মানুষের কথা বলি যে মানুষ এখনো রয়েছে ঘুমঘোরে ফুলে-ফালে, তার বুঝি ছিল কোনো গান অনুষ্টুপ, অনুপ্রাস, ‘নির্গন্ধা ইব কিংশুকা’ ; বাদামী রংয়ের ঘোর কেটে গেলে যে মানুষ দেখে তার রূপকথা নেই, তার নেই সহজ সকাল। প্রেম-ট্রেম বাজে কথা, বিচ্ছিন্নতা প্রথম তো তার প্রাপ্য ছিল পৃথিবীতে, তাই সে নিজেই মানুষের শত্রু হয়ে বেঁচে আছে এইখানে, আজো এইখানে।
একেক দিন অন্ধকার, ঝিঁ-ঝি রাত ভূতের মতন প্রেতস্বরে কথা বলে এইখানে কবরশয্যায়।
খোকন সোনা ঘুমিয়ে পড়ে চুষিকাঠি নিয়ে আলো-ঝলমল পরী গেল দুষ্টু চুমু দিয়ে। তারপর এক এবাক কাণ্ড পদ্মগন্ধে মাত ‘দৃপ্ত’ তখন নিশ্চিন্তে ঘুমোয় সারারাত। মা ডেকে তার পান না সাড়া, খোকন পদ্মবনে খেলছে যেন স্বপ্নে ‘দৃপ্ত’ গন্ধবালকসনে। ডাকতে ডাকতে মা হয়ে যান ভীষণ রকম ক্ষীপ্ত অমনি খোকন লাফিয়ে ওঠে, ‘এই তো আমি দৃপ্ত’!
এখন আর তোমন কাউকে আমার পড়ে না মনে, ডাক-গাড়ি চলে গেছে সময়ের হাত ধরে কবে, নীল দূরে ডেকে গেছে চেনা-জানা স্মৃতি এক মেয়ে একটা চিঠির আশায়, হায় চিঠি জুনের বিকেলে আমায় ভাবালে কেন ভালোবাসায়, ভালোবাসা এমন!
আমি তো নিজের মাঝে নিজেকে হারিয়ে ফেলি এখন, মনেও পড়ে না কোনো চিঠিপত্র লেখা ছিল কিনা বিস্মৃতি নামে এক নারীর বুকের গভীরে ; আপেলের মতো যবে ভরেছিল দামাল যৌবন জানি না, পড়ে না মনে, ডাক-মুন্সী হাওয়ার স্বদেশে!