শরীরে জলের স্বাদ তবুও নীরব স্বাদবহ ;
বেদেদের তাঁবু ওঠে, এইবার বেদিয়া রমণী
ছেড়ে যাবে আমাদের গাঢ় ভালোবাসার সম্মোহ |
বুকের গোপনে আছে রক্ত, রক্ত নগ্ন নির্জনতা ----
আরও সে গোপনে থাকে মানুষের মৃত গভীরতা ||
. ******************
. সূচিতে . . .
মিলনসাগর
কবি দ্রোণাচার্য ঘোষের কবিতা
|
. ---- আনাগোনা ---- যা কিছু দেওয়া-নেওয়ার
. অনন্তকালের আলিঙ্গন |
. ******************
. সূচিতে . . .
মিলনসাগর
বন্ধু সে পাবে কোথা, জীবনের অনুভবে কথা |
তবুও যা কিছু হাসি রেখে দাও ঢেকে
তোমার চাদর ঢাকা ;
এখন শীতের রাত—বাইরে তুষার |
. ******************
. সূচিতে . . .
মিলনসাগর
. বার বার একই জামা গায়ে দিয়ে !
নিষ্ঠুরতা তোমাকে চাই না আনা আর,
. তুমি এখন শত্রু হও----
শত্রুর অতীত এক ঘৃণা হয়ে মিশে যাও শূন্য বায়ু মেঘে |
. ******************
. সূচিতে . . .
মিলনসাগর
কিছু কি তুমি দুরন্ত প্রতাপে ?
আমি শুধু মাথা নাড়ি, উগ্রগন্ধ ক্ষুধায় ব্যাকুল এখনো অন্তর ----
তৃপ্তির সূচনা কোথা, শুধুই হারানো----
নিখুঁত শক্তিতে তাই স্থির হয়ে দেখি |
. *******
এ’ কবিতার খাতাখানাও শেষ হলো, কিন্তু কই সেই অপূর্ব কবিতাটা
সৃষ্টি করতে পারলাম না ?? যাকে সৃষ্টি করতে পারলে আমি কবিতা
লেখাই ছেড়ে দেবো | তবে কি অপূর্ব কবিতা আমি কোনদিনই সৃষ্টি
করতে পারবো না? সে এক সৃষ্টির অতীত সৃষ্টিলোকে বাস করে???
আমি কবে খুঁজে পাবো তাকে ??? আমি অপেক্ষা ক’রে আছি সেই
কবিতাটি সৃষ্টির জন্য, আমি বেঁচে আছি সেই অপূর্ব কবিতাটির সৃষ্টির
জন্য, কিন্তু যে মুহূর্তে সেই অপূর্ব অনাস্বাদনীয় কবিতাটি সৃষ্টি হবে ---
সে মুহূর্তেই আমি আমার নীলামের বাজনা বাজিয়ে দেবো | বলবো
একমাত্র আমিই সুখী এ পৃথিবীর মধ্যে আর কেউ নয় ||
৮ / ১০ / ৬৬
. ******************
. সূচিতে . . .
মিলনসাগর
নির্জনতা
কবি দ্রোণাচার্য ঘোষ
বুকের গোপনে আছে রক্ত, রক্ত নয় নির্জনতা
ক্রমশ রক্ষিত শস্যে অপেক্ষায় থাকে এক ম্লান দীর্ঘস্বর,
সেই সৈনিক
কবি দ্রোণাচার্য ঘোষ
যে মেয়েকে একদিন ভালোবেসেছিল
বন্ধু সে পাবে কোথা
কবি দ্রোণাচার্য ঘোষ
কী ক’রে বন্ধুকে পাবে, কেন দূর দূরের আকাশ ;
রসনার চালচিত্র কেন ঐ সুভদ্র বিলাসে
উপমায় স্থাপিত ঋণ শব্দ মোহনায় !
অবাক স্রোতের তারা ফুল হয়ে যায়,
ক্ষমতার গর্বে স্ফীত শাসকের দল
কবি দ্রোণাচার্য ঘোষ
ক্ষমতার গর্বে স্ফীত শাসকের দল
এখন মিনার গড়ে শোষিতের হাড় দিয়ে, রক্ত-মজ্জা দিয়ে
মিনার ক্রমশ দূর আকাশের কাছাকাছি হয়---
আকাশ তবুও দূর বয়ে যায় সফল শরীরে !
মাটিতে নিস্তেজ দেহ বেশিরভাগ মানুষেরা এইসব মিনারের গায়ে
ও যাবে আজ যাবেই
কবি দ্রোণাচার্য ঘোষ
যাবেই যাবে দরবেশেরই পিছে পিছে
দূরের পথে |
যাবেই যাবে গ্রামের বুকে বাউল সেজে
আগে আগে |
চোখেতে, ভবঘুরে পথেরই ডাকে
নেইকো সাথী ----
নেইকো মানা, নেইকো কোনো চেনা ঠিকানা,
ভুলায় সেজে
কিছুর মোহ |
যাবেই যাবে ভাটিয়ালি সুরেরই পিছে
দুখের তরে |
এক দুলকি চালে সুরকে টানে
ডুব-----
যাবেই যাবে |
রাঁচীর টেগোর হিলকে
কবি দ্রোণাচার্য ঘোষ
ছবির মতো সাজানো সে এক
পাহাড় ঠেলে উঠতে হয় সিঁড়ি
সমুখে চোখ, চোখের ভিতর
রূপসাগরে রবীন্দ্রনাথ অবগাহন
সিঁথির মতো রাস্তাগুলো, দূরে
অকস্মাৎ সবটা ছেড়ে হেঁটেই
. সভ্য
প্রাচীন মালিকানার স্মৃতি ভুলে
রাত ঘন হ’লে আমি ফেলে চ’লে যাবো জীবনের ঘ্রাণ
কবি দ্রোণাচার্য ঘোষ
জয়পুর, ৭ / ১০ / ৬৬
হাত
কবি দ্রোণাচার্য ঘোষ
৬ / ১২ / ৬৬
নিষ্ঠুরতা সেও জানে ভালো
কথা