ঠিক আছি!’
মৃত মানুষের পুনর্জন্ম হয়না জানিয়ে কবি দেবরাজ নাইয়া পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় কাব্যগ্রন্থ থেকে
মৃত মানুষের পুনর্জন্ম হয়না জানিয়ে পাবলিশার রিটার্ন নিয়েছে ফেলোশিপ সমস্ত প্রবাদ ভেঙেচুরে তোর এন্ট্রি নেই দেখে আমার সমস্ত থিসিস দাহ করে গেছে বাড়ির লোক একদিন পূর্বজন্মের কথা ভূলে গিয়ে আমিও অজানা ইতিহাস হয়ে যাব সেদিন দেখে নিস কোনভাবে আর ফিরে আসবোনা
কোনোদিন ছুটি চাইনি বলে কবি দেবরাজ নাইয়া পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় কাব্যগ্রন্থ থেকে
কোনোদিন ছুটি চাইনি বলে তোর ছিন্নভিন্ন দেহ এভাবে আমাকে বয়ে বেড়াতে হয়। আমি কী নর্দমার পাশে বসে থাকা মৃতের সঞ্জীবন? যে পুরনো আমেজ রোজ ফিরিয়ে নিতে পারি একদিন সব ফুরিয়ে যাবে একদিন সমস্ত নক্ষত্রেরা আলোকবর্ষ পেরিয়ে আকাশে ভিড় জমালে সমস্ত করুণ চোখও আমকে নিঃশব্দে বিদায় জানিয়ে দেবে এ পৃথিবীতে তোর মত আমারও কোন মৃত্যুদিন থাকবেনা
এই আজ থেকে কবি দেবরাজ নাইয়া পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় কাব্যগ্রন্থ থেকে
এই আজ থেকে তোর নামে কখনো কলম ছোঁয়াবো না বুকে তবে কোনোদিন যদি পুরোনো স্রোত ধাক্কা দিতে চায় যদি বিচ্ছিন্ন হবার চক্রান্ত ঘিরে ধরে আবার সেদিন আর রক্ত নয় এ বুক থেকে কয়েক মুঠো ছাই খসিয়ে তোকে তর্পণ করে আসবো