দ্বীপপুঞ্জে চাঁদ কবি দিলীপ কুমার বসু ২৩ নভেম্বর ২০১৩ তারিখে প্রকাশিত, “জ়াওন-আসন” কাব্যগ্রন্থ থেকে নেওয়া
কে যেন চাঁদের আলোক দেখতে আন্দামানে বলল যখন, আদিবাসী কেউ নীল সাম্পানে নিকোবর হতে ঘর ছেড়ে তার আসছে সেদিকে, যেখানে আমার চড়াই ভাঙার চেনা পথটিকে ধূসর স্পষ্ট করেছে আগত বিশাল ছায়া
অজানা মাছের ; লেজ-এ তারও সেই চন্দ্রকিরণ, ‘আমাকে বাঁচাও সেলুলার জেল’ বলি ফুলগাছে যারা আজ জেল-এ অভাযাগতের পথে বসে আসে মনোহর সেজে ফাঁসির মঞ্চে দিবালোক ভ’রে ;
২ দিনে ও রাত্রে যেটুকু দেখার---প্রবাল জলের নীচে, রঙিন মাছেরা, ডোরাকাটা জোঁক---লব দেখা হলে পরে শুধু বাঁশি এক : সে কি জাহাজের, ঠিক শোনা যায় কি না, বলতে পারি না। বৃহৎ, অজানা মাছ কড়া পাহাড়ায় নিচু ডালপালাঘেরা সমুদ্র দেখিয়ে এবার যায়, যেখানে আগুন-পাহাড় রোজই কাদাই উদ্গারিছে
ঝিনুক দেখেছি রাধানগরের সৈকতে টুপ্ করে উল্ টি খাচ্ছে, বালির মধ্যে ডুবছে, মুগ্ধ আমি। কিন্তু জীবন কটিতটে সেই আদিবাসী আভরণ, কন্যার দেহে ছড়িয়ে থাকা কথা, তবু যাদুঘরে দর্শক যাকে দ্যাখে দিনভর ; চন্দ্রকিরণ . রাতে ঝরে, নাচে, ঝরে।