আমার মুহূর্তের লোভে সবাই দ্রুত এক স্রোতের মুখে
পাকানো তীব্রতা অস্থির দ্যুতির নিচে, আমাকে সারা
জ্বর, উত্তাপ, ভালোবাসা এবং এবম্বিধ যাবতীয় উপাচার
.
আলোচনায় পেশ করতে হয়েছে ; কালবোশেখীর এবং
বৃষ্টির হিসাব রেখে সই কিনতে হয়েছে ;
দুঃসহ দুপুরের ভালোবাসা অতিক্রমহীন যদিও অপরিচিত
সারা শরীরের মগ্নতা ও পিপাসা --- তীব্র এক মোচড়ের
.
.
তবুও আশ্চর্য ধীশক্তি তার,
.
.
.
যা কিছু জল ও শান্তি, তৃষ্ণা ও রৌদ্রে, মগ্নতা ও
.
.
.
.
.
মৃত্যুর দ্বিতীয় নাম শান্তি এটাই স্পষ্ট বোঝাবার জন্যে |
. ******************
. সূচিতে . . .
মিলনসাগর
কবি দ্রোণাচার্য ঘোষের কবিতা
|
সেই আশ্রয় এবং অঙ্গীকার বাণী
কিন্তু নেই ;
. অপরিচিত প্রবাসী আমি---
যদিও রক্তের ভিতর তোমার অধিকার --- নিশ্চিন্ত ও স্থির |
. ******************
. সূচিতে . . .
মিলনসাগর
তাকে ডাকতেই সে এসেছিল কাছে | এবং সমস্ত
চতুর্দিকে বৃষ্টি ঝরিয়ে বুক ছুঁয়েছিল | তার হারানো
তার কোমলতা ও কোমলতার ফুল, তার সামর্থ্য
সমস্তই শিশিরের মতো কন্ঠ ছুঁয়ে এক সবুজ
পরিচিত আলোয়, এক প্রিয় রমণীর কাছে ----
শুনিয়েছিল | এবং শুনিয়ে ক্রমশ নীল পর্বত,
রক্তবর্ণের সানুদেশ ভেদ ক’রে নিজের
কিছুকেই ফেরারী ফৌজের মতো ত্যাগ
নিজের গন্তব্য পথে |
এখনো তার আসা-যাওয়া মৃত্যুর মতোই স্থির
বয়স তার বোধহয় কোনোদিনই বাড়বে না !
. ******************
. সূচিতে . . .
মিলনসাগর
এমন ক’রেই হারিয়ে যায় সুদূর অতীত
কবি দ্রোণাচার্য ঘোষ
২৪ / ৪ / ৬৭
এমন ক’রেই হারিয়ে যায় সুদূর
ঠিক এমন হেরে যাওয়ার
হয়তো নিঃসংকোচ ----
.
কিংবা চিলের পালক নিয়ে
তবুও সেই শান্ত তটরেখা অনায়াস
আর কখনো ফেরে না ঘরে,
. মানুষের রক্ত ও
কিনে ফ্যালে নিবিড় পতাকা,
. ক্রমাগত সেতারের
এইভাবেই হয়তো শেষ হয় সমস্ত
সমস্ত গোলাপের অভ্যন্তরে
.
.
আরেক অতীত ছুঁয়ে চ’লে
যেমন কাছে যায় নারীর ছায়ার
. এ পৃথিবীর
ভাড়া করা পোষাকটা দু’দন্ড
রবীন্দ্রনাথকে
কবি দ্রোণাচার্য ঘোষ
৩০ / ৪ / ৬৭
প্রশ্ন : রবীন্দ্রনাথকে
কবি দ্রোণাচার্য ঘোষ
তুমি কি বিদেশী কোনো অনাত্মীয় পথিক -----
না, আমিই অগাধ সৌজন্যে বিদেশ থেকে নিজেকে বাঁচাই |
দু’চোখে আমার নীল আলোর দাক্ষিণ্য,
অথচ আশ্চর্য দ্যাখো ---- রক্তের কূটনীতি ভুলে গিয়ে
বিজনে কে তুমি এসেছো একলা
কবি দ্রোণাচার্য ঘোষ
জয়পুর, ৩/৫/৬৭
বিজনে কে তুমি এসেছো একলা
নয়নে আলোক এবং চাতুরি
ছলনা করেছো চোখের মায়ায়
সঙ্গীরা কেউ কেউ যেন পথ হেঁটে বাড়ি ফিরে যায়
কবি দ্রোণাচার্য ঘোষ
১১ ৫ ৬৭
সঙ্গীরা কেউ কেউ যেন পথ হেঁটে বাড়ি ফিরে গেছে
এখন একাই উপদ্রুত অঞ্চলে
নিজের সময়ের সঙ্গে কুস্তি করার জন্যে
অপেক্ষা করছি |
সোডার বোতল উড়ে পড়ছে শূন্যে
দু’চোখে নিবিড় ক্ষত আলোচনা বুনেছে কৌশলের
একা, মগ্ন যৌবনের ভ্রান্তি নিয়ে
একটা দারুণ কিছু করবার মতো মেজাজে
হিংস্র উপত্যকায় দাঁড়িয়ে
সে
কবি দ্রোণাচার্য ঘোষ
১৩ / ৫ / ৬৭
দু’হাতে তুলেছি আঁধার রাত্রি
কবি দ্রোণাচার্য ঘোষ
১৩ / ৫ / ৬৭
দুহাতে তুলেছি আঁধার রাত্রি
চতুর চারণা বুকের গোপনে ;
মস্তক নত, আমি ফিরে আসি
আমার মুহূর্তের লোভে
কবি দ্রোণাচার্য ঘোষ
১৪ / ৫ / ৬৭
ট্রেনের সময় হলো
কবি দ্রোণাচার্য ঘোষ
১৭ / ৫ / ৬৭
ট্রেনের সময় হলো, তুমি বলেছিলে---- যাবো |
স্টেশনে চোখের দৃষ্টি অকারণ শুধু ঘুরে এলো
. অগণিত মানুষের মুখ ;
সে এক বালক
কবি দ্রোণাচার্য ঘোষ
২০ / ৬ / ৬৭
নদীর ধার ধেঁষে বহুক্ষণ সে বালক জ্যোত্স্নায় হেঁটেছিল চারিদিকে
. টুকরো
হাওয়া চুলের প্রান্তর খুঁড়ে তাকে বিব্রত করছিল, শূন্যতা ভাঙছিল
. আলো | ছায়ায়
ছায়ায় এক অপরূপ বৃষ্টি চন্দ্রমল্লিকার | সে তখন উন্মাদের মতো
. নিজের