কবি দ্রোণাচার্য ঘোষের কবিতা
যে কোন কবিতার উপর ক্লিক করলেই সেই কবিতাটি আপনার সামনে চলে আসবে।

অতীত ভূমিতে সে        
অবেলার প্রেম এখনো হলো না শেষ      
অলস লোকের ভিড় চারপাশে আমাদের শুধু       
আমাদের রাস্তাগুলো    
আমার মুক্তির ডাক   
আমার মুহূর্তের লোভে     
আমি যে সব কবিতা ভুলে গেলাম       
আলোয়  উদ্ভাসিত হলো তার স্বপ্ন     
এই জন্ম শেষ জন্ম এই মৃত্যু ---       
এই নৌকা বীতস্পৃহ, আলো সন্ধ্যারাত্রি খোঁজে       
এই পৃথিবীর সনাতন চিত্রকরের ঝাঁপি খুলতেই       
এইবার শান দাও হাতিয়ার      
এইরকম পৃথিবীতে     
এইরূপে অবশেষে     
এই শহরে       
একটা শালিক তার সর্বস্ব উজাড় ক’রে দিলো       
একটি কবিতা      
একটি মুকুট    
এক রকম ব্যস্ততাবোধ আমাদের রোজ রোজ তাড়া করে    
এখন অনেক আলো      
এখন ক্রমশ আমি ফেলেছি ঘুলিয়ে সব পথেদের রেখা    
এমন ক’রেই হারিয়ে যায় সুদূর অতীত     
ও যাবে আজ যাবেই      
কবিতা সব কবিতা    
কথা     
কৃষ্ণার উদ্দেশে কয়েকটি ছত্র     
ক্রমশ কেমন অস্থির দ্যুতি ভেঙেছে রঙের ছবি      
ক্ষমতার গর্বে স্ফীত শাসকের দল      
গরম ভাতের মতন রক্তের অভিষেক     
গ্রামের মিছিল : ১লা মে    
ঘাটেতে কিশোর একা     
চতুর্দিকে স্বর ওঠে ---- অন্ধকার রূপসীকে চাই     
ছায়া ছায়া চেতনায় স্পর্শহীন শরীরের মায়া     
ট্রেনের সময় হলো       
ডাক     
তবে তাই হোক, তোমার গভীরে যাবার কালেই প্রিয়     
তোমাকে চেয়েছিলাম আঙুলে আঙুলে     
তোমার উদ্দেশে শেষ কয়েক ছত্র       
তোমার বুকের কাছে হাত রাখতে তাড়িয়ে দিলে      
তোমার শরীর ছায়ামমতার এক অপরূপ বৃষ্টি     
তোমার স্পর্শকে চিনি      
দারুণ জ্বরের মধ্যে মুহ্যপ্রায়, আমাকে বাঁচাও      
দুপুরবেলায় সিনেমা দেখে বিকেলের ঝাপসা আলোয়      
দু’হাতে তুলেছি আঁধার রাত্রি      
ধূপের ধূসর ধোঁয়া ভেঙে যায় বৃত্তাকারে      
নির্জনতা    
নিষ্ঠুরতা সেও জানে ভালো      
প’ড়ে আছে নুরুলের শব    
পান্থশালা ধর্মশালা এক করে তুমি ভুল করেছো পথিক    
পান্থশালায় রাত্রির যদি শেষ    
পার্থ বলেছিল --- ‘আয়, এবার ছন্দকে ভালোবাসি’      
প্রতিশব্দে স্থির ছিল      
প্রশ্ন : রবীন্দ্রনাথকে     
প্রাগৈতিহাসিক    
বন্ধু সে পাবে কোথা       
বস্তুত এখন প্রয়োজন     
বহু দিন আমি কবিতা লিখিনি ব’সে     
বহুদিন হলো চ’লে তো এসেছি দূরে     
বহু দূর অন্ধকারে বৃষ্টি ছোঁবে ত্বরিতে সর্বাঙ্গ     
বাঁচার মানে       
বিকেলের ক্রমশ বিলীন রোদে তোমাকেই মনে পড়ে, তুমি    
বিজনে কে তুমি এসেছো একলা      
বিদেশে আচমকা কেউ নাম ধ’রে ডাকলে      
বিপ্লব জ্বলে      
বিপ্লব দীর্ঘজীবী হোক     
মাঠ ঘাট সমস্তই লাল হয়ে ওঠে       
মাঠের ভেতর দিয়ে বিকেলের স্বাদু রোদে হেঁটে এলে তাকে    
মাঠের ভিতর সন্ধ্যা এখন উজ্জ্বল    
মানুষের কাছাকাছি হ’তে গেলে আজকাল ভয় করে বেশি---       
মানুষের মাঝখানে বেঁচে থেকে বড় বেশি সুখ       
মৃত্যুর খুব কাছাকাছি  একটা শহর আছে       
মেঘ রৌদ্র মেশামেশি সারাটা সময় অনুকূল       
মৈত্রেয়ীকে      
ম্লান বিকেলের দ্বার ঘেঁষে      
যেন এরকমই কৃষ্ণাময় জীবন     
যেন সে চিরদিন      
রক্তের ভিতর বিক্ষোভ     
রক্তে হলো অভিষেক, গোপনতা পড়ে থাকে একা     
রবীন্দ্রনাথকে       
রাঁচীর টেগোর হিলকে     
রাত ঘন হ’লে আমি ফেলে চ’লে যাবো জীবনের ঘ্রাণ      
শুধু কবিতার জন্যে অনেক সাফল্যের সিঁড়ি    
শুধু ভালোবাসার জন্যে     
সংগ্রামের আলোয় পরস্পরের মুখ চেনাচেনি    
সঙ্গীরা কেউ কেউ যেন পথ হেঁটে বাড়ি ফিরে যায়      
সমস্ত ঘটনাবলী      
সারাক্ষণ যে গ্রাম আর শহর    
সে      
সেই যুবক     
সেই সৈনিক      
সে এক বালক      
স্মৃতি        
স্মৃতির খাতা থেকে       
হাওয়া এলো |  শূন্য ঘর | ছড়ানো সংসার | ফুল নেই      
হাজারীবাগ পেরিয়ে গেছি নিছক অবহেলে      
হাত     
হারানো সুখের জন্য ম্লান কাতরতা     
হিমহাড় তুলে ধরে দাঁতালো শুয়োর        




মিলনসাগর

১।
২।
৩।
৪।
৫।
৬।
৭।
৮।
৯।
১০।
১১।
১২।
১৩।
১৪।
১৫।
১৬।
১৭।
১৮।
১৯।
২০।
২১।
২২।
২৩।
২৪।
২৫।
২৬।
২৭।
২৮।
২৯।
৩০।
৩১।
৩২।
৩৩।
৩৪।
৩৫।
৩৬।
৩৭।
৩৮।
৩৯।
৪০।
৪১।
৪২।
৪৩।
৪৪।
৪৫।
৪৬।
৪৭।
৪৮।
৪৯।
৫০।
৫১।
৫২।
৫৩।
৫৪।
৫৫।
৫৬।
৫৭।
৫৮।
৫৯।
৬০।
৬১।
৬২।
৬৩।
৬৪।
৬৫।
৬৬।
৬৭।
৬৮।
৬৯।
৭০।
৭১।
৭২।
৭৩।
৭৪।
৭৫।
৭৬।
৭৭।
৭৮।
৭৯।
৮০।
৮১।
৮২।
৮৩।
৮৪।
৮৫।
৮৬।
৮৭।
৮৮।
৮৯।
৯০।
৯১।
৯২।
৯৩।
৯৪।
৯৫।
৯৬।
৯৭।
৯৮।